Powered By Blogger

Tuesday, March 14, 2017

প্রবন্ধঃ পুরুষের পৈতৃক অধিকার ও কে আছে পাশে অবশেষে?

http://bengali.oneindia.com/news/india/woman-gang-raped-5-men-accused-claim-they-brought-her-paid-sex-015273.html?utm_source=article&utm_medium=fb-button&utm_campaign=article-fbshare

হে নারী এটা পুরুষের পৈতৃক অধিকারের মধ্যে পড়ে যে যখনই পুরুষ নারীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত হয় তখনই সেই নারীর উপর অবহেলায় অবলীলায় দেহজীবীর তকমা ঝুলিয়ে দেবে পুরুষ। পুলিশ, আইন, উকিল সবাই পুরুষ দ্বারা পরিচালিত সমাজে সেই পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে নির্দোষ প্রমাণে লম্ফ দিয়ে ঝম্প মেরে সেই অপমানিত নারীকে প্রকৃতই দেহজীবী বানিয়ে ছেড়ে দেবে। আর যদি কখনো বা আইন, পুলিশ সেই নারীর পাশে দাঁড়িয়ে অপরাধী পুরুষের বিরুদ্ধে তার নারীর ওপর নৃশংসতার শাস্তি স্বরূপ মৃত্যুদণ্ডের দাবী করে বা বিচারসভা মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে তখন কোমর কষে সেই পুরুষকে বাঁচাবার জন্য মানবাধিকার কর্মী মানবের অধিকার নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে সেই দরিন্দাকে বাঁচাবার জন্য। যদি ঘৃণ্য পুরুষ অপরাধী নাবালক হয় আর সেই নাবালক সাবালকের বাপ 'য়ে তার মায়ের বয়সী নারীর ওপর বলাৎকার করে, দরিন্দার মত অত্যাচার করে তাহ'লেও তাকে নাবালকের তকমা লাগিয়ে করুণার দৃষ্টিতে দেখা হয় এবং যুবক নয় আইনের এই ফাঁকে নাবালকের শাস্তি কম করা হয় এবং তাকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়। আবার এই সমস্ত ঘৃণ্য অপরাধী দুঃশাসনরা যখন ধরা পড়ে তখন পুলিশ তাদের মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যায় যাতে তারা তাদের পরিচয় সমাজের বুকে গোপন রাখতে পারে ভবিষ্যৎ কুকর্ম করার জন্য।
তাই হে নারী, ভারতের রাজধানীর বুকেই যখন এই সমস্ত হায়েনারা নিশ্চিন্তে ভয়হীন ঘুরে বেড়ায় তাদের শিকার ধরার জন্য, রাজধানীকেই যখন এরা বেছে নিয়েছে তাদের কুকর্মের নিরাপদ স্থান হিসাবে সেখানে কার উপর তুমি বিশ্বাস, ভরসা রাখবে হে নারী তোমার নিরাপত্তার? আছে না-কি এমন রাষ্ট্রনেতা বা নেত্রী এই ভারতবর্ষে, যার আপোষহীন লৌহকঠিন ব্যক্তিত্বের ডান্ডার ভয়ে এই দরিন্দারা
ঠান্ডা 'য়ে থাকবে?

হে নারী কে আছে এই ভুবনে তোমার পাশে? বিশ্ব নারীদিবসে যে এলীট সমাজ নারীদিবসের ধ্বজা ওড়ায় তারাও কি আছে তোমাদের পাশে?
যাই ',

 হে নারী শুধুই কি তুমি নারী!
তুমি কন্যা, তুমি ভগ্নী,
তুমি প্রেমিকা, তুমিই পত্নী।
সংসার মাঝে নারী তুমি কান্ডারি।
তুমিই বন্ধু, তুমি জীবন সাথী।
জীবন মাঝে আঁধার রাতে
নারী তুমি মোর ঘরবাতি।
নারী তুমি কি শুধুই নারী!
তুমি অভয়া, তুমি অদিতি
তোমার ছায়া তোমার মায়ায়
জাগে হৃদয়ে প্রেম প্রীতি!
নারী তুমি কখনও সেলিব্রেটি,
কখনও বা তুমি বিত্তশালিনী,
তুমি অনন্যা, কখনও বা
নারী তুমি ক্ষমতা মালিনী!
নারী দিবসে তুমিই মুখ্য, তুমিই প্রধানা
জীবন যুদ্ধে বরাভয় হাতে তুমি
দাঁড়াও এসে পাশে য়ে বীরাঙ্গনা!
তোমার অঙ্গে জ্বলে শত দিবাকর
হে নারী হতাশার মাঝে তুমি
প্রাণে তোলো ঝড়!
জগত মিথ্যা জেনো তুমি বিনা।
নারী তুমি কি শুধুই নারী!
বহুরুপে সম্মুখে তুমি হে নারী
তারি মাঝে শ্রেষ্ঠ রুপে তুমি মাতা! তুমি জননী!
নারী তুমি প্রাণ রে দান হয়েছো ধন্য
এত কিছুর মাঝেও তবুও ;য়ে আছো
আজও তুমি পণ্য! হে নারী তুমি বরেণ্য।
কে বানায় পণ্য তোমায় হে নারী
তা কি তুমি জানো? আঁধার রাত
সর্পিল আনাগোনা, কোন বিশ্বস্ত হাত
করে বেচাকেনা জিসম তোমার রে পণ্য?
সে কি শুধুই পুরুষ??????
নাই নাই নাই ঠাই কোনোখানে ঠাই নাই
আছো পড়ে বাতায়নে য়ে শুধু ছাই!
সময় ফুরোলে পঞ্চভূতে যাবে মিশে
তাচ্ছিল্য আর তীব্র অবহেলায়।
 
সুধী সমাজ হেঁকে বলে,
পণ্য য়ে সদাই ছিলে
গানে গল্পে ছবিতে আর কবিতায়!
জিসম তোমার পণ্য করে গণ্যমান্য
গানে, গল্পে, কবিতার পরতে পরতে
শিল্পীর ছবিতে তুলির ছোঁয়ায়!
প্রতি অঙ্গ তোমার য়ে পতঙ্গ নাচে কবির
কলম আর শিল্পীর তুলির শিশ্নে!
শিল্পের টানে কবিতার ভানে তারা জাগরণে
বিনি কেটে চলে, চলে শয়নে স্বপনে
তোমার শরীরী উপত্যকায় ভাঁজে ভাঁজে নির্দ্বিধায়
গভীর অর্থপূর্ণ শব্দের ঢেউ তুলে
সৃষ্টির নামে উত্তরহীন প্রশ্নে!
হে নারী-----
বলো কে আছে পাশে অবশেষে?


প্রঃবিঃ।