তিয়াসা ১৩.৮.১৪ তারিখে ওংকার চ্যানেলে ‘ভারত রত্ন’ প্রসঙ্গে একটা
আলোচনা শুনছিলাম।
সেখানেও আলোচনায় কংগ্রেস নেতা নির্বেদ রায় একেবারে উলঙ্গ ভাবে বুকের জ্বালা
মেটালেন নরেন্দ্র মোদীকে গালি দিয়ে, অসম্মান করে!
নরেন্দ্র মোদী লোকসভা
নির্বাচনের সময় কোনও এক জনসভায় নেতাজী সম্পর্কে বলেছিলেন, “নেতাজীকে স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে। আর সেই চেষ্টা করে গেছে লাগাতার
একটা পরিবার, গান্ধী পরিবার। আমরা নেতাজীকে ভুলাতে দেব না”। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বেদ রায় নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলেন,
“অশিক্ষিত, একটু লেখাপড়া করতে হয়। লজ্জা হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস জানেন না”। তারপরে বললেন, “নেতাজীকে ভুলতে না দেবার নরেন্দ্র মোদী কে? এতবড় আস্পর্ধা যে তিনি নেতাজীকে ভুলাতে দেবেন না। অশিক্ষিত বলেই এসব কথা বলেছেন। নেতাজী, মহাত্মারা সবকিছুর এত ঊর্ধ্বে যে তাঁদের ভুলাবার বা ভারতরত্ন দেবার প্রশ্নই আসে না। তাঁরা এতটাই উচ্চমার্গের যে ছোটখাটো বিতর্ক তাঁরা মনে রাখেন না, ওগুলি বিরোধীতা সৃষ্টির মানসিকতা যাদের তাদের কাজ। তাছাড়া নেতাজী নিজেই মহাত্মাজী ও নেহুরজীর নামে তার ব্যাটেলিয়নের নামকরণ করেছিলেন। তাছাড়া মহাত্মা স্বয়ং নেতাজী সম্পর্কে বলেছিলেন,
“অশিক্ষিত, একটু লেখাপড়া করতে হয়। লজ্জা হয় দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাস জানেন না”। তারপরে বললেন, “নেতাজীকে ভুলতে না দেবার নরেন্দ্র মোদী কে? এতবড় আস্পর্ধা যে তিনি নেতাজীকে ভুলাতে দেবেন না। অশিক্ষিত বলেই এসব কথা বলেছেন। নেতাজী, মহাত্মারা সবকিছুর এত ঊর্ধ্বে যে তাঁদের ভুলাবার বা ভারতরত্ন দেবার প্রশ্নই আসে না। তাঁরা এতটাই উচ্চমার্গের যে ছোটখাটো বিতর্ক তাঁরা মনে রাখেন না, ওগুলি বিরোধীতা সৃষ্টির মানসিকতা যাদের তাদের কাজ। তাছাড়া নেতাজী নিজেই মহাত্মাজী ও নেহুরজীর নামে তার ব্যাটেলিয়নের নামকরণ করেছিলেন। তাছাড়া মহাত্মা স্বয়ং নেতাজী সম্পর্কে বলেছিলেন,
নেতাজী patriot of
the patriots”!
মহাত্মাজীর এই ব্যাপারটাকে কেউ কেউ ‘জুতো মেরে গরু দান’ এর সংগে তুলনা
করেছে।
এখন প্রশ্ন, নেতাজীর সঙ্গে মহাত্মার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের যে বিরোধ তা-কি অস্বীকার করা যায়। কংগ্রেস দলের সভাপতির পদ নিয়ে মহাত্মার সংগে বিরোধ ও পদত্যাগ এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে কিম্বা বিতাড়িত হ’য়ে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন সবটাই তাহ’লে মিথ্যে? মিথ্যে স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজী সম্পর্কে আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত অবহেলার কথা? নেতাজীকে মানুষের মনে জীবন্ত করে রাখার কথা যদি কেউ বলে থাকে তাহ’লে কি সেটা মহা অপরাধ? এতটাই এর জন্য বিদ্বেষ যে তাঁকে টিভির সামনে খোলাখুলি অপমান করতে নির্বেদ রায়ের রুচিতে, শিক্ষায় বাধলো না। একজন শিক্ষিতের মনের মধ্যে এতটাই রাগ, হিংসা, ঘৃণা, নীচ মানসিকতা বাসা বেঁধে আছে যে সেই মানসিকতার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠছে পরবর্তী প্রজন্ম!
সত্যি! সেলাম নির্বেদ রায়! তোমায় সেলাম!
এখন প্রশ্ন, নেতাজীর সঙ্গে মহাত্মার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের যে বিরোধ তা-কি অস্বীকার করা যায়। কংগ্রেস দলের সভাপতির পদ নিয়ে মহাত্মার সংগে বিরোধ ও পদত্যাগ এবং কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে কিম্বা বিতাড়িত হ’য়ে ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন সবটাই তাহ’লে মিথ্যে? মিথ্যে স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজী সম্পর্কে আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত অবহেলার কথা? নেতাজীকে মানুষের মনে জীবন্ত করে রাখার কথা যদি কেউ বলে থাকে তাহ’লে কি সেটা মহা অপরাধ? এতটাই এর জন্য বিদ্বেষ যে তাঁকে টিভির সামনে খোলাখুলি অপমান করতে নির্বেদ রায়ের রুচিতে, শিক্ষায় বাধলো না। একজন শিক্ষিতের মনের মধ্যে এতটাই রাগ, হিংসা, ঘৃণা, নীচ মানসিকতা বাসা বেঁধে আছে যে সেই মানসিকতার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠছে পরবর্তী প্রজন্ম!
সত্যি! সেলাম নির্বেদ রায়! তোমায় সেলাম!
নেতাজীকে ভারত রত্ন দিলেই বা কি আর না দিলেই বা কি তা’তে নেতাজীর কিচ্ছু আসে যায় না, ঠিকই বলেছেন
নির্বেদ রায়। একথা ঠিক নেতাজীর কিচ্ছু আসে যায় না কিন্তু আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য, আমার ভালোবাসা,
আমার শ্রদ্ধা ব’লে তো একটা কথা আছে! সেটার কি হবে? আমার কাজ আমি
করব না!? আজ পর্যন্ত
স্বাধীনতার পর থেকে ৬৭বছর ধরে কেউ তো বিশেষ ক’রে না কংগ্রেস
না নেতাজীর তৈরী ফরোয়ার্ড ব্লক, বামপন্থীদের কথা বাদই দিলাম,
এগিয়ে এলো না নেতাজীকে গোটা দেশের মানুষের কাছে
আলাদা নতুন ক’রে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ক’রে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলবার জন্য! একটা প্রবাদ আছে “কুকুরের কাজ
কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়,
তাই বলে কি মানুষের কুকুরকে কামড়ানো শোভা পায়”। কুকুরকে মানুষ কামড়াবে না এটা ঠিক কিন্তু তাই বলে পাগলা কুকুরকে রাস্তায় তো ছেড়ে রাখা যায় না। যায় কি?
অন্তত যাতে কাউকে কামড়াতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ বা সাবধানতা
অবলম্বন করতেই হবে! এতে
দোষের বা অন্যায়টা কোথায়???? পাগল যদি খোলা
রাস্তায় পাগলামি করে তাহ’লে পথচারীর নিরাপত্তার কারণে তাকে তো ছেড়ে রাখা যায় না, তাকে তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে দেওয়া উচিত। ঠিক তেমনি যদি কেউ নেতাজীকে
ভোলাবার ব্যর্থ বা সফল
চেষ্টা করে থাকে, যদিও সেই
চেষ্টায় কোন লাভ হয়নি বা হবে না নির্বেদ রায়ের এ কথা আমিও সমর্থন করছি। কিন্তু যদি কেউ ভোলাবার ঘৃণ্য অন্যায় চেষ্টা ক’রেও থাকে তাহ’লে প্রতিটি
নাগরিকের একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে যায় সেই ঘৃণ্য চেষ্টাকে বানচাল ক’রে দেবার, সঙ্গে সেই
অন্যায় চেষ্টাকে মানুষের কাছে
তুলে ধরারও প্রয়োজন আছে, আছে একটা নৈতিক
দায়িত্ব। সেটাকে এড়িয়ে গিয়ে কথার
চাকচিক্যে সত্য যদি থেকেও থাকে তাকে চাপা দেওয়াও সমান অন্যায়। আর যদি জনগণকে নিজের স্বার্থে উত্তেজিত করার জন্য কেউ বা
নরেন্দ্র মোদী মিথ্যে খবর
পরিবেশন করে থাকেন তাহ’লে সেটাও সমান
শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment