Powered By Blogger

Wednesday, February 25, 2015

রামলীলায় শপথ নিলেন কেজরিওয়াল।




দিল্লির অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রামলীলা ময়দানেই শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দলের আরও ছয় সদস্য। সাধারনভাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে রাজভবনে৷ কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির গদিতে পুনরায় ফিরে আসা৷র পর রামলীলা ময়দানেই পুনরায় শপথ নিলেন কেজরিওয়াল। গুরু আন্না হাজারে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়ালকে নির্বাচনে জিতে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাঁর আগাম পরামর্শ ছিল যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যেন খুব লোকদেখানো আড়ম্বরপূর্ণ না হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান যেন রীতি মেনে অনাড়ম্বরভাবেই রাজভবনেই অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত গুরু আন্না হাজারের পরামর্শ মানার প্রয়োজন বোধ করেননি কেজরিওয়াল। যেমন তিনি এর পূর্বে প্রয়োজন বোধ করেননি আন্না হাজারের রাজনৈতিক দল গঠন না করা ও অরাজনৈতিক, সামাজিক অন্দোলনের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত। আন্নার সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেমেছিলেন তিনি৷ তারপর সবটাই ইতিহাস। সবটাই মানুষের জানা। পথচলা শুরুর আগেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অযথা বেশ কিছু বড় বড় কথার ফানুস উড়িয়ে প্রতিশ্রতি পালনে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে কেজরিলাল ও তাঁর বাহিনী৷ তাঁর ভাষণের বক্তব্য বিষয়ে মনে হ'ল যেন একটা ক্ষমতা দখলের অহংকার ঝরে পড়ছে, ঝরে পড়ছে তাঁর শরীরী ভাষায়। অথচ তিনি বিজেপি ও কংগ্রেসের মত অহংকারী হতে নিষেধ করেছেন দলীয় সমস্ত মানুষকে তাঁর নির্বাচন পরবর্তী ফল প্রকাশের পরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ভাষণে। অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অপার্থিব শক্তি নিয়ে পৃথিবীর মাটিতে নেবে এসেছে যেন কোন এক দেবদূত তাঁর নারায়ণী সেনা নিয়ে ৪৯ দিনের ব্যর্থতা ভুলে,ভুলের থেকে শিক্ষা নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে দুর্নীতি মুক্ত দিল্লী গড়বে বলে!!!!!!!
কেজরিওয়ালকে তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। তার সঙ্গে জানাইThe greatest phenomenon of the world Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর একটা সাবধান বাণীঃ
"
কর্ম্ম নাই চিন্তা সৎ,
পাথর পেছল নরক পথ"।

কেজরিওয়াল ও তাঁর সহধর্মিণী!!!!!!






দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পরেই বিপুল জয়ের খবরে উচ্ছসিত আপ পার্টির প্রধান দিল্লীর ভাবী মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জনগণের প্রতি তাঁর ও তাঁর দলের নজিরবিহীন সাফল্যের জন্য অভিনন্দন ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি তাঁর স্ত্রী ও পিতাকে জনগণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। স্ত্রীকে পরিচয় করানোর সময় তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন যে, তাঁর স্ত্রী সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্ম্মচারী হওয়ার কারণে তাঁর স্ত্রী সবসময় সরকারি আক্রমণের ভয়ে ভয়ে থাকতেনতাই তিনি সামনে আসতেন না। এখন আপ ক্ষমতায় আসায় আর ভয় নেই তাই তিনি তাঁর স্ত্রীকে জনগণের সামনে আসার জন্য বলেন ও স্ত্রীকে সামনে নিয়ে এসেছেন

কথাটা একেবারেই ঠিক। সরকারি ও বেসরকারি যেখানেই চাকরী করুক না কেন রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠদের উপরেও কর্ম্মক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ করে। ফলে বর্তমান একমাত্র ক্ষমতাকেন্দ্রিক হিংস্র রাজনৈতিক দর্শন ও বাতাবরণের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির প্রিয়জনদের জীবনও
, সে রাজনীতিতে যুক্ত থাকুক আর না থাকুক, দুর্বিসহ হয়ে ওঠে এ কথা অতীব সত্য। তবুও যে কথাটা বলতে ইচ্ছে করে রাজনীতির রুখোসুখো পাথুরে ময়দানে কেজরিওয়ালের মত মানুষদের হঠাৎ আবির্ভাব ও আশ্চর্য প্রদীপের সহায়তায় নেপোলিয়নের মত এলাম, দেখলাম আর জয় করলামসুলভ আশ্চর্য সফলতা মনের মধ্যে একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সেই প্রশ্নটা আর কিছুই নয় প্রশ্নটা হল কেজরিওয়ালের মত মানুষদের পাশে স্ত্রীদের সক্রিয় ভূমিকার কি কোন প্রয়োজন নেই বা কেমন হওয়া উচিৎ ছিল??????

যাইহোক বিগত আন্দোলনের দিনগুলোয় কেজরিওয়ালের ভূমিকা নিঃসন্দেহে স্ত্রীর মানসিকতার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। হঠাৎ অন্য একটা মাত্রায় পৌঁছে গেছিল স্ত্রীর স্বাভাবিক জীবন। কেজরিওয়ালের হঠাৎ এই উল্কার বেগে উত্থান, হঠাৎ অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে দল গঠন, প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর পাশাপাশি নিজের আনকোরা নূতন দলকেও উচ্চমাত্রায় নিয়ে আসা ইত্যাদি অনেক কিছুই উল্টে পাল্টে দিতে পারতো স্ত্রীর জীবনও। প্রয়োজনমতো স্ত্রীরসাপও মরে অথচ লাঠিও না ভাঙ্গেজাতীয় সতর্ক ভারসাম্যের খেলা কেজরিওয়ালকে নিঃসন্দেহে অক্সিজেন যুগিয়েছে। তবে শ্রীমান কেজরিওয়ালের পাশে শ্রীমতি কেজরিওয়ালের এ হেন রুপ বা ভূমিকা ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে অন্য মাত্রা যোগ করে। আগামীতে এই খামতি পূরণে শ্রীমতি কেজরিওয়াল নিশ্চয়ই সচেষ্ট হবেন।





'নারী তুই উদম হলি.........




নারী তুই শীতল হলি............ বৃষ্টি মেখে
নারী তুই উষ্ণ হলি............... রুদ্র চোখে
নারী তুই নদী হলি............... আপন বেগে
নারী তুই উদম হলি.............. ভীষণ রেগে
নারী তুই লাজুক হলি............ বধূর সাজে
নারী তুই বেবাক হলি............ অপার লাজে
নারী তুই আপন হলি............. মধুর হেসে
নারী তুই শুদ্ধ হলি................. দেবীর বেশে
নারী তুই স্নিগ্ধ হলি................. গন্ধ ধূপে
নারী তুই পূর্ণ হলি ................. মাতৃ রূপে।।

ছবির
মধ্যে উল্লিখিত নারীর অপরূপ বর্ণনা ছবির নীল রঙের মত মনের আঙিনাকে নীলাভ স্বপ্নময় এক আলোয় ভরিয়ে দিল! নীল স্বপ্নসাগরে ডুবে থাকতে থাকতে মনে ' এই সুধারস পানে আবার বিষ নেইতো!?

অনেকক্ষণ
ডুব দিয়ে থাকতে থাকতে একসময় ভেসে উঠে মনে ' এক ফোঁটা চোনা যেমন এক কড়াই দুধ কেটে দেবার জন্য যথেষ্ট ঠিক তেমনি ছবিতে বর্ণিত নারীর বাকী সব সৌন্দর্য্যের সলিল সমাধি ঘটে যখন নারী ভীষণ রেগে গিয়ে উদম করে দেয় নিজেকে নিজেই। তাই 'নারী তুই উদম হলি.........ভীষণ রেগে' এটা নারীর সৌন্দর্য্যের ভূষণ তো নয়ই এটা ংসারে সংসারে ছড়ায় তীব্র দূষণ। যার ফল পরবর্তী উগ্র বিশৃঙ্খল মস্তিষ্কের প্রজন্মের উত্থান। রাগ ভালো, তার থেকেও আরো ভালো অনুরাগ। রাগ মানে নিয়ন্ত্রণের লক্ষণরেখা ডিঙ্গিয়ে নিজেকে একেবারে উদম করা নয়। নিজেকে নিজে যদি কেউ প্রকাশ্যে উদম করতে চায় তাহ'লে কারো কিছু করার থাকে না। এটা আত্মহত্যার সমান। তবে সৃষ্টি প্রিয়জনকে রক্ষা কিম্বা আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে ভীষণ রেগে উদম হয়ে নারীর মা কালীর রুপ ধারণ করার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যেটা প্রথমে মনে আসে তা' ',
"
ওঁ কালি! কালি! মহাকালি! কালিকে! পরমেশ্বরি।
সর্বানন্দকরে! দেবি! নারায়ণি নমোহস্তুতে"

একমাত্র
এই ক্ষেত্রে ছবিতে বর্ণিত নারীর ভূষণগুলির মধ্যে নারীর 'উদম হওয়া রাগ' গ্রহনীয় অন্যথায় সংসারের সুখ শান্তির স্বার্থে তা' বর্জনীয়