রাজনীতিবিদ আর দেশপ্রেমিকদের মধ্যে
তফাৎ কোনখানে তিয়াসা? আপনার কথায় নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিবিদ আর নেতাজী ও দেশবন্ধু দেশপ্রেমিক। তার মানে
রাজনীতিবিদ-দের দেশপ্রেম আর দেশপ্রেমিকদের রাজনীতির প্রতি প্রেম থাকে না বা থাকতে
নেই! দেশকে স্বাধীন করার জন্য নেতাজী, দেশবন্ধু, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী ইত্যাদি ইনারা
দেশপ্রেমিক ব’লে কি রাজনীতি করেননি? আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা রাজনীতির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসে দেশশাসন করেছেন
তাহ’লে আপনার কথায় তাদের কারোর মধ্যে দেশপ্রেম ছিল না। যত দোষ
নন্দ ঘোষের মত অবস্থা নরেন্দ্র মোদীর!
বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্মকে হিন্দুত্ববাদের স্বার্থে আমরা ব্যবহার করেছি বলতে কি বোঝাতে চাইলেন ঠিক বুঝলাম না। নরেন্দ্র মোদীর কোন পদক্ষেপ নিয়ে যদি বিশ্লেষন মূলক আলোচনা করি তাহ’লে আলোচক বা লেখক নরেন্দ্র মোদীর দলের লোক হ’য়ে যায়? এইভাবে কাউকে চিহ্নিতকরণেরও একটা ঘৃণ্য ইতিহাস আছে যার Tradition ব’য়ে নিয়ে যাবার নিম্ন মানসিকতা বা দায়িত্ব কেউ কেউ নিজের অজান্তেই বয়ে নিয়ে চলেছে। বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্ম আর হিন্দুত্ববাদ
বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্মকে হিন্দুত্ববাদের স্বার্থে আমরা ব্যবহার করেছি বলতে কি বোঝাতে চাইলেন ঠিক বুঝলাম না। নরেন্দ্র মোদীর কোন পদক্ষেপ নিয়ে যদি বিশ্লেষন মূলক আলোচনা করি তাহ’লে আলোচক বা লেখক নরেন্দ্র মোদীর দলের লোক হ’য়ে যায়? এইভাবে কাউকে চিহ্নিতকরণেরও একটা ঘৃণ্য ইতিহাস আছে যার Tradition ব’য়ে নিয়ে যাবার নিম্ন মানসিকতা বা দায়িত্ব কেউ কেউ নিজের অজান্তেই বয়ে নিয়ে চলেছে। বিবেকানন্দের মহান মানবিকতার ধর্ম আর হিন্দুত্ববাদ
কি আলাদা না-কি?
হিন্দুত্ববাদ এত ঠুনকো বাদ যে
বিবেকানন্দকে ব্যবহার না করলে হিন্দুত্ববাদের নিজস্ব কোন অস্তিত্ব নেই!? বিবেকেনন্দের পরিচয়ে হিন্দুত্ববাদের পরিচয়!? বিবেকানন্দের প্রতি সমাজতন্ত্রীদের এত
প্রেম? অথচ সেই বিবেকানন্দ যার স্পর্শে পিতৃদত্ত
নাম নরেন্দ্রনাথ থেকে বিবেকের আনন্দ উপলব্ধির মাধ্যমে বিবেকানন্দে উত্তীর্ণ হলেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হলেন সেই মানুষটির প্রতি
সমাজতন্ত্রীদের, সাম্যবাদীদের প্রেম তো দূরের কথা সামান্যতম শ্রদ্ধাও চোখে পড়ে না, উল্টে তাকে কটুক্তি করা হয়েছিল!। বিবেকানন্দকে নিয়ে নানা
সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানে মাতামাতি করতে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষরা গর্ব বোধ
করে কিন্তু তাঁর অন্তরাত্মা যেখানে নিবেদিত, প্রাণ যে চরণে সমর্পিত, যার করস্পর্শে তাঁর চৈতন্য জাগ্রত হয়েছিল, সেই পরমপুরুষ রামকৃষ্ণকে নিয়ে কোথায়
যেন একটা নাক টান মানসিকতা, একটা অস্বস্তি, অসুবিধা বোধ করি! তাঁকে ধর্মীয় গন্ডির মধ্যে বেঁধে রেখে বোঝাতে চেয়েছি সমাজ গঠন ও উন্নয়ন সম্পর্কিত
নানা বিষয়ের ক্ষেত্রে তিনি বেমানান! আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ সম্পর্কে সাম্যবাদীদের মুল্যায়ন! কিন্তু ভুলে গেছি বললে কম
বলা হবে আসলে আমরা লোকদেখানো তথাকথিত ভন্ড বিবেকানন্দপ্রেমীরা জানিই না যে, বিবেকানন্দের পরিচয়ে রামকৃষ্ণের পরিচয় নয়, রামকৃষ্ণের পরিচয়েই বিবেকানন্দের
পরিচয়। এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র একবার রামকৃষ্ণের ভক্তদের সঙ্গে আলোচনাকালীন বিবেকানন্দের প্রতি তাদের পক্ষপাতমূলক
অবস্থান সম্পর্কে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলেছিলেন, “আমার বিবেকানন্দী রামকৃষ্ণ ভালো লাগে না, আমার ভালো লাগে রামকৃষ্ণী বিবেকানন্দ”!
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment