Powered By Blogger

Wednesday, May 31, 2023

প্রবন্ধঃ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে?(২)

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে? (১)-এ প্রশ্নটা করেছিলাম।
লিখেছিলাম: শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে!?

মুনি? ঋষি? সাধক? ধর্মগুরু? দীক্ষাগুরু? পন্ডিত? মহাত্মা? মহাপুরুষ? কবি? সাহিত্যিক? শিল্পী? গীতিকার? গায়ক? নাট্যকার? অভিনেতা? শিক্ষাবিদ? চিন্তাবিদ? গণিতজ্ঞ? শিক্ষক? ইঞ্জিনিয়ার, আইনজ্ঞ, ডাক্তার? বিজ্ঞানী? জ্যোতিষী? সমাজসেবী? সমাজ সংস্কারক? বিপ্লবী? নেতাজী? দেশপ্রেমী? মানবপ্রেমী?

কে তুমি ঠাকুর!?
মানুষ? দেবতা?? ঈশ্বর???
আমার প্রশ্নের উত্তরটা আমিই দিলাম!

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন একজন মানুষ। সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ!
তিনি হ'লেন একজন বিস্ময়। বিস্ময়ের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়!
তিনি হ'লেন আদর্শ। আদর্শের আদর্শ সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ!
তিনি হ'লেন পুরুষ। সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ! উত্তম পুরুষ!! পুরুষোত্তম!!!
তিনি হ 'লেন তমসার পার অচ্ছেদ্যবর্ণ ইষ্টপ্রতীকে আবির্ভুত মহান পুরুষ!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন একজন নেতা। নেতার নেতা বিশ্বনেতা! ওয়ার্ল্ড লিডার!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন বিপ্লবী! হ্যাঁ বিপ্লবী! তিনি হ'লেন অমৃতবর্ষী বিপ্লবের দিশারী!
তিনি হ'লেন বাঁচা-বাড়ার অনুকূল ভাবধারায় সারা দেশ তথা বিশ্বকে ভাসিয়ে দেওয়ার পথিকৃৎ!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন বিশ্বজুড়ে সমস্ত মত ও পথের মহাপরিপুরণকারী!
তিনি হ'লেন একজন বৈদ্য। বৈদ্যের বৈদ্য পরম বৈদ্য!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীর বিজ্ঞানী পরম বিজ্ঞানী!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন একজন শিক্ষক, টিচার! ওয়ার্ল্ড টিচার!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন শেষের শুরু! যেখানে বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার শেষ অর্থাৎ কাব্য, দর্শন, সাহিত্য, আইন, প্রকৌশলবিদ্যা, বিজ্ঞান ইত্যাদি শেষ সেখান থেকে শুরু তাঁর বলা!
তিনি হ'লেন কারণপুরুষ। সমস্ত কারণের কারণ পরমকারুণিক তিনি!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হলেন আত্মা। সমস্ত আত্মার আত্মা পরমাত্মা!
জীবাত্মা মহাত্মায় পরিণতি লাভ ক'রে অবশেষে যে পরমাত্মায় লীন হ'য়ে যায় সেই পরমাত্মা তিনি!
তিনি হ'লেন সবার স্বামী। জীবনস্বামী! জীব জগৎ জীবন কারণ করুণাময় স্বামী!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন গুরু। গুরুর গুরু মহাগুরু! পরমগুরু! বিশ্বগুরু! জগতগুরু!
এই বিশ্বে যত ধর্মের যত দেবদেবী আছে সমস্ত দেবদেবীর আধার হ'লেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র! যেমন সূর্য আর সূর্যের কিরণ!
শ্রীশ্রীঠাকুর যদি হন সূর্য তেত্রিশ কোটি দেবদেবী হ'লো তাঁর কিরণ!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-ই হ'লেন ব্রহ্মা! তিনিই হ'লেন বিষ্ণু! তিনিই জীবন্ত মহেশ্বর!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন বাইবেলে কথিত In the beginning there was sound, and sound was GOD!- এর সেই সাউন্ড! অর্থাৎ একই সঙ্গে শব্দ ও শব্দের প্রাণ হ'লেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন সৃষ্টি-স্থিতি-লয় এই তিনের মূল মরকোচ!
তিনিই ভগবান! তিনিই ঈশ্বর!! তিনিই আল্লা!!! তিনিই গড!!!!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন স্বয়ং রক্তমাংসসংকুল জীবন্ত নারায়ণ!
তিনি অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-ই হ'লেন সেই ওঙ্কার ধ্বনি!
তিনি হ'লেন ওঙ্কার ধ্বনির প্রাণ যে রাধাস্বামী সেই রাধাস্বামী হ'লেন তিনি!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রই হলেন বিশ্বজুড়ে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এই চার যুগে আবির্ভুত মুনি, ঋষি, যোগী, ধ্যানী ও লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি সাধক ও ভক্তকুলের আরাধ্য জীবন্ত ঈশ্বর রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ-এর যুগোপযোগী নবরূপে আবির্ভুত কলিযুগের শেষ অবতার অর্থাৎ স্বয়ং অবতারি পুরুষ!!!
তিনি হ'লেন ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তার মনুষ্য রূপে আট আটবার আবির্ভুত রূপের সর্বশ্রেষ্ঠ পূর্ণ চন্দ্রের ন্যায় পূর্ণ রূপ!

তিনি সর্বশক্তিমান! তিনি সর্বব্যাপী! সর্বভূতে বিরাজমান!
তিনি সর্বনিপুণ! তিনি সর্বজ্ঞ! সর্ববেত্তা! সর্ববিদ্যাবিশারদ!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সমস্ত অস্তিত্বের অস্তিত্ব পরম অস্তিত্ব!
তিনি সমস্ত উৎসের উৎস পরম উৎস!
তিনি হ'লেন সমস্ত গন্তব্যের পরম গন্তব্য স্থল!
তিনিই হ'লেন ডিভাইন ডিক্টেশন-এর কলাকার!
শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন সেই মুনি ঋষি যোগী ধ্যানী যখন ধ্যানস্থ অবস্থায় যে আকাশবাণী প্রাপ্ত হয়, সাড়া পায়, ঈপ্সিত বস্তু লাভ করে সেই আকাশবাণী, সেই সাড়া বা সেই ঈপ্সিত বস্তুর দানকারী ব্যক্তি!
তিনিই ওঙ্কার ধ্বনি! তিনিই ব্রহ্ম! পরম ব্রহ্ম! তিনিই কুল অর্থাৎ এই মহাকাশে যত লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আমাদের যে ব্রহ্মান্ড সেই ব্রহ্মাণ্ডের বাইরে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে আরও একটা ব্রহ্মান্ড, তার বাইরে আরও একটা, আরও একটা, আরও একটা এমনিভাবে কোটি কোটি ব্রহ্মান্ড সমূহ ( যা বিজ্ঞানীরা কল্পনা করেছেন মাত্র) নিয়ে অন্তহীন বিশাল যে ব্যাপ্তি, যে বিস্তৃতি, যে কুল সেই কুলের যিনি মালিক, যিনি সৃষ্টিকর্তা, যিনি----সেই যখন 'ছিল না'-র অস্তিত্ব ছিল, অর্থাৎ সেই যখন কোনও কিছুই ছিল না তখনও তিনি ছিলেন অর্থাৎ ছিল সেই অস্তিত্ব অর্থাৎ সাউন্ড বা শব্দ 'ওঙ্কার', শব্দের প্রাণ 'রাধাস্বামী' আর সেই তিনি অর্থাৎ 'রাধাস্বামী' হ'লেন রক্তমাংসসঙ্কুল জীবন্ত সৃষ্টিকর্তা, জীবন্ত কুলমালিক, পরব্রহ্ম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র!!!
তিনিই একমাত্র উপাস্য! তিনিই পূজ্য!
তিনিই এক ও একমাত্র আরাধ্য দেবতা! ঈশ্বর! আল্লা! গড বা যে যে নামেই তাঁকে ডাকুক না কেন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সেই রহস্যময় অস্তিত্ব!!!!!!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন অখন্ডমন্ডলাকারে ব্রহ্মাণ্ডের পর ব্রহ্মান্ড জুড়ে যিনি পরিব্যাপ্ত তাঁর জীবন্ত রূপ!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন অজ্ঞানতার অন্ধকারে ঢাকা পড়ে থাকা বিশ্বজুড়ে মানুষের বন্ধ চোখ জ্ঞানের কাঠি দিয়ে খুলে দেবার এক ও একমাত্র নিখুঁত মানুষ!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সেই চেতন পুরুষ যিনি স্বর্গ-মর্ত-পাতাল তিন লোক জুড়ে চেতনার নিদর্শন স্বরূপ পরিব্যাপ্ত!
শ্রীশ্রীঠাকুর ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা কোটি কোটি ব্রহ্মার উৎপত্তি স্থল! যেখান থেকে জন্ম নিয়েছে কোটি কোটি ব্রহ্মা ও ব্রহ্মান্ড!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সেই নারায়ণ আর নারায়ণ মানে হ'লো বিশাল বিস্তৃতি! অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন সেই বিশাল বিস্তৃতি! আর নারায়ণের নাভিপদ্ম বা নাভিদেশ মানে সেই বিশাল বিস্তৃতির মধ্যবিন্দু বা কেন্দ্রবিন্দু! আর সেই মধ্য বা কেন্দ্রবিন্দুকে বিজ্ঞানে বলা হয় সেন্ট্রাল জোন! যেখান থেকে সব কিছুর সৃষ্টি! চরম পরম উৎস! শ্রীশ্রীঠাকুর হ'লেন সেই চরম পরম উৎস!!! সেই সেন্ট্রাল জোন। সেই চরম পরম উৎসের, সেই সেন্ট্রাল জোনের আধার!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র হ'লেন সেই বাইবেলে কথিত রক্তমাংসসঙ্কুল 'ঈশ্বর পুত্র' হ'য়েও ঈশ্বর! সর্বশক্তিমান পরমকারুণিক সর্ব্বানুস্যুত ব্যাপ্ত প্রাক প্রথমবাক সর্ববস্বর্গ সর্ব্বহৃদয় প্রাণনপরিমল অদ্বিতীয় জীবন্ত ঈশ্বর! জীবন্ত রক্তমাংসসঙ্কুল নররূপী ঈশ্বর! সৃষ্টিকর্তা!!
সেই চরম পরম উৎস রক্তমাংসসঙ্কুল জীবন্ত ঈশ্বরকে জানাই আভুমি হৃদয় কম্পিত শত-লক্ষ-কোটিকোটি প্রণাম!
---------প্রবি।
( লেখা ২১শে মে'২০২০ )

No comments:

Post a Comment