Powered By Blogger

Tuesday, January 31, 2023

কবিতাঃ শ্রীবৃদ্ধি!

ঠাকুর ধরার আগে তুমি কি ছিলে তার নেই হিসাব নিকাশ
শুধু জানি তুমি ছিলে এক হদ্দ বোকা, সাদাসিধে সরল
আর ঠাকুর ধরার পরে যেই খুললো তোমার চোখ
মনে এলো পাপ আর বুক ভরে পান করলে তুমি গরল!
চোখ খুলেছে তাই ভাই যাকে যা ইচ্ছা বলছো তুমি
আর করছো যা ইচ্ছা তাই; তোমার জ্ঞানে সরা আজ ভুমি!
ঠাকুর ধ'রে তোমার বন্ধু বলো তো লাভটা কি হ'লো?
যদি 'ঠাকুর' কথার ও 'ঠাকুর ধরার’ অৰ্থ খুঁজে না পাই!?
ঠাকুর ধ'রে চোখ খুলেছে ব'লে প্যান্টের বোতাম দেবে খুলে!?
এরই অর্থ কি চোখ খোলা?
যদি তাই-ই হয় তাই করো, তেমনি চলো।
কিন্তু যাবার আগে ব'লে যাই, মনে ক'রে দেখো,
যেদিন ছিলাম সামনে বন্ধু সেদিন কোথায় ছিলে তুমি?
সুদিনে আজ তুমি ঝলমলে! বন্ধু দুর্দিনে ছিলে মমি!!
মমি হ'য়ে যখন ছিলে ঘরের কোণে অন্ধকারে ডুবে
বাড়িয়ে দিয়ে হাত দিয়েছিলাম সাথ সকাল থেকে রাত
ব'লেছিলে মসিহা হ'য়ে নাকি এসেছিলাম আমি
তোমার দুঃসহ জীবন মাঝে ঘোর অন্ধকার ভবে!
আর আজ? ঠাকুর ধ'রে চিত্ত সবল হ'লে
ভালো কাজের বিরোধিতা ক'রে চাইছো হ'তে ভালো মানুষ?
ভালো! বন্ধু ভালো!! খুব ভালো!!!
ওড়াও! যত পারো ওড়াও তোমার ঠাকুর প্রেমের ফানুশ!!!!!
বিভ্রান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে হচ্ছো নিজেই বিভ্রান্ত;
নিজের পাপের বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে
হ'তে চাইছো নিষ্কলঙ্ক!? কলঙ্ক মুক্ত! হও শান্ত!
হিসেব ক'রেই ফেলছি পা বন্ধু, হিসেব ক'রেই বলছি কথা;
বেহিসেবি পা ফেলে আর লাগামছাড়া কথা ব'লে নিজে
আমায় বলছো হিসেব ক'রে চলার কথা!?
মনে রেখো বন্ধু! আমার মাথার ওপর আছেন ঠাকুর
আর সঙ্গে আছেন আচার্যদেব বাবাইদাদা;
তোমার মাথা কিন্তু ফাঁকা। সাবধান! তুমি কিন্তু একা।
লাগাম বন্ধু লাগাম! এখনও সময় আছে বন্ধু লাগাম,
সত্ত্বর লাগাম লাগা। অতীত গেছো ভুলে?
তাঁর দয়ায় কি থেকে আজ কি হ'লে!?
মনে ক'রে দেখো বন্ধু অতীতে তুমি কি ছিলে!!
তাঁর দয়ায় ঘর পেলে, বর পেলে, পেলে বউ, সন্তান!
অর্থ পেলে, জান পেলে, পেলে মান-সম্মান!!
এখন তাঁর মিশন রথের দড়ি ধ'রে মারছো টান!?
কথায় আছে,
চালুনি বলে, সূঁচ তোর পিছনে ফুটো কেন?
এমনটা কেন হয়? কখন হয়? জানো?
জীবন যখন তার গতিময়তা হারায়
আর কেন্নো হ'য়ে বাঁচে তখন হয় জেনো।
তাই অবাক হ'য়ে আজ ভাবি! বন্ধু!
এ কেমনতর চোখ খোলা, ভাবি এ তোমার কেমনতর বুদ্ধি!?
মাথার ঘায়ে যেমন কুকুর পাগল তেমনি চলছো হেলেদুলে
এমনিভাবে চললে পরে রুখবে কে তোমার কু-এর শ্রীবৃদ্ধি!!
প্রবি।

Monday, January 30, 2023

কবিতাঃ নিশ্চিত মরণ

ঈশ্বর তুমি থাকো আমার মনে, আমার হৃদয়ে, আমার প্রাণে;
ঈশ্বর তুমি থাকো আমার শয়নে-স্বপনে-জাগরণে
ঈশ্বর তুমি আমায় রাখো তোমার নয়নে নয়নে;
ঈশ্বর তুমি আমায় রাখো তোমার রাতুল চরণে।
হে দয়াল! তুমিই জীবন্ত ঈশ্বর থাকো আমার জীবনে!
তাই বলি হে বন্ধু!
এ তোমার কেমন ঈশ্বর প্রেম!? কেমন ঈশ্বর ভালোবাসা!?
যদি নাই বোঝো ঈশ্বর আর ভক্ত মাঝে তফাৎ খাসা?
জয় নিতাই! জয় নিতাই! বলছো হাজারবার!!
নিমাইয়ের নামে ধ্বনি দিচ্ছ কতবার!?
নিতাই যদি হয় মহাপ্রভু নিমাই তবে কি!?
নিতাইয়ের নামে দিচ্ছো ধ্বনি, নিমাইকে দিয়ে ফাঁকি!
নিতাই যদি হয় মহাপ্রভু প্রভু তবে কি নিমাই!?
নিতাইয়ের নামে নিমাইয়ের পরিচিতি নাকি
নিমাইয়ের নামে নিতাই!? 
জয় নিমাই! জয় নিমাই! 
জয় মহাপ্রভু নিমাই! আগে বলো সবাই।

বিবেকানন্দ নিয়ে করো মাতামাতি
গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে
আজ রামকৃষ্ণ গৌণ, বিবেকানন্দ মৌন
বিবেকানন্দ আজ রাজনীতির বোড়ে।
নেতা আর ভক্তের হাতের পুতুল
বিবেকানন্দ তুমি! তোমার জন্মদিনে
পথেঘাটে হাঠেবাজারে চলে ডি জে-র হুলুস্থুল
রামকৃষ্ণ হ'য়ে গেছে আজ মমি!
সন্ন্যাসীরা আজ বিবেকানন্দে ব্যস্ত
বিবেকানন্দীয় রামকৃষ্ণী তাঁদের অন্তরে।
রামকৃষ্ণীয় বিবেকানন্দ করে হাহাকার
নেই আজ কোথাও, তিনি নিরুদ্দেশ, উধাও;
পাঠিয়ে দিয়েছে তাঁকে ভক্তেরা কবরে।

তাই ফিরে এসে রামকৃষ্ণ হ'য়ে অনুকূল
রেখে গেলেন তাঁর জেষ্ঠ্যাত্মজ শ্রীশ্রীবড়দাকে
অনুকূল মাঝে যেন হ'য়ে প্রতিকূল না দাঁড়ায় কেউ 
এই শিক্ষা হাতে কলমে ক'রে করিয়ে শেখাতে।
শ্রীশ্রীবড়দা আচার্যরূপে শেখালেন মোদের
শ্রীশ্রীঠাকুর এক ও অদ্বিতীয় আমাদের লক্ষ্য,
আমাদের জীবনের মূল! তাঁর আর আমার মাঝে 
আর নেই কেউ বাকী সব ফেউ তবুও যদি কেউ
থাকে মোদের জীবনে জেনো তা ভুল! ভুল!! ভুল!!!
জীবন আজ পরিপূর্ণ তাই পুজি চরণ তোমার 
দিয়ে হৃদয় ফুল! হে আচার্যদেব! তুমি নিখুঁত! নির্ভুল!! 
এই শিক্ষা পেয়ে আমি আজ ধন্য, ধন্য হয়েছে
আমার জীবন; নেই আর কেউ মোর জীবনে
নেই কোনও দেবদেবী শয়নে-স্বপনে-জাগরণে
হে আচার্যদেব! আচরণ ক'রে ক'রে  যা শেখালে
হাতে কলমে ক'রে করিয়ে মোরে বাঁচিবার তরে
যদি না তুমি আচার্য রূপে থাকিতে এ ভবে তবে
সাজা সৎসঙ্গীর ভিড়ে হ'তো আমার নিশ্চিত মরণ!



উপলব্ধিঃ ১৬

বিচার ও বিচারক!

কথায় আছে, চালুনি বলে, সূঁচ তোর পিছনে ফুটো কেন? এমনটা কেন হয়? কখন হয়? কেউ কি জানো?
কারণ থাকুক আর না থাকুক অন্যকে খোঁচা না দিয়ে, নীচা না দেখিয়ে, দোষ না দেখে, নিন্দা, সমালোচনা না ক'রে মানুষের যেন খাবার হজম হয় না, রাতের ঘুম হয় না; ব্যাপারটা যেন এরকম! খোঁচা মারা, নীচা দেখানো, দোষ ধরা, সমালোচনা করা, নিন্দা করা ইত্যাদি মানুষের কাছে হজমোলা আর রাতের ঘুমের ওষুধের মতন। এই ওষুধে হজম ও ঘুমের কাজ হয় বৈকি! হয় বদহজম আর চিরনিদ্রা!
পেটের মধ্যে পাকিয়ে ওঠে অসহিষ্ণুতার তীব্র গ্যাস। উঠে আসে উপরে, ঠেলা মারে একেবারে হৃদপিণ্ড ছাড়িয়ে ব্রহ্মতালুতে। হৃদপিণ্ডে বা মস্তিষ্কে ধাক্কা মারলে হয় একেবারে ইতি আর নাহয় আধা মানুষ আধা যন্ত্রবৎ। আর ব্রহ্মতালুর অসহিষ্ণুতার আগ্নেয়গিরি ফেটে বেরিয়ে আসে আদর্শের প্রতি সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য, কৃতীসম্বেগ, ভালবাসা ইত্যাদির গরম লাভা দোষদৃষ্টি হ'য়ে অন্য জীবনের প্রতি। কপট গুণের গরম লাভায় অন্যের জীবন ছারখার ক'রে দিয়ে তৃপ্তি পেতে চায়, শান্তি পেতে চায়, সুখ পেতে চায় জীবন। হিংসার আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক ক'রে দিতে চায় অন্যের সাজানো বাগান নিজে কিছু করতে না পারার ব্যর্থতায়। নিজের ভুল, নিজের দোষ, নিজের ত্রুটি, নিজের খুঁত, নিজের অপারগতা, নিজের অক্ষমতা, নিজের ব্যর্থতা, নিজের অপরিপক্বতা, নিজের অজ্ঞানতা, নিজের বিশৃঙ্খলা, নিজের নীচ মানসিকতা, নিজের অদক্ষতা, নিজের অপটুতা, নিজের অসহিষ্ণুতা, নিজের অদূরদর্শিতা, নিজের অসততা, নিজের কপটতা ইত্যাদির তীব্র বিষাক্ত বীজ অন্যের জীবনে বপন ক'রে দিয়ে শ্মশান ক'রে দিতে চায় অন্যের জীবন ও চারপাশ। মানুষকে বিভ্রান্ত ক'রে, পথভ্রষ্ট ক'রে, আদর্শকে কালিমালিপ্ত ক'রে, পরিবেশকে কলুষিত ক'রে আদর্শের মিশন রথের অগ্রগমনকে রুখে দিতে চায়, আদর্শের চাকাকে চায় থামিয়ে দিতে, আদর্শের রথের দড়িকে চায় টেনে ধ'রে রাখতে আর সেই সমস্ত নোংরা কাজের দায় চাপিয়ে দিতে চায় ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন পথে এগিয়ে চলা আদর্শের স্বার্থ প্রতিষ্ঠায় শ্রমসুখপ্রিয় আদর্শের অকপট সৈনিকদের ঘাড়ে!!!!!!!! এমনটা কেন হয় জানো?
জীবন যখন তার গতিময়তা হারায় তখন হয় জেনো।
তাহ'লে এখন কি করণীয়? কে করবে বিচার? কি হবে বিচার? কে হবে বিচারক?
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময় পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ব'লে যাওয়া 'সত্যানুসরণ' গ্রন্থের অমৃতনিষ্যন্দী বাণী মনে পড়লো।
শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন, "বিচারের ভার, শাস্তির ভার আপনহাতে নিতে যেও না; অন্তরের সহিত পরমপিতার উপর ন্যস্ত কর, ভাল হবে।"
( লেখা ৩১শে জানুয়ারী'২০১৮)

Sunday, January 29, 2023

প্রার্থনাঃ ঈশ্বর-সংকট-ভক্ত!

সিনেমা সিরিয়ালে অভিনেতা অভিনেত্রীরা সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে যেভাবে প্রার্থনার নিখুঁত অভিনয় করছেন তাতে সত্যি-মিথ্যা প্রার্থনায় ঈশ্বর কনফিউজড! কার প্রার্থনা শুনবে আর কারটা শুনবে না ঈশ্বর ভেবেই আকুল!! প্রকৃত প্রার্থনাকারীরা এতে ঈশ্বরের দয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না তো!!! কি করবে প্রকৃত প্রার্থনাকারীরা!?
ঈশ্বর আর আম ভক্তর মাঝে ছাঁকনি দরকার, দরকার ফিল্টার পেপারের।
ঈশ্বরের কাছে আম ভক্তদের দাবী!?

তেমনি ঈশ্বর আর ভক্ত মাঝে নকল ঈশ্বরেরা আজ সিংহাসন দখল ক'রে বসে আছে। আম ভক্তকুল আজ দিশেহারা। কে আসল আর কে নকল ব'লে দেবে কে বা কারা? কে দেবে অকূল সমুদ্রে সাহারা?

ঈশ্বরের কাছে ভক্তকুলের আকুল প্রার্থনা।

(লেখা ৩০শে জানুয়ারী'২০১৯)

Saturday, January 28, 2023

কবিতাঃ নিথর হ'ক মরণ।

ঈশ্বর মানুষের মাঝে মানুষ রূপে 
মানুষ মায়ের গর্ভে বারবার 
আট আটবার নেবে আসা সত্ত্বেও 
ধর্ম ব্যবসায়ীদের ধর্ম ব্যবসা 
আর ধর্ম গুরুদের ঈশ্বর সাজা 
কাদের দয়ায়?
অশিক্ষিত মূর্খ বেকুব 
ধর্মভীরু দুর্বল মানুষ; 
যারা ডুবে আছে বৃত্তি-প্রবৃত্তির মদিরায়।
মরণ করেছে হরণ তাদের জীবন 
অকালে, অবেলায়।

প্রভু! তোমার চোখের তারা
ছাড়া আর কিছু
নেই এই দুনিয়ায়!
অর্জুনের মতো চেয়ে থাকি যেনো
ঐ মায়াবী চোখের তারায়!

দয়াল দাও ফিরিয়ে, ফিরিয়ে দাও জীবন!
অলৌকিক লৌকিক হ'য়ে উঠুক 
বারবার তোমার স্পর্শে, 
তোমার দয়ায় নিস্তব্ধ নিথর হ'ক মরণ!!

---প্রবি।

কবিতা/গানঃ দয়াল!

(দয়াল) তোমার লাগি পরান কাঁদে কেঁদে কেঁদে আকুল!
দাও দরশন, পাই দরশন ভেবে ভেবে ব্যাকুল!!
দয়াল আমার সদাশিব দয়াল আমার রাম
দয়াল মাঝে ব্রহ্মা বিষ্ণু সদাই আরাম!
মনে ভাবি এবার যাবো দয়ালধামে ঘর বানাইবো
প্রভু বলে নাম নাম রাধাস্বামী প্রাণারাম
মন বলে নাম প্রাণায়াম
হে রাম! বুঝি নাই নাম পরমধাম!
আর, বুকের মাঝে রাখি তোমায় পরম যতনে
পরাণ রশি দিয়া বাঁধি শয়নে স্বপনে!
মনে ভাবি এবার যাবো দয়ালধামে ঘর বানাইবো
প্রভু বলে নাম নাম রাধাস্বামী প্রাণারাম
মন বলে, নাম প্রাণায়াম
হে রাম! বুঝি নাই নাম পরমধাম!
মাথায় নিলাম চরণধূলি
বুকের মাঝে চলন তুলি
তুলি দিয়া ছবি মন বানাইলি
হে রাম! বুঝি নাই জনমে জনমে আসিলি!
দয়াল প্রভুর চরণ তলে বাঁচা-বাড়ার বাসা!
দয়াল আমার প্রেমের ঠাকুর বুক ভরা আশা!!
মনে ভাবি এবার যাবো দয়ালধামে ঘর বানাইবো
প্রভু বলে, নাম নাম রাধাস্বামী প্রাণারাম
মন বলে, নাম প্রাণায়াম
হে রাম! বুঝি নাই নাম পরমধাম!
দয়াল আমার প্রভু রাম!
দয়াল আমার কৃষ্ণ!
দয়াল মাঝে বুদ্ধ-যীশু
আর রসূল নিমাই রামকৃষ্ণ।
---------প্রবি।
(লেখা ২৯শে জানুয়ারী'২০২০)

প্রবন্ধঃ এসো গেয়ে উঠি বন্দে পুরুষোত্তমম!

কি ভয়ংকর সময়ের মুখোমুখি আমরা হ'তে চলেছি!? কেউ কি বলতে পারো? সবাই মিলে করছেটা কি!? হচ্ছেটা কি!? দেশজুড়ে চলছেটা কি!? আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কি রেখে যাবো!? নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমরা কি করছি!? সেই যে ব্রিটিশ চলে যাবার সময় দেশ ভাগ ক'রে হিন্দু মুসলমানের সমাধানের মাধ্যমে হিন্দু মুসলমানের শত্রুতার জন্ম দিয়ে গেল দেশনেতাদের সহযোগিতায় সেই শত্রুতার ডিম আজও ফুটে চলেছে দেশীয় বুদ্ধিজীবীদের সহযোগীতায় ও মহান ভীষ্মদের নীরবতায়!

হে বন্ধু! তোমরা যারা কবিতা লেখো, গান গাও, ছবি আঁকো তা একবার লেখো না জীবনের কবিতা, গাও না বাঁচার গান, বেড়ে ওঠার ছবি আঁকো না একবার; অন্তত একবার পক্ষপাতশূন্য হ'য়ে বিবেক স্পর্শ ক'রে! স্বাধীনতার ৭২ বছর পরে সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো!? শুরু হ'লো বাঙালি-অবাঙালি মেরুকরণ!?
কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, গায়ক, অভিনেতা তোমরা তোমাদের ভিতরের ক্ষমতাকে ঈশ্বরের সৃষ্টি এই পৃথিবীকে মানুষের পৃথিবী এবং ভালোবাসা ও প্রেমের বাগিচা গড়ার কাজে লাগাবে না? করবে না ব্যয়!? বুক ফাটো ফাটো ক'রে গাইবে না ঈশ্বরের গান!? এত অহঙ্কার!? এত দম্ভ!? এত নাক উঁচু!? এত অবিশ্বাস!? নিজের জ্ঞান, শিক্ষার প্রতি এত আস্থা!? নকল অবাস্তব অসম্পূর্ণ মতবাদের প্রতি এত দরদ!? এত অ্যালার্জি ঈশ্বরের জীবনবাদের মতবাদের উপর!? এত উষ্মা প্রকাশ ঈশ্বরের নামে!?

হে সাথী! হে আমার ভাইবোন!! এসো না সবাই মিলে উর্ধ্বে দু'বাহ তুলে বুক ফাটো ফাটো ক'রে গেয়ে উঠি "ইশ্বর-আল্লা তেরো নাম, সবকো সুমতি দে ভগবান" আর সম্মিলিত কন্ঠে একমেবাদ্বিতীয়ম পরমপ্রেমময় পরমপিতা পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরাম, শ্রীশ্রীকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীবুদ্ধ, শ্রীশ্রীযীশু, শ্রীশ্রীমোহাম্মদ, শ্রীশ্রীমহাপ্রভু, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের উদ্দেশ্যে বলি, বন্দে পুরুষোত্তমম! বন্দে পুরুষোত্তমম!! বন্দে পুরুষোত্তমম!!! 
(লেখা ২৯শে জানুয়ারী'২০২১)



No photo description available.
All reacti

Friday, January 27, 2023

প্রবন্ধঃ এই কি জীবন!

কুড়িতে বুড়োবুড়ি!!! ছাব্বিসে বনবাসী!!!!!সাতাশে হা-হুতাশ!!!!!তিরিশ বিষ!!!!!! পঞ্চাশ শেষ শ্বাস!!!!!

এই কি জীবন???
জীবনে চলার পথে নানা ঘটনায় মনটা নাড়া খেয়ে যায়। ঘটনার টানাপোড়েনে আমরা derail হ’য়ে পড়ি। আর তার খেসারত দিতে দিতে স্বল্প সময়ের জন্য আসা এই জীবনটা শেষ হ’য়ে যায়। না বলা কথা, না বলা ব্যথা বুকের মাঝেই থেকে যায়। সেই derailed হ’য়ে যাওয়া মনটাকে railed করার চেষ্টায় বা তাগিদে এবং জীবনের অভিজ্ঞতা গুলি share করার জন্য এসো একটু গল্প করি। মনটা ভালো হয়ে যাবে।


মনটা পিং পং বল!!!!!!!! কোথাও নির্দিষ্ট ভাবে থাকে না। এটা সাধনার ব্যাপার!! আমরা সত্যিই কেউ জানি না বা জানার চেষ্টাও করিনা কেন আমাদের মাঝে মাঝে ভালো লাগে না! কাছের মানুষরা কেউ চিরদিন কাছে থাকে না। আবার আজ যে কাছের মানুষ সময়ের চাবুকে সে দুরের মানুষ হয়ে যায়। যে কাছের মানুষ সে বা আমি যেমন জানি না আজ কেন সে কাছের মানুষ ঠিক তেমনি জানি না কেন সে আজ দুরের মানুষ!!! সবটাই Superficial thought-র মত Superficial relation!!! আমাদের জীবন ও জীবনের চারপাশটা সত্যিই এলোমেলো আর এলোমেলো বলেই তার প্রতিফলন মনের গভীরে প্রতিফলিত হয়! আর সেই প্রতিফলনের তীব্রতা এতটাই গভীর ছাপ ফেলে যায় নিজের অজান্তে যে আমরা সেই রঙ্গে রাঙ্গিয়ে যায় আর Identity Crisis-এর শিকার হয়ে পড়ি! তাই ফেসবুক ছেড়ে যারা চলে যাবার কথা বলে বা চলে যায় তারা কোথায় চলে যাবে! একবারই তো আসা আর একবারই তো যাওয়া! আর এর মাঝে তো শুধু কলুর বলদের মত সংসার ঘানির চারিদিকে ঘোরা আর ঘোরা! তাই না! কাউকে কি ছেড়ে যাওয়া যায়? ছেড়ে যতই যেতে চায়, সে যে ততই আদুরে নরম হাতে আঁকড়ে ধরে, ধরতে চায়! বড় মায়া জাগে! পিছন ফিরে দেখি জুলজুল চোখে সে যে আমায় মায়াবী হাতছানি দেয়! আর তখন বড় আলুনি লাগে!!!!! তুমি কাউকে ছেড়ে যেও না, সে তোমায় সবাই ছেড়ে চলে গেলেও!! তুমি সবার বন্ধু হয়ে থাকো, তা সে সবাই তোমাকে বন্ধু ভাবুক আর না ভাবুক! তুমি কাকে ছেড়ে যাবে!!!! তোমার শরীরের মাঝে যে অন্য তুমি আছো সে তোমায় ছাড়তে চাই না আর তোমার শরীরও তাকে ছাড়তে চাই না যে!!! কি করবে এখন? কখনো ভেবে দেখেছো কি? ঝড় আসবে , তুফান আসবে, আসবে মহাপ্রলয়! তোমাকে অটল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে গাছের মত ঝড়, জল, তুফান, হীমশীতল বাতাস, প্রখর রৌদ্রকিরণ ছটা সহ্য করে! বন্ধু, পারবে না? গাছের দিকে তাকিয়ে দেখো তো! কত কষ্ট সহ্য করে সে! আর তা সহ্য করে আমাদের জন্যই! তাই ছেড়ে যাওয়ার কথা ভুলে যাও। ভুলে যাও কে এল আর না এল, কে কাছে থাকলো আর না থাকলো! শুধু তুমি দূরে চলে যেও না সবার কাছে থেকে। কেউ তোমায় ছেড়ে যাক এটা তুমি যদি না ভালোবাসো, তাহ'লে তুমি ছেড়ে চলে যাবে সবাইকে, এ-কথা কেন ভাবছো!!!! কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল। The greatest phenomenon of the world Sri Sri Thakur Anukul chandra-এর বহু ব্যবহৃত একটা কথা------"DO UNTO OTHERS AS YOU WISH TO BE DONE BY" -----...যে কথা তিনি বারবার বলতেন তার প্রিয় মানুষদের! যে কথার বাংলা অনুবাদ করে বলতেন, "অপরের প্রতি কর সে আচরণ, নিজে যাহা পেতে তুমি কর আকিঞ্চন।" তাই বলি থেকে যাও, কিছুদিনের জন্য নয়, সারাজীবনের জন্য সবার মাঝে! পালিয়ে গিয়ে বাঁচা যায় নাকি! আর কার জন্য পালাবে? এই লুকোচুরির খেলা খেলতে খেলতে একদিন হাঁপিয়ে উঠবে আর সেদিন দেখবে জীবনে সব থেকেও কিছু নেই। শুধু ভাবো তুমি কেন এসেছো? কেন এসেছো এই ধরাধামে? কান পেতে শোনো, মহাসিন্ধুর ওপার থেকে ভেসে আসছে, ভেসে আসছে কি সঙ্গীত! তমসার পার অচ্ছেদ্য বর্ণ মহাণ পুরুষ ইষ্টপ্রতিক রুপে বারবার আবির্ভুত হ’য়ে তোমায় বলছে, “I have come to fulfill, not to destroy! Don’t worry about everything around you. That’s my job! Love HIM” কান পেতে শোনো, বলছেঃ “তুমি কেন জন্মেছ, মোটাভাবেও কি দেখেছো? থাকাটাকে কি উপভোগ করতে নয়----চাহিদা ও কর্মের ভিতর দিয়ে......পারস্পরিক সহবাসে...... প্রত্যেক রকমে? ঠিক তেমনি বুঝছো না, ভগবান কেন সৃষ্টি করেছেন? উত্তর কি এখন? নিজেকে অনুভব করতে......বিশ্বে প্রত্যেক অনুপাতে, দেওয়ায়, নেওয়ায়, আলিঙ্গনে, গ্রহণে, কর্ম্ম বৈচিত্রে! নয় কি?” তাই যখনই মনে হবে “আমি নেই, আমি নেই, ব্যাথায় ব্যাথায় মন ভরে যায়" তখনই জোর করে গভীর অবসাদের তলদেশ থেকে ভেসে ওঠ, ভেসে উঠে বল "আদি নেই, অন্ত নেই! তুমি আর আমি! প্রশ্ন নেই, উত্তর নেই; শুধু তুমি আর আমি!” আনন্দধারা বহিছে ভুবনে, আমি আছি, আমি আছি, আছি সবার মাঝে! আনন্দে আনন্দে মন ভরে যায়!---প্রবি।
(২৮শে জানুয়ারী' ২০১৪)
No photo description available.
A

উপলব্ধি ৫১

ব্যতিক্রম.........

ঠাকুর ধ'রে সৎসঙ্গীদের যাদেরই চোখ খুলছে ও খুলেছে পরে গিয়ে তারা ঠাকুরকে ছেড়ে দিচ্ছে ও দিয়েছে!!
ঠাকুর ধরার আগে সৎসঙ্গী যারা দুঃখে-কষ্টে ছিল ঠাকুর ধরার পর সুখ সাগরে ভেসে ঠাকুর গিয়েছে ভুলে ও যাচ্ছে ঠাকুরকে ভুলে!!!
ঠাকুর ধরার আগে সৎসঙ্গী যারা রোগ-শোকে ভুগতো ঠাকুর ধরার পর নিরাময়ের পথে এসে ঠাকুর হয়েছে গৌণ ও ঠাকুর হচ্ছে নাম-কা-ওয়াস্তে!!!!
ঠাকুর ধ'রে যারা অশান্তির মেঘ থেকে হয়েছে মুক্ত, শান্তির ছত্রছায়ায় থেকে তাদের কাছেই ঠাকুর আজ বোঝা ও হ'য়ে উঠছে বিরক্তির কারণ!!!!!
ঠাকুর ধরার আগে যারা ছিল শারীরিক-মানসিক দুর্বল ও রুগ্ন তারাই ঠাকুর ধরার পর হ'য়ে উঠেছে সবল ও বলিষ্ঠ আর তারপরেই ঠাকুরকে দিয়েছে ঠেলে পিছনে!!!!!!
ঠাকুর ধরার আগে যারা ছিল অজ্ঞানী-মূর্খ ঠাকুর ধ'রে হয়েছে অসীম জ্ঞানী আর ঠাকুরকে তারাই দিয়েছে ও দিচ্ছে হুরকো!!!!!!!
ঠাকুর ধ'রে যারাই তার দয়া পেয়েছে, হয়েছে বিত্তশালী তারাই ঠাকুরকে বানিয়েছে তাদের আয়ের উপকরণ, করেছে ও করছে দলাদলি!!!!!!!!
ঠাকুর ধরার আগে যারাই কম কথা বলতো, ছিল মুখচোরা ঠাকুর ধরার পরে তারাই হয়েছে মুখরা ও সাপ ঢোঁড়া!!!!!!!!!
ঠাকুরের কাছে আসার আগে যারাই ধর্ম মানতো না ও ঈশ্বরে অবিশ্বাসী ছিল তারাই ঠাকুরকে ধরার পর হয়েছে অতি ধার্মিক ও ঈশ্বর বিশ্বাসী; বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাকুরের ধরকন!!!!!!!!!! কথায় আছে, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
ঠাকুর ধরার আগে যাদের কোনো ছিল না সামাজিক পরিচিতি, ছিল না মান-মর্যাদা; ঠাকুর ধরার পরে সাদা পোশাকে সেজে দেখাচ্ছে ঠাকুর প্রীতি আর তুলছে ঠাকুর প্রেমের অম্ল ঢেঁকুর সর্বদা!!!!!!!!!!
ঠাকুর ধরার আগে যাদের ছিল না কোনও বুদ্ধি, ছিল না কোনও বোধ ঠাকুর ধরার পরে তাদের এমন খুলেছে বুদ্ধি, জেগেছে এমন বোধ যে ঠাকুর আত্মজ নিয়ে বালখিল্য প্রশ্ন তুলে গড়ে তুলছে কুৎসার সৌধ!!!!!!!!!!!
ঠাকুর ধরার পর "তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো..........." ব'লে যারা গেয়েছিল গলা ছেড়ে শপথের গান তারাই পরে ঠাকুরকে রেখেছে কুলুঙ্গিতে তুলে, মেরেছে ও মারছে হাজার কথার বান!
যারাই জীবনে গ্রহণ করেছে ঠাকুর অনুকূল তারাই ঠাকুরের মিশন প্রতিষ্ঠার পথে হয়েছে বাধা ও হ'য়ে উঠছে ঘোর প্রতিকূল!!!!!!!!!
ব্যাতিক্রমী চরিত্র কি নেই!? আছে, আজও আছে। তবে নিতে হবে খুঁজে!!!!
( লেখা ২৮শে জানুয়ারী'২০১৯)

গণতন্ত্র কা চৌথা স্তম্ভ।

দেশ মে হো রহা হ্যায় ক্যা!? মিডিয়াবালো আপস মে লড় রহা হ্যায়!? সরকার আউর মিডিয়া কে বিচ মে লড়াই কিউ!? কৌন সচ হ্যায়!? কৌন সহি আউর কৌন ঝুটা হ্যায়!? গণতন্ত্র কা চৌথা স্তম্ভ মিডিয়াবালো আপসমে লড় কর আজ গণতন্ত্র কা, সচ কা গলা দাবা রহা হ্যায়!? কিস কো বিশোয়াস কঁরু আউর কিস কো ভরসা!? সচ কো কৌন উগোলবায়েগা!?

আজ সবসে বড়া সওয়াল ইয়ে হ্যায় কি দেশমে সচমুচ গণতন্ত্র কা চার স্তম্ভ 1.আইনসভা, 2.বিচার বিভাগ, 3.আমলাতন্ত্র, 4.গণমাধ্যম কৈ স্তম্ভ মে এক ভি 'আদমি' নেহি হ্যায়!? দেশ সচমুচ 'আদমি' শূন্য হো গ্যায়া!? গণতন্ত্র কা চার স্তম্ভ মিলকর খাট্টা মিঠা, অমৃত-জহর জো খিলায়েগা ওহী খাউনগা!? জো দিখায়েগা ওহী দেখুঙ্গা!? জো শুনায়গা ওহী শুনুঙ্গা!? আপনা আপনা সোচ, বিচার, বুদ্ধি, শিখসা সব খতম!?
ইসে কহেতি হ্যায় কলযুগ!?!?!?
আজ দেশভর স্কুল, কলেজ, শিখসা প্রতিষ্ঠান সে হর সাল লাখো করোর ছাত্র পাস করকে নিকলতে হ্যাঁয়, উসমে বহুত ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ভি হ্যাঁয় তো সব ক্যা কানাইয়ালাল বন গ্যায়া!? বনো তুম সব, জো মন চাহতা হ্যায় লেকিন ৭০সাল তক ল্যাংড়া রহা হুয়া দেশ কো আপনে পায়ের পর খাড়া হোনে কে লিয়ে কমসে কম মিনিমাম সহায়তা করো! কিউকিঁ ভারতবাসী হোনে কে নাতে তুমকো থোড়া বহুত ডিউটি হ্যায়! বাস! ইয়হী মাঙ্গ হ্যায় তুমসে ল্যাংড়া দেশবাসী কা!
প্রবি।
(লেখা ২৩শে অক্টোবর' ২০২০)
All reaction

Thursday, January 26, 2023

চিঠিঃ হামিমদাদাকে খোলা চিঠি।

হামিম দাদা আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নেবেন। এই খোলা চিঠিতে আপনাকে খোলাখুলি হ্যাটস অফ জানাই। আবার একটা সুন্দর বাংলার সুন্দর বাঘ সুন্দরবনের সুন্দর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়েছে!!! আপনাকে এই বাংলার, এই ভারতের আমার মত সাধারণ কোটি কোটি মানুষের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। এই বাঘের জন্য আমি এই লেখাটা আমার Time line-এ উৎসর্গ করলাম।

আপনার বক্তব্যে জানাই দাদা এটা মানবতার লজ্জা। এটা আমাদের মত লেখাপড়া জানাওয়ালা মানুষের লজ্জা। আমরা লেখাপড়া জানাওয়ালা মানুষেরা যতদিন শিক্ষিত মানুষ আর লেখাপড়া জানাওয়ালা মানুষের মধ্যে তফাৎ বুঝতে না পারবো এবং নিজেরা যতদিন না লেখাপড়া মানুষের সঙ্কীর্ণ আঙ্গিনা থেকে বেরিয়ে শিক্ষিত মানুষের বিশাল আকাশের তলায় দাঁড়িয়ে প্রাণভরে শিক্ষার প্রকৃত স্নিগ্ধ বাতাস বুকে নিয়ে শিক্ষিত হ'য়ে উঠতে না পারবো ততদিন এই ঘটনা ঘটবে পৃথিবী জুড়ে ধর্ম্ম, শিক্ষা, রাজনীতি, সঙ্গীত, ক্রীড়া ইত্যাদি সমস্ত আঙ্গিনায়!!!!!!!!!!!!!! তাই দাদা এই ঘটনায় লজ্জিত বা ক্ষমা চাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। কার কাছে ক্ষমা চাইছেন বা লজ্জার কথা বলছেন? পৃথিবীতে সৃষ্টির পর সভ্যতার আলোয় আলোকিত মানুষেরাই তো মানবতার নামে, ধর্ম্মের নামে, ঈশ্বরের নামে, রাজনীতির নামে, শিক্ষার নামে মানবতার পতাকা হাতে, ধর্ম্মের পতাকা হাতে, ঈশ্বরের পতাকা হাতে, রাজার নীতির পতাকা হাতে, শিক্ষার পতাকা হাতে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে হিংসা, ঘৃণা, মারামারি, কাটাকাটি, বিচ্ছেদ, বেইমানি, নেমকহারামী, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদী ইত্যাদীর নেতৃত্ব দিয়েছি আর মান ও হুঁশ হারিয়ে মানুষকে বলেছি মানুষ হ'তে!!!!!!! মানুষের চরম সর্বনাশ করে যুবসমাজকে বলেছি (রামকৃষ্ণকে সযত্নে এড়িয়ে ও উপেক্ষা ক'রে) বিবেকানন্দের আদর্শে এগিয়ে চলতে!!! আমরা কবিতা লিখছি, গল্প লিখছি, উপন্যাস লিখছি, প্রবন্ধ লিখছি, ছবি আঁকছি, ছবি তুলছি, ছবি তৈরি করছি, গান গাইছি, বক্তৃতা দিচ্ছি, প্রবচন শোনাচ্ছি আরো আরো কত কি করছি। ঝড় তুলছি, তুফান তুলছি কত কি!!!!! নিজে যেটা করি না সেটা বলছি অন্যকে করতে, নিজে যেটা মানি না অন্যকে বলছি সেটা মানতে, নিজে যেটা বলি না অন্যকে বলছি সেটা বলতে, নিজে যেটা জানি না সেই সম্বন্ধে লোককে বলছি বুক ফাটিয়ে, নিজে যেটা নই সেই সম্বন্ধে জাহির করছি নিজেকে!!!!!!!!!! কোথায় যাবো দাদা!!!! এ-তো যেন সেই সীতার মত বলতে হয় 'ধরণী দ্বিধা হও!!!!' এ-নিজের কাছে নিজের লজ্জা! আমরা লেখাপড়া জানাওয়ালা মানুষেরাই এদের পৃষ্টপোষক দাদা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ঘটনা আপনাকে ব্যাথিত করেছে, আপনাকে লজ্জা দিয়েছে। এসব দেখে, নিজেকে দায়ী ক'রে ক্ষমা চাইছেন দেখে আমার বুক ফাটো ফাটো করে বলতে ইচ্ছে করছে 'হে আল্লা, হে ঈশ্বর, হে প্রভু শিক্ষিত মানুষে দেশ ভরে দাও তুমি, দেশ ভরে দাও।' আর বলতে ইচ্ছে করছে, 'আপনার মত সুসন্তানে, শিক্ষিত সন্তানে দেশ ভরে যাক মা, সুসন্তানে, শিক্ষিত সন্তানে দেশ ভরে যাক।'

হামীম ফারুক

· Another heinous attack on Hindus in the same place-Obhoynagar tonight. When a State in a hibernation, this act will surely be happened repeatedly. We are ashamed of such recurred violence. Our sincere and heartfelt apology to dear fellow Hindu brothers and sisters.

(লেখা ২৭শে জানুয়ারী'২০১৪)


উপলব্ধিঃ "হাঙ্গামা হ্যায় কিউ মিডিয়া? থোড়ি সি যো নাচ লি হ্যায়"!!

২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। আজকের দিনেই নাকি ‘স্বাধীন’ হয়েছিল দেশ, তাই ধর্মতলায় প্রজাতন্ত্র দিবসে এই দিনটাকে স্মরণ করে মানুষ নাকি আনন্দ করছেন, বকশিস দিচ্ছেন শিল্পীকে। বাংলার বুকে বিহারী সংস্কৃতির উত্থান! ধর্মতলায় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে চটুল নাচ। প্রকাশ্যেই উড়ল টাকা। এই নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড়। আমরা পন্ডিতরা কেন যে ভুলে যাই 'নানা ভাষা,নানা মত,নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান' কথাটা, তা' বুঝতে পারি না। একটা সংস্কৃতির সঙ্গে আর একটা সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে আজকের যুব সমাজ, আজকের প্রজন্ম, আজকের নেতৃত্ব এতে কি বিরাট মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল এটাও এই ছোট্ট মাথায় ঢুকছে না! মাল খাওয়ার জন্য হাঙ্গামার বিপক্ষে আর মাল খাওয়ার স্বপক্ষে গুলাম আলী সাহেবের মায়াবী গজলের সওয়াল "হাঙ্গামা হ্যায় কিউ বারপা, থোড়ি সি যো পি-ই লি হ্যায়..." আর গানের সঙ্গে সঙ্গে এলিটদের বিজ্ঞতার পরশ ছোঁয়ানো মাথা দোলানো যদি উচ্চ মার্গের সংস্কৃতি হয়ে থাকে তাহলে আজকের প্রজন্মের, আজকের যুব সমাজের, আজকের উঠতি তুর্কি নেতৃত্বের 'থোড়ি সি যো নাচ লি হ্যায়' অপরাধ কেন? কেন অপসংস্কৃতি? কেন চটুল নাচ? কেন গেল গেল রব? বুঝলাম না। বুঝিয়ে দেবেন কেউ। আমরা যেন ভুলে না যায়, বাংলার 'বাবু কালচার' আর ''মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন...' মহা মূল্যবান কথাটা।
(লেখা ২৭শে জানুয়ারী'২০১৬)

উপলব্ধিঃ ১৫ বাবা-মা

বাবা বাবা-ই আর মা মা-ই-ই!!!!!!
মা না বাবা কে বড় আর কে ছোটো কথাটাই ভুল। সন্তানের ক্ষেত্রে দুজনের ভূমিকাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবেশ অনুযায়ী কারও কারও ভুমিকা আরেকজনকে ছাপিয়ে যায় সময়ানুযায়ী এই-ই যা মাত্র।


একজন মা মা হওয়ার আগে মেয়ে থাকে তারপর বিধির বিধান অনুযায়ী বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করার পর পুরুষ বা স্বামীর সংস্পর্শে এসে মাতৃত্ব লাভ করে ঠিক তেমনি পুরুষও বাবা হওয়ার আগে ছেলে থাকে তারপরে বিবাহ হওয়ার সুবাদে নারী বা স্ত্রীর সংস্পর্শে এসে পিতৃত্ব লাভ করে। উভয়ের যৌথ আবেগ ও মিলনের মধ্যে দিয়ে যে তৃতীয় জনের আবির্ভাব হয় সেই তৃতীয় জন অর্থাৎ সন্তানের পরিচর্যার রকমফের দুজনের অর্থাৎ স্বামীস্ত্রীর দুরকমের হয়। কে বড় আর কে ছোটো, কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আর কে কম এসব তর্ক ক'রে জন্মদাতাদের ছোটো করা হয়। মায়ের সঙ্গে সন্তানের জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রূণ থেকে শুরু ক'রে ১০মাস ১০দিন পর্যন্ত যে সম্পর্ক সেই সম্পর্কের একটা অন্তহীন গভীর অর্থ বিদ্যমান। আর তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ী ছেঁড়া টান। ভ্রূণ সৃষ্টি থেকে শুরু ক'রে জন্ম নেওয়া পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় সন্তান মায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাই মায়ের সঙ্গে সন্তানের লাগাও থাকে চুম্বকের মতন। আর এই চুম্বকের টান সন্তান জন্ম থেকে সাবালক অর্থাৎ বড় হওয়া পর্যন্ত লালনপালনের মধ্যে দিয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হ'তে থাকে আর সেই টান থাকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত আর এই টান সব মায়ের দিক থেকেই থাকে একতরফা। মা মা-ই-ই!!!!! জন্মেই শিশু কেঁদে ওঠে ওঁয়া ওঁয়া ব'লে অর্থাৎ জড়ানো গলায় মা মা ব'লে। মা মা-ই-ই!!!!!!!!!!! ব্যতিক্রম অবশ্যই থাকে আর তা থাকে মহাপুরুষের ক্ষেত্রে। অবশ্য ঘোর কলির কথা আলাদা। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।


আর, সেই চুম্বকের টান বাবার সঙ্গেও থাকে। শুধু বাবাকে একটু সামান্য কৌশিশ করতে হয় মাত্র যা মাকে করতে হয় না।


যাই হ'ক, সন্তানের প্রতি মায়ের উপস্থিতির অন্তহীন সীমাহীন গুরুত্বের কথা অবনত মস্তকে মেনে নিয়েও বলছি আমার দেখা এমন বাবাও আছেন যে সন্তানকে, জন্মের পর থেকে সন্তান মাতৃহারা হওয়ার কারণে, মাতৃস্নেহে লালন পালন ক'রে এসেছে। হপ্যতো বা তা ব্যতিক্রম কিন্তু ধ্রুবতারার মত জ্বলজ্বল!!!!! যে কাজ একান্তই মায়ের, যে কাজ সম্পূর্ণ মা নির্ভর সেই কাজ একেবারে জন্মের পর থেকে পুরুষের পক্ষে করা যে কি অসম্ভব, কি ভয়ঙ্কর কঠিন তা' অনুভব করা কারও পক্ষে কখনও সম্ভব না কারণ সেই গভীর তীব্র বোধ বা অনুভূতি সম্পূর্ণ ঈশ্বরের; ঈশ্বর ছাড়া বাকী সবার সব কিছু সাধারণ মানের। ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত ও ঈশ্বরে বিলীন হ'য়ে যাওয়া মহাত্মা ছাড়া আর কারও পক্ষে এই অনুভূতি সম্ভব না। আর সম্ভব ভুক্তভোগীর! সাপের ছোবল যে খায়নি সে বুঝবে কি ক'রে সাপের বিষের অসহ্য যন্ত্রণাময় জ্বালা!?


আর সন্তান যদি ছেলের জায়গায় মেয়ে হয় আর মেয়ের মা মারা যায় তাহ'লে মেয়েকে নিয়ে বাবার যে কি কঠিন বিড়ম্বনা যতদিন না মেয়ের বিয়ে হ'য়ে মেয়ে স্বামীর বাড়ি চ'লে যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভুক্তভোগী বাবা ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। আর শুধু মা হারা মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত নষ্ট হ;য়ে যাবে সতীনের হাতে পড়ে এই কথা ভেবে ভেবে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন বহু বাবাও বাকী জীবন কাটিয়ে দিয়েছে একা, একা; আর বিয়েই করেননি!!!! 'ছেলেরা বিয়ে না ক'রে থাকতে পারে না' কথাটা সম্পূর্ণ বায়াসড কথা। একজন বাবা বাবা ও মা দুটোই হতে পারে এমন বহু নজীর আছে।

যাই হ'ক তবুও বলি মায়ের স্থান মায়ের আর বাবার স্থান বাবার তবুও পরিস্থিতি- পরিবেশ অনুযায়ী কখনো কখনো মা-বাবা উভয়কেই দুটো ভূমিকায় পালন করতে হয়। তাই কেউ ছোট ও কেউ বড় নয়। বাবা বাবাই আর মা মা-ই-ই!!!!!!!!!! সবাই সবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও সবাই সমান।
(লেখা ২৭শে জানুয়ারী' ২০১৮)

Wednesday, January 25, 2023

কবিতাঃ খুঁজে নাও তাঁরে।



এই নশ্বর পৃথিবীতে নির্ভুল নিখুঁত মানুষ কে?
আছে নাকি এমন মানুষ কেউ এই পৃথিবীতে!?
পূর্ণাঙ্গ মানুষ কথাটা খাটে নাকি মানুষেতে?

ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ নয় নির্ভূল ও নিখুঁত। 
সৃষ্টিকর্তা তিনি স্বয়ং আসেন নেবে মানুষ রূপে 
মানুষের মাঝে লীলা করিতে অদভুত! কে সে?

সে যে রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু
রামকৃষ্ণ আর অনুকূল রূপে বারেবারে আসেন 
নেবে মানুষের মাঝে, মানুষ রূপে দয়াল ধামের প্রভু!

আট আটবার এসেছেন নেবে সাধারণের মাঝে
অতি সাধারণ হ'য়ে দেয়নি কখনো নিজে থেকে ধরা;
প্রেমিক যে জন তৃষিত বুকে খুঁজে নেয় তাঁকে
কয়লার বুকে লুকিয়ে থাকে যেমন স্ফটিক হীরা!

ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফেরে যেমন পরশ পাথর 
হ'য়ে কাতর রাত্রিদিন, তেমনি খুঁজে নাও তাঁরে
প্রেম তৃষ্ণা নিয়ে বুকে সংসার মাঝে দয়াল প্রভুরে
মানুষের মাঝে মানুষ রূপে মানুষ মায়ের গর্ভে 
আসেন নেবে রাজ ভিখিরি রূপে হ'য়ে দীন অমলিন।

উপলব্ধিঃ ১৪ প্রতিবাদ।

প্রতিবাদের অর্থ কি? চীৎকার, চেঁচামেচি আর মারামারি করা? প্রতিবাদ মানেই কি কোমর বেঁধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঝগড়া মারামারিতে জড়িয়ে পড়া? প্রতিবাদের জন্য নিজেকে নিঃশেষ করা মানে কি মৃত্যুর দিকে নিজেকে ঠেলে দেওয়া? আমি যদি প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে না পারি তাহ'লে অন্যের অস্তিত্বকে রক্ষা করবো কি করে!? মাথা গরম ক'রে ফেলাকে কি প্রতিবাদ বলে? প্রতিবাদ করার জন্য শুধু তর্ক আর তর্ক, ঝগড়া আর ঝগড়া হাতিয়ার? এছাড়া আর কোনো হাতিয়ার নেই? মেনে নিলাম প্রতিবাদ না ক'রেও সার্বিকভাবে আমি মাটিতেই পড়ে আছি আর তাহ'লে করণীয় কি? যদি মাটিতেই প'ড়ে থাকি তাহ'লে তো আমার প্রতিবাদ করার যোগ্যতা ও দক্ষতাই থাকে না! আর, প্রতিবাদ করার যোগ্যতা ও দক্ষতা নেই যার সে অন্তরে ও বাহিরে ফাঁকা; তাই না? সে কি প্রতিবাদ করবে? সেকি প্রতিবাদের জন্য শক্তসমর্থ ও ভারসাম্য বজায় রাখার উপযুক্ত ব্যাক্তিত্ব? এটা ঠিক কথা যে একজনের নিস্বার্থ ত্যাগ স্বীকারের জন্যই আরেক জন তার সুফল ভোগ করে। যেমন ছোটবেলায় প্রায় সময় শুনতে পেতাম মা বলতেন, একে নষ্ট করে সবে দুঃখ পায়, আবার, একে ভালো করে সবে সুখ পায়।" যে একজনের কারণে সমগ্র মানুষ দুঃখ পায় তাহ'লে কি ধ'রে নেবো ঐ 'একজন' অসম্ভব শক্তিমান মানুষ? আর সমগ্র মানুষ ঐ শক্তিমানের অসম্ভব শক্তির কারণে আজ পরাভূত!? আর সমগ্র মানুষ কি মেটিরিয়ালস দিয়ে তৈরি যে একজন হিলিয়ে দেয় সবাইকে!? ফাঁকা কলসি? কথায় আছে......সে তো সবাই জানে---- ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশী। তাহ'লে দাঁড়ালো, সমষ্টির কোনও মূল্য নেই? হ্যাঁ, কপট সমষ্টি শুধু হাতড়ে মরে। খারাপ কাজ দেখেও চুপ ক'রে ব'সে থাকার অর্থ 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা।' যারা এইরকম মানসিকতার তাদের নিয়ে আলোচনা করা বৃথা।। কিন্তু সব চুপ ক'রে থাকা চুপ ক'রে থাকা নয়। যারা চুপ ক'রে থাকার ব্যক্তিত্ব নয় অথচ চুপ ক'রে থাকে হয় তারা কোনও কারণে অসহায় কিম্বা অনেক বড় নাটকের জন্য তৈরী হচ্ছে, তারা রচনা করছে ভবিষ্যৎ কে স্বাগত জানাবার জন্য বিশাল মঞ্চ!!!! তাই কালের নিয়মে পৃথিবী ধ্বংস হ'লেও আবার নতুন পৃথিবী তৈরীর নেশায় কিছু মানুষ মত্ত, মত্ত হাতির ন্যায় উন্মত্ত!!!
তাঁরা নির্মাণ করেছে নিরালা নিবেশ! নিভৃত কেতন! সেখানে তাঁরা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, হাসায় হাসে ভাসায় ভাসে সবাইকে! তাই প্রতিবাদ মানে ধ্বংসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নতুন ক'রে সব সৃষ্টি। প্রতিবাদ মানে নীরবে, নিভৃতে নির্মাণ।
(২৬শে জানুয়ারী'২০১৮)

কবিতাঃ মানুষ রূপে মানুষের মাঝে।

বন্ধু! বলো, কিন্তু বলার আগে করো
করো, কিন্তু করার আগে ধরো।
মরো, কিন্তু মরার আগে করো; ক'রে মরো।
মরো, কিন্তু মরার আগে কেন মরো?
যার জীবনে যত ভুল কম সে তত সুখী;
আনন্দে থাকে সে বেশী।
ভুল হীন যার জীবন
দেখায় না তারে ভয় মরণ।
ভুল হীন জীবন কেমন
ক'রে পাবো তাকে?
নির্ভুল, নিখুঁত যে জীবন
গ্রহণ করো তাঁকে, সর্বাগ্রে।'
নির্ভুল, নিখুঁত জীবন' আছে নাকি
'জীবন' মাঝে!?
পূর্ণাঙ্গ রূপে বিরাজিছে জগৎ মাঝে
প্রিয়পরম সে যে!!
কে সে? 
যে বিরাজিছে জগত মাঝে পূর্ণাঙ্গ সাজে!?
নির্ভুল, নিখুঁত হয় নাকি কেউ জগত মাঝে!?
বন্ধু! প্রিয়পরম ঈশ্বর সে যে!!!
ঈশ্বর? আকাশের ঈশ্বর?
বোবা সে যে!
ভুল আমার শুধরে দেবে কেমন ক'রে সে!
নির্ভুল, নিখুঁত ঈশ্বর জেনো
মানুষ রূপে মানুষের মাঝে।

(লেখা ২৫শে জানুয়ারী' ২০২০)

কবিতা/গানঃ জীবন নিয়ে বাঁচি।

আমার খেয়া বিষাদ হাওয়ায়
ভাটিতে কেবল ভাসি;
ভাসিতে ভাসিতে নিজেকে হাসায়
শুনিয়ে এক নিঠুর বাঁশি।
হঠাৎ আজি গেয়ে উঠি
বিষাদ ভরা গান!
সেই গানেতে মরণ কেন
দেয় যে আমায় শান
মরণেরে আমি যেন করেছি 
আমার সাথী।
আমার খেয়া বিষাদ হাওয়ায়
ভাটিতে কেবল ভাসি;
ভাসিতে ভাসিতে নিজেকে হাসায়
শুনিয়ে এক নিঠুর বাঁশি।
মরণীয়া বিষাদিয়া মন কাঁদানো বাঁশি।
ফিনিক ফিনিক শুকনো বুকে রক্ত কণা ঝরে
বুকের মাঝে যায় ছড়িয়ে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে।
মরণীয়া বিষাদিয়া মন কাঁদানো বাঁশি।
বাঁশির সুরে মন উথাল পাতাল
হারায় মুখের হাসি।
দুঃস্বপ্ন নিয়ে ঘেরা আমার 
জীবন নিয়ে বাঁচি।

(লেখা ২৫শে জানুয়ারী'২০২০)


Monday, January 23, 2023

প্রবন্ধঃ নেতাজীর জন্মদিনে এ অপমানের সংস্কৃতি বন্ধ হ'ক।

আজ ২৩শে জানুয়ারী'২০২৩ ভারত রত্ন নেতাজীর ১২৬তম জন্মদিন। তাঁর চরণে আমার আন্তরিক অকৃত্রিম অকপট প্রণাম জানাই। দেশজুড়ে তাঁর জন্মদিন পালন হচ্ছে। আজ আনন্দের দিন। আনন্দের দিন ভারতবাসীর কাছে এইজন্য যে আজ সবাই ছুটির মেজাজে আছে। সকাল থেকে আমি যা দেখেছি বাড়িতে বাড়িতে হাটে বাজারে আজ খাওয়াদাওয়া আয়োজনের ও বিক্রি বাট্টার রমরমা। আর সরকারী, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নেতাজীর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে শুধু একটা আনন্দ ফুর্তি করার অজুহাত মাত্র। আজ সবচেয়ে বেশী বিক্রি হবে মদ ও মাংস। সেলিব্রেট হবে নেতাজীর নামে 'হে হিটলার!' ব'লে। আজ কে কত নেতাজী দরদী নেতাজীর ফটোর সঙ্গে তার চলবে ফটো তোলার প্রতিযোগিতা সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে, ক্লাবে ক্লাবে। চলবে নানা অনুষ্ঠানে ও টিভিতে টিভিতে নানা দলের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ নেতাজীর মূল্যায়ন ও প্রকৃত সম্মান পাওয়া আর না-পাওয়া নিয়ে। নেতাজীর কষ্ট, নেতাজীর যন্ত্রণা বোঝার বা অনুভব করা আজ শীতের সকাল-দুপুরে বাতুলতা বা অতিরিক্ত আবেগ মাত্র! আর এইসব চলে আসছে স্বাধীনতার পর থেকেই। এর কোনও ব্যতিক্রম নেই।

সরকারে যারা আসীন থাকে সেই সরকারের নেতৃবৃন্দ ইচ্ছা করলেই তো নেতাজীর প্রতি যথাযথ ও প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করতেই পারে! 'করে না কেন' এ নিয়ে তো কোনও বিতর্ক বা প্রশ্ন থাকার কথা নয়!
যাই-ই হ'ক আর যাই-ই করুক এসব ভাবতে গেলে মাথা খারাপ হ'য়ে যাবে। শুধু এটুকু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ নেতাজীর মতো ভারত রত্নদের জন্মদিনে ও বিশেষ বিশেষ দিনে তাঁদের প্রতি এবং সেইদিনগুলির প্রতি সম্মানার্থে ড্রাই ডে অর্থাৎ মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হ'ক এবং সচেতন ও নিষিদ্ধ করা হ'ক যততত্র তাঁদের জন্মদিন পালন ও বিশেষ বিশেষ দিনগুলি পালন। যেন রাস্তাঘাটে অলিতেগলিতে নর্দমার ধারে যেখানে সেখানে জন্মদিন পালনের নামে বয়োজেষ্ঠ্যদের দ্বারা বালখিল্য তামাশা করা না হয়। দিনের শেষে খোলা আকাশের নীচে ফাঁকা পরিবেশে একাকী রাস্তার ধুলার মাঝে পড়ে থেকে কুত্তা, ছাগল, গরুর মুখের ছোঁয়া ও প্রস্রাব থেকে বা মঞ্চে অবহেলায় পড়ে থাকার এ অপমানের সংস্কৃতি বন্ধ হ'ক ও ভারতরত্ন অসহায় নেতাজীকে রক্ষা করা হ'ক। আমরা অপদার্থ বেইমান অকৃতজ্ঞ দেশবাসী যেন ভুলে না যায় এঁদের জন্যই আমরা আজ বৃটিশ শাসন মুক্ত ভারতে বাস করছি। এঁদের মতো বিপ্লবীরা পরিবার পরিজুন ছেড়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিল ব'লেই আমরা আজ পরিবার নিয়ে আছি।

আর সবচেয়ে যে অপমান বুকে নিয়ে আজও নেতাজী বেঁচে আছেন মানুষের মনে তা হ'লো তিনি যুদ্ধ অপরাধী। আজও ব'য়ে বেড়াচ্ছে সেই অপমান দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছর পরেও। যদি আজ যুদ্ধ অপরাধী তকমা উঠে গিয়ে থাকে তাঁর নামের উপর থেকে তাহ'লে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আর যদি না উঠে গিয়ে থাকে তাহ'লে তামাম ১৩৫কোটি দেশবাসীর দাবি, অন্তরাত্মা বলছে, অবিলম্বে নেতাজীকে সেই চরম অপমানের বন্দীদশা থেকে, যুদ্ধ অপরাধীর তকমা থেকে মুক্ত করা হ'ক। তাঁর জন্য যা করার করুক কেন্দ্রীয় সরকার, দাবি তুলুক রাজ্য সরকার, আওয়াজ তুলুক সমস্ত রাজনৈতিক দল সহ ১৩৫কোটি দেশবাসী। ব্যাস্! আর কিছু চাই না আমাদের। আপাতত এই সম্মানটুকু দেখানো হ'ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে। পরে নাহয় আরও কিছু ভাবা যাবে।

আজ এই পর্যন্ত। হে নেতাজী! তোমার কষ্ট যন্রণা বুকে নিয়ে এই লেখা শেষ করলাম। তুমি আমার বারবার শতবার প্রণাম নিও।

কবিতাঃ হবে না ছিন্ন----

ফুল পাঠালে বঁধুর তরে
সে রাখলো না বুকে তায়!
আর ঘর বাঁধলে যার সঙ্গে
রাখলে তারে পায়!?
সংসার মাঝে ব্যস্ত যে সদা
তাকে পড়ে না তোমার মনে!
জীবন ভর টানলো যে বোঝা তোমার
বেইমানী তার সনে!?
ঘরকন্নায় বলছো ব্যস্ত সদা
কিন্তু মন লাগে না কাজে।
পরকীয়ায় পরাণ নাচে
সাধু সাবধান!
জীবন আসে ঐ নরক সাজে!
কপোল বেয়ে তোমার আসে নেবে
প্রেমের আঁখি ধারা!
ঘরের কোণে প্রেম যে কাঁদে?
তার বেলায় দাও না কেন সাড়া?
মনের মাঝে উঁকিঝুঁকি
দিনরাত্রি আঁকিবুঁকি,
বৃথাই প্রেমের টানছো জোয়াল
বন্ধু! প্রেম তো নয় রিপু ভয়াল
হাঁ করে আসছে তেড়ে
গিলতে তোমায় পেট ফেড়ে
বৃত্তি ফাঁদে বন্দী তুমি
দিচ্ছ তুমি নিজেকেই ফাঁকি!
তাই যাবার বেলায়, বন্ধু বলি তোমায়
প্রতিজ্ঞা তোমার হোক এই মনে
ঘর বেঁধেছি যার সনে
জন্মজন্মান্তরের এই বন্ধন
হবে না ছিন্ন কোনো জীবনে!!!!!
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী'২০১৫)

উপলব্ধিঃ ১৩ নেতাজীর জন্মদিন।

আজ ২৩শে জানুয়ারী' ২০১৮ নেতাজির জন্মদিন। জন্মদিনের সকালে তাঁর কথা মনে পড়লো। মনের মধ্যে ভেসে উঠলো অনেক কথা, অনেক ছবি। এর মধ্যে শুধু মনের মধ্যে উঠে আসে তাঁর পৃথিবী বিখ্যাত কথা "আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।" এই কথার মধ্যে অর্থাৎ রক্ত দেওয়া এবং তার বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার যে কথা রয়েছে সেই কথা আমাকে ভাবায়। ভাবায় এইজন্য বললাম যে, এই রক্ত দেওয়া ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া এই দুইয়ের মাঝে স্পষ্টতই যে ছবি ফুটে ওঠে সেটা হ'লো সেই চিরন্তন সত্য 'Give & Take Policy' অর্থাৎ 'দাও আর নাও তত্ত্ব'। এই যে দেওয়া নেওয়ার কথা তিনি বলেছেন এই রকম দেওয়া নেওয়ার কথা পৃথিবীর স্বাধীনতার ইতিহাসে আর কোথাও আছে? এরকম সরাসরি দেওয়া নেওয়ার কথা কোনো স্বাধীনতা সংগ্রামী বা নেতা আজ পর্যন্ত কোথাও কখনও বলেছেন? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই জটিলতার মধ্যে এত দৃঢ়তার সঙ্গে, এত বিশ্বাস ও বলিষ্টতার সঙ্গে তিনি বলছেন 'আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো'! ভারতের আর কোনও নেতা এত গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পেরেছিলেন সেদিন ভারতবাসীর কাছে স্বাধীনতা দেওয়ার কথা!? ঈশ্বরের চরণে ফুল নিবেদন করার মত ভারতবাসীর হাতে স্বাধীনতা তুলে দেওয়ার কথা এমনভাবে বলেছিলেন সেদিন আমাদের নেতাজী আজ স্বাধীনতার ৭০বছর পর আজকের পবিত্র দিনে ভোরের আলো ফোটার অনেক আগেই ঠাকুরের ফটোর সামনে বসে মনের মধ্যে জেগে উঠলো কেন তাঁকে নেতাজী বলা হয়!? ভারতের আকাশে এত নেতা, এত অসীম ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব থাকা সত্বেও কেন শুধু তিনিই ইতিহাসের বুকে 'নেতাজী হিসাবে আখ্যা পেলেন!? কেন আসমুদ্র হিমাচল ব্যাপী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভিড়ে তাঁকেই শুধু ভারতবাসী জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই এক ও অদ্বিতীয় নেতাজী হিসাবে হৃদয় মাঝে স্থান দিলো!? এইখানেই নেতা হিসাবে স্বার্থকতা। এইখানেই সেই গানের কলি স্মরণ করা যেতে পারে, “তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো ছেড়ে দেবো না।“ আর স্মরণ করি ‘সত্যানুসরণ’ গ্রন্থের কথা। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শ্রীহস্ত লিখিত একমাত্র গ্রন্থ ‘সত্যানুসরণে’ তিনি বলেছিলেন যে অমোঘ বাণী সেই বাণী নেতাজীর জীবনে পূর্ণ চন্দ্ররূপে আলোয় আলোকিত হ’য়ে প্রকাশ পেয়েছিল।

সত্যানুসরণ গ্রন্থে তিনি বলেছেন,
“যে আগে ঝাঁপ দিয়েছে, আগে পথ দেখিয়েছে, সেই নেতা; নতুবা শুধু কথায় কি নেতা হওয়া যায়? আগে অন্যের জন্য যথাসর্ব্বস্ব ঢেলে দাও, দশের পায়ে মাথা বিক্রয় কর, আর, কারো দোষ ব’লে দোষ দেখা ভুলে যাও, সেবায় আত্মহারা হও, তবে নেতা, তবে দেশের হৃদয়, তবে দেশের রাজা। নতুবা ও-সব কেবল মুখে-মুখে হয় না। যদি নেতা হ’তে চাও, তবে নেতৃত্বের অহংকার ত্যাগ কর, আপনার গুণগান ছেড়ে দাও, পরের হিতে যথাসর্ব্বস্ব পণ কর, আর, সকলকে প্রেমের সহিত বল; দেখবে হাজার-হাজার লোক তোমার অনুসরণ ক’রবে।“
এখন পাঠকবর্গ ঠাকুরের নেতা সম্পর্কিত বাণীর সঙ্গে আমাদের ভারতের গর্ব নেতাজীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবন মিলিয়ে নিক নিজের নিজের বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। ঠাকুরের বাণী যে কারও জীবনে বাস্তব হ’য়ে উঠতে পারে তা আজ নেতাজীর জন্মদিনের সুপ্রভাতের আরো অনেক আগে আলোআঁধারি পরিবেশে টের পেলাম। এই সেই ভারতের নেতা যার পিতামাতা ঠাকুরের মন্ত্রশিষ্য ছিলেন, এই সেই নেতা যার পিতামাতা শ্রীশ্রীঠাকুরের রাতুল চরণে সমস্ত অর্পণ ক’রে দিয়েছিলেন, এই সেই নেতা যিনি ঠাকুরের কাছে তিন তিনবার গিয়েছিলেন তাঁর দর্শন লাভের জন্য, এই সেই সত্যানুসরণের বাণীর জীবন্ত প্রতিবিম্ব, জ্বলন্ত রূপ যার ঘরে আজও, যে ঘর থেকে তিনি অন্তর্ধান হ’য়েছিলেন সেই ঘরের দেওয়ালে আজও টাঙ্গানো আছে পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের ছবি।

তাই আজকের এই পবিত্র দিনে তাঁর কথা স্মরণ করতে গিয়ে বারবার খালি মনে হয়, আজকের এই ভারতবর্ষের জন্য তিনি আত্মাহুতি দিয়েছিলেন!!!!!!!! কত কষ্ট, কত যন্ত্রণা, কত অপমান, অপবাদ পেয়েছিলেন স্বাধীনতার সময় ও স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ সময়ে ভাবলে বুকের ভেতরে কষ্ট হয়, ব্যাথা হয়। খালি মনের মধ্যে ঘুরে ফিরে আসে, বাড়ীর খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে তিনি কি পেলেন? ন্যুনতম সম্মানটুকুও তিনি পাননি স্বাধীনতা পরবর্তী আজ পর্যন্ত কোনও দল, কোনও সরকার বা নেতৃবৃন্দের কাছে তথা দেশবাসীর কাছ থেকে। শাবাশ! ভারত শাবাশ! শাবাশ! দেশের সমস্ত নেতৃবৃন্দ শাবাশ! শাবাশ দেশের জনগণ! শাবাশ!!!!!!!!
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী'২০১৮)

বোধোদয়!?------- ১

"টাকায় রাজনীতির চালিকাশক্তি। রাজনীতি কলুষিত। রাজনৈতিক দল নয়, প্রয়োজন রাজনৈতিক দর্শনের পরিবর্তন।"-------গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।
২৩শে জানুয়ারি'২০১৯ বুধবার নেতাজী জন্মদিন স্মরণে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক কথার মাঝে উপরিউক্ত কথাগুলি বলেন।
"না বিবি না মাইয়া, না বাপ বড়া না ভাইয়া;
The whole thing is that সে মাইয়া, সবসে বড়া রূপাইয়া!"---------- এই গান তো আমরা বহু বছর আগেই শুনেছি। আর টাকার খেলা তো যুগে যুগে সব কালে, সব দেশে শেষ কথা বলেছে। হুঁ হুঁ বন্ধু! টাকা কথা বলে! টাকা গেম খেলে! টাকার গরমের কাছে ক্যালিফোর্নিয়ার(ইউএসএ) 'ডেথ ভ্যালি' ব'লে বিখ্যাত পৃথিবীর সবচেয়ে গরম স্থান (Hottest place}-এর গরম তুচ্ছ! টাকার শক্তির কাছে যেখানে পারমাণবিক শক্তি ফুৎকারে উড়ে যায় সেখানে টাকা যে রাজনীতিকে চালনা করবে এ আর এমন কি কঠিন কথা? ইতিহাসের পাতায় তো কাঞ্চন তথা কামিনীর গিলি গিলি হোকাস ফোকাস -এর চিরকালীন খেলা তো হ'য়ে এসেছে, তা পড়েছি। এর ভুড়িভুড়ি নজির আছে। এ তো আমরা জানি। তাই , এ আর এমন নতুন কথা কি বললেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী? তবে হ্যাঁ, আগে আর এখনের মধ্যে তফাৎ কম আর বেশির। এখন টোটাল সিস্টেমটাই পচে গ্যাছে। সব আছে নেই শুধু মানুষ!

তবে হ্যাঁ নতুন না হ'লেও টাকার এই 'ওপেন সিক্রেট' খেলা নিয়ে উলঙ্গ কথা কোনও রাজনৈতিক নেতা বলতে পারেন না, বলেন না। সেক্ষেত্রে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এই উলঙ্গ অপ্রিয় সত্যকে খুঁচিয়ে জাগিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে দাবী করতেই পারেন। দেশের কমবেশি অর্থাৎ ছোটবড় কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী দেরিতে হ'লেও চাপা পড়া সত্যকে একটু ঝাড়পোঁচ ক'রে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন। কিন্তু দেশের কোনও নেতৃবৃন্দ এই কথা তুলে ধরেননি,ধরেন না ও ধরবেন না প্রকাশ্যে আমজনতার সামনে।
The greatest phenomenon of the world শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন,
"মানুষ আপন টাকা পর
যত পারিস মানুষ ধর"।
কিন্তু বতর্মান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীশ্রীঠাকুরের কথাকে সামান্য এদিক-ওদিক অদল বদল ক'রে নিঃসংকোচে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীজিকে অনুসরণ ক'রে বলা যেতে পারে,
"টাকা আপন মানুষ পর
যত পারিস টাকা ধর।"
আর তাই হ'য়ে চলেছে দেশজুড়ে বছরের পর বছর, বছরের পর বছর!!! 'টাকা আপন মানুষ পর' এটাই এখন দেশের সংস্কৃতি, সভ্যতা!!!! এ যেন ক্যানসার রোগের শেষ স্টেজ! মৃত্যু অর্থাৎ ধ্বংসতেই এর নিরাময়!! যে যেখানে যা বলছে বলুক টাকা বলবে শেষ কথা!!!!
ক্রমশঃ।
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী'২০১৯)

বোধোদয়!?----২

রাজনীতি কলুষিত। ------গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।

২৩শে জানুয়ারি'১৯ বুধবার নেতাজি স্মরণে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক কথা মাঝে রাজনীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বললেন, "রাজনীতি আজ কলুষিত।" অর্থাৎ তিনি যেটা বলতে চেয়েছেন সেটা যদি সবার বোঝার সুবিধার জন্য বিশ্লেষণ করা যায় তার অর্থ দাঁড়ায় রাজনীতি আজ পাপে ভরে গ্যাছে, মলিন অর্থাৎ অপরিচ্ছন্ন হ'য়ে গ্যাছে, হাজার দোষে দূষিত হ'য়ে গ্যাছে রাজনীতি আজ, এত মল জমেছে রাজনীতির পেটে যে দুর্গন্ধে ভরে উঠেছে আকাশ বাতাস ফলে বাতাস থেকে লুপ্ত হ'য়ে যাচ্ছে অক্সিজেন, দোষ স্বঘোষে প্রকাশ্যে রাজনীতির মঞ্চে জানান দিচ্ছে, সে রাজনীতির মহামূল্যবান রত্নহার!
'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলতে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যেটা বলতে চেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করলে 'কলুষিত' শব্দের পরতে পরতে উপরে উল্লিখিত বক্তব্য লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে মনে আজ এতদিন পরে জীবন সায়াহ্নে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কেন মনে হ'লো, 'রাজনীতি কলুষিত'!? এতদিন কি কলুষিত ছিল না? নিষ্কলুষ ছিল?
না, তা ছিল না। তাহ'লে তিনি কি বলতে চেয়েছিলেন? কেন বললেন এ কথা? এত দেরীতে তাঁর বোধোদয় হ'লো কেন!?
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, "চারিদিকে নাগিনীরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস।"
নেতাজি বলেছিলেন, "স্বাধীনতার পর দেশ ১০বছর কঠোর মিলিটারি শাসনে রাখতে হবে।"
কেন বলেছিলেন এই কথা তাঁরা?
কেন দেশবন্ধু তাঁর গুরুদেব শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে বলেছিলেন, "একজন কাউকে পাই না যার উপর সব ভার দিয়ে আমি দু'দিনের জন্য আপনার সান্নিধ্যে সময় কাটিয়ে যাবো। যদি পাই হয় সে সব ওলটপালট ক'রে দেয় নইলে বিশ্বাসঘাতকতা করে।"
আরো অনেক উক্তি তুলে ধরা যেতে পারে। তাহ'লে কি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী জানতেন না এইসব? আসলে ব্যাপারটা তা নয়। তার বলার মধ্যে ছিল একটা প্রচ্ছন্ন হতাশা, বিরক্তি ও বিশ্বাস ভাঙার কষ্ট। তিনি জানতেন সব; জানতেন একটা ভয়ঙ্কর অবিশ্বাস, বেইমানি, অকৃতজ্ঞতা, নেমকহারামী, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে চলেছে সময়। তবুও হয়তো এই ঘোর অন্ধকারের মধ্যেও কারও কারও ওপরে হয়তো একটুখানি হ'লেও বিশ্বাস রেখেছিলেন, ছিল নির্ভরতা কোনও কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর। আর সেই শেষসম্বল ছিটেফোঁটা বিশ্বাসের নির্মম মৃত্যু ঘটায় তিনি ভিতরের কষ্ট, হতাশাকে উগড়ে দিয়েছিলেন নেতাজির জন্মদিবসে নেতাজির আপোষহীন লৌহ ব্যক্তিত্বের অকপট চরিত্রের কথা স্মরণ ক'রে।
আসলে 'রাজনীতি কলুষিত'এই কথা বলার পিছনে কারণ একটাই, 'বহুত গাদ্দা! গাদ্দা বহুত!! ট্যাঙ্কি সাফ হবার নয়!!!' অতীতেও ছিল পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা, বর্তমানেও তাই আর ভবিষ্যতেও তাই -ই থাকবে, হবে আরও ভয়াবহ গাদ্দা যার পরিণতি মহাপ্রলয়! কিন্তু তখন অর্থাৎ অতীতে গোবরে পদ্মফুলের মত পচা দুর্গন্ধময় গাদ্দা মাঝে সুগন্ধী ফুলের মত রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, বিবেকানন্দ ছিলেন, অরবিন্দ ছিলেন, ছিলেন নেতাজি, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, আম্বেদকর, ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ, ছিলেন নজরুল, বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি সুন্দর ফুলেরা!!!!!
আর এখন? সবক্ষেত্রেই এক মহা শূন্যতা!
তাই বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব গোপালকৃষ্ণ গান্ধী 'রাজনীতি আজ কলুষিত' বলার মধ্যে দিয়ে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন!
ক্রমশঃ।
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী' ২০১৯)

চিঠিঃ কবি জয় গোস্বামীকে খোলা চিঠি,

আপনি বললেন, "আমরা যে রামচরিত মানস পড়ি তুলসিদাসের, আমরা যে কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণ পড়ি, বাল্মিকির রামায়ণ পড়ি, হরিদাস সিদ্ধান্ত বাগিসের রামায়ণ পড়ি এখানে কোথাও 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিটা পাওয়া যায় না!"

এখন আপনাকে আমার একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রশ্নঃ

এ কথার অর্থ কি? আপনি এই কথা ব'লে কি বোঝাতে চাইলেন? পরিস্কার করলেন না তো? আপনার বলার ধরণে এটা বোঝা গেল যে যেহেতু এদের কারো লেখা বইয়ে 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি নেই তাই এই ধ্বনি দেওয়া যাবে না। এই ধ্বনি দেওয়া অন্যায়, অপরাধ, অশালীন, ভুল, পাপ। এইসমস্ত স্বনামধন্য লেখকরা যা লিখবে, যা বলবে সেই পথেই আমাদের চলতে হবে!? নিজের ভালোলাগা ও ভালোবাসার জায়গা থেকে, ভক্তির জায়গা থেকে, প্রেমের জায়গা থেকে, পছন্দের জায়গা থেকে বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা কিছু বলতে পারবো না!? লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ইত্যাদি প্রাজ্ঞ্ররা যা শেখাবেন তাই শিখবো!? যা বলতে বলবেন তাই বলবো!? যা দেখতে বলবেন তাই দেখবো!? যা শুনতে বলবেন তাই-ই শুনবো!? নিজের শিক্ষা, দীক্ষা, রুচি, প্রেম, ভক্তি, ভালোলাগা ও ভালোবাসার কোনও মূল্য নেই!? তুলসিদাস, কৃত্তিবাস ইত্যাদি মহাপুরুষরা যা বলেননি, যা লেখেননি আমি আমার ভালোলাগা থেকে, প্রেমের জায়গা থেকে তাই বলতে পারবো না!? লিখতে পারবো না!? এটাও কি একধরণের জোর ক'রে চাপিয়ে দেওয়ার চাপা স্বৈরাচারী মনোভাব নয়!? কোথায় আছে এমন নিষেধাজ্ঞা যা আইনি ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য ক্ষমাহীন অপরাধ!? নিষেধাজ্ঞা দেখাতে পারবেন? তা বাল্মিকির রামায়ণে যা আছে তা তো তুলসিদাস রামায়ণে নেই; আছে!? আবার কৃত্তিবাস রামায়ণ ও হরিদাস সিদ্ধান্ত বাগিসের লেখা রামায়ণ নিয়েও তো একই প্রশ্ন ওঠে!? প্রত্যেকেই তো রামায়ণ রচনার ক্ষেত্রে স্বমহিমায় মহান! তখন কেন এমন কথা ওঠে না!? এমন কথা বলেছেন নাকি কখনও!? তা আজ হঠাৎ এমন কথা বললেন!? কোনও দায়বদ্ধতা আছে নাকি!? এমন অর্থহীন, অপরিপক্ক, অন্যায্য কথা বললেন কীভাবে!? আপনি আমাকে শুধু বলুন মহাজ্ঞানীদের রচনার বাইরে 'জয় শ্রীরাম' শব্দের মধ্যে অশ্লীলতা ও আপত্তিজনক অর্থ কোথায়?
উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
(লেখা ২৪শে জানুয়ারী'২০২১)
No photo description available.

All re

উপলব্ধিঃ নেতাজীর ১১৮তম জন্মদিন।

আজ ২৩শে জানুয়ারি'২০১৪, নেতাজীর ১১৮তম জন্মদিন। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের এক করুণ দুঃখময় আনন্দের দিন! আজকের এই দিনে তুমি এসেছিলে মায়ের কোলে খাঁটি আর্য রক্ত শরীরে নিয়ে আমাদের পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি দেবে বলে। ত্যাগের মধ্যেই ছিল তোমার ভোগের উপকরণ, ছিল আর্য রক্তের শুদ্ধতার পরিচয়! বহুদিন পর গোটা বিশ্ব দেখেছিল আর্য শোণিত ধারার অবদমিত প্রবল পরাক্রম! বিশ্বজুড়ে আর্য রক্তধারা বয়ে যাওয়া পবিত্র শুদ্ধ আত্মাদের এক বলিষ্ট বজ্র নির্ঘোষ কণ্ঠ শুনিয়েছিল, 
বল বল বল তোরা সবে বল? 
কেমন করে হ'লি হতবল? 
আর্য তোরা রুদ্রবেগে 
আবার দাঁড়া ঝঞ্ঝা রাগে, 
রক্তে তোদের প্রলয় নাচন, 
বুকে ঝড়ের ভীষণ কাঁপন! 
রদ্ররোষে তপন তেজে 
বল তোরা বল আর্যের জয়! 

তুমি শুধু দেবে বলে এসেছিলে আমাদের মত নরাধমদের মাঝে। বিনিময়ে পেলে শুধু বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা, অপমান, লাঞ্ছনা। যে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তুমি অর্থ, মান, যশ, সুখ-সমৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠা সমস্ত কিছু অবহেলায় অবলীলায় ছেড়ে স্ব-ইচ্ছায় বেছে নিয়েছিলে কঠিন, দুর্গম, অজানা-অচেনা অন্ধকারময় বিপদ সঙ্কুল ভবিষতের পথ শুধুমাত্র দেশকে, দেশের মানুষকে পরাধীনতার লজ্জা, অপমান, অত্যাচার-এর হাত থেকে চিরদিনের মত মুক্তি দেবে বলে। বিনিময়ে সেই দেশ, দেশের মানুষ তোমায় ভুলে গেছে! ভুলে গেছে তোমায় লজ্জা, অপমান, লাঞ্ছনার হাত থেকে মুক্তি দেবার কথা! আজ ৬৬বছর পরেও আমরা তোমার দেশে ফিরতে না পারার ব্যথা, তোমার চোখের জল মুছে দিতে পারিনি! পারিনি যুদ্ধ অপরাধীর মত অপমানজনক, লজ্জাস্কর তকমা মুছে দেবার মত হিম্মত দেখাতে! পারিনি ভারতবাসী হিসাবে আর্য রক্তের মান রাখতে! কোথায় তুমি নীরবে নিভৃতে হারিয়ে গেলে! একা একা তোমার প্রিয় স্বাধীন দেশের আকাশ, ভুমি, আলো আর স্বাধীন মানুষের হাসি-কান্না মেশানো মুখ দেখতে না পারার এক আকাশ কষ্ট-ব্যথা-যন্ত্রণা বুকে নিয়ে কোথায় কাটিয়ে দিলে এতগুলি যন্ত্রণাময় বছর জানি না! জানার জন্য কোন চেষ্টাও করলো না তোমার প্রিয় দেশের প্রিয় মানুষ!!!! স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে স্বাধীনতা ভোগ করার জন্য আমরা তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তুমি আমাদের ক্ষমা ক'র। আমরা ভারতবাসী কিছু করতে পারিনি, পারিনি বাঙ্গালী হিসাবে তোমায় মাথার মণি ক'রে রাখতে। বলতে পারিনি বুক ফাটো ফাটো করে, 
'হৃদ মাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেবো না! 
ছেড়ে দিলে সোনার মানুষ 
আর তো পাবো না!" 

শুধু এ-কথা বলতে পারি, 'আবার এস ফিরে, কিন্তু এই বাংলায় নয়, অন্য কোনোখানে অন্য কোনো ভিড়ে, অন্য কোনো বেশে '!!!!!

(লেখা ২৪শে জানুয়ারী'২০১৪)


No photo description available.

All reactio