Powered By Blogger

Friday, November 8, 2019

কবিতাঃ আমি আর তুমি।

কোথায় দুঃখ, কোথায় কষ্ট, কোথায় আমার যন্ত্রণা?          
জীবন মাঝে কোথায় কঠিন, কোথায় জটিল? আর
মায়া মমতার উন্মাদনা? জীবন আমার উদাস বাউল
উদার আমার জীবন আকাশ, জীবন আমার রামধনু
জীবন আমার মলয় বাতাস। জীবন মাঝে রপোলি চমক
মেঘমল্লারের বন্দনা! ঝরঝর সেই বরষণ বয়ে চলে
খরশান অবিরত প্রাণে প্রাণে নেই তার কোনও সীমানা!
পরম সত্তার তরে জীবন আমার উদার আকুল উন্মনা
জীবন জুড়ে আছে ভরে শুধু পরমেশ প্রভুর মন্ত্রণা!
জীবন জুড়ে শুধুই আলো, শুধুই জ্যোতির বিচ্ছুরণ!
জ্যোতির মাঝে হারায় ‘আমি’, সত্তা খোঁজে জীবনস্বামী!
জীবন জুড়ে শুধুই সাড়া পরম সত্তায় উত্তরণ!

আর তুমি,
জীবন খুঁজে মরছো কোথায়? কোথায় ফেলেছো নোঙ্গর তুমি?
দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণা, শোক, তাপ, ব্যথা-বেদনা
শব্দেরা সব মিলেমিশে মারে তোমায় সেথায় পিষে;
‘কঠিন’ ‘জটিল’ সব শব্দ ঘিরে নরক করেছে ধীরেধীরে
তোমার জীবন ভুমি। আবাদ তাই হ’ল না বন্ধু
বহু ফসলী তোমার জমি!

এখন তুমি......
জীবন যদি চাও পেতে রাখো হাত আমার হাতে
ঐখানেতে যাবো নিয়ে আলোয় ভুবন ভাসিয়ে দিয়ে
তমসার ওপার হ'তে যেথায় হাসিমুখে দাঁড়ায় এসে
জীবনস্বামী, বরাভয় দিয়ে দু’হাত তুলে বলছে হেসেঃ
আয়, বুকে আয়, আয়রে তোরা, করি ত্বরা  
কোমর বেঁধে ছুট্টে সবাই, হেত্থায় জীবন খুঁজে পাবি।।
----------------------প্রবি।

সেই Tradition

সেই Tradition আজও সামনে চলেছে!!!!!!!!! সেই অসৎ নারী, অসৎ ভাই, অসৎ পুলিশ অফিসার মিলে আজও ছেলেদের ফাঁসিয়ে অর্থ লুটের কারবার খুলে বসেছে!!!!!! কার কাছে যাবে অসহায় মানুষ!? মায়ের জাত নারী আজ রাক্ষসীতে পরিণত হয়েছে! ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক আজ অর্থ লালসার শিকার হ'য়ে বোনকে হাতিয়ার ক'রে ভাই অর্থ রোজগারের ব্যবসা খুলে বসেছে! যে রক্ষক সেই আজ ভক্ষরের ভূমিকায় অবতীর্ণ!!!!!! আম আদমির রক্ষাকর্তা মাইবাপ পুলিশ আজ আম আদমির কাছে শয়তান কিলবিস রূপে আবির্ভুত!!!!!!! কে বাঁচাবে এই অসৎ নারী পুরুষের হাত থেকে!? এখন প্রশ্ন এই ঘোর অন্ধকার মাঝে আলো ধরে পথ দেখাবে কে!? কে আলো ধ'রে ঘরে পৌঁছে দেবে অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষকে এই ঘোর কলিযুগের ঘোর অন্ধকার থেকে!? কেউ নেই বন্ধু তোমার চারপাশে! তুমি একা! তুমি একা!! তোমার চারপাশে ঘোর অন্ধকার! ভাই নেই, বন্ধু নেই, আত্মীয় নেই, পরিজন নেই, স্বজন নেই, সুজন নেই, থানা-পুলিশ-প্রশাসন, ডাক্তার-উকিল ইত্যাদি ইত্যাদি কেউ কেউ নেই এই কিলবিসের তৈরি সমাজে!!!!!! কেউ কোথাও নেই! চারিদিকে এক ঘন কালো ভয়ঙ্কর অন্ধকার! যে অন্ধকার বিকট বিরাট হাঁ ক'রে গিলতে আসছে তোমায় অসৎ নারী, অসৎ পুরুষ, অসৎ ভাই, অসৎ বন্ধু, অসৎ পুলিশ, অসৎ উকিল, অসৎ ডাক্তার, অসৎ শিক্ষক, অসৎ নেতা, অসৎ ধর্মগুরু, অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ------------ইত্যাদি ইত্যাদি বেশে!!!!!!!!!!!

ঠিক এই সময়, এই অসৎ দমবন্ধ করা পরিবেশে কে আছেন এই তামাম বিশ্বে যিনি আমায়  বিপাক পথে হাত ধ'রে পথ পার ক'রে দেবেন!? কে!? কে!? কে!? কেউ আছে যে গ্যারান্টি দিতে পারে শান্তি স্বস্তিতে বাঁচা ও বাড়ার পথ দেখাতে পারে, সামনে দাঁড়িয়ে দুহাত বাড়িয়ে রক্ষা করতে ঘোর বিপদ থেকে!?

তমসার পার অচ্ছেদ্য বর্ণ মহান পুরুষ  শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র এই ঘোর অন্ধকারের ঘোর কলির শেষে ইষ্টপ্রতীকে আবির্ভুত হ'য়ে বললেন, মাভৈ! "যখন কেউ নিজের ভুলে ঘোর অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে তখন তাকে আমার আলো ধ'রে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসতে হয়!"
তাই ভয় নেই বন্ধু! আসুন ভয় দুর্বলতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পা দিয়ে দ'লে দিয়ে গেয়ে উঠি, "দয়াল আছে আর আমি আছি ভয় কি আর আছে আমার!!!!!!!!!."
জয়গুরু।--------------প্রবি।

Friday, September 6, 2019

ঠাকুর ও আমরা!

প্রায়শঃই দেখি ফেসবুকে কেউ ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে কিছু পোস্ট করলেই রে রে ক'রে ডাকাত দলের মত তেড়ে আসে কিছু মানুষ রূপী অদ্ভুত জীব! আর এদের মধ্যে দীক্ষিত যেমন থাকে ঠিক তেমনি অদিক্ষিত মানুষজনও থাকে। তবে দীক্ষিত যারা থাকে তারা অবৈধ দীক্ষিত ও স্বঘোষিত দীক্ষিত! তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ও সংশ্রব নেই মূল কেন্দ্র সৎসঙ্গ দেওঘর-এর সঙ্গে। তারা নানারকম কুৎসা, নিন্দা, সমালোচনা, গালাগালি ইত্যদির পশরা সাজিয়ে বসে যায় ফেসবুকের আঙ্গিনায়! এদের মধ্যে বহু তথাকথিত দীক্ষিত ও অদিক্ষিত নারীও আছে! অবাক লাগে এই মাতৃসম নারী জাতি কি অবলীলায় অবহেলায় ঠাকুরকে ও ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে! ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবার নিয়ে কুৎসাকারী পুরুষ দীক্ষিত ও অদিক্ষিতদের নিয়ে আলোচনা করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নাই। তারা আলোচনার পাত্র নয়। এই ধরণের পুরুষদের পরিবারের অনেক মা, স্ত্রী ও বোন সদস্যদের দেখেছি এদের ঘৃণা করতে! পরিবারের মা, স্ত্রী ও বোনেরা এই সমস্ত পুরুষদের সরাসরি মুখে হয়তো সবাই কিছু বলে না কিন্তু তাদের অভিব্যক্তি প্রমাণ করে তারা এই ধরণের পাপ কাজকে সমর্থন করে না, ঘৃণা করে; তবে অনেকেই সামনা সামনি প্রতিবাদ করে কিন্তু ঐ সমস্ত অসংস্কৃত অসভ্য পুরুষদের তা গায়ে লাগে না! কিন্তু যখন দেখি এই ধরণের তথাকথিত দীক্ষিত ও অদিক্ষিত অসংস্কৃত জংলী পুরুষদের মত কিছু অবৈধ দীক্ষিত ও অদিক্ষিত নারীও আছে যারা  কল্পনাতীত খিস্তি খেউর বাজি করে ঠাকুরকে নিয়ে ও ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তখন ভাবি কি দুর্ভাগ্য অভিশাপ নিয়েই না জন্মেছে এদের পরিবারের সন্তানেরা! এদেরও বলতে হবে মা! এরাও মা! এরাও মায়ের জাত! এদের সন্তানেরাও এদের পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র শব্দ মা নামে ডাকে! এইসমস্ত সন্তানের জন্য দুঃখ হয়! কি পরিবেশে এরা মানুষ হচ্ছে, বড় হচ্ছে! এক তো জন্মগত কি সংস্কার নিয়ে এসেছে তা তো শিশু জানে না উপরন্তু ভাগ্য ক'রে ছোট বয়স থেকে নরক তুল্য পরিবেশে বড় হচ্ছে! এইসমস্ত সন্তানেরা তাদের দুঃখময় ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য দায়ী নয়। দায়ী এদের রক্তমাংস দিয়ে তৈরি একতাল বোধ-বুদ্ধি -অনুভূতিহীন অশিক্ষিত অহং সর্বস্ব বাবা-মা! এরা ছোটবেলায় এইধরণের মায়ের সান্নিধ্যে মায়ের বিষাক্ত দুধ খেয়ে মায়ের ছোট মনের ছায়ায় বড় হয়েছে তাই এদের ভবিষ্যৎ কি ধরণের হ'তে পারে তা নির্ধারিত! তাই রামপ্রসাদ বলেছিলেন, "জন্ম দিলেই হল না মাতা, মা হওয়া নয়কো সহজ কথা।" তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে! আর তারা যথার্থই ভাগ্যবান! তাদের জৈবি সংস্থিতি ও পূর্ব জন্মের সুসংস্কার তাদের ভাগ্যবান ক'রে তোলে! তারা ঐরকম অপদার্থ মা-বাবা পাওয়ার পরও স্বাস্থ্যকর বাঁচা-বাড়ার পরিবেশ পেয়েছে! আর কথায় আছে, ভাগ্যবান-এর বোঝা ভগবান বয়!!!!

যাই হ'ক এবার আসল কথায় আসি।
ফেসবুকে যখন ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্লীল নোংরা নরক সদৃশ ভাষা প্রয়োগে মন্তব্য পোষ্ট করা হয়, পেজ খুলে সেই পেজে কানে গরম সীসা ঢেলে দেওয়ার মত ঠাকুরবাড়ির মায়েদের নিয়ে কুৎসিত শব্দ প্রয়োগে ফেসবুককে কালিমালিপ্ত করা হয় তখন ভাবি এদের কোন মা জন্ম দিয়েছে, কোন বাবার রেত ব'য়ে বেড়াচ্ছে!!!!! শয়তান কিলবিসও এদের মুখের ভাষায় লজ্জায় নীল হ'য়ে যাবে! আর ঠিক সেই সময় দেখা যায় এদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে কিছু দীক্ষিত গুরুভাইবোন! কখনো কখনো কিছু কিছু  গুরুভাইবোনেদের মুখের ভাষাও লাগাম হারিয়ে ফেলে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে! সেইসমস্ত গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চায়,

আপনারা এইসব কথার উত্তর দেন কেন? আপনাদের চুলকানি কবে বন্ধ হবে? আপনারা এখনো কার সঙ্গে কথা বলতে হয় আর কাকে ইগনোর করতে হয় এখনো পর্যন্ত তার কলাকৌশলের অ, আ, ক, খ শেখেন নি! এর থেকে ভালো হয় কোনও পোষ্ট করবেন না। কেন তৈরি না হ'য়ে ময়দানে নাবতে আসেন!? এরা কি দীক্ষিত? দীক্ষিত হ'লে আর স্টাডি করার মেটরিয়াল হ'লে এদের কথাবার্তা এমন হ'তো? কথাবার্তা আর ভাষা শুনে বুঝতে পারেন না কার কি স্ট্যান্ডার্ড!? বোঝেন না কার দৌড় কতদূর!? রেফারেন্স দিয়ে পোষ্ট করা সত্ত্বেও কোনও কোনও পোষ্টে যখন কেউ আবালের মত মন্তব্য করে, বালখিল্য কথা বলে তখন বোঝেন না এদের ইন্টেনশন কি!? বোঝেন না কি করা উচিত!? এটাও যদি শিখিয়ে দিতে হয় তাহ'লে ধ'রে নিতে হয় ঠাকুর ধরা বৃথা! বৃথা এ জনম!

যারা বলেন, এই ধরণের মানুষদের কি উত্তর দিতে হয়, কিভাবে এদের টাইট দিতে হয় সেটা আমাদের ভালোই জানা আছে তখন তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা কথায় বলতে পারি, আপনাদের জানা যখন আছে তখন একটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাহ'লে জেনে শুনে আপনারা বিষ পান করতে আগ্রহী!!!!!! আপনারা রবীন্দ্রনাথের বড় ভক্ত! "আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান, প্রাণেরও আশা ছেড়ে সঁপেছি এই প্রাণ আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান"! এই পরিস্থিতি যখন সামনে আশে তখন আমাদের কি করা উচিত এ সম্পর্কে  শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা ও শ্রীশ্রীবাবাইদাদার কি বলা আছে তা জেনে নিন! সৎসঙ্গের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত! ডিসিপ্লিনড হওয়া উচিত! আর যদি নিজের ইচ্ছেমত চলি তাহ'লে আমার কিছু বলার নেই। আপনি/আপনারা যারা ঠাকুরের বলে যাওয়া বাণীগুলো পোষ্ট করছেন সেই মূল পোষ্টের দিকে নজর দিন আর এইভাবেই মানুষের কাছে ঠাকুরের কথা পৌঁছে দিন রেফারেন্স সহ কিন্তু দেখতে যাবেন না এর প্রতিক্রিয়ায় কে কি বললো। খারাপ, বিতর্কিত, অশ্লীল খোঁচামারা মন্তব্য যদি করে তাদের কোনও উত্তর দেবেন না, কোনও বিরোধিতায় যাবেন না। তাদের মন্তব্য ডিলিট ক'রে দিন, ডিরেইল্ড হওয়া থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যদেরকেও বাঁচান। নতুবা একাগ্রতায় বাধা ও ভাটা পড়বে; ডিরেইল্ড হ'য়ে অন্ধকারের ঘুলঘুলাইয়ার ঘুলঘুলিতে হারিয়ে যাবেন! ঠাকুরের মিশন জানুন, ঠাকুরের লক্ষ্য জানুন, ঠাকুরের উদ্দেশ্য জানুন, ঠাকুরের আন্দোলনের খসড়া জানুন, ঠাকুরের স্বপ্ন জানুন, ঠাকুরের আসার কারণ জানুন, ঠাকুরের ব'লে যাওয়া কথাগুলি জানুন, ঠাকুরের কান্না শুনুন আর তারপর বুক ঠুকে বলুন আমি ঠাকুরের দীক্ষিত! আমি ঠাকুরের শিষ্য, আমি ঠাকুরের অনুগামী, আমি ঠাকুরের মিশনের পতাকাবাহী সৎসঙ্গী!!!!!!! নতুবা সে গুড়ে বালি! সব বকোয়াস!

আমার বক্তব্য গ্রহণ ও বর্জন একান্তই আপনার/আপনাদের ব্যক্তিগত। জয়গুরু।
সাবাশ বাংলা ও বাঙালি!!
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কোটি কোটি অনুগামী বিশ্বব্যাপী আর কুৎসাকারী, নিন্দুক, ঘৃণ্য সমালোচক বাঙালি ও বাংলাব্যাপী! সাবাশ! প্রবি।
হ্যাটস অফ বাংলা ও বাঙালি!!!!
আবার প্রমাণ হ'লো বাংলা ও বাঙালি কুৎসা, নিন্দা ও ঘৃণ্য সমালোচনায় সর্বশ্রেষ্ঠ কারণ তারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও বাঙালি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকেও গালিগালাজ করতে দ্বিধা করে না, পিছপা হয় না!------প্রবি।
গুরুভাইবোনেরা আমার!
আপনাদের অনেকের আমার লেখার বিষয়ে কমেন্ট, মেসেজ, ফোন কল আমাকে আপ্লুত ও উদ্দীপ্ত ক'রে তুলেছে। ব্যক্তিগতভাবে হয়তো সবসময় আপনাদের সবার উত্তর দিতে পারিনি, পারিনা আর তাই জন্য মনটা খারাপ হ'য়ে থাকে। আমার লেখার মধ্যে দিয়ে আপনাদের মনের কথা তুলে ধরতে পারার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান ব'লে মনে হচ্ছে! আপনাদের পরিচিতজনদের মত বহু মানুষ বহু জন্মের সাধনার ফলস্বরূপ ঠাকুরকে জীবনে পেয়েও প্রকৃত সঙ্গের অভাবে আজ 'কাল ও কর্মে'-র জালে জড়িয়ে গিয়ে হারিয়ে গেছে, যাচ্ছে ও যেতে বসেছে!!!! এর জন্যে আমরা গুরুভাইবোনেরাই দায়ী। আমরা ঠাকুরকে গ্রহণ করেছি অথচ তাঁর দেওয়া বিধানের 'বি' মানি না, মেনে চলি না!!!! আবার সঙ্গের গুণেই মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায় সেটাও আপনাদের দেখা বহু মানুষের আচরণে প্রমাণিত সেই কথাও আপনারা আমায় আমার লেখার সমর্থনে অকপটে জানিয়েছেন! তাই বলি, যেখানেই থাকুন সঙ্গ খুঁজে নিন; তা সে বাঙালি-অবাঙালি হ'ক, সৎসঙ্গী হ'ক আর নাই হ'ক, যেই হ'ক দেখে নিন, বুঝে নিন, নিরখ পরখ ক'রে নিন যে সঙ্গ করছেন তা জীবনীয় কিনা, নাকি মরণীয়! আমি সবাইকে যা বলি আপনাদেরও তাই বলছি, 'যেমন সঙ্গ তেমন ভাব, যেমন ভাব তেমন লাভ'! ভালো থাকবেন। জয়গুরু।-----------প্রবি।
যেমন সঙ্গ তেমন ভাব, যেমন ভাব তেমন লাভ!
প্রবি।
দাদা,
উঁকি দিয়ে শালা ব'লে পালাবে কোথায়!? শালাবাবুকে ধরবো ওই চার রাস্তার মোড়ের মাথায় প্রেমময়ের প্রেমের মায়ায়!!!!!!
 প্রবি।
কথায় আছে,
হাতি চলে বাজার মে কুত্তা ভোঁকে হাজার!
সাধুও কো দুর্ভাবন নেহি, যব ঘিরে সংসার!!

ঠিক তেমনি,
সৎসঙ্গ তেজ দওরে দুনিয়ামে দেখতে রহে লোগ লাখো ক্ররোর ইয়ার!
সৎসঙ্গীও কো চিন্তন নেহি যব বিরোধ মে খাড়া হো যায় বাজারী হাজার!-----প্রবি।
হঠাৎ বাংলার বুকে বাঙালির মুখে উঠলো জেগে ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের কুৎসা!
কেন!
কোন গোপন এজেন্ডা কাজ করছে এর পিছনে তা কি কেউ জানো!?

অন্যভাবে দেখা।

বাস্তব বড় কঠিন আর সেই কঠিন সময়কে পার হওয়া ততোধিক কঠিন!
যদি থাকে সাথে প্রিয়পরম হ'য়ে যায় চলা মসৃণ!!------প্রবি।

তাই লেখাটা সবার সুবিধার্থে আবার পোষ্ট করলাম।

Mim Akter
বাস্তব বড় কঠিন, তবুও মানুষকে মেনে নিতে হয়।
জীবন এত জটিল, তবুও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়।
ভালবাসা বড় কষ্টের, তবুও মানুষকে ভালবাসতে হয়।
পৃথিবী এত মায়ার, তবুও তাকে ছেড়ে যেতে হয়।
 মৃত্যু এত যন্ত্রনার, তবুও তাকে বরণ করতে হয়।
....কেন????........ আসলে  মানুষ পরিস্থীতির দাস!!!!!!

বা:! চমৎকার!!!!!!!!!!

তবে একটু অন্যভাবে ভেবে দেখা যেতে পারে। তাই আপনার লেখাটা Share করে আমার ব্লগে অন্যভাবে ভেবে দেখা আমার ভাবনাটা Post করলাম। লেখাটা বড় ও বিশ্লেষণমুখী। তাই লেখাটা এখানে Post করলাম। ভাল লেখা অন্য লেখার জন্ম দেয়। আপনার লেখাটাও তাই। আমাকে একটু গভীরে বিস্তারিত লেখার জন্য উৎসাহিত করে তুলল। ভাবের গভীরে নিয়ে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

আমি বলি কি যা সত্য তাই সুন্দর আর যা সুন্দর তাই জীবন। আর সুন্দর জীবনে নেই কোনও কঠিন, জটিল, কষ্ট, মায়া আর যন্ত্রণার কোনও চিহ্ন। শুধু সেই জীবনে আছে সত্যের উপস্থিতির চিহ্ন। আর সত্য যেখানে সেখানেই সুন্দর, সেখানেই আনন্দের ধারা বহমান। আর সত্য মানেই ঈশ্বর। যাহা সত্য, তাহাই ঈশ্বর আর যাহা ঈশ্বর তাহাই সত্য। তাই ঈশ্বরই সত্য বাকি সব মিথ্যা। আর যখন ঈশ্বরকে মানি তখন আমার চারপাশের সব আমার কাছে সত্য হয়ে ওঠে। আর ঈশ্বরকে যখন মানি না আমার চারপাশের সব তখন আমার সামনে মিথ্যা হয়ে ওঠে। তখন ওই মিথ্যার মধ্যে দিয়ে আমার সামনে এসে আত্মপ্রকাশ করে কঠিন, জটিল, কষ্ট, মায়া আর যন্ত্রণার বিভীষিকা। ঐগুলি সব ভ্রম, ভূত, প্রেত ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাই সত্যকে না মানার মানেই হ'ল সে সুন্দর থেকে বঞ্চিত এক মানুষ; যে মানুষ হয়েও বেহুঁশ।  আর বেহুঁশের তো কোনও বোধ নেই। অসাড়, অবশ, অনুভূতিহীন, বোধশক্তিহীন। তাহ'লে কোথায় তার কাছে কঠিন, জটিল, কষ্ট, মায়া আর যন্ত্রণার উপস্থিতি? সে তো রক্ত মাংসের এক রোবট বই আর কিছই নয়! আর রোবটের কাছে কিসের কঠিন আর কিসের সহজ, কিসের জটিল আর কিসের সরল, কিসের কষ্ট আর কিসের আনন্দ, কিসের মায়া আর কিসেরই বা যন্ত্রণা? সব তো একাকার! রোবটের জীবনে আলাদা আলাদা কোনও উপস্থিতি তো নেই এসবের। তাই বলি, আমি পরিস্থিতির দাস হ'তে যাবো কেন? আমি কি কারও রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা চালিত? আমাকে এই বিশ্বব্রম্মান্ডের সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কে আছে যে আমাকে পরিস্থিতির দাস বানাবে? আমি আমার বা আমার চারপাশের পরিস্থিতিকে আমার দাস বানাবো। তবেই না আমার এই জীবনের সার্থকতা। তবেই না আমার বেঁচে থাকা। তবেই না আমি বুক ফাটো ফাটো করে মাথা উঁচু করে দিগন্ত কাঁপিয়ে স্বর্গ, মর্ত, পাতালকে জানান দিতে পারবো,

'শোনো কে কোথায় আছো তমসার পার অচ্ছেদ্য বর্ণ মহান পুরুষ ইষ্টপ্রতিকে আবির্ভূত হ'য়ে বলছেন, ওঠো, জাগো ভুলে যেও না তুমি মানুষ, মানুষ,মানুষ’।

আর আমি মানুষ বলেই আমি সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা, মায়া, কঠিন আর জটিলতাকে দূরে সরিয়ে তাঁর আলোর পানে ছুটে যাবো। তাঁর আলোর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে রেখে পিছন ফিরে ছায়ার দিকে চেয়ে বলবো না অন্ধকার, অন্ধকার। তাঁর হাসি, আনন্দে মাখা সহজ সরল ঝলমলে মুখ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে কষ্ট, যন্ত্রণার দিকে চেয়ে ডেকে বলবো না আমার চোখে মুখে তোমার প্রলেপ এঁকে দাও, এঁকে দাও মনের আঙিনায় কঠিন আর জটিলতার আলপনা। এর পরেও যদি তাঁর সংস্পর্শে 'ওইসব' আসে আসুক, তাঁর দেওয়া বা না দেওয়া 'ওইসব' মাঝে আছে প্রিয়তমের মঙ্গলইচ্ছা।    

তবে পরিস্থিতিকে আমার দাস বানাতে গেলে আমাকে প্রথমে তাঁর দাস হতে হবে। তা ব্যতীত আমি মালিক, আমি প্রভু এই মানসিকতায় যদি পরিস্থিতিকে দাস বানাতে যাই তাহ’লে সমাজের বুকে আমি রাবণ, কংস, দুর্যোধন ইত্যাদির মত ভয়ংকর চরিত্র হ’য়ে উঠবো। আর তার ফলে ঐ সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা, মায়া, কাঠিন্য আর জটিলতা আমার জীবনকে রাহু, কেতুর মত গ্রাস করে ফেলবে।

আর যদি তাঁর দাস হয়ে পরিবেশ, পরিস্থিতিকে আমার অনুকূলে আনতে চাই তাহ’লে সেই পরিবেশ, পরিস্থিতি আমার চাওয়ার আগেই আমার করায়ত্ত হবে অনায়াস স্বাচ্ছন্দ্যে। তাই তো বলি,

কোথায় দুঃখ, কোথায় কষ্ট, কোথায় আমার যন্ত্রণা?        
জীবন মাঝে কোথায় কঠিন, কোথায় জটিল? আর
মায়া মমতার উন্মাদনা? জীবন আমার উদাস বাউল
উদার আমার জীবন আকাশ, জীবন আমার রামধনু
জীবন আমার মলয় বাতাস। জীবন মাঝে রপোলি চমক
মেঘমল্লারের বন্দনা! ঝরঝর সেই বরষণ বয়ে চলে
খরশান অবিরত প্রাণে প্রাণে নেই তার কোনও সীমানা!
পরম সত্তার তরে জীবন আমার উদার আকুল উন্মনা
জীবন জুড়ে আছে ভরে শুধু পরমেশ প্রভুর মন্ত্রণা!
জীবন জুড়ে শুধুই আলো, শুধুই জ্যোতির বিচ্ছুরণ
জ্যোতির মাঝে হারায় ‘আমি’ সত্তা খোঁজে জীবনস্বামী
জীবন জুড়ে শুধুই সাড়া পরম সত্তায় উত্তরণ!

আর তুমি,
জীবন খুঁজে মরছো কোথায়? কোথায় ফেলেছো নোঙ্গর তুমি?
দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণা, শোক, তাপ, ব্যথা-বেদনা
শব্দেরা সব মিলেমিশে মারে তোমায় সেথায় পিষে;
‘কঠিন’ ‘জটিল’ সব শব্দ ঘিরে নরক করেছে ধীরেধীরে
তোমার জীবন ভুমি। আবাদ তাই হ’ল না বন্ধু
বহু ফসলী তোমার জমি!

এখন তুমি......
জীবন যদি চাও পেতে রাখো হাত আমার হাতে
ঐখানেতে যাবো নিয়ে আলোয় ভুবন ভাসিয়ে দিয়ে
তমসার ওপার হ'তে যেথায় হাসিমুখে দাঁড়ায় এসে
জীবনস্বামী, বরাভয় দিয়ে দু’হাত তুলে বলছে হেসেঃ
আয়, বুকে আয়, আয়রে তোরা, করি ত্বরা
কোমর বেঁধে ছুট্টে সবাই, হেত্থায় জীবন খুঁজে পাবি।।

উপলব্ধিঃ কাল কুঠুরি!

একটা নতুন চালাকির আশ্রয় নিয়েছে ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধীরা! যদিও এসব বহু পুরোনো চালাকি। এরা দু'ভাগে বিভক্ত হ'য়ে নেবে পড়েছে ময়দানে ঠাকুর ও সৎসঙ্গকে কলঙ্কিত করার জন্য। আর বেছে নিয়েছে ফেসবুকের মত স্ট্রং মিডিয়াকে। ফেসবুক আজ এদের জন্য তার গৌরব হারাতে বসেছে। সময়মত যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সচেতন ও সাবধান না হয়, প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে যদি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহ'লে হয়তো একদিন ফেসবুক তার গুরুত্ব হারিয়ে একেবারে বিলীন হ'য়ে যাবে, অন্য কেউ এসে তার জায়গা দখল ক'রে নেবে।

যাই হ'ক যেটা বলছিলাম সেই কথায় আসি।

এই দলের সদস্যরা প্রথমে দু'ভাগে বিভক্ত হ'য়ে যায়। একভাগ শিং ভেঙে বাছুরের দলে ভিড়ে যাবার মত সৎসঙ্গী সেজে সৎসঙ্গের পতাকার তলায় চলে আসে। তারপর ভক্ত সেজে, সৎসঙ্গীর রূপ ধ'রে অপেক্ষা করে অন্য আর একটা দলের ঠাকুর ও সৎসঙ্গ সম্পর্কিত বিরোধী কমেন্টের জন্যে। আর এগুলি হয় প্ল্যান মাফিক পূর্ব নির্ধারিত ছকে। যখনই এই দলের দ্বিতীয় গ্রূপের সদস্যরা প্ল্যান মাফিক ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধী কথা ব'লে, বিতর্কিত মন্তব্য পোষ্ট করে তখনই ঐ সৎসঙ্গী সেজে অপেক্ষা করে থাকা প্রথম গ্রূপের সদস্যরা বিরাট উগ্র ঠাকুর ভক্ত সেজে হৈ হৈ ক'রে হা রে রে রে ক'রে তেড়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে নোংরা গালাগালির অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, খুলে বসে নিত্যনতুন গালাগালির অভিধান! এরা বিভিন্ন সৎসঙ্গ কেন্দ্র, মন্দিরে আশ্রয় নেয় কায়েমী স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে। আর তখনই ঐ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করার জন্য গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, ঘৃণ্য সমালোচনার অস্ত্রশস্ত্রে শান দিতে থাকা দ্বিতীয় গ্রূপের সদস্যরা ঠাকুরের উপর ও সৎসঙ্গের উপর ভয়ঙ্কর ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রত্যাশীতভাবেই। এদের প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় দলের মুখের বা কলমের ভাষা দেখবেন একই রকম!!!! কখনও কোনোদিনই কোনও 'সৎসঙ্গী' এরকম হবে না! আর এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ে কিছু একেবারে ভাঙাচোরা সাধারণ সৎসঙ্গী যারা শুধুমাত্র দীক্ষা নিয়েছে না ক'রে কিছু পাবার আশায় তারা জড়িয়ে পড়ে নিজেদের অজান্তে! অবশ্য এর মধ্যে আরও একদল আছে যারা ঠাকুর পরিবার বিরোধী সৎসঙ্গী ব'লে বিখ্যাত বা কুখ্যাত। যাদের জন্য আজ ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধীদের এত সাহস, এত ঔদ্ধত্ব! যদিও এদের শেষের সেদিন ভয়ংকর!!!!! আর এই নোংরা খেলার কারিগর যারা আশ্চর্যের ও দুঃখের বিষয় তারা সব বাঙালি!!!!!! এদের উদ্দেশ্য কোনোদিনই সফল হবে না বরং এদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে সগর রাজার বংশধরদের মতো! সগর রাজার বংশে ভগীরতের আবির্ভাব হ'লেও এদের বংশে কোনোদিনই ভগীরত আসবে না আর এরা বংশপরম্পরায় কোনোদিনই উদ্ধার পাবে না! শয়তান কিলবিসের কাল কুঠুরিতে এদের হবে আশ্রয়!!!!!
তাই সৎসঙ্গী ভাইয়েরা আমার সত্যানুসরণ গ্রন্থে বলা ঠাকুরের কথাটা স্মরণ করিয়ে দিই একবার যাতে আমরা সাবধান হ'য়ে যায়।

ঠাকুর বললেন, "স্কুলে গেলেই তাকে ছাত্র বলে না, আর মন্ত্র নিলেই তাকে শিষ্য বলে না, হৃদয়টি শিক্ষক বা গুরুর আদেশ পালনের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখতে হয়। অন্তরে স্থির বিশ্বাস চাই, তিনি যা'ই ব'লে দেবেন তাই করতে হবে বিনা আপত্তিতে, বিনা ওজরে বরং পরম আনন্দে।"

আসুন আমরা ঠাকুর যেমন চেয়েছিলেন তেমন প্রকৃত সৎসঙ্গী হ'য়ে উঠি।

জয়গুরু।
গুরুভাইবোনেদের প্রতি,
সবাইকে জানাই জয়গুরু। সাধারণ ও অদীক্ষিত মানুষ আজ অন্ধকারে! আসুন তাদের ও দীক্ষিত গুরুভাইবোনেদের সচেতন ও সতর্ক করার সময় এসেছে। সৎসঙ্গ বিরোধীদের ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে নিরন্তর অন্তহীন অসত্যকে পরিকল্পিতভাবে তুলে ধরার যে ঘৃণ্য নরক তুল্য মানসিকতা এবং নোংরা অশ্লীল অসভ্য জংলী ভাষা প্রয়োগ ও ছবি প্রচারের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ (আমার লেখা বিভিন্ন আর্টিকেল/প্রবি) শেয়ার ক'রে দীক্ষিত-অদীক্ষিত আম বাঙালির কাছে বিরোধীদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও অবস্থান পৌঁছে দিই, যেন কোনরকম তর্ক ঝগড়ায়, অশ্লীল বাক্য প্রয়োগে আমরা জড়িয়ে না পড়ি। জয়গুরু।

Thursday, September 5, 2019

কোনও প্রলোভনে যেন তোমায় না ভুলে যায় প্রভু তা সে স্বর্গলাভ হ'ক না কেন! তোমার কাজে কোনও ঐশ্বর্য কখনও বাধা হ'য়ে না দাঁড়ায় যেন! প্রবি।

আমি আর তুমি!


কোথায় দুঃখ, কোথায় কষ্ট, কোথায় আমার যন্ত্রণা?        
জীবন মাঝে কোথায় কঠিন, কোথায় জটিল? আর
মায়া মমতার উন্মাদনা? জীবন আমার উদাস বাউল
উদার আমার জীবন আকাশ, জীবন আমার রামধনু
জীবন আমার মলয় বাতাস। জীবন মাঝে রপোলি চমক
মেঘমল্লারের বন্দনা! ঝরঝর সেই বরষণ বয়ে চলে
খরশান অবিরত প্রাণে প্রাণে নেই তার কোনও সীমানা!
পরম সত্তার তরে জীবন আমার উদার আকুল উন্মনা
জীবন জুড়ে আছে ভরে শুধু পরমেশ প্রভুর মন্ত্রণা!
জীবন জুড়ে শুধুই আলো, শুধুই জ্যোতির বিচ্ছুরণ!
জ্যোতির মাঝে হারায় ‘আমি’, সত্তা খোঁজে জীবনস্বামী!
জীবন জুড়ে শুধুই সাড়া পরম সত্তায় উত্তরণ!

আর তুমি,
জীবন খুঁজে মরছো কোথায়? কোথায় ফেলেছো নোঙ্গর তুমি?
দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণা, শোক, তাপ, ব্যথা-বেদনা
শব্দেরা সব মিলেমিশে মারে তোমায় সেথায় পিষে;
‘কঠিন’ ‘জটিল’ সব শব্দ ঘিরে নরক করেছে ধীরেধীরে
তোমার জীবন ভুমি। আবাদ তাই হ’ল না বন্ধু
বহু ফসলী তোমার জমি!

এখন তুমি......
জীবন যদি চাও পেতে রাখো হাত আমার হাতে
ঐখানেতে যাবো নিয়ে আলোয় ভুবন ভাসিয়ে দিয়ে
তমসার ওপার হ'তে যেথায় হাসিমুখে দাঁড়ায় এসে
জীবনস্বামী, বরাভয় দিয়ে দু’হাত তুলে বলছে হেসেঃ
আয়, বুকে আয়, আয়রে তোরা, করি ত্বরা
কোমর বেঁধে ছুট্টে সবাই, হেত্থায় জীবন খুঁজে পাবি।।
----------------------প্রবি।

প্রবন্ধঃ কালো যুগ! কালো অধ্যায়।

কি করবো, কি বলবো আমি জানি না!
শুধু এটুকু জানি পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত করার জন্য সমাজপতিরা সবাই সচেষ্ট! আর তাতে হাওয়া দিচ্ছে তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা বুদ্ধিজীবীরা! ইস্টবিহীন নেতৃত্ব জ্বালছে আগুন আর সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে অহং সর্বস্ব অল্পজ্ঞানী ইষ্টহারা ছন্নছাড়া বুদ্ধিবেচে খাওয়া সমাজের তথাকথিত সবজান্তা অহংকারী কিছু মনুষ্যকৃতি অদ্ভুত জীব! সব বিষয়েই তাদের অগাধ জ্ঞান, পান্ডিত্য! দ্বীপপাল থেকে পঙ্গপাল সবাই আজ দ্রষ্টাপুরুষ! সাধারণ মানুষকে এরা মানুষ ব'লে -------- দিয়ে পোঁছে না! এরা কোনোদিনই সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবেনি, ভেবেছে নিজেদের আখের গোছাবার লড়াইয়ের ময়দানে বোড়ে হিসেবে। সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, অভাব-দারিদ্রতাকে পুঁজি ক'রে, ভয়-দুর্বলতাকে হাতিয়ার ক'রে, অশিক্ষা-কুশিক্ষাকে মূলধন ক'রে এরা কি শিক্ষা, কি রাজনীতি, কি ধর্ম সমাজের সর্বস্তরে রক্তবীজ-এর ঝাড়ের মত ছড়িয়ে পড়েছে, বেড়ে উঠেছে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-নগরে, পাহাড়ে-পর্বতে, বনে-বনান্তরে! এদের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে আকাশ-বাতাস কলুষিত। অনুন্নয়ন এদের সম্পদ! শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আধ্যাত্মিক কোনও উন্নয়নই যেন এইসমস্ত সীমাহীন ভাঙাচোরা আত্মমর্যাদাহীন ভীরু দূর্বল কুসংস্কারাচ্ছন্ন অশিক্ষিত লেখাপড়া না জানাওয়ালা মানুষগুলোর না হয় তার জন্যে এইসমস্ত সমাজ কো বদল ডালোর পুরোহিতরা সচেষ্ট! এর জন্যে এরা হাতিয়ার করে শিক্ষাকে, রাজনীতিকে, ধর্মকে, বিজ্ঞানকে, খেলাধুলা ইত্যাদিকে! হাতিয়ার করে বেকার সমস্যার মত ভয়াবহ ব্যাধিকে! এরা চায় দেশে বেকার সমস্যা থাকুক! এরা চায় দেশের যুব সমাজ মূর্খ থাকুক! এরা চায় এই শিশু, কিশোর, যুবক যুবতীরা যেন চিরজীবন মানসিকভাবে অন্ধ থাকে! আত্মিকভাবে পঙ্গু থাকে! শারীরিকভাবে তাহা'লে কোনোদিনই মাথা উঁচু ক'রে দাঁড়াতে পারবে না! যৌবনেই বিকেলের ফুল হ'য়ে ঝরে পড়ে তার সব রকম ব্যবস্থা ক'রে দাও! কোনোদিনই যেন এরা জীবনে প্রকৃত বাঁচা ও বাড়ার পথের সন্ধান না পায়! এদের সমাজ কো বদল ডালোর মিথ্যে নেশায় বুঁদ ক'রে দিয়ে জীবন ধ্বংসের পথে ঠেলে দাও! দেশের মহাত্মাদের বিরুদ্ধে এদের মনে ঘৃণার বীজ পুঁতে দাও! যাতে এরা বুঝতে না পারে মহাত্মা আর দুরাত্মার মধ্যে ফারাক! দুরাত্মাদের জয়ঢাক বাজাও সে যে দলেরই সম্পদ হ'ক না কেন যাতে তাদের নামে রাস্তার নাম, ইস্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইত্যাদি যাই হ'ক না কেন সেই দুরাত্মাদের স্মৃতি এদের ও পরবর্তী প্রজন্মের মনে এমনভাবে গেঁথে যায় যে এরা সৎ-অসৎ আলাদা করার ক্ষমতায় হারিয়ে ফেলবে বংশপরম্পরায় জন্মগতভাবে! ডালচাল-এর খিচুড়ির মতন মহাত্মা আর দুরাত্মার খিচুড়ি পাকিয়ে দাও এদের ও আগামী প্রজন্মের কাছে! এরা মহাত্মাকে করবে কানে গরম তরল সীসা ঢেলে দেবার মত অশ্লীল গালাগালি দুরাত্মাকে মাথায় নিয়ে করবে নাচানাচি! আর পরমাত্মার জীবন্ত রূপকে নিয়ে করবে খিল্লি, খিস্তি খেউর!

তাই হে ইষ্টটান বিহীন শিক্ষক! তুমি ছাত্রকে শিক্ষা দাও! হে ইষ্টহীন নেতা! সমাজকে পথ দেখাও, দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব দাও! হে অধর্মের পূজারী! ধর্মগুরু সেজে ভুল ধর্মকথা শোনাও, বিজ্ঞানকে হাতিয়ার ক'রে ধর্মের নামে ঈশ্বরের ভেলকি দেখাও! রাম, কৃষ্ণ, যুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় নররূপী ঈশ্বর পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্ররূপী জীবন্ত ঈশ্বরকে ঈশ্বরের সিংহাসন থেকে ফেলে দিয়ে ঈশ্বর বিশ্বাসী, ধর্ম বিশ্বাসী কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভীরু, দূর্বল, অজ্ঞানী, আর্ত মানুষের কাছে নিজেকে ঈশ্বর সাজিয়ে ঈশ্বরের সিংহাসনে বসে যাও যে যেখানে আছো যত ধর্মগুরু! হে ক্রীড়াবিদ! খিলাডি সেজে খেলাধুলার নামে হিংস্রতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতাকে মানুষের মধ্যে জাগিয়ে দিয়ে আদিম অসভ্য যুগকে ফিরিয়ে আনো! তবেই না মানব তুমি সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি!!

হে ভারত! তোমার জ্ঞান, তোমার প্রজ্ঞা, তোমার সভ্যতা, তোমার ইতিহাস, তোমার গরিমা সব সব উজাড় ক'রে দাও সৃষ্টিকে ধ্বংস করার মহান যজ্ঞে! তাড়াতাড়ি শেষ হ'ক এই কালো যুগ, কালো অধ্যায়!!!!!

কবিতাঃ মহাজীবন!

হে যৌবন! পাগলা ঘোড়ায় বসেছো চেপে ছুটে চলেছো দিগন্ত পার!
দিগন্ত শেষে পৌঁছে দেখ দিগন্ত গিয়েছে সরে বহুদূরে আবার!
এমনিভাবেই বেলা গেল দিগন্ত দিল না ধরা!
জীবন মাঝে শুধুই আঁধার, শুধুই ধু ধু খরা!!
হে যৌবন! পাগলা ঘোড়ায় বসো চেপে কিন্তু
নিজেই জানো না যৌবন ঘোড়া তোর পাগলা!
বেলা শেষে জীবন সুরজি যখন গেল পাটে
ঘনায় চোখে ঘোর অন্ধকার শুরু হাহাকারের পালা!
যৌবন কারো চিরদিন নয় অল্প কদিনের জন্যে জেনো
বার্ধ্যক ঘাড়ে ফেলছে নিঃশ্বাস ছায়া হবে কিন্তু দীর্ঘতর!
সেদিন কিন্ত ঘোড়া ছুটবে না আর ক্লান্ত বিধ্বস্ত হবে শরীর
হামাগুড়ি দেবে তুমি যৌবন হেকমতি দেখিয়েছিল যে হিমালয় বীর!
জীবন মাঝে জীবন খুঁজে চেয়েছিলে পেতে যৌবনের হাত ধরে
জীবন রূপে মরণ এসে দিল ধরা জীবন সেথায় মাথা খুঁড়ে মরে।
মাতাল জীবন, মাতাল যৌবন, মাতাল তোমার রিপু ছয়!
ছয়ের ফাঁদে বেহাল তুমি বৃত্তি নেশায় জীবন ক্ষয়।
বৃত্তির টানে ছিন্ন তুমি ভিন্ন তোমার সত্তা!
বৃত্তি টানে ক্ষতবিক্ষত তুমি বৃত্তি নেশায় ভর্তা।
জীবন মাঝে যৌবন সত্যি তুমি জীবন খুঁজে পেয়েছো কি!?
হতাশার দীর্ঘশ্বাসে ভারী হ'য়ে আসে তোমার জীবন আকাশ
কি নিয়ে কাটাবে বাকি জীবনের শেষের দিনগুলি!?
এখনও তোমায় বলছি যৌবন আমার কথা শোনো
জীবন মাঝে পাবে খুঁজে সাত রঙা রঙ আমার কথা যদি মানো!
জীবন খুঁজে পাবে তুমি যৌবন আমার সাথে যদি আসো
মহাজীবন ডাকছে তোমায় তোমার জীবন মাঝে তাঁকে রাখো।
জীবন খুঁজে পাবে তুমি নিশ্চয় ক'রে বলছি আমি ঐ জীবন মাঝে!
বেসামাল জীবন তোমার সামলে যাবে, সামলে যাবে জীবন সাঁঝে!
--------------------প্রবি।

কবিতাঃ স্বর্গ বরণ!


জীবন খুঁজে পেয়েছো নাকি বন্ধু!?
চলছো ঠাটেবাটে হাঁকডাক দিয়ে এঁকেবেঁকে!
কোথায় চলেছো বন্ধু!? দেশকে করতে উদ্ধার?
নিজেকে নিয়ে এত ব্যস্ত!?
সময় পাও না পিছন ফিরে তাকাবার?
কিসের পানে চলেছো ছুটে, কিসের টানে হ'য়ে মুটে?
মুটের জীবন কি খুবই সুখের? মোট ব'য়ে বেড়াও ঘুরে?
জীবনকে দিচ্ছ বেজায় ফাঁকি, রাখছো না কিছু আর বাকি!
রিপুর হাড়মজ্জা খাচ্ছো চুষে জীবন থালায় ঠুকে ঠুকে
জোয়ান বুড়ো তামাম ছুঁড়ো আর জীবন যাচ্ছে বেঁকে ঝুঁকে!
একেই কি বলে জীবন!? সকাল সন্ধ্যে দুপুর বিকেল
হাতে নিয়ে বৃত্তি-প্রবৃত্তির রাইফেল লম্প দিয়ে ঝম্প মেরে
ছোটাও গুলি, মুখে মারিতং জগৎ বুলি! দেশ ও মানুষের কি হ'লো উদ্ধার!?
আয়নায় নিজেকে দেখো আর শোনো বিবেকের বাণী সারাৎসার!
বিশৃঙ্খল জীবনের অধিকারী তুমি! বৃত্তি দ্বারা চালিত!
রিপুর টানে দিশেহারা তুমি দেশকে দেখাও দিশা, হ'য়ে রিপু তাড়িত!?
জীবন জুড়ে তোমার ভুলভুলাইয়ার ভুলের ঝুলে ঝুলঝুলাইয়ার কালো ঝুল!
জীবন তোমার ক্ষতবিক্ষত তবুও ঝুল ঝেড়ে শুধরে নিচ্ছো না ভুল।
তাই বন্ধু তোমায় বলছি শোনো! জীবন নিয়ে ক'রো না হেলাফেলা।
দু'দিনের জন্য জীবন তোমার জীবন নিয়ে ক'রো না বন্ধু খেলা।
চলার পথে হাত ধ'রে কেউ বলবে না তোমায় কোথায় তোমার ভুল
ভুলের রাজা স্বয়ং তোমায় শেখাবে বাঁচা-বাড়ার রুল!?
আবার বলি বন্ধু তোমায়, যদি জীবন পেতে চাও-----
জীবননাথকে স্মরণ করো, বন্ধু জীবননাথকে করো গ্রহণ
জীবন খুঁজে পাবে সেথায়, আমি নিশ্চিত বলছি তোমায়
জীবননাথকে মাথায় নিয়ে জীবন ও সংসার মাঝে স্বর্গকে ক'রে নাও বরণ।
-----------প্রবি।

কবিতাঃ ঠাকুর আর তুমি!

ঠাকুর তুমি ভালোবাসো!?
তো ভালোতে কেন করো না বাস!?
তা ভালোতে বাস করার আগে ভালো কি তা জানার দরকার!
ঠাকুর তুমি ভালোবাসো!?
তা ঠাকুর কি কি নিয়ে ঠাকুর তা তুমি কি জানো?
তা জানতে হ'লে ঠাকুরের ঠাকুরত্বকে আগে
তোমার বোধের মধ্যে আনো!
ঠাকুরকে তুমি ভালোবাসো!?
তা ঠাকুর কি ভালোবাসেন তা আছে কি তোমার জানা!?
জানা থাকলে আর তা পালন করলে পরে
অন্ধকারে নেই যেতে আর কারো মানা!
ঠাকুরকে তুমি বাসো ভালো!?
তা ঠাকুর কি ভালোবাসেন না তা কি তুমি জানো!?
থাকলে তোমার জানা তা চরিত্রে তুলে আনো!
ঠাকুর তোমার প্রাণ!?
তা ঠাকুরের কষ্টে তোমার প্রাণ করে কি আনচান!?
যদি করে আনচান তবে কবুল করো ঠাকুর তোমার জান!
ঠাকুর তোমার আদর্শ!?
তা ঠাকুরের মিশন আছে কি তোমার জানা!?
যদি থাকে জানা তবে হ'য়ে আদর্শে সমর্পিত প্রাণ
লক্ষ্যে অবিচল থাকো!
ঠাকুর তোমার চলার সাথী!?
তা সাথীকে তুমি চেনো?
চিনতে গেলে জানতে হবে, জানতে গেলে মানতে হবে!
জানা-মানার পথ ধ'রে হাঁটলে পরে সাথীকে তুমি কাছে পাবে!
ঠাকুর তোমার বন্ধু!?
তা তুমি ঠাকুরের বন্ধু কি!
বন্ধুকে না ভালো বাসলে পরে বন্ধু তোমার জন্যে করবে কি?
ঠাকুর তোমার বন্ধু!
তা ঠাকুর তোমার কাছে কি চান?
যারা দিবারাত্র ঠাকুরকে করছে গালি, করছে কুৎসা,
খেলছে ঘৃণ্য খেলা ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের  নিয়ে মান-সম্মান!
তাদের উপর বন্দুক হ'য়ে গর্জে ওঠো, নিন্দুকের কেড়ে নাও প্রাণ!?
ঠাকুর কি তাই চান?
ঠাকুর তোমার স্বপ্ন!?
তা ঠাকুরের স্বপ্ন কি?
ঠাকুরের স্বপ্ন না থাকলে জানা তোমার ঠাকুর স্বপ্ন ভস্মে ঢালা ঘি!
তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে কি? ভেবে দেখো দেখি!
ঠাকুর তোমার নেশা!?
নেশার ঝোঁকে লম্প দিয়ে ঝম্প মেরে মানুষকে দেখাও দিশা!
তা ঠাকুরের নেশা কি ছিল তা তুমি জানো কি!?
তা না জানলে পরে ঠাকুর ধরায় ফাঁকি!

এমনিভাবেই বেলা গেল ঠাকুর ধরা হ'লো বৃথা!
জীবন খুঁজে পেলে না বন্ধু কোথাও, বুঝলে না ব্যথাহারির ব্যাথা!
ব্যাথা নিয়ে ঠাকুর ধরো পেতে পরিত্রাণ!
ঠাকুর ব্যথার ধার ধারও না নিতে লেলিহান!
নিজের ধান্ধায় ব্যস্ত থাকো ঠাকুরকে করো হাতিয়ার!
ঠাকুর তোমার বাপের চাকর কিছু না ক'রে হাতাও বারবার!
সৎসঙ্গে মারছো ঢুঁশ সৎসঙ্গী সেজে!
মাথা জুড়ে ধান্ধাবাজির ছক রেখেছো কষে!
তিন 'প'-এর ব্যবসা ফেঁদে বসেছো দারুণ কিন্তু ভাই!
শেষের সেদিন কিন্তু ভয়াল ভয়ঙ্কর মনে রেখো তাই!
জীবন খুঁজে যদি চাও গো পেতে বিবেকের কথা শোনো!
ধান্দাবাজিতে ভরা পিংপং মন পাশে সরিয়ে বিবেককে বন্ধু মানো।
নিজের ধান্দা সরিয়ে রেখে ঠাকুরকে সামনে রাখো
'জীবন' খুঁজে পাবেই তুমি, বলছি আমি-----
বৃত্তিভেদী টান নিয়ে ভাই ঠাকুর সাথে থাকো!
------------------প্রবি।

সত্যানুসরণ ও কিছু কথা


চিন্তা হরণ শ্যামলদা একটা লেখা পোষ্ট করেছিলেন। লেখাটার নীচে লেখা ছিল 'সত্যানুসরণ'। লেখাটা হ'লো, " কৃতঘ্ন ও বিশ্বাসঘাতক অনেকটা অনেক সময়েই নিজেই সর্বনাশে সাবাড় হয়।" লেখাটা চোখে পড়তেই মনে হ'লো এই লেখাটা তো সত্যানুসরণে নেই। তাহ'লে কোথায় পেলেন চিন্তা হরণ দা? কৌতুহলবশতঃ আমি চিন্তা হরণদাকে প্রশ্ন করলাম সেই পোষ্টে। দীক্ষিত-অদীক্ষিত তামাম পাঠককুলের জানার ও সুবিধার জন্য
আমার প্রশ্নটা এবং তার পরবর্তী চিন্তা হরণ শ্যামল দা ও নির্মল সেন দার মন্তব্য এবং আমার তাদের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণমূলক কথন এখানে তুলে দিলাম।

প্রকাশ বিশ্বাসঃ "এই কথাগুলি সত্যানুসরণ গ্রন্থের? কোথায় পেলেন? কত পাতায় যদি বলেন তাহ'লে একবার দেখে নিতে পারি। আপনি শিওর যে এই কথাগুলি সত্যানুসরণ গ্রন্থের? কোথাও ভুল হচ্ছে না-তো? কোথাও গন্ডগোল হচ্ছে না-তো? দেখুন সত্যানুসরণ গ্রন্থ সম্পর্কে যেন কোনও ভুল ধারণার জন্ম না হয় দীক্ষিত-অদীক্ষিত পাঠক মহলে। একটু দেখে নিন।"

চিন্তা হরণ শ্যামলঃ জয়গুরু দাদাভাই ---"সত্যানুসরণ"৭৭ পৃষ্টার -'এই কৃতঘ্নতা ও বিশ্বাসঘাতকতাকে যে বা যারা প্রশ্রয় ও পোষণপুষ্ট করে---------"আপনি এ লাইনের পর থেকে পড়ালে পরবর্তী লাইনে পেয়ে যাবেন ---'জয়গুরু আশা করি পড়বেন, পাবেন ---

নির্মল সেনঃ জ্ঞাতার্থে "অকৃতজ্ঞতা" ....কৃতঘ্ন ও বিশ্বাসঘাতকতা অনেকটা অনেক সময়েই নিজেই সর্বনাশে সাবাড় হয় ---- আর এই প্রশ্রয়ী ও পুষ্টিপ্রদাতারা ব্যষ্টিসমষ্টির ধর্ম ও জাতির চিরদিনই সর্বনাশ করে থাকে। (পৃঃ ৭৭) জয়গুরু।

নির্মল সেনঃ  যে হেতু বড় পন্ডিত তোমাকে প্রশ্ন করেছে? সেহেতু আমি উত্তর দিলাম! জয়গুরু

 চিন্তা হরণ শ্যামলঃ ঠিক দিয়েছেন, দাদা, আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি, জয়গুরু।

এই পর্যন্ত শেষে আমি ভেবেছিলাম এর কোনও উত্তর দেবো না।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে মনে হ'ল প্রায় সময় এই ধরণের ঠাকুরের নাম দিয়ে বাণী চোখে পড়ে। সবার মধ্যে না হ'লেও কিছু মানুষের মধ্যে যারা ঠাকুরের বই টই পড়ে, ঠাকুরের গ্রন্থ Study করে তাদের মধ্যে এই নিয়ে সংশয় তৈরী হয়। এই বাণীটা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে, সংশয় তৈরী হবে আর এদের উত্তরে চুপ ক'রে থাকলে পাঠকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে ও মানুষ বিভ্রান্ত হবে। তাই ভাবলাম এই নিয়ে একটু চর্চা করা যেতেই পারে। যাই হ'ক আমি তখন চিন্তা হরণ শ্যামল-দাকে যা লিখেছিলাম সেই লেখা নতুন-পুরাতন দীক্ষিত-অদীক্ষিত মানুষের সুবিধার্থে এইখানে তুলে দিলাম।

প্রকাশ বিশ্বাসঃ চিন্তা হরণ শ্যামলদা আপনার পোষ্টটা দেখে আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই একজন ঠাকুরের অনুগামী হিসাবে ঠাকুরের একজন অনুগামীর কাছে এই প্রশ্নটা রেখেছিলাম। প্রশ্নটা রেখেছিলাম এই কারণেই যে আপনার পোষ্টটা আমায় চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল আর ভেবেছিলাম যেহেতু আপনি নামে চিন্তা হরণ তাহ'লে নিশ্চয়ই আমার এই চিন্তা হরণ ক'রে আমাকে সংশয় থেকে মুক্তি দেবেন, আমাকে সবুজ ক'রে দেবেন। কিন্তু দেখলাম আপনি নির্মল সেনকে বাধাই দিয়েছেন, জানিয়েছেন বাহবা তার পোষ্টের জন্য এবং আপনি লিখেছেন আপনি খুব আনন্দিত হয়েছেন। অতএব ধ'রেই নিতে পারি আমার সম্পর্কে করা তার উক্তিতেও আপনি আনন্দ পেয়েছেন এবং তার ভাষা, ব্যবহার, কথা সবকিছুর গুণগ্রাহী। আর মানুষের কথা, ভাষা, ব্যবহার মানুষের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে। নির্মল সেনের ক্ষেত্রেও তাই। যাই হ'ক এটা আপনার ব্যক্তিগত বোধ ও রুচির ব্যাপার। সেখানে আমার কিছু বলার থাকতে পারে না।
আপনার কথামত আমি আমার উদ্দেশ্যে করা আপনার কমেন্ট পড়লাম। ভেবে দেখলাম আপনি কোন 'সত্যানুসরণ'-এর কথা বলছেন? ঠাকুরের 'সত্যানুসরণ' নামে কি অনেক গ্রন্থ আছে? অনেক প্রকাশক আছে? এখন দেখা যাক রহস্যটা কোথায়। তাহ'লে কি বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা নামার অঙ্কের (২ফুট উঠলে ৩ফুট নেবে যায়) মত 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের পৃষ্ঠা সংখ্যা ঠাকুর প্রদত্ত/অপ্রদত্ত বা ঠাকুর অনুমোদিত/অননুমোদিত বাণীর ভারের তারতম্যে মাঝে মাঝে ওঠা নামা করে!?
ক্রমশঃ।

প্রকাশ বিশ্বাসঃ  চিন্তা হরণ শ্যামলদা, এবার আসি ঠাকুরের 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ প্রসঙ্গে আলোচনায়। আপনার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভেবেছিলাম রহস্যের সমাধান হ'তে পারে কিন্তু যখন দেখলাম আপনি নির্মল সেনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের সমর্থক তখন ইচ্ছেটা মরে গেছিল। ভেবেছিলাম সবার সঙ্গে সব আলোচনা নয়। যাই হ'ক পড়ে ভাবলাম আমার আগের করা বক্তব্যের একটা মধুরেন পরিসমাপ্তির প্রয়োজন আর সেই প্রয়োজন বৃহত্তর স্বার্থে। তাই আবার লিখতে বসলাম বৃহত্তর পাঠককুলের জন্য।
যাই হ'ক, যে 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আমার কাছে আছে সেই গ্রন্থের পৃষ্ঠা সংখ্যা তো ৭১। ৭৭ নম্বর পৃষ্ঠা কোথায় পেলেন!? এর অর্থ আপনার কাছে যে 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আছে তার পৃষ্ঠা সংখ্যা আপনার কথানুযায়ী ৭৭পৃষ্ঠা তো আছেই তারও অধিক আছে। আচ্ছা আপনার কাছে যে 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আছে তার পৃষ্ঠা সংখ্যা কত? আপনার জ্ঞাতার্থে ও আলোচনার সুবিধার্থে এবং দীক্ষিত-অদীক্ষিত পাঠককুলদের সুবিধার্থে আরও একটা তথ্য এর সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছি আমার কাছে আরও একটা 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আছে যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ১১০। তাহ'লে দেখা যচ্ছে তথ্যানুযায়ী আপাতত 'সত্যানুসরণের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩। এর থেকে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে তাহ'লে আরও 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ থাকতেই পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থগুলির প্রকাশক কে বা কারা? যে কোনও ব্যাক্তি বা যে কোনও স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠান কি নিজের বা নিজেদের ইচ্ছামত ঠাকুরের নাম দিয়ে ঠাকুরের গ্রন্থ ছাপাতে পারে বা ছাপাবার অধিকার বা স্বত্বাধিকার আছে? এই সমস্ত গ্রন্থের Authenticity কোথায়? কোন গ্রন্থের মধ্যে ঠাকুরের বাণীর যথার্থতা অর্থাৎ Genuineness খুঁজে পাওয়া যাবে? সাধারণ আম ভক্তের কথা বাদ দিলাম; গবেষকরা কাকে প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসাবে গুরুত্ব বা স্বীকৃতি দেবে ব'লে আপনার মনে হয়? গবেষকদের কাছে কোন প্রকাশকের গ্রহণযোগ্যতা গুরুত্ব পাবে?
ক্রমশঃ।

প্রকাশ বিশ্বাসঃ চিন্তা হরণ শ্যামলদা, এবার আসি প্রকাশকের কথায়। আমার কাছে ৭১ পৃষ্ঠার যে 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আছে তার প্রকাশক ঠাকুরের মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ দেওঘর-এর 'সৎসঙ্গ পাবলিশিং হাউস' সৎসঙ্গ, দেওঘর, ঝাড়খন্ড আর আমার কাছে আরও যে বহু পুরানো একটা সত্যানুসরণ' গ্রন্থ আছে সেটার প্রকাশক অন্য। একজন ব্যাক্তি তার প্রকাশক। সেই ব্যাক্তি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল-এর শুভ্রা প্রেস থেকে বইটি মুদ্রণ করেন ও ১৯৭৮ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১১০ পাতার বইটি তিনি প্রকাশ করেন। এখন আমার খুব জানার ইচ্ছা, দাদা আপনার কাছে যে বইটি আছে সেই বইটির প্রকাশক ও মুদ্রক কে? কি তার প্রামাণিকতা ও যথার্থতা? কে সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যিনি বা যার ঠাকুরের গ্রন্থের ওপর এই বিধি সঙ্গত অধিকার আছে, কর্তৃত্ব করবার অনুমতি আছে, প্রামাণিক গ্রন্থ বা মতের ওপর প্রভুত্ব করার অধিকার আছে? কে এই বিধিসঙ্গত ক্ষমতাদান বা প্রাধিকার অর্পণ করলো সেই ব্যাক্তিকে বা সেই প্রতিষ্ঠানকে যে সে বা সেই প্রতিষ্ঠান ঠাকুরের গ্রন্থের ওপর ইচ্ছামত তার বা তাদের ব্যক্তিগত প্রভাব প্রয়োগ ক'রে ঠাকুরের গ্রন্থ প্রকাশ করবে? মূল কেন্দ্র বহির্ভূত ক্ষমতার উৎস এই সমস্ত প্রকাশকগণ কার থেকে সেই অধিকার বা অনুমতি লাভ করেছিল? Authentication বা প্রমাণীকরণ ছাড়া কোনও গ্রন্থের মূল্য গবেষকদের কাছে নেই এবং তাঁরা তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে গ্রহণ করেন না বা আদৌ মূল্য দেন না। যাই হ'ক আমি আমার তথ্য ও তত্ত্বের উপর ভিত্তি ক'রে আপনার সঙ্গে এই বিষয় শেয়ার করলাম। আপনি গ্রহণ ও বর্জন দুই-ই করতে পারেন আপনার ইচ্ছানুযায়ী; এই বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য বা আপত্তি নেই।
ক্রমশঃ।

প্রকাশ বিশ্বাসঃ চিন্তা হরণ শ্যামলদা, আপনি বা আপনারা যা ইচ্ছা তাই ভাবতে পারেন, বলতে পারেন, করতে পারেন এই স্বাধীনতা সকলের আছে এবং ঈশ্বর এই স্বাধীনতা সকলকেই দিয়েছেন। আর এই স্বাধীনতার প্রয়োগও দেখতে পাই আপনাদের করা পোষ্টে। আপনারা ঠাকুরের আত্মজদের বিরুদ্ধে কতটা নোংরা ভাষা প্রয়োগ করতে পারেন, নোংরা আচরণ করতে পারেন এবং পরস্পর পরস্পরকে সমর্থন ক'রে এই নোংরা কাজে ঝড় তুলবার আহ্বান দিতে পারেন তাও দেখছি। আর তাই ভাবি ঠাকুরের পরমপ্রিয় আত্মজদের যারা ছাড় দেয় না তো বাকীরা কোন ক্ষেত কা মূলী!? কিন্তু এটা জেনে রাখুন ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে 'কোন ক্ষেত কা মূলী' এই তকমা চলবে না। তাঁরা চাইবেন তাদের গবেষণার জন্য Authentication, চাইবেন Genuineness-এর ভিত, চাইবেন Authorized version of the 'Sathyanusaran' which is called 'The pursuit of Truth. সেখানে নির্মল সেনদের গালাগালি খাটবে না, খাটবে না মূল কেন্দ্র বহির্ভূত ক্ষমতার উৎস কপট চাতুরিদের প্রকাশনার!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

প্রকাশ বিশ্বাসঃ আর, Nirmal Senদের মত অসহিষ্ণু, অসভ্য, রুচিহীন মানুষদের উদ্দেশ্যে শুধু এই কথায় বলতে পারি উনার সঙ্গে আমার কোনও কথা বলার রুচি নেই। কারণ আমি Chinta Haran Shyamolদার পোষ্টের উপরে কিছু আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম, উনাকে (নির্মল সেন) বা উনার কোনও পোষ্ট বা বক্তব্য বিষয়ে কোনও মন্তব্য করিনি। অথচ উনি আমাকে (আমি উনার না পরিচিত, না ফেসবুক বন্ধু) অপমানজনক মন্তব্য ক'রে উনার শিক্ষা, রুচি ও জীবনের মান ও শৈলীর পরিচয় দিয়েছেন। তাই, আমি না উনি কে বড় পন্ডিত আর কে বড় লেন্ডিত সে আলোচনা বা তর্কে যেতে রুচিতে বাধলো। জানি না উনি বৈধ সৎসঙ্গী কিনা!!!!!!!!! তবে এটা বুঝেছি ঠাকুরের জীবন, ব্যবহার, বলা, কথা ও ঠাকুরের সৎসঙ্গের শিক্ষা, রুচি ইত্যাদির কোনও কিছুর সঙ্গেই উনার (আমাকে ও অন্যান্য জায়গায় করা মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে উনার যে জীবন দর্শনের বহির্প্রকাশ হয় তার সঙ্গে) সঙ্গে মেলে না শুধু নয়, ঠাকুরের মানুষের একেবারে বিপরীত।
শেষ।
শিক্ষক দিবস সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দায়িত্ব-ভরা কয়েকটা বাণী মনে এলো তাই লিখলাম।

* শিক্ষকের নাই ইষ্টে টান
  কে জাগাবে ছাত্র প্রাণ!?

*  দায়িত্ব ভরা যা'কিছু তা'র সবার সেরা শিক্ষকতা,
   ইষ্টনিষ্ঠ স্বভাব ছাড়া অধ্যাপনা বর্বরতা।

* সেবা-সম্পদ সহানুভূতি আপন-করে বুকের টান,
   শিক্ষক ব'লে তাকেই জানিস তিনিই বাস্তব বিদ্যাবান।

 * দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা ধরিস আচার্যকে ক'রে সার,
   আচরণই বোধ চয়ণে জ্ঞানের সাগর হও না পার।

* শেখাবার মত দায়িত্ব-ভরা ভর দুনিয়ায় কী কাজ আছে,
   শিক্ষক-স্বভাব বিচ্ছুরণে উপচে ওঠে ছাত্র মাঝে।

বাস্তবে আমরা কি দেখি!? বাস্তব কি তাই বলে?

   জয়গুরু

Thursday, May 2, 2019

কবিতাঃ আজও দিচ্ছে ডাক............

সকাল থেকে আসুরিক হিক্কার আসছে ভেসে ওপার থেকে
যেখান থেকে সকল-বিকাল, দুপুর-সন্ধ্যে আর রাত-বিরেতে
সময় ঘন্টা সাইরেন একদিন উঠতো বেজে!
আজ সে রাজাও নেই, রাজ্যও নেই, বেওসার সূয্যি মামা গ্যাছে পাটে!
কথাস্ত্রে যারা সেদিন হাতে কাটতো গলা কথায় কথায় শ্রমিক দরদে বুক ফাটিয়ে
শ্রমিকের, আজ একলা তারা ধুঁকছে দেখি হাটে বাটে,
কারও বা পরাণ গ্যাছে উঠে লাটে শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর 'য়ে ফুটে উঠে ললাটে
আর হাড় ভাঙা খাটুনিতে মরত যারা সকাল-সন্ধ্যে
শেডের গরম চুল্লিতে আর নেতার অনুগ্রহে;
সুরজি ডোবার সাথে সাথে তারাও গ্যাছে হারিয়ে কোথায় কেউ জানে না কোন গ্রহে!
কিন্তু আজও আসছে ভেসে আসুরিক হিক্কার 'মে দিবস দিচ্ছে ডাক'!
দিচ্ছে ধিক্কার 'পুঁজিপতি নিপাত যাক' গলা ফাটিয়ে
আর পথে পথে ঘুরে মরছে জীবন-যৌবন, ঘুরছে দিশা হারিয়ে!
হায়! মে দিবস! আজ রিপুর তাড়নায় সব অবশ! বৃত্তি-প্রবৃত্তির বেড়াজালে বিবশ!
তবুও আজও কম 'লেও 'মে দিবস জিন্দাবাদ' 'লে উঠছে ডাক দিকেদিকে
আর এইদিনেতেই চলছে কাজ, শ্রম হচ্ছে কেনা লাগামছাড়া সময়ে-অসময়ে রমরমিয়ে
আট ঘণ্টার মে দিবস আজ হাসির খোরাক, 'বকোয়াস' 'লে বেওসায়ীরা দিচ্ছে হাঁক!
দেশজুড়ে দেশি-বিদেশী বেওসায়ীরা দিচ্ছে নাড়া 'যা ইচ্ছে তাই করবো মোরা';
'মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভান্ডার' ঘোষণায় খুল্লমখুল্লা মাথা উঁচিয়ে বাজাচ্ছে ঢাক!!
তবুও মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বলি, মে দিবস জিন্দাবাদ!
ঘরে-বাইরে ধান্দাবাজ কপট নিপাত যাক।



Wednesday, May 1, 2019

কথাসারি


অকারণ কেন হতাশার ছবি শুধু আঁকো!?
পারো যদি হতাশার বুকে
জীবনের সাঁকো আঁকো।

ফাঁকা মন, ভাঙা হৃদয়;
কি করি? কারে সুদয়!

কেউ কি আছো? পারো দিতে সাড়া?
কেমনে বাঁচি? কারে নিয়ে বাঁচি?
কোথা তুমি? বাঁচা কি যায় তুমি ছাড়া!?

কথাসারি


ক্ষমতা দখলের আদর্শ রক্তের মধ্যে প্রবাহিত যেখানে
রাজনৈতিক মতাদর্শ 'লে হয় না কিছু সেখানে!

রাজনীতিতে আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা
খোঁজা শোভন নয়;
বৈশাখী ঝড়ে যায় সব উড়ে
পবনপুতও পায় ভয়!!

ভাঁড় মে যায় আদর্শ, ভাঁড় মে যায় দেশ!
খাও, পিও আউর মস্তি করো দোস্ত!!
চুরচুর হো যায় উহ জো করে আদর্শ মে
পরবেশ!!

কথাসারি




মাথার ঘায়ে কুকুর যেমন দিশেহারা
বৃত্তি-প্রবৃত্তির চুলকানিতে
মানুষ কাণ্ডজ্ঞান হারা!!

একে প্রচন্ড গরম! দুইয়ে মাইকের শব্দদূষণ!
তিনে বাজির কান ফাটানো আওয়াজ,
চারে চিৎকার চেঁচামেচি;
নেই লজ্জা, নেই শরম!!

শব্দদূষণের হাত থেকে বাঁচতে বাঁচাতে
আগামী নূতন আধুনিক নির্বাচনী
প্রচার পদ্ধতির প্রচলন 'ক।

সভ্যতার ভবিষ্যৎ ঝুলছে গভীর শূন্যতার উপর!
এখনও সময় আছে খসে পড়ার আগে
দেশের প্রধান যেই '
দেশ চায় এক ইমানদার কঠিন ব্যক্তিত্ব!