ঠগবাজ আমায় একদিন ঠকাবে কিন্তু যেদিন ঈশ্বর ঠগবাজকে ঠকাবে সেদিন সারাজীবন ঠকতে হবে, দুঃখের শেষ থাকবে না।
এইসব পোষ্টারে মানুষ আনন্দ পায়। নিজের কোন ত্রুটির জন্য ঠকতে হ'লো তা দেখার প্রয়োজন মনে করে না। ঈশ্বরের ওপর সব ছেড়ে দিয়ে দায় সেরে ফেলে। আর, একটা উদারতার ভঙ্গী নিয়ে অলীক সুখ স্বপ্নে ভেসে যায়।
এরা ঠাকুরের ছড়া বাণীর মোক্ষম উদাহরণঃ
"নিজের ত্রুটির ধার না ধেরে
অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়
অহং মত্ত এমন বেকুব
ক্রমে ক্রমে নষ্ট পায়।"
ঈশ্বর কাউকে ঠকায় না। যত্তসব বোগাস কথা। ঈশ্বর ঠগবাজ নাকি যে তাঁর সৃষ্ট সন্তানকে ঠকাবে!? যে ঠকেছে সে যেমন তাঁর সন্তান তেমনি ঠগবাজও তাঁর সন্তান। জাগতিক জীবনে কি দেখা যায় যে বাবা তার সন্তানকে ঠকিয়েছে? তা যদি না হয় তাহ'লে ঈশ্বরের জগতে ঈশ্বর কাউকে ঠকিয়ে শাস্তি দেয় নাকি!? কারা তৈরী করে এসব ঈশ্বরকে নিয়ে নিম্নস্তরের পোষ্টার!? ঈশ্বর এত সস্তা হ'য়ে গেছে নাকি!? যেন হাতের খেলনা! এদিক ওদিক উল্টে পাল্টে দেখে নিয়ে একটা বিজ্ঞের মত বালখিল্য মত দিয়ে দিলাম আর তা ছড়িয়ে দিলাম আম জনতার মাঝে! যত্তসব গ্যাসে পেট ফোলার মত, মাল খেয়ে গাল গতর ফোলাবার মত ঈশ্বর নিয়ে ফাঁপা জ্ঞান বেলুন ফুলিয়ে ধর্ম্ম জগতে হাঁকডাক মেরে বেড়াচ্ছি! ঠগবাজের কাজই ঠকানো। এটা তার পেশা। যেমন ডাক্তারের কাজ ডাক্তারি, উকিলের কাজ ওকালতি, মাষ্টারের কাজ মাষ্টারি, পূজা করে পূজারী, ডাকাইত করে ডাকাইতি, চোর করে চুরি ইত্যাদি। ঠিক তেমনি সমাজের সব ক্ষেত্রে কি ধর্ম, কি রাজনীতি, কি শিক্ষা, কি ক্রীড়া ইত্যাদি যে জগতেই যাও ঠগবাজের পাল্লায় যদি পড়ো তাহ'লে সে তার পেশা অনুযায়ী তোমায় ঠকাবেই। ঠগবাজ ঠকাইছে আর আমি ঠকছি আমার দোষে। আমার দোষটা এড়িয়ে গিয়ে সব দায় ঠগবাজের ওপর চাপালে পরবর্তী সময়ে আবারও আর এক ঠগবাজের কাছে ঠকতে হবে। বরং ঠগবাজ আমাকে ঠকিয়ে আমার অন্ধ চোখ খুলে দিয়ে আগামী অনেক বড় ক্ষতি থেকে উদ্ধার করলো। উল্টে ঠগবাজের কাছে আমার এর জন্য ঋণী থাকা উচিত। আর, ঠগবাজ তার কর্ম অনুযায়ী নিশ্চিত ফল পাবে এটাই সত্য, এটাই নিয়তি। ব্যস। এর সঙ্গে ঈশ্বরকে জড়াবার কোনও সুযোগ নেই।
হে সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন The greatest phenomenon of the world
SriSriThakur Anukul chandra-কে ধ'রে কি শিখলা!? এই শিখলা!?
সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন সাবধান!
No comments:
Post a Comment