সকাল থেকে আসুরিক হিক্কার আসছে ভেসে ওপার থেকে
যেখান থেকে সকল-বিকাল, দুপুর-সন্ধ্যে আর রাত-বিরেতে
সময় ঘন্টা সাইরেন একদিন উঠতো বেজে!
আজ সে রাজাও নেই, রাজ্যও নেই, বেওসার সূয্যি মামা গ্যাছে পাটে!
কথাস্ত্রে যারা সেদিন হাতে কাটতো গলা কথায় কথায় শ্রমিক দরদে বুক ফাটিয়ে
শ্রমিকের, আজ একলা তারা ধুঁকছে দেখি হাটে বাটে,
কারও বা পরাণ গ্যাছে উঠে লাটে শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর হ'য়ে ফুটে উঠে ললাটে
আর হাড় ভাঙা খাটুনিতে মরত যারা সকাল-সন্ধ্যে
শেডের গরম চুল্লিতে আর নেতার অনুগ্রহে;
সুরজি ডোবার সাথে সাথে তারাও গ্যাছে হারিয়ে কোথায় কেউ জানে না কোন গ্রহে!
কিন্তু আজও আসছে ভেসে আসুরিক হিক্কার 'মে দিবস দিচ্ছে ডাক'!
দিচ্ছে ধিক্কার 'পুঁজিপতি নিপাত যাক' গলা ফাটিয়ে
আর পথে পথে ঘুরে মরছে জীবন-যৌবন, ঘুরছে দিশা হারিয়ে!
হায়! মে দিবস! আজ রিপুর তাড়নায় সব অবশ! বৃত্তি-প্রবৃত্তির বেড়াজালে বিবশ!
তবুও আজও কম হ'লেও 'মে দিবস জিন্দাবাদ' ব'লে উঠছে ডাক দিকেদিকে
আর এইদিনেতেই চলছে কাজ, শ্রম হচ্ছে কেনা লাগামছাড়া সময়ে-অসময়ে রমরমিয়ে
আট ঘণ্টার মে দিবস আজ হাসির খোরাক, 'বকোয়াস' ব'লে বেওসায়ীরা দিচ্ছে হাঁক!
দেশজুড়ে দেশি-বিদেশী বেওসায়ীরা দিচ্ছে নাড়া 'যা ইচ্ছে তাই করবো মোরা';
'মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভান্ডার' ঘোষণায় খুল্লমখুল্লা মাথা উঁচিয়ে বাজাচ্ছে ঢাক!!
তবুও মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে বলি, মে দিবস জিন্দাবাদ!
ঘরে-বাইরে ধান্দাবাজ কপট নিপাত যাক।
No comments:
Post a Comment