Powered By Blogger

Wednesday, July 27, 2022

গানঃ আমি বার্তা দিলাম।

আমি আগন্তুক আমি বার্তা দিলাম
জীবন অংক আমি বলতে এলাম
আমি আগন্তুক, আমি বার্তা দিলাম
To you to you and you and you and to everyone here
জীবন অঙ্ক আমি বলতে এলাম।
Triumphant in infusing life and growth equal to কি?
Supreme Father.
এখনো রিপুদাস রিপুগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাচ্ছে
কামনায় বাসনায় জীবন যে আগুনে জ্বলছে
ফিকশান টেনশান মাথে নিয়ে ইনশান কি ভাবছে?
দয়ালধাম?
এখনো রিপুদাস রিপুগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাচ্ছে
কামনায় বাসনায় জীবন যে তার আগুনে জ্বলছে
এদিকে মিথ্যের গ্যাসে ভরে গেলো জীবন দালান
Mistry ব্যাপার বেশ Mistry!
আমি আগন্তুক
আমি বার্তা দিলাম
জীবন অঙ্ক আমি বলতে এলাম।
মাঝখানে গোটা দুই জীবনে জীবন নেই
কৈশোর যৌবনে কেন জীবনে গতি নেই?
বৃত্তির বৃত্তে জীবন যে ঘুরছে
উদ্দাম রিপুতলে জীবন যে পুড়ছে
কালকূট বিষ দেহে নিলাম।
মুখের মিষ্টি হাসি রাশি রাশি ঝরে ঝরে পড়ছে
দু জোড়া ঐ মিষ্টি চোখ আকুল হ'য়ে তোমায় যে ডাকছে!
No dear don't get tension.
এতদিনে মানবতা ভুলে গেছে ভালবাসার নিদান।
Hear I am.
আমি আগন্তুক আমি বার্তা দিলাম
জীবন অংক আমি বলতে এলাম
আমি আগন্তুক, আমি বার্তা দিলাম
Infusing life and growth-------No! না না না না
Triumphant in infusing life and growth equal to কি?
Supreme Father.

গানঃ প্রেমময়! প্রেমময়! প্রেমময় কারে কয়?

বন্ধু, কামনা কাহারে বলে? বন্ধু, বাসনা কাহারে বলে?
তোমরা যে বলো দিবস রজনী 'প্রেমময়, প্রেমময়'--
বন্ধু, প্রেমময় কারে কয়? সে কি কেবলই ছলনাময়?
সে কি কেবলই কথার ঢল? সে কি কেবলই কথার চাষ?
লোকে তবে করে কি সুখেরই তরে এমন কথার চাষ?।

আমার চোখে তো সকলই দয়াল শান্ত স্নিগ্ধ নরম সকাল,
সুমিষ্ট সুবাস মধুময় বাতাস আলোময় রুপময় রসময় বিকাল
সকলই দয়াময় দয়াল মত।

দয়া আকাশের গায় বাতাসে বায় শাখে শাখে হাসে পাতায় পাতায়
নাইরে দুঃখ নাইরে কষ্ট নাইরে জ্বালা যন্ত্রণা ক্ষত।
হাসিতে মুক্তো রাশি রাশি ঝরে নয়নে আলোক ঝর্ণা বায়
বাঁচিতে বাড়িতে পরতে পরতে দয়ালের ছোঁয়া লাগে যে গায়।
আমার মত নসিবি কে আছে আয় ছুটে আয় আমার কাছে
আমার মত নসিবি কে আছে আয় ছুটে আয় দয়ালের কাছে
আমার হৃদয়ে দয়ালের গান দয়ালের সুর দয়ালের তান।
প্রতিদিন যদি জিতিবি কেবল একদিন নয় হারিবি তোরা
একদিন নয় মিলিয়া মিশিয়া দয়ালের গান গাহিবো মোরা।

লেখা ২৭শে জুলাই'২০২১

সম্পর্ক!

ঘরে ঘরে সব সম্পর্ক আজ ভেঙ্গে চুড়মার!
দাদুনাতি, পিতামাতা, স্বামীস্ত্রী, পিতাপুত্র, মাতাকন্যা,
ভাইভাই, বোনবোন, ভাইবোন, বন্ধুবন্ধু, প্রতিবেশীপ্রতিবেশী!
ওরে মন পাগল! তুই কেন এমন করিস!? কেন রেষারেষি?
কেন হ'স তুই এই পাপ কাজের হাতিয়ার?
গোঁজামিলে ভরিয়েছো নিজের জীবন
আর এখন মেলাচ্ছো অঙ্ক গোঁজামিলে সন্তানের জীবন?
মন তুমি ধন্য! তুমি অনন্যা!
তুমি বন্য! বাধ ভাঙ্গা বন্যা!
কে তোমায় রুখবে? কে তোমায় জিজ্ঞেস করবে,
মন! কেন সমস্ত সম্পর্ক ভেঙ্গে করো চুরমার?
কেন এত সঙ্ঘাত? কেন দু'দিনের জন্যে আসা জীবন
করছো বরবাদ!? সন্তানের নিষ্পাপ মুখের দিকে চেয়ে
একবারও কি করে না ইচ্ছা বলতে, চলো নিজেকে পাল্টাই,
করি সব পরিত্যাগ জীবন মাঝে যা কিছু আছে ভুল অন্যায়।
নোংরা কালো ঝুলে ভরা জীবন নিয়ে নিজের
যাও ঝাড়তে ঝুল অন্যের জীবনের!?
নিজের জীবনের ভুলে ভরা প্রতি পদক্ষেপ নিয়ে
হাঁটিহাঁটি পা চাও শেখাতে সন্তানের?
ছয় রিপু রসে টইটম্বুর জীবন
নীচতা কুটিলতার কালকূট বিষে ভরা মন
তবে কিসের আশায় কার ভরসায় চাও গড়তে
প্রাণাধিক প্রিয় শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন?
পারস্পরিক সব পবিত্র সম্পর্ক আজ ভেঙ্গে চুরমার
অহং পাথরের নির্ম্মম কঠিন আঘাতে।
মন! একবার ভেবে দেখো তুমি
তোমার ছায়া ক্রমশ তোমার চেয়ে দীর্ঘ হ'য়ে ফেলছে
তোমায় ঢেকে আর ভয়ে যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত মন
অন্ধকার অন্ধকার ব'লে অতর্কিতে ক'রে উঠছো
হিতাহিত জ্ঞানশূন্য চীৎকার নিজের ছায়া নিজে দেখে!
এখনও সময় আছে, মন! ফিরে চলো নিজ নিকেতন!
ছোট্ট দেবশিশুর জন্য খুঁজে নাও বাঁচাবাড়ার অমৃত ধন।
কোথায় সেই নিকেতন? কি সেই অমৃত ধন?
মন! ইষ্টের চরণতল সেই নিকেতন
জীবন খুঁজে পাবে যেথায়।
আর মন! ইষ্টের চলন----- নাও তারে আপন ক'রে
------স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচাবাড়ার সেই-ই অমৃত ধন!
(লেখা ২৭শে জুলাই'২০২১

Saturday, July 2, 2022

প্রবন্ধঃ আনন্দ লাভের উপায়।

আসুন ঈশ্বরের সৃষ্টির সবকিছুকে ভালোবাসি, ভালোবেসে ধন্য হ'ই। ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে খাটি আনন্দ লাভ করি। মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে যে আনন্দ সেই আনন্দ পৃথিবীকে মুঠোয় পাওয়ার মধ্যেও নেই। একমাত্র সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালোবাসার মধ্যে প্রকৃত আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। আপনি আমি যতই বলি ভালো আছি প্রকৃতপক্ষে কেউই ভালো নেই,  আনন্দে নেই। সবটাই নেশাখোরের নেশার বস্তু গলাদ্ধকরণ করার সাময়িক ভালো থাকা ও আনন্দে থাকার মত। মিথ্যের মুখোশ পড়ে আমরা সমাজে বাস করছি সবাই। যে আনন্দে সুখ নেই, শান্তি নেই, ভালোবাসা নেই, প্রেম, দয়া, মায়া, শ্রদ্ধা, সম্মান ইত্যাদি জীবনীয় কিছুই নেই ; আছে শুধু অশ্রদ্ধা, অপমান লাঞ্চনা গঞ্জনা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ধ্বংস হওয়া আর নিভে যাওয়া সেই মিথ্যে আনন্দের মধ্যে বেকুব অপদার্থ নেশাখোরের মত ডুবে থেকে আমরা ভেজাল আনন্দের ঢেকুর তুলছি আর পথকুক্কুরের মত ল্যাজ নাড়াচ্ছি। আপাদমস্তক আমরা একজন নেগেটিভ মানসিকতা সর্বস্ব অমানুষ। 


সবসময় নেগেটিভ মানসিকতা মানুষকে নিরানন্দময় জীবনের অধিকারী ক'রে তোলে। কামনা বাসনা থাকবে না কেন? জীবন যখন আছে তখন তাকে ভোগ করার অধিকারও আমার আছে। ভোগ আমরা করি কই, করি তো ভোগকে উপ-র সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে। জীবনে ত্যাগ করার কিছুই নেই। জীবন থেকে ত্যাগ করার যদি কিছু থাকে তাহ'লে তাহ'ল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথামতো মল, মূত্র আর বায়ু ছাড়া আর কিছুই নয়। এছাড়া ত্যাগ ব'লে কিছু নেই। সবটাই ভোগের ব্যাপার। ভোগ করারও আর্ট আছে। ভারসাম্যহীন ভোগ ভোগ নয়। আর ত্যাগ মানে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "ভোগের বস্তু নিকটে রাখিয়া ত্যাগের নামই ত্যাগ।" ভোগের বস্তু রোজগার করার ক্ষমতাই নেই, ত্যাগ তো দূর কি বাত। কামনা বাসনা আমার আছে। আর সে কামনা সে বাসনা ঈশ্বরকে ভালোবাসার কামনা, ইশ্বরকে পাওয়ার বাসনা। আর সে কামনা সে বাসনা পূরণ হয় তখনি যখন মানুষ মানুষকে ভালোবাসে, তার সৃষ্টির চারপাশের সবকিছুকে প্রেম করে। আর তখনি প্রকৃত আনন্দ লাভ করে মানুষ। বৃথা অলীক কোনও আনন্দের পিছনে ছুটে জীবনকে জটিল ও দুর্বিষহ ক'রে তোলার কোনও মানে হয় না। যেমন খেয়ে আনন্দ তার চেয়ে বেশী আনন্দ খাইয়ে, নিজে বড়ো হ'য়ে যেমন আনন্দ তার চেয়ে বড় ও বেশি আনন্দ কাউকে জীবনে বড় হ'তে সাহায্য করে। নিজে সুখী হওয়ার আনন্দের চেয়ে অন্যকে সুখী দেখতে পাওয়া, অন্যের মুখে হাসি দেখতে পাওয়া, অন্যকে হাসিখুশি দেখতে পাওয়া ইত্যাদির মধ্যে যে আনন্দ সেই আনন্দ আর কোথায় আছে? বাচ্চাদের ভালোবাসার মধ্যে যে আনন্দ সেই আনন্দ লুকিয়ে আছে ঈশ্বরকে ভালোবাসার মধ্যে। যা ভাবলে, যা চিন্তা করলে, যে কর্ম করলে মন আনন্দ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় সেই ভাবা, সেই চিন্তা, সেই কর্ম যতই লাভজনক হ'ক না করাই মঙ্গলের। কারণ এইধরনের আনন্দ নেশা করার আনন্দের মত সাময়িক ও জীবন বিধ্বংসী। তাই আনন্দ করবো তো পরমানন্দ করবো। আর পরমানন্দ আছে ভালোবাসার মধ্যে। আর ভালোবাসার সমুদ্র হচ্ছে পরমপিতা জীবন্ত ঈশ্বর। তাকে গ্রহণ করতে হয় জীবনে আর সেই ভালোবাসার সমুদ্রে দিতে হয় ডুব, ডুব দিয়ে স্নান ক'রে পবিত্র, স্নিগ্ধ, পরিচ্ছন্ন হ'তে হয়। আর ভালোবাসার জলে আপাদমস্তক অর্থাৎ শরীর-মন-আত্মা সিক্ত হ'য়ে উঠলে তবেই ভালোবাসা যায় সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টিকে। আর সেইখানেই লুকিয়ে আছে প্রকৃত আনন্দ লাভের তুক, চাবিকাঠি। নতুবা সবটাই মিথ্যা, ফাঁকিবাজি। --------প্রবি।