কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর! বকনা বাছুরকে দেখেছেন? তাঁর দৌড় দেখেছেন? নিশ্চয়ই দেখেছেন। দেখবেন গ্রামের রাস্তায়, মাঠে-ঘাটে হঠাৎ হঠাৎ ক'রে পিছনের দিক তুলে যাকে বলা হয় পাছা, সেই পাছা তুলে লাফিয়ে লাফিয়ে দৌড়ায়! আর মা গরু তাকিয়ে তাকিয়ে বকনা বাছুরের তিড়িং বিড়িং লাফানো আর আন্দাগুনদা ঢুঁশ দ্যাখে আর মনে মনে হাসে! নতুন পুরোহিতের মন্ত্র পড়া দেখেছেন? শুনেছেন? ইদানিং আবার দেখবেন পুজো মণ্ডপে মাইক লাগিয়ে পুরোহিতরা মন্ত্র পড়ে লোককে শুনিয়ে শুনিয়ে নিজের অস্তিত্বকে জানান দেওয়ার জন্য নিজের ঢাক নিজে পিটিয়ে। আর সেই মন্ত্র ভুল উচ্চারণে চিৎকার ক'রে বলতেও লজ্জা পায় না! আর প্রবীণ সংস্কৃতিবান পুরোহিত মুখ বুঁজে ধ্যানস্থ হ'য়ে তা সহ্য করে। নতুন কাকের বাচ্চাকে দেখেছেন? দেখবেন নতুন কাকের বাচ্চা যখন নিজের মুখে নিজে খেতে শেখে তখন সে যেখানে সেখানে মুখ দেয়। মরা, পচা, গলা ইঁদুর ছুঁচো, আমাশাযুক্ত ফেনাওয়ালা কালো দুর্গন্ধে ভরা গু, বুকের গভীর থেকে উঠে আসা বহুদিনের হলুদ থকথকে কফ যেখানে যা পায় তাই মুখে দেয় আর গপাগপ ক'রে গিলে খায়!!!!! কিন্তু প্রবীণ কাক তা গাছের মগডালে বা ছাদের কোনায়, কার্নিশে ব'সে আবাল নাদাপেটা কাকের কান্ডকারখানা চুপচাপ দেখতে থাকে। যারা ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দিবারাত্র কুৎসা, নিন্দা, সমালোচনা,গালাগালির ঢাক পেটাচ্ছে তা সে অবৈধ দীক্ষিত বা অদীক্ষিত যে বা যারাই হ'ক না কেন তাদের অবস্থাও ঠিক তেমনি! এদের উঠতি যৌবনের বিশৃঙ্খল উচ্শৃঙ্খল শরীরে ব'য়ে যাওয়া রক্তের ও অনিয়ন্ত্রিত শরীর-মনের ঝলকানিও দেখতে হবে, শুনতে হবে পাগলের প্রলাপ আপনাকে-আমাকে, আপনাদের-আমাদের আর শুনতে হবে, দেখতে হবে নীরবে হাসিমুখে!!!!! আর ভীম বিক্রমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ঠাকুরের মিশন তথা স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য আচার্যদেব-এর নির্দেশকে মাথায় নিয়ে। এদের জন্য করুণা হয় দাদা! এদের জন্য আসুন পরমপিতার রাতুল চরণে মুক্তির জন্যে প্রার্থনা করি। আমাদের ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা ও করণীয় কর্তব্য এটাই।
জয়গুরু।
No comments:
Post a Comment