Powered By Blogger

Thursday, October 14, 2021

বুঝে নাও।

 

কেউ কারো নয়! এই দুনিয়ায় কেউ কারো নয়!! 

সময় থাকতে বুঝে নাও!!!'

প্রায় সময় এই ধরণের পোষ্ট দেখতে পাই। বিভিন্ন জনে কবিতায়, গানে, ছড়ায় এই ধরণের মতামত প্রকাশ করে। সময় থাকতে বুঝে নেবার কথা বলে।

তখন মনে প্রশ্ন জাগে, কেন কেউ কারো নয়!?

এই প্রশ্ন কি ভুল? শুধু কতগুলি কথা লিখে দিয়ে পোষ্ট 'রে দিলেই 'লো না; তার ব্যাখ্যা চায়।

কেন কাউকে নিজের 'লে ভাবা ভুল?

আমার ছেলে আমার নয়?

আমার মা আমার নয়?

আমার ভাই, আমার বোন, আমার দাদা-দিদি আমার নয়?

আমার বাবা, আমার মা আমার নয়?

মায়ের ১০ মাস ১০দিনের নাড়ী ছেঁড়া সন্তান মায়ের আপন নয়?

তাহ'লে প্রশ্ন,

আপন কে?

কেন কেউ কারো নিজের নয়?

তাহ'লে দুনিয়ায় কে আপন?

এই দুনিয়া কি মিথ্যে?

আর সময় থাকতেই বা কি বুঝে নেব?

এসবের উত্তর কে দেবে?

যার উত্তর আমার জানা নেই সেই কথা কাউকে 'লে বিভ্রান্ত করার আমার কোনও অধিকার আছে?

কারণ আমার জ্ঞানের অন্ধকারে কেন কেউ ডুবে মরবে?

তার দায় কে নেবে?

তাহ'লে কি করণীয়?

কেউ কি জানে?

অন্তত যারা এই ধরণের পোষ্ট করছে কবিতা, গান, ছড়া ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে আশা করবো তারা এই বিষয়ে জানে। যদি জানে ভালো নইলে সাবধান। আর যারা জানবে তারা অবশ্যই বক্তব্যে সংযত, নিয়ন্ত্রিত।

তাই সাধু সাবধান!

 

স্মৃতি ও আমরা।

আমরা স্মৃতি নিয়েই বাঁচি, স্মৃতি নিয়েই মরি। কিন্তু ভাবি বেঁচে থাকতেই কেন স্মৃতি নিয়েই আমরা বাঁচি? কেন আমরা বেঁচে থাকাকালীন স্মৃতি নিয়ে বাঁচবো? যেদিন আমরা বা আমি বেঁচে থাকবো না সেদিন আমার যদি কেউ প্রিয়জন থাকে তাহ'লে সে বা তারা আমার সঙ্গে তাদের আমার বেঁচে থাকাকালীন কাটানো দিনের বিভিন্ন মুহুর্তগুলি স্মরণ 'রে বেঁচে থাকতে পারে, সেই আনন্দের দিনগুলি স্মৃতি 'য়ে ফিরে আসতে পারে আর তখন ভারাক্রান্ত মন বলতে পারে স্মৃতি নিয়ে বাঁচি আর স্মৃতি নিয়ে মরি। তাই না?

কিন্তু বেঁচে থাকাকালীন কেন তা হবে? আমরা যেন আমাদের একসঙ্গে কাটানো দিনগুলি, কাটানো সুন্দর দিনগুলির মুহূর্তগুলি যেন বেঁচে থাকাকালীন ভুলে না যায়, ভুলে গিয়ে পারস্পরিক সম্পর্কগুলি ছিন্ন না করি। মৃত্যুর পর যখন আর এই শরীরে থাকি না তখন না হয় বেঁচে না থাকার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তখন নাহয় স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকবো বা থাকার কথা উঠবে।

তাই আসুন বেঁচে থাকাকালীন যেন আমরা কেউ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে না থাকি। আর্থিক কারণে ' বা সামাজিক পরিস্থিতির কারণে কিম্বা যে কোনও শারীরিক দূরত্বের কারণেই ' আমরা যেন বেঁচে থাকাকালীন মানসিক দূরত্বের অবস্থার মধ্যে দিয়ে নিজেদের নিয়ে না যায়। অন্তত এইটুকুও অর্থাৎ মানসিকভাবে যদি কাছাকাছি থাকা যদি থাকে তাহ'লে ফোনের মাধ্যমে আমরা পরস্পর বিগত সুখের দিনগুলি, আনন্দের দিনগুলি শেয়ার করতে পারি এবং আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক 'লে আবার সবাই একসঙ্গে এক 'য়ে স্মৃতিকে জীবিত 'রে তুলতে পারি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে।

তাই বলি, আবার ফিরে আসুক সবার সব পুরোনো আনন্দের দিনগুলি।

 

কবিতাঃ হে দয়াল! তবে তাই-ই হ'ক।

হে দয়াল!

তুমি আনন্দ দিয়েছো ভরে জগত সংসারে

পরিপূর্ণ আনন্দ সম্ভার দিয়েছো সবার তরে

তবুও পারিনি আমি ডুব দিতে এই আনন্দ সাগরে

পারিনি অবগাহনে করিতে স্নান সবার মাঝারে।

হ্যাঁ আমি পারিনি। পারিনি আমি আনন্দ সাগরে ভাসিতে।

হে দয়াল! তুমি আনন্দময়! তুমি সুখময় আনন্দ অপার!

আমি ভয়াল। আমি নিরানন্দময়। আমি দুঃখময়।

তাই কষ্ট আমার।

তুমি দিয়েছিলে ভরে আনন্দ উজার 'রে

অনন্ত বিশ্বে অনন্ত রাশিরাশি হাসিখুশি

দিয়েছিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আকাশে বাতাসে

শিশুর সারল্য নিয়ে ঝরণা 'য়ে তা' পড়ে 'রে

আমার মাথার 'পরে তোমার আশীর্বাদ 'য়ে।

তবুও আমি এক অভাগা অপদার্থ সন্তান

পারিনি আমি করিতে তোমার সেই সুধা পান।

অর্থ মান যশে রেখেছো যারে যারে ভরিয়ে

সেই সেই আমি হয়েছি হচ্ছি বঞ্ছিত সেই সুধা পান 'তে

লোভ লালসা রাগ হিংসা কাম কামনায় গিয়েছি হারিয়ে

তোমার অপার দয়ায় ভেসে ভেসে ভুলে গিয়ে তোমায়

গিয়েছি তলিয়ে আলো 'তে দূরে বহুদূরে অন্ধকার রাতে।

তোমার দয়ায় আর তোমাকে ভাঙ্গিয়ে আমি হয়েছি অহঙ্কারী

বেইমানি আর নেমকহারামীর মন্ত্রে সবারে করেছি আড়ি।

হে দয়াল! তুমি দিয়েছো ভরে যে আনন্দ সুখ সবার তরে

সেই আনন্দ সুখ একা করছি ভোগ অন্যের ভাগের কেড়ে।

অন্যকে দিয়ে কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণা যত

দিনরাত জপছি মালা করছি বিপদ তাড়াতে বিপদতারিণী ব্রত।

চলনহারা চরণপুজায় মত্ত থেকে সদা তাবিজ মাদুলি

তুকতাক ঝাড়ফুঁক লাল কালো সুতোর বাঁধনে

বাবাজী মাতাজী জ্যোতিষী নির্ভরতায় মদ আর মাংসে

মায়েরে 'রে তুষ্ট আর হাজারো দেবদেবীকে 'রে পুষ্ট

অমূর্ত ভগবানে ডেকে কিছু না 'রে পাওয়ার নেশায়

মত্ত থেকে ফোকটে জীবন থেকে চেয়েছি তাড়াতে

জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা দগদগে ঘা আর ক্ষত!

হে দয়াল!

তুমি এসেছিলে বারেবারে দিয়ে গেছ যে বার্তা মোদেরে

পায়ে 'লে সেই আনন্দ বার্তা কর্তা সাজিয়ে নিজেরে

করেছি করছি আহবান শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর মৃত্যুরে।

তবে তাই- 'ক।