Powered By Blogger

Wednesday, December 16, 2015

'তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা.........'






প্রায় ১০-১১ মাস পর গত ৯/১২/১৫ (বুধবার) সংসদের সেন্ট্রাল হলে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। শুধু সেন্ট্রাল হল নয়, এদিন রাতে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আয়োজন করা মমতার নৈশভোজেও আমন্ত্রণ গিয়েছিল মুকুল রায়ের কাছে। দিদির আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যান মুকুল রায়। অতিথিরা চলে যাওয়ার পর ডেরেক ও অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মুকুলের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্পও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপান উতোর। দলের মধ্যে এই ঘটনাকে সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনা বলে মান্যতা দিলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মুকুল অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয়েছে অস্বস্তি। মুকুল অনুগামীরা চিন্তায় পড়ে গেছেন তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, এই প্রশ্নে। আর মমতার রাজনৈতিক মোক্ষম চাল নিয়ে আগামী ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে রাজা মাত হওয়ার সম্ভাবনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কপালে দেখা দিয়েছে ভয়ঙ্কর চিন্তার ভাঁজ। বিরোধীপক্ষের কেউ বুঝে উঠতে পারেনি এতদিন আর পারছেও না এখনও '' ''-দের রাজনীতির ইতিকথা! মমতার পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতির আকাশে অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। দলের মধ্যে, দলের বাইরে সবজায়গায় উঠেছে হুদহুদঝড়। এই ঝড়ে কে থাকবে আর কে থাকবে না তাই নিয়ে ’ ‘’-দের নিশ্বাসপ্রশ্বাসে ম ম করছে আকাশবাতাস। আর রাজনীতির সমুদ্রে মমতার আচমকা তোলা কূটনীতির তরঙ্গে ভেসে চলেছে বিপক্ষ শিবিরের সবাই মিলে একসঙ্গে এই বঙ্গে।

মমতা ম্যাজিকে ভারতের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ তোলপাড়। ভারতের আকাশে নোতুন নারী চাণক্যের উত্থান!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
 
পশ্চিমবঙ্গের আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে একটাই শ্লোক,           

'তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা.........'     
                    
চিত্তে ’ ‘নাচে কে যে বাঁচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ।
’ ‘কুসঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ॥
মদন কান্না, কুণাল আর নাদোলে ভালে
কাঁপে ধন্দে ভালোমন্দ তালে তালে,
নাচে মুকুল নাচে মিঠুন পাছে পাছে,
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ।
কী আনন্দ, নিরানন্দ, কীসের ধন্দ
দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ
সে তরঙ্গে সবাই বঙ্গে ছোটে পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ॥

Saturday, December 5, 2015

লঙ্কায় রাবণ।

যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’।
কথাটা নয় দুর্বোধ্য, অতি সাধারণ
দেশ থেকে দেশে কথা এলোমেলো বেশে
ঝরে পড়ে অঝোর ধারায় হয়ে ধারা শ্রাবণ!
যুগ থেকে যুগে চলে বয়ে অন্তহীন এই ধারা,
যে যত সৎ সে সত্তা তত এই পাপের বাড়া!
অযোগ্য আর অদক্ষ দোঁহে মিলি করে সুরাপান,
মূর্খ মুখ্য হয়ে বসে মাথায়, করে সালিশি
দেশের দশের; ওষ্ঠাগত সালিশির নামে
আম জনতার পরাণ পান্ডিত্যের তকমা__
সে যে সুন্দরী পরমা, ___লাগিয়ে মাথায়
জগৎ মাতায় পোঙ্গা পন্ডিতের দল;            
হাঁটু জ্ঞানে বাজিয়ে প্রাণপণে  
প্রজ্ঞার ঢোলক ঝুলিয়ে নাকে নোলক বলে সবে,
এসো ত্বরা করি হাত ধরাধরি, দেখো,
বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির
কি বিচিত্র এই ফল!  
বিচি দেখে খেয়ে ভির্মি, বলে প্রজা,
উঃ কি ভীষণ গর্মি; পরাণ যায় জ্বলিয়া রে!
পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে একসাথে;
নইলে ঘচাং ফু হবে
আজ ভেবে কি হবে বল, যাবে যাক রসাতল;
কে রাখে তারে? হরিকে যে বা যারা মারে!
আজ ভুলে গেছো সবে? সিংহাসনে যবে
না বুঝে করেছিলে স্থাপনা কাহারে?