Powered By Blogger

Wednesday, June 3, 2015

তিয়াসাকে খোলা চিঠি..................(৭)



রাজনীতিবিদ আর দেশপ্রেমিকদের মধ্যে তফাৎ কোনখানে তিয়াসা? আপনার কথায় নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিবিদ আর নেতাজী ও দেশবন্ধু দেশপ্রেমিক। তার মানে রাজনীতিবিদ-দের দেশপ্রেম আর দেশপ্রেমিকদের রাজনীতির প্রতি প্রেম থাকে না বা থাকতে নেই! দেশকে স্বাধীন করার জন্য নেতাজী, দেশবন্ধু, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী ইত্যাদি ইনারা দেশপ্রেমিক বলে কি রাজনীতি করেননি? আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা রাজনীতির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসে দেশশাসন করেছেন তাহলে আপনার কথায় তাদের কারোর মধ্যে দেশপ্রেম ছিল না। যত দোষ
নন্দ ঘোষের মত অবস্থা নরেন্দ্র মোদীর!

বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্মকে হিন্দুত্ববাদের স্বার্থে আমরা ব্যবহার করেছি বলতে কি বোঝাতে চাইলেন ঠিক বুঝলাম না। নরেন্দ্র মোদীর কোন পদক্ষেপ নিয়ে যদি বিশ্লেষন মূলক আলোচনা করি তাহলে আলোচক বা লেখক নরেন্দ্র মোদীর দলের লোক য়ে যায়? এইভাবে কাউকে চিহ্নিতকরণেরও একটা ঘৃণ্য ইতিহাস আছে যার Tradition য়ে নিয়ে যাবার নিম্ন মানসিকতা বা দায়িত্ব কেউ কেউ নিজের অজান্তেই বয়ে নিয়ে চলেছে। বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্ম আর হিন্দুত্ববাদ
কি আলাদা না-কি?

হিন্দুত্ববাদ এত ঠুনকো বাদ যে বিবেকানন্দকে ব্যবহার না করলে হিন্দুত্ববাদের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই!? বিবেকেনন্দের পরিচয়ে হিন্দুত্ববাদের পরিচয়!? বিবেকানন্দের প্রতি সমাজতন্ত্রীদের এত প্রেম? অথচ সেই বিবেকানন্দ যার স্পর্শে পিতৃদত্ত নাম নরেন্দ্রনাথ থেকে বিবেকের আনন্দ উপলব্ধির মাধ্যমে বিবেকানন্দে উত্তীর্ণ হলেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হলেন সেই মানুষটির প্রতি সমাজতন্ত্রীদের, সাম্যবাদীদের প্রেম তো দূরের কথা সামান্যতম শ্রদ্ধাও চোখে পড়ে না, উল্টে তাকে কটুক্তি করা হয়েছিল!। বিবেকানন্দকে নিয়ে নানা সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানে মাতামাতি করতে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষরা গর্ব বোধ করে কিন্তু তাঁর অন্তরাত্মা যেখানে নিবেদিত, প্রাণ যে চরণে সমর্পিত, যার করস্পর্শে তাঁর চৈতন্য জাগ্রত হয়েছিল, সেই পরমপুরুষ রামকৃষ্ণকে নিয়ে কোথায় যেন একটা নাক টান মানসিকতা, একটা অস্বস্তি, অসুবিধা বোধ করি! তাঁকে ধর্মীয় গন্ডির মধ্যে বেঁধে রেখে বোঝাতে চেয়েছি সমাজ গঠন ও উন্নয়ন সম্পর্কিত নানা বিষয়ের ক্ষেত্রে তিনি বেমানান! আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ সম্পর্কে সাম্যবাদীদের মুল্যায়ন! কিন্তু ভুলে গেছি বললে কম বলা হবে আসলে আমরা লোকদেখানো তথাকথিত ভন্ড বিবেকানন্দপ্রেমীরা জানিই না যে, বিবেকানন্দের পরিচয়ে রামকৃষ্ণের পরিচয় নয়, রামকৃষ্ণের পরিচয়েই বিবেকানন্দের পরিচয়। এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র একবার রামকৃষ্ণের ভক্তদের সঙ্গে আলোচনাকালীন বিবেকানন্দের প্রতি তাদের পক্ষপাতমূলক অবস্থান সম্পর্কে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছিলেন, “আমার বিবেকানন্দী রামকৃষ্ণ ভালো লাগে না, আমার ভালো লাগে রামকৃষ্ণী বিবেকানন্দ”!

ইঙ্গিতটা ছিল স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল!


ক্রমশঃ

তিয়াসাকে খোলা চিঠি..................(৬)




তিয়াসা ১৩.৮.১৪ তারিখে ওংকার চ্যানেলে ভারত রত্নপ্রসঙ্গে একটা আলোচনা শুনছিলাম। সেখানেও আলোচনায় কংগ্রেস নেতা নির্বেদ রায় একেবারে উলঙ্গ ভাবে বুকের জ্বালা মেটালেন নরেন্দ্র মোদীকে গালি দিয়ে, অসম্মান করে! নরেন্দ্র মোদী লোকসভা নির্বাচনের সময় কোনও এক জনসভায় নেতাজী সম্পর্কে বলেছিলেন, “নেতাজীকে স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে। আর সেই চেষ্টা করে গেছে লাগাতার একটা পরিবার, গান্ধী পরিবার। আমরা নেতাজীকে ভুলাতে দেব নাএই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বেদ রায় নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলেন,
অশিক্ষিত, একটু লেখাপড়া করতে হয়। লজ্জা হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস জানেন নাতারপরে বললেন, “নেতাজীকে ভুলতে না দেবার নরেন্দ্র মোদী কে? এতবড় আস্পর্ধা যে তিনি নেতাজীকে ভুলাতে দেবেন না। অশিক্ষিত বলেই এসব কথা বলেছেন। নেতাজী, মহাত্মারা সবকিছুর এত ঊর্ধ্বে যে তাঁদের ভুলাবার বা ভারতরত্ন দেবার প্রশ্নই আসে না। তাঁরা এতটাই উচ্চমার্গের যে ছোটখাটো বিতর্ক তাঁরা মনে রাখেন না, ওগুলি বিরোধীতা সৃষ্টির মানসিকতা যাদের তাদের কাজ। তাছাড়া নেতাজী নিজেই মহাত্মাজী ও নেহুরজীর নামে তার ব্যাটেলিয়নের নামকরণ করেছিলেন। তাছাড়া মহাত্মা স্বয়ং নেতাজী সম্পর্কে বলেছিলেন,
নেতাজী patriot of the patriots”!

মহাত্মাজীর এই ব্যাপারটাকে কেউ কেউ জুতো মেরে গরু দানএর সংগে তুলনা করেছে।

এখন
প্রশ্ন, নেতাজীর সঙ্গে মহাত্মার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের যে বিরোধ তা-কি অস্বীকার করা যায়। কংগ্রেস দলের সভাপতির পদ নিয়ে মহাত্মার সংগে বিরোধ ও পদত্যাগ এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে কিম্বা বিতাড়িত হয়ে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন সবটাই তাহলে মিথ্যে? মিথ্যে স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজী সম্পর্কে আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত অবহেলার কথা? নেতাজীকে মানুষের মনে জীবন্ত করে রাখার কথা যদি কেউ বলে থাকে তাহলে কি সেটা মহা অপরাধ? এতটাই এর জন্য বিদ্বেষ যে তাঁকে টিভির সামনে খোলাখুলি অপমান করতে নির্বেদ রায়ের রুচিতে, শিক্ষায় বাধলো না। একজন শিক্ষিতের মনের মধ্যে এতটাই রাগ, হিংসা, ঘৃণা, নীচ মানসিকতা বাসা বেঁধে আছে যে সেই মানসিকতার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠছে পরবর্তী প্রজন্ম!

সত্যি! সেলাম নির্বেদ রায়! তোমায় সেলাম!
নেতাজীকে ভারত রত্ন দিলেই বা কি আর না দিলেই বা কি তাতে নেতাজীর কিচ্ছু আসে যায় না, ঠিকই বলেছেন নির্বেদ রায়। একথা ঠিক নেতাজীর কিচ্ছু আসে যায় না কিন্তু আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য, আমার ভালোবাসা, আমার শ্রদ্ধা বলে তো একটা কথা আছে! সেটার কি হবে? আমার কাজ আমি করব না!? আজ পর্যন্ত স্বাধীনতার পর থেকে ৬৭বছর ধরে কেউ তো বিশেষ করে না কংগ্রেস না নেতাজীর তৈরী ফরোয়ার্ড ব্লক, বামপন্থীদের কথা বাদই দিলাম, এগিয়ে এলো না নেতাজীকে গোটা দেশের মানুষের কাছে আলাদা নতুন রে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় করে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলবার জন্য! একটা প্রবাদ আছে কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি মানুষের কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায়কুকুরকে মানুষ কামড়াবে না এটা ঠিক কিন্তু তাই বলে পাগলা কুকুরকে রাস্তায় তো ছেড়ে রাখা যায় না। যায় কি? অন্তত যাতে কাউকে কামড়াতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ বা সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে! এতে দোষের বা অন্যায়টা কোথায়???? পাগল যদি খোলা রাস্তায় পাগলামি করে তাহলে পথচারীর নিরাপত্তার কারণে তাকে তো ছেড়ে রাখা যায় না, তাকে তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে দেওয়া উচিত। ঠিক তেমনি যদি কেউ নেতাজীকে ভোলাবার ব্যর্থ বা সফল চেষ্টা করে থাকে, যদিও সেই চেষ্টায় কোন লাভ হয়নি বা হবে না নির্বেদ রায়ের এ কথা আমিও সমর্থন করছি। কিন্তু যদি কেউ ভোলাবার ঘৃণ্য অন্যায় চেষ্টা করেও থাকে তাহলে প্রতিটি নাগরিকের একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে যায় সেই ঘৃণ্য চেষ্টাকে বানচাল করে দেবার, সঙ্গে সেই অন্যায় চেষ্টাকে মানুষের কাছে তুলে ধরারও প্রয়োজন আছে, আছে একটা নৈতিক দায়িত্ব। সেটাকে এড়িয়ে গিয়ে কথার চাকচিক্যে সত্য যদি থেকেও থাকে তাকে চাপা দেওয়াও সমান অন্যায়। আর যদি জনগণকে নিজের স্বার্থে উত্তেজিত করার জন্য কেউ বা নরেন্দ্র মোদী মিথ্যে খবর পরিবেশন করে থাকেন তাহলে সেটাও সমান শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ক্রমশঃ

তিয়াসাকে খোলা চিঠি.....................(৫)




সমালোচকের সমালোচনার উত্তরে জানতে ইচ্ছা করে সরকারী আর বেসরকারিকরণে তফাৎ কি? সরকারী কোনো প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারী কোনো প্রতিষ্ঠান যখন খুব ভালো run করে বা ডুবে যায় তখন তার পিছনের আসল রহস্য কি? সরকারীকরণ হলেই ভালো আর বেসরকারিকরণ হলে সব খারাপ আজও এই মানসিকতার মধ্যে ভুলটা কোথায় ধরা পড়ল না? সরকারী ব্যবস্থায় নিরাপদ আর বেসরকারী ব্যবস্থায় বিপদ এই মান্ধাতার আমলের অমূলক ধারণা এমনই গেঁথে বসেছে  সরল,  সাধাসিধে,  গৃহকাতর, দুর্বল, অজ্ঞ মানুষের মনে যার সুযোগ নিয়ে গেছে সমাজতন্ত্রবাদের ধ্বজাধারী কায়েমী স্বার্থান্বেষী ধুরন্ধর মানুষ চিরকাল!

তিয়াসা, যতদিন পর্যন্ত না বৃত্তি-প্রবৃত্তির ঊর্ধ্বে অবস্থানকারী উন্নত চরিত্রের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ সরকারী-বেসরকারী শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিংহাসনে না বসবে ততদিন পর্যন্ত এই সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কথার ঝিকিমিকিতে, তাত্ত্বিক আমেজে চূড়ান্ত ভাঙাচোরা সাধারণ মানুষগুলিকে রসগোল্লার রসের মত ডুবিয়ে রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেই হোক আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই হোক গুটিকয়েক কায়েমী স্বার্থান্বেষী মানুষ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে!

সাম্যবাদ
,
সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনার মধ্যে উদ্দেশ্য হয়তো নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু বাস্তবকে, সত্যকে অস্বীকার করে নয়। প্রকৃতির বুকে নিয়ত যে সত্য অবস্থান ক’রে আছে তাকে কুঠারাঘাত করে নয়।

এ-প্রসঙ্গে আবার মনে পড়ে গেল
Present living Supreme Being Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর কথা। তিনি বললেন, “মানুষের বিবর্ধন জিনিসটা শুধু বাইরের ঐশ্বর্যের উপর নির্ভরশীল নয়। অন্তরের ঐশ্বর্যও একটা বড় কথা। ভিতর ও বাইরের এই বিবর্ধনের কোন ইতি নেই। তাই বলে চিরন্তন বিবর্ধনের কথা। ব্রাহ্মণত্ব অর্জনই সবার লক্ষ্য। ব্রাহ্মণ হ সেই, যে প্রতিটি সত্তাকে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মত মনে ক’রে সবারই উন্নতি ও আনন্দের জন্য বদ্ধ পরিকর হয়। আর্য-বর্ণাশ্রম প্রত্যেককে তার বৈশিষ্ঠ্য অনুযায়ী আদর্শ সেবার মাধ্যমে এই ব্রাহ্মণত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অন্তরৈশ্বর্যবিহীন বাহ্যিক ঐশ্বর্যকে সে যেমন মূল্য দেয় না, আবার বাহ্যিক ঐশ্বর্যবিহীন অন্তরৈশ্বর্যকেও সে সম্পুর্ণ বলে মনে করে না। ভিতর বাইরের co-ordination (সংগতি) না হলে বুঝতে হবে motor expression (কর্মপ্রবোধী অভিব্যক্তি)-এর খাঁকতি আছে”

নরেন্দ্র মোদী আমার সমালোচকের কথামত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। যদি বিচক্ষণই
হবেন তবে তাঁর প্রতি তিয়াসা তোমার ভরসা বা বিশ্বাস নেই কেন?  তাঁর প্রতি এত বিরুপ কেন?  বিরূপতা বা অকারণ বিরুপতা দিয়ে কি সমস্যার সমাধান হয়?  না-কি কারো আস্থাভাজন হওয়া যায় বা মন জয় করা যায়?  ৩৪বছর যারা পশ্চিমবঙ্গে শাসন করলেন তাঁরা বিচক্ষণ ছিলেন না?  কিম্বা কেন্দ্রে কংগ্রেসি সরকার স্বাধীনতার পর থেকে বেশীরভাগ সময়টাই দেশটাকে শাসন রে এলেন সেই কংগ্রেসি নেতৃবৃন্দ বিচক্ষণ ছিলেন না? একা নরেন্দ্র মোদীই বিচক্ষণ! সমালোচকের কথা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল যদি ক্ষুরধার বুদ্ধি দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে দেশের সমস্ত স্তরের মানুষের মন জয় করতে পারেন তাহলে বাকিরা কেন পারলেন না?  দেশের বাকি নেতারা নরেন্দ্র মোদীর থেকে কোনও অংশে কম যান না-কি? নরেন্দ্র মোদীকে আটকাবার জন্য গোটা দেশের সমস্ত প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলো তো ময়দানে নতুন নতুন জনমোহিনী (চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক) স্লোগান নিয়ে নেবে পড়েছিল,  তাহলে তারা কেন জনগনের মন জয় করতে পারলো না। জনগণের মন জয় করাতে কোনও বাধা বা নিষেধ ছিল নাকি? আমি যদি না পারি আর পরাজিত হ’ই তাহ’লে নিজের কোন ত্রুটির জন্য আমার এই হাল হ’ল তা’ অনুসন্ধান না ক’রে অন্যের উপর দোষ দেওয়াটা কি সচেতন,  বুদ্ধিমান মানুষের বা যোগ্য ও দক্ষ নেতার কাজ?  এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের একটা
সাবধান বাণী মনে পড়ে গেল,

নিজের ত্রুটির ধার না ধেরে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়,
অহং মত্ত এমন বেকুব ক্রমে ক্রমে নষ্ট পায়


আমার সমালোচক এও বললেন নরেন্দ্র মোদী চা-ওয়ালাদের নিয়ে গরীব দরদীর নাটক করলেন। কিন্তু একবার ভেবে দেখুনতো দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষনার পর কে বা কারা তাকে চা-ওয়ালা হবে দেশের প্রধানমন্ত্রীবলে প্রথম কটাক্ষ করেছিল? কাউকে অপমান করা, ছোট করা, গালি দেওয়া,  কুৎসা রটানো, বদনাম করাটা আজ ভারতীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রধান স্তম্ভ! কোনো গণ্যমান্য কেউ তাঁকে ‘চা-ওয়ালা’  ব’লে অপমান করতে পারেন সেই বেলায় কোনও দোষ নেই আর অপমানিত ব্যক্তি প্রকাশ্যে নিজের একসময়ের ‘চা-ওয়ালা’-র জীবনকে স্বীকার ক’রে নিয়ে সেই জীবনকে স্মরণ করে ‘চা-ওয়ালা’দের নিয়ে যদি মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য, নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলবার জন্য চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন সেই বেলায় তা’ হ’য়ে গেল দোষের?  বাঃ কি অপূর্ব সুস্থ মানসিকতা!

ক্রমশঃ