Powered By Blogger

Thursday, July 16, 2020

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে!? (১)

মুনি? ঋষি? সাধক? ধর্মগুরু? দীক্ষাগুরু? পন্ডিত? মহাত্মা? মহাপুরুষ? কবি? সাহিত্যিক? শিল্পী? গীতিকার? গায়ক? নাট্যকার? অভিনেতা? শিক্ষাবিদ? চিন্তাবিদ? গণিতজ্ঞ? শিক্ষক? ডাক্তার? বিজ্ঞানী? জ্যোতিষী? সমাজসেবী? সমাজ সংস্কারক? বিপ্লবী? নেতাজী? দেশপ্রেমী? মানবপ্রেমী?
কে তুমি ঠাকুর!?
মানুষ? দেবতা?? ঈশ্বর???
প্রবি।

প্রবন্ধঃ কে দায়ী? ( স্কুল/কোতরং ভূপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়, হিন্দমোটর)

আজ রেজাল্ট বের হ'লো মাধ্যমিকের। কাল বাদে পরশু বের হবে উচ্চমাধ্যমিকের। তার আগে বেরিয়েছে দিল্লি ও সেন্ট্রাল বোর্ডের। আমার পরিচিত জনেদের আনন্দের খবর শুনতে শুনতে মনে পড়ে গেল অনেক কথা। সঙ্গে আমার সময়ের কথাও মনে পড়ে গেল।

সালটা ১৯৭০। অস্থিরতার চরম কাল! রাজ্য তথা দেশ জুড়ে নকশাল আন্দোলনের দুঃখজনক ভয়াবহতার কাল! শিক্ষাক্ষেত্রে চরম অরাজকতা! পরীক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে চুরচুর!তার মধ্যে সে বছর আমি যে স্কুলে পড়তাম (কোতরং ভূপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়, হিন্দমোটর) সেই স্কুলের আমি স্কুল ফাইনাল ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। সেই বছর আমার ব্যাচের তিনজন কি সম্ভবত চারজন বোর্ডের পরীক্ষায় ১০ জনের মধ্যে ছিল। অসাধারণ ব্যাচ ছিল আমাদের! নিজের গর্ববোধও হয় সেই ব্যাচের ছাত্র হিসেবে! সে বছর সহপাঠীরা কে কি স্থান অধিকার করেছিল তা এখন আর মনে নেই। এর আগের বছরও আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র বোর্ডের পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল! সে ছিল স্কুলের স্বর্ণযুগ! শুধু মনে আছে যে আগের বছর দ্বিতীয় হয়েছিল সে পরবর্তীতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ছিল অপারগ। কিন্তু তারপরে আর কোনও খবর জানি না তার। পরের বছর আমাদের সময়ে যে তৃতীয় না চতুর্থ হয়েছিল সে পরবর্তী জীবনে কোন সরকারী বড় পদে ছিল আর একজন যে সম্ভবত সপ্তম স্থান অধিকার করেছিল সে পরবর্তীতে হয়েছিল শিশুদের ডাক্তার আর দুজনের কথা ঠিকঠাক মনে পড়ে না! স্কুল জীবন শেষে সকলের সঙ্গে সকলের সম্পর্কের দূরত্ব হ'য়ে গিয়েছিল। এখন কে কোথায় তাও জানি না। শুধু এটুকু জানি আমরা কেউ ভালো নেই! স্কুলের সেই ঝলমলে ফলাফল পরবর্তী জীবনে আর আলো ফেলেনি! ফেলেও না! কেন ভালো নেই সেটা কি ক'রে জানলাম সেটা আর না হয় নাই বা কেউ জানতে চাইলেন, নিজের দিকে ও চারপাশের দিকে তাকালে সে সম্পর্কে একটা ধারণা করা যায় শুধু এটুকু বলতে পারি। আর কেন ভালো নেই তার উত্তর অন্যদের থেকে কিংবা সমাজ ব্যবস্থা ইত্যাদির মত ভেক পরনির্ভরতা থেকে বরং নিজেরাই নিজের সম্পর্কে ভালো দিতে পারি।

যাই হ'ক, আর সেই বছরই আমাদের ক্লাসের যে সবচেয়ে ভালো ছাত্র ছিল, যাকে আমরা বলতাম আমাদের ব্যাচের শুধু নয় আমাদের স্কুলে যত ভালো জুয়েল ছাত্র ছিল, ক্রিম ছিল সে ছিল ক্রিম অফ ক্রীমস!!!!!!! সেই ক্লাস তথা স্কুলের সবচেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছাত্র সেই বছরের পরীক্ষায় যার স্ট্যান্ড করার কথা, ১০ জনের মধ্যে একজন হওয়ার কথা, গোটা স্কুল যার দিকে তাকিয়েছিল সে কিন্তু কিছুই হ'তে পারেনি! শুধু সাধারণভাবে ফাস্ট ডিভিশনে পাশ করেছিল! যদিও না হ'তে পারার নমুনা অর্থাৎ ডিরেইল্ড হওয়ার ইঙ্গিত সে অনেক আগেই দিতে শুরু করেছিল সেই ক্লাস এইট/নাইনে পড়ার সময় থেকে! তখন সাম্যবাদের ভুত তার মাথায় চেপে বসেছিল! চেপে বসেছিল শোষিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির কথা! চেপে বসেছিল রাষ্ট্র ব্যবস্থার শৃঙ্খল থেকে অত্যাচারিত মানুষের বন্ধন মুক্তির স্বপ্ন! মনে পড়ে একবার তখন বোধহয় এইটে কিংবা নাইনে পড়ি স্কুলের টিফিন পিরিয়ডের সময় আমাদের কয়েকজন ছাত্র বন্ধুকে সে নিয়ে গিয়েছিল স্কুলের পাশেই একটা বাড়িতে! রাস্তার ধারে বাড়িটার নীচে চায়ের দোকান আর উপরে দোতলায় একটাই মাত্র ঘর! সেই ঘরে বসেছিলাম। মনে পড়ে সেদিন সে আমাদের সাম্যবাদের পাঠ পড়িয়েছিল! চেয়েছিল স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে একটা সাম্যবাদী সংগঠন তৈরির স্বপ্ন দেখতে! কিন্তু সেদিন আমি তার পথের বাধা হ'য়ে দাঁড়িয়েছিলাম! আমার উপর ছিল তার দারুণ নির্ভরতা ও বিশ্বাস! সে ছিল ক্লাসের শান্তশিষ্ট চুপচাপ থাকা আমাদের সবার প্রিয় মেধাবী ছেলে! চেহারায় ছিল রোগাপ্যাটকা কালো বেশ কালো ছেলে! কিন্তু চোখেমুখে ছিল অসম্ভব এক উজ্জ্বল ঝলমলে আলো! বাড়িতে কে কে ছিল তা ঠিক জানা ছিল না। তবে যতদূর মনে পড়ে সম্ভবত স্কুলের সামনেই কোন এক বাড়িতে থাকতো! একবার কি দুবার গিয়েছিলাম ওর বাড়িতে। রাস্তার ধারেই ছিল বাড়ি। ভাড়া বাড়ি কিংবা নিজের বাড়ি! তাও এখন আর মনে পড়ে না। শুধু আবছা মনে পড়ে বোধহয় বাড়ির লোকজন ওপারে ছিল আর অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। তার বাড়িতে যাওয়ার কারণও ছিল অদ্ভুত! তাও বাড়ির ভিতরে কোনোদিন যাইনি! বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারে বাড়ির জানালা পর্যন্তই ছিল আমাদের যাওয়ার দৌড়। অদ্ভুত কারণটা ছিল, স্কুলে যদি কোনোদিন পড়া না পারতো-----এই না পারাটা শুরু হয়েছিল সেই সময় থেকে যে সময় তার ভালোলাগার বিষয় হ'য়েছিল সাম্যবাদ!------সেইদিন সে স্কুল থেকে টিফিনে শরীর খারাপের অজুহাতে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যেত, আর বাড়িতে গিয়ে সে দুপুরে সেই না পারা পড়া, পিছিয়ে থাকা বিষয় নিয়ে পড়াশুনায় ডুবে যেতো! এটা শুনেছিলাম! কিন্তু কার মুখে শুনেছিলাম তা মনে পড়ে না। তবে ব্যাপারটা দেখবার জন্য আমরা কয়েকজন ছাত্র একদিন এরকম দিনে টিফিনে তার ছুটি নিয়ে চলে যাবার পর তার বাড়ি গিয়েছিলাম। রাস্তার ধারে চুপি চুপি সেই জানালায় উঠে দেখেছিলাম সে কি করছে! দেখেছিলাম সত্যি সত্যিই সে ঘরে নিরালায় একাকী বই পড়ছে! তবে কি বই পড়ছে তা বুঝতে পারতাম না। এখন মনে হয়, হয়তো সেই না পারা পড়া পড়ার সাথে সাথে নতুন দুনিয়ার স্বপ্নে মশগুল স্বপ্নের জগতের পড়া পড়তো!
সেই যে আমার প্রতি স্কুলে তার নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার জন্য তার অভিমান, রাগ হয়েছিল তা ছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত! হয়তো বা সেই অভিমান বা রাগ পরবর্তীতে টার্ন নিয়েছিল ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে! দ্যাখ কার ক্ষমতা বেশী! এটাই ছিল অবচেতন মনে চাপা পড়া গুপ্ত মানসিকতা! ব্যাপারটা ছিল, সে ছিল মার্কসের সাম্যবাদ-এ বিশ্বাসী আর আমি ছিলাম The greatest phenomenon of the world SriSriThakur Anukul Chandra-এর সামঞ্জস্যবাদে বিশ্বাসী! সে ছিল শান্তশিষ্ট পাতলাপুতলা মুখচোরা আর আমি ছিলাম শরীর স্বাস্থ্যে শক্তপোক্ত ব্যায়াম করা ডাকাবুকো ছেলে! তাই সে স্বভাবগত ও স্বাভাবিকভাবেই আমাকে কাছে পেতে চেয়েছিল। কিন্তু সে ভাবেনি কোথাও একটা সূক্ষ্ম তফাৎ রয়ে গ্যাছে দুজনার চরিত্রে, ব্যক্তিত্বে! আমার মূলত যেটা ছিল ভাবনার মধ্যে তা হ'ল পড়াশুনায় ভালো দারুণ মেধাবী একটা সহপাঠী, স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করার সম্ভাবনাময় একজন ছাত্র ক্রমশঃ ক্লাসের পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে তা হ'তে পারে না! তাকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতেই হবে! সামনে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা! স্কুলের সেই সময়ের প্রতিষ্ঠাতা যিনি স্কুলের টিচারও ছিলেন আমার উপরে কেন জানি তাঁর ভরসা ও নির্ভরতা দুটোই ছিল! সেইসময় সাম্যবাদ আর সামঞ্জস্যবাদ নিয়ে আদর্শের লড়াই যতটা না ছিল তার থেকে বেশি ছিল, সহপাঠীর ভবিষ্যৎ ঝকঝকে রেজাল্ট, স্কুলের সুনাম সর্বোপরি স্কুলে রাজনীতি প্রবেশ করতে না দেওয়ার তীব্র প্রচেষ্টা ও মনে মনে চুপিচুপি চ্যালেঞ্জ! সেইসময় স্কুলে রাজনীতি ঢুকতে না দেওয়া, অন্য ছাত্রদের মধ্যে তার প্রভাব আটকানো গেলেও (যার ফলস্বরুপ স্কুল ফাইনালে দুর্দান্ত রেজাল্ট!) সেই সহপাঠী ছাত্রবন্ধুকে সাম্যবাদের ভুতের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি। ফলস্বরূপ স্কুলফাইনালে তার রেজাল্ট ছিল অতি সাধারণ! ফাস্ট ডিভিশন!!

তার পরবর্তী সময়ে সে হয়েছিল শ্রমিক নেতা! স্কুল ফাইনাল পরীক্ষার পরই তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু সে রাজনীতি করার সুবাদে ঢুকে গিয়েছিল কারখানায় আর তার সাম্যবাদের স্বপ্ন ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছিল ট্রেড ইউনিয়নের জটিল রাজনীতিতে! সেইখানেই তার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে দেখা হয় কর্মসূত্রে! তখন সে ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতিতে রীতিমত পরিচিত মুখ। সেইসময় একটা দূরত্ব মেইন্টেন হ'তো দুজনার মধ্যে! কর্মস্থলে অনেক সীমাহীন সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমি যাওয়া সত্ত্বেও কোনোদিনও সে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেনি, আয়! কি হয়েছে বল! আমি দেখছি! যখন ক্ষমতার শীর্ষে সে সেসময় কয়েকবার মুখোমুখি অফিসে কথা হয়েছে কিন্তু তা কখনোই আমার সমস্যা নিয়ে নয়। আমিও তাকে কোনোদিন মুখ ফুটে বলিনি আমার কষ্টের কথা। সে জানতো, সব জানতো! কে বা কারা কারা আমাকে কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত সীমাহীন লেগপুল ক'রে চলেছে, ম্যানেজমেন্টের সহায়তায় কোন কোন নেতা আমায় আমার চাকরি জীবনের ক্যারিয়ার কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে সব জানতো, ইচ্ছে করলেই আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারতো কিন্তু দেয়নি তা কোনোদিনই! আমি যে তার শুধু ক্লাস মেট তাই নয়, আমি ছিলাম একেবারে প্রাইমারি স্কুলে সেই ক্লাস ওয়ান থেকে একেবারে দশ ক্লাস পর্যন্ত পড়া এক ও একমাত্র ক্লাস মেট ও একই কর্মক্ষেত্রের একমাত্র শৈশব থেকে যৌবনের সাথী! যাই হ'ক দু'জনে নিজের নিজের ক্ষেত্রে সম্মানজনক দূরত্ব নিয়ে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়েছিলাম!

সেই স্কুলের সবচেয়ে মেধাবী, ক্রিম অফ ক্রীমস স্টুডেন্ট, শান্তশিষ্ট, চুপচাপ কালো পাতলাপুতলা দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় সাম্যবাদের স্বপ্ন দেখা সমাজ কো বদল ডালোর সৈনিকের জীবন থেমে গেছিল ৯০দশকের শেষদিকে এক সন্ধ্যায় ক্লাব থেকে আড্ডা মেরে বাড়ি ফেরার পথে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের উপরে আততায়ীর গুলি ও ছুরির আঘাতে! থেমে গেছিল জীবনের প্রথমদিকে দীর্ঘদিনের কষ্টের উপর দিয়ে ছুটে চলা সুপারফাস্ট জীবনগাড়ি!
প্রশ্ন জাগে আজ মনে, কে দায়ী!? কেন এমনভাবে থেমে গেল জীবনগাড়ি!? কেন দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় ক্রিম অফ ক্রীমসের জীবন ক্রিমহীন শুকনো খটখটে হ'য়ে অসময়েই শেষ হ'লো!? কেন একদিন স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষায় ১০ জনের মধ্যে স্ট্যান্ড করা আমার সাথীরা কেউ ভালো নেই, সুখে নেই!?

এই সুপারফাস্ট জীবনগাড়ি মাঝপথে অসফল অবস্থায় থেমে যাওয়া কিংবা সুখী না হওয়া, ভালো না থাকার জন্য কে দায়ী? বাড়ি? স্কুল? বন্ধুবান্ধব! পরিবেশ? সমাজ? সভ্যতা? দেশ? নাকি নিজে!?

জানি না! জানার আর এই বয়সে ইচ্ছেও নেই। শুধু আজকের এই পরীক্ষার ফলাফল বেরোবার আনন্দের দিনে সবাই আনন্দ করুক এই কামনা করি। আর শুধু স্মরণ করি The greatest phenomenon of the world SriSriThskur Anukul chandra-এর কথা:

"তুমি ঠিক-ঠিক জেনো যে, তুমি তোমার, তোমার নিজ পরিবারের, দশের এবং দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দায়ী।"

Sunday, July 12, 2020

ধর্ম ও শান্তি!

আল্লা, গড, ঈশ্বর বা ভগবান অর্থাৎ এককথায় সৃষ্টিকর্তা যখন মানুষের রূপ ধ'রে মানুষের মাঝে নেবে আসেন সেখানে তিনি ধর্মকে সাথী ক'রেই নেবে আসেন। ধর্মের মূর্ত প্রতীক তিনি! ধর্ম মানে ধ'রে রাখা। আর যখন শব্দের আক্ষরিক অর্থের ধাতুগত রূপ ধ'রে এগোবো তখন দেখতে পাবো ধর্ম মানে ধ'রে রাখা। আর সৃষ্টিকর্তা সব কিছুকেই ধ'রে আছেন; ধ'রে আছেন তোমাকে আমাকে ইহাকাল-পরকাল, সবকাল! ধ'রে আছে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ! ধ'রে আছেন স্পার্ম-ওভাম-এর মধ্যে দিয়ে বংশপরম্পরা! ধ'রে আছেন বিশ্বব্রম্যান্ডের সমস্ত কিছু নিখুঁত গাণিতিক নিয়মে! ধ'রে আছেন মহাবিশ্বের জাগতিক রহস্যের সমস্ত কারণের কারণকে! তাই তাঁকে বলা হয় পরমকারুনিক! আর এই গাণিতিক নিয়মের যেখানে এতটুকু ব্যতয় ঘটে, ধ'রে রাখায় ঘটে সামান্যতম বিচ্যুতি তখনই সেখানে নিয়ম ভেঙে অনিয়মের সূত্রপাত হয়, যেখানেই ধ'রে রাখার মেকানিজম-এ গন্ডগোল দেখা দেয় তখনই ভেঙে পড়ে ঘরেবাইরে দেশেদেশে পরস্পর ধ'রে রাখার শান্তির প্রাসাদ! শুরু হয় মহাপ্রলয়! সৃষ্টি হয় ভূগর্ভের, সমুদ্রের তলদেশের গভীরের ভু-অভ্যন্তরের শিলার স্থানচ্যুতির কারনে অর্থাৎ পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে ধ'রে রাখায় ব্যাঘাত ঘটলেই ঘটে ভূমিকম্প, হয় জলোচ্ছ্বাস! পরিণতিতে নেবে আসে ভয়ঙ্কর প্রলয়, অশান্তি অসুখের বিষাক্ত নিশ্বাস! এই ধ'রে রাখা যখনই যেখানে ধ'রে না রাখার শক্তিতে পর্যবসিত হয়েছে সেইখানেই তখন সৃষ্টি হয়েছে অধর্মের! আর অধর্ম সৃষ্টি হওয়ার ফলেই বিঘ্নিত হয়েছে সৃষ্টির বুকে শান্তির পরিবেশ! অধর্মের হাত ধ'রে এসেছে অশান্তি! আর অশান্তি এনেছে বিশ্বজুড়ে পৃথিবীর বুকে অসুখ, গভীর অসুখ! যার পরিণতি মৃত্যুতে, ধংসে। এই মৃত্যুভয়, এই ধ্বংসের হাত থেকে সৃষ্টিকে রক্ষা করতে, বাঁচাতে-বাড়াতে আল্লা, গড, ভগবান, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যাই-ই বলি না কেন তিনি নেবে আসেন তাঁর ধ'রে থাকার মূল মরকোচকে সঙ্গে নিয়ে আর তার সঙ্গে সঙ্গে থাকে শান্তি! সৃষ্টির ধ'রে রাখার গাণিতিক নিয়ম আর শান্তি টাকার এ-পিঠ আর ও-পিঠ! বিশ্ব সংসারে ঘরেবাইরে যেখানেই ধ'রে রাখার গাণিতিক নিয়ম যতটুকু লঙ্ঘিত হয় বা হয়েছে ও হচ্ছে ঠিক ততটুকুই এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে বেশি পরিমাণও সেখানে শান্তি লঙ্ঘিত হয় বা হয়েছে ও হচ্ছে! তাই শান্তির ধর্ম মানে শান্ত থাকার, শান্তি বজায় রাখার ধর্ম পালন। যা যা করলে, গাণিতিক নিয়মে নিয়ম পালন করলে শান্তি বজায় থাকে সংসারে ও প্রতি জীবনে, শান্ত থাকে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাই তাই পালনই ধর্ম! এছাড়া আলাদা আলাদাভাবে ধর্ম ও শান্তি ব'লে কিছু নেই! ধর্ম নেই শান্তি নেই! শান্তি নেই মানে ধর্ম পালন নেই! তাই জীবনে জীবনে, ঘরে ঘরে, দেশে দেশে, বিশ্বজুড়ে যে আগুন জ্বলছে তার কারণ অধর্ম আর অশান্তি হাত ধরাধরি ক'রে করে প্রেম মাখামাখি! তাই ধর্ম বা শান্তি পালন বা অর্জন সবটাই নিজের হাতে। মাথা একটাই, হয় সেখানে আল্লা, গড, ভগবান, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা বসবেন নাহয় শয়তান কিলবিশ বসবে অর্থাৎ মাথা ধ'রে রাখবে ধর্ম ও শান্তির মূর্ত প্রতীক জীবন্ত ঈশ্বরকে অর্থাৎ এককথায় রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে নতুবা শয়তান কিলবিশের মূর্ত প্রতীক রাবণ, কংস, দুর্যোধন ইত্যাদি ইত্যাদিকে! আর তা ঠিক করতে হবে নিজেকেই!!!!!! আর সেইমত আসবে জীবনে, ঘরে, দেশে, বিশ্বে শান্তি! শান্তি!! শান্তি!! অশান্তি! অশান্তি!! অশান্তি!!!

প্রভু!

প্রভু তুমি এসেছিল বারেবারে তোমার রঙে তোমার সৃষ্টিকে রাঙাতে!
ভন্ড ভক্তকুল ও আস্তিক আমরা বাধার পাহাড় হ'য়ে দাঁড়িয়েছি বারেবারে তোমার কাজে তে!!
"মুখেতে আছে, ব্যবহারে নাই
সেই শিক্ষার মুখে ছাই"
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের এই বাণীর জ্বলন্ত রূপ আমরা তথাকথিত সৎসঙ্গীরা!!
ফেসবুক, ইউ টিউব জুড়ে আমরা সবাই এখন
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বিশেষজ্ঞ পন্ডিত! চরিত্রে লেন্ডিত!!
প্রবি।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (৪)।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (৩) লেখায় বীরবাহাদুর বাঙালির শ্রীশ্রীঠাকুর সম্পর্কে কুৎসার ছবি তুলে ধরেছিলাম আর এবার আর একজন পুরুষ বাঙালির শিক্ষার পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। চেষ্টা করলাম এর পরের বাঙালি শ্রীশ্রীঠাকুর ও ঠাকুর পরিবার সম্পর্কে কুৎসা ক'রে যিনি মহান বাঙালি সেজেছিলেন তার কথা বলতে আর তার কথা বলেই আমি এই লেখার ইতি টানবো। এইযে যারা ফেসবুকে গালাগালি করছেন, অকথ্য কুকথ্য কথা বলছেন The greatest phenomenon of the world শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে তারা সবাই বৃত্তিপ্রবৃত্তির কামড়ে জর্জরিত হতাশাগ্রস্ত রিপুতাড়িত বিশৃঙ্খল জীবনের অধিকারী বাঙালি নারীপুরুষ!

আমি তাকে তার কুৎসার জবাবে যা লিখেছিলাম তা আমার লেখার মধ্যেই কুৎসার ইঙ্গিত পেয়ে যাবেন পাঠককুল।

আমি বললাম, আপনি ঠাকুরের ভক্ত? আপনি ঠাকুরকে টাকা পয়সা পাঠান? না, আপনি ভক্তও না, কোনও টাকাপয়সাও পাঠান না। তাহলে আপনার এত গাত্রদাহ হচ্ছে কেন!? টাকাপয়সা দিচ্ছে ঠাকুরের প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া ভক্তমণ্ডলী; তাদের যখন পিছন ফাটছে না আরও আরও দেওয়ার জন্য বুক ফাটছে এবং দিচ্ছে ও দিয়ে চলেছে উজাড় ক'রে তার খবর রাখেন? তাহলে তারা তাদের ধন সম্পত্তি যদি দেয় তখন আপনার পিছন ফাটছে কেন!? কিসের এত জ্বালা!? আপনি কি নিজের চোখে দেখেছেন, নিজের কানে শুনেছেন নাকি চোখ দিয়ে শোনেন আর কান দিয়ে বলেন!? ঠাকুরের হোল ফ্যামিলি ঠাকুর হ'য়ে গেছে আর লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করছে কে বললো আপনাকে? আপনি কোনোদিন ঠাকুরবাড়ি গেছেন? ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের দেখেছেন? কে ধরিবাজ লোক? আপনার এত সাহস শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যার পায়ের তলায় বিশ্বের তাবড় তাবড় জ্ঞানীগুণী পন্ডিত আশ্রয় নিয়েছেন ও নিয়ে চলেছেন তাকে আপনার মত বালখিল্য লোক ধরিবাজ বলেন? এখনকার সময়ে শ্রীশ্রীঠাকুর থাকলে কি-------ছিঁড়তেন? এখন তো ঠাকুর নেই তো কি হয়েছে তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান আছে, তাঁর পরিবার আছে, অন্যায় অপরাধ করলে আর আপনার প্রমাণ করার ও কিছু করার ক্ষমতা থাকলে সরকারকে দিয়ে একশান নিন না, জেলের ঘানি টানান না। এখন থাকলে আশারাম বাপু আর রামরহিমের মত জেলের ঘানি টানাতেন শ্রীশ্রীঠাকুরকে? সুস্থ আছেন তো? হুঁশে আছেন তো? নাকি সারাদিনরাত কারণসুরা টেনে পেঁচো মাতালের মত বেহুঁশে কথা বলছেন? কোন মুখ দিয়ে কথা বলছেন? শরীরের উর্ধাঙ্গের বড় মুখ না নিম্নাঙ্গের ছোট মুখ? ভালো কাজ করেছেন কখনো জীবনে? নাকি হাওয়াই হাতি ঘোড়া মেরেছেন আর বাড়ির লোকের কাছে মর্দ সেজেছেন? ঠাকুর সম্পর্কে কিছু জানেন নাকি হিংসা দিয়ে শুধু বুকটা ভরে রেখেছেন? হ্যাংওভার কাটান! আর আসুন আগে ঠাকুর, ঠাকুর পরিবার আর তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একজন সচেতন সুনাগরিকের মত স্টাডি করুন তারপর এইধরনের চিল কান নিয়ে গেছে শুনেই কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছনে ছোটার মত বালখিল্য কাজ বন্ধ করুন আর নিজেকে নিজে সমাজের কাছে হেয় করবেন না। হেয় না হওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

আর পরিশেষে বলি, আসুন বাংলার বুকে বাঙালি হ'য়ে বিশ্বের বিস্ময়ের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ট বিস্ময়কর মানুষ পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে ও তাঁর পরিবারকে কুৎসা গালাগালি ক'রে নিজেদের ভারত তথা বিশ্বের মানুষের কাছে গোটা বাঙালি জাতটাকে কলঙ্কিত করবেন না! আপনাদের মুষ্টিমেয় কয়েকজন বাঙালি মানুষের (?) জন্য অন্যান্য প্রদেশের অন্যান্য জাতের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ঠাকুর পাগল মানুষ অবাক হ'য়ে প্রশ্ন তুলছে বাঙালি জাতটা এত নোংরা টাট্টি কা মাফিক বাত বলতে পারে!?!? বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের যিনি প্রাণপুরুষ, জীবন বৃদ্ধির উদ্ধাতা সেই মানুষটা বাঙালি আর কুৎসাকারীরা সব বাঙালি! এই সেই বাংলা ও বাংলার বাঙালি যে বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবতো!? এই কুৎসাকারী নারীপুরুষরা সেই বাংলার বাঙালি  'শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি-১'-তে উল্লেখিত যে বাংলার শ্রেষ্ঠ বাঙালিরা ও বর্তমান বাংলার বাঙালি দিকপালরা শ্রীশ্রীঠাকুর প্রেমী!?!?!?!?

যাই হ'ক এদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনার, আপনাদের যদি কোনও ক্ষতি ক'রে থাকে ঠাকুর ও তাঁর সৃষ্ট 'সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং ঠাকুর পরিবার তাহলে বলুন, যত ইচ্ছা বলুন, নিশ্চয়ই বলুন, আইনের সাহায্য নিন। কিন্তু জেনে রাখুন শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢেকে রাখা যায় না, সূর্যকে যেমন মেঘ ঢেকে রাখতে পারে না ঠিক তেমনি মিথ্যে দিয়ে ঠাকুর আর ঠাকুর পরিবারকে কলঙ্কিত করতে পারবেন না। আর আজ বাংলা যা বলে গোটা ভারত তা বলা তো দূরের কথা তা শুনেই না! গোটা ভারত তথা বিশ্ব যা বলবে একদিন বাংলা লজ্জায় মুখ ঢেকে তা শুনবে, শুনতে বাধ্য হবে নচেৎ মুছে যাবে এই জাতটাই একদিন! কারণ মহাভারতের পুনরাবৃত্তি হয় যুগে যুগে! সেদিনও মহাভারতের এলিটরা যেমন চুপ ক'রে দেখেছিল অপমান আজও তেমনি বাংলার এলিটরা এই ঠাকুরকে কুৎসা করার বিষয়ে 'আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা' মানসিকতায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলেন ধরি মাছ না ছুঁই পানি-র মতন! আর বলি, আপনারা খামোকা কুৎসা, নিন্দা ক'রে নিজেকে/ নিজেদের খামোকা ছোট করবেন না। কারণ আপনারা যত বলবেন তত ভীমবেগে গোটা পৃথিবীকে গ্রাস ক'রে ফেলবে শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর সৃষ্ট সৎসঙ্গ! ভালো থাকুন। আসুন সবাই ভালো থাকি, শান্ত থাকি, মিলেমিশে আনন্দে থাকি।

শেষ।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (৩)।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (২) লেখায় আমি একজনের ঠাকুরকে গালাগালি করা একটা নমুনা তুলে ধরেছিলাম। যিনি ঠাকুরকে ব্লাউজ পড়িয়ে ঠাকুর নারীবিরোধী ব'লে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যে কুৎসা করে ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি একজন নারী আবার যিনি শেয়ার করেছিলেন ঠাকুরকে মাল আখ্যা দিয়ে তিনিও একজন নারী আবার যারা সেই পোষ্টে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় ঠাকুরকে নিয়ে না জেনে খিল্লি ক'রে অশ্লীল গালাগালি করেছিলেন তারা প্রায় সবাই ছিলেন নারী! আর তাদের মধ্যে কোনও কোনও বীরপুরুষ ছিলেন যারা ঐ শেয়ার করা পোস্টে লিখেছিলেন, আমি কাউকে অশ্রদ্ধা করি না, তবুও এরকম নারী বিদ্বেষী কোনও ধর্মগুরু থাকতে পারে তা ভেবে আমি অবাক হ'য়ে যাচ্ছি! তা হ'লে মা দুর্গা ও মা কালীও তো নারী আর তাদের পূজা করা হ'লে তিনি সেই মায়েদেরও বিরোধী! উনার অনেক নাম শুনেছি কKকিন্তু তিনি যে নারী বিদ্বেষী তা জানতাম না! আজ জানলাম! আমি প্রকাশ বিশ্বাস দা'র কাছে জানতে চাই এই নারী বিদ্বেষী মানুষটা সম্পর্কে তাঁর কি বক্তব্য।

এই মন্তব্য আমাদের কি শেখায়? একটু লক্ষ্য করলেই দেখুন মন্তব্য প্রমাণ করে যে কতটা চালাকি লুকিয়ে রয়েছে এই মন্তব্যে! পুরুষ মন্তব্যকারী ( আমি আগেই বলেছিলাম নাম উল্লেখ করবো না তাই নারী পুরুষ মন্তব্যকারীদের নাম উহ্য রাখি ) বলছেন উনি কাউকে অশ্রদ্ধা করেন না শুধু উনার জানার ইচ্ছে আমার কাছে। উনি ঠাকুরের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য, অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ, গায়ে ব্লাউজ পড়ানো ইত্যাদির কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন না, তিনি সবাইকে শ্রদ্ধা করেন কিন্তু অশ্লীল গালাগালি, কুৎসা রটনা ও অশ্রদ্ধাকারীর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেন না! উল্টে তার সঙ্গে রসিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প জমাতে পারেন আর ঠাকুর সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলতে পারেন, আমাকে সত্য মিথ্যা জবাব দিতে বলেন! অথচ ঠাকুরের অনেক নাম শোনা সত্ত্বেও তাঁর সম্পর্কে স্টাডি করার কোনও ইচ্ছে নেই! কিন্তু মন্তব্য করতে বালখিল্য ঋষির মত একপায়ে খাঁড়া!

যাই হ'ক এবার আসি ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর একজনের কটু মন্তব্য সম্পর্কে। তিনি একজন ব্যাংকের কর্মচারী এবং ঠাকুরের সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন আর সৎসঙ্গীদের সম্পর্কে বলেছেন কিছু হিন্দুদের এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাদের থেকে রেভিনিউ আদায় করা হয়!!!! পরে জানা গেল তিনি চাকরীর জায়গায় সহকর্মীদের মাঝে চাকরী সংক্রান্ত লেনদেনের দড়ি টানাটানির মাঝে সুবিধে করতে পারেননি তাই সৎসঙ্গের ওপর তার অবদমিত ইচ্ছার দুর্গন্ধযুক্ত হাই তুলেছেন, তুলেছেন টক ঢেঁকুর! কারণ সেখানে তার প্রতিপক্ষকে যিনি সাহায্য করেছেন তিনি একজন প্রভাবশালী ও সৎসঙ্গী! তাই যত দোষ নন্দ ঘোষের মত যত রাগ ঠাকুর ও ঠাকুরের প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন! আর ফেসবুকে সেই রাগের বমন উদ্গীরণ ক'রে চলেছেন নিত্য নূতন কায়দায় ঠাকুর আর সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার তাগিদে! তার সেই বমনের উত্তরে তাকে যা লিখেছিলাম তাই তুলে ধরলাম।

মিঃ -----------, যেহেতু আপনি দুঃখের সঙ্গে বলেছেন আপনার কথা সৎসঙ্গের বিরূদ্ধে তাই আমিও দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি 'বারো হাত কাঁকুরের তেরো হাত বীচি'-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, 'গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত' হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে এও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বালখিল্য ঋষির মত আর অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি সবজান্তা হরিদাস পালের মত সবজান্তা হরিদাস হ'য়ে সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার মত অমাবস্যার চাঁদেরা, ডুমুরের ফুলেরা সৎসঙ্গকে বলা ব্রোকারেজ হাউজের স্বনামধন্য দালাল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, গুলজারিলালনন্দ, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক, বিজ্ঞানী কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্য, বিজ্ঞানী শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, জাদুকর পি, সি, সরকার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কবি হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি এরা সব ছিল আপনার কথামত 'সৎসঙ্গ' নামক ব্রোকারেজ হাউজের দালাল! আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত হার্পার এন্ড ব্রাদার্স পাবলিশিং কোম্পানির তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৬১) ইউজিন এক্সম্যান, দার্শনিক এডমান্ড স্পেনসার, রে আর্চার হাউজারম্যান, অভিনেতা ও সমাজসেবী মিস মিকি, প্রফেসর রবার্ট (বব) কামিং, চেকোশ্লোভাকিয়ার অধিবাসী ডাক্তার ও ইউএনও-এর মেডিকেল সদস্য ক্যারেল পডলিশক, আসামের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ, বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিনোদানন্দ ঝা, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার শৈলকুমার মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, নরেন্দ্র দেব, উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখার্জী আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সংগীতশিল্পী নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য্য ইত্যাদি ইত্যাদি কত নাম বলবো? ব"লে শেষ হবে না; শ'য়ে শ'য়ে ভারতের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ছুটে ছুটে আসা এই ভারতরত্নরা ব্রোকারেজ হাউজের সব চার অক্ষর দালাল ছিল, তাই না সর্বজ্ঞ হরিদাস পাল দাদা!?!? আপনি সৎ জ্ঞানী ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ আগেগোড়া সব জানেন আর প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া সব চার অক্ষর নারীপুরুষ কিছুই জানে না, একেবারেই চার অক্ষর ও অন্ধ--------!!! তাই না!?

আর আপনি লিখেছেন কিছু হিন্দুকে জড়ো করা হয়েছে যারা রেভিনিউ আদায়ের উপকরণ! প্রথম কথা, বালখিল্য ঋষির মত কথা বলেন কেন!? আপনি তো রেভিনিউ দেন না, যারা দেয় তাদের তো -------ফাটছে না, আপনার কেন ফাটছে!? যারা দিচ্ছে তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে তাতে আপনার কি!? আপনার কেন গায়ে জ্বালা ধরছে একটু বুঝিয়ে দেবেন!? আপনি ------- এক পয়সাও দিচ্ছেন না ও দেন না তাহ'লে আপনার অন্ডকোষে এত ব্যাথা কেন!?

আর শেষ কথা বলি, ভালো ক'রে পড়ার অভ্যাসও নেই! না পড়ে মন্তব্য করেন কেন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত!? ভালো ক'রে পড়ে দেখুন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ-এর কথার জবাবে আপনার বাচাল কথামত ব্রোকারেজ হাউজের মালিক শ্রীশ্রীঠাকুর কি উত্তর দিয়েছিল তারপর মন্তব্য করবেন। সৎসঙ্গ শুধু হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল নাকি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের একছাতার তলায় দাঁড়ানো সম্মিলিত সংঘবদ্ধ সংগঠন সেটা একবার ভালো ক'রে পড়ুন আর জানুন, জানুন, জানুন কে এই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর মানুষ আর কি ও কেমন এই সংগঠন!!!!! না পড়ে, না জেনে, না বুঝে, না দেখে আবালের মত মতামত দিয়ে নিজেকে জনসমক্ষে ছোটো এবং নিজের ও অপরের ক্ষতি করবেন না! ভালো থাকুন।

এরপর তিনি আমায় আমার কেন এত ফাটছে সে সম্পর্কে অনেক গালাগালি দিয়ে বললেন আমায় জ্ঞান না দিতে। তা জ্ঞান দেওয়ার বদভ্যাস আমার নেই, অনধিকারচর্চাজনিত অসভ্য বদভ্যাসের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার অভ্যাস ও অধিকার আমার আছে। যেহেতু বিষয় আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই তাকে তার বদভ্যাসের বিরুদ্ধে যা লিখেছিলাম তা তুলে ধরলাম আমার সৎসঙ্গী পাঠকদের জন্যে।

আমার কিছু ফাটেনি আর আপনার লেখায় কোনও ফাটার মত মালমশালা নেই যে ফাটবে। আপনার ফাটাবার মত কোনও এলেম নেই। আপনার বক্তব্য মাকাল ফল সর্বস্ব। মাকাল ফল দেখেছেন? না দেখলে চেষ্টা ক'রে দেখুন বাজারে কোথাও দেখতে পান কিনা। তাহ'লে বুঝবেন কেন বললাম। লম্বা ভাষণ দিইনি উল্টে টেনে আপনার জন্ডিস চোখকে লম্বা করতে চেয়েছি। যাতে লম্বা ভাষণের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেন। ক্ষমতা থাকলে আমার লেখার উত্তর দিন। আপনি যদি ঢিল মারতে পারেন তাহ'লে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ঢিল মারতে হয়। কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল মারবেন আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন? যখন উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নেই তো বালখিল্য ঋষি সাজার শখ কেন? সৎসঙ্গ আপনার কি ক্ষতি করেছে? শ্রীশ্রীঠাকুর আপনার কি ক্ষতি করেছিল? বাচাল কথা বলবেন আর ভেবেছেন সবাই আপনার বাচাল কথা শুনে চুপ ক'রে বসে থাকবে? ক্ষমতা থাকলে গালাগালি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন ভদ্রলোকের মত। আলোচনার টেবিলে বসে যুক্তি দিয়ে তথ্যের সাহায্যে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে জোরালো সওয়াল করুন আর প্রমাণ করুন আপনার বক্তব্য সঠিক। আপনি শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানকে অপমান করেননি, করেছেন আমার মন্তব্যে  উল্লেখিত ভারত তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় স্বনামধন্য প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের, সঙ্গে তাঁর কোটি কোটি অনুগামীদের যাদের পায়ের নখের যোগ্য আপনি নন। তাই বলি হুঁশ-এ আসুন। অকারণ কাউকে না জেনে কোনও অপমানজনক মন্তব্য ক'রে নিজেকে ছোটো ও অপমানিত করবেন না। ভালো থাকুন।

ক্রমশঃ।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালী (২ )

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (১) লেখায় আমি লিখেছিলাম, যাদের যাদের সঙ্গে ঠাকুরকে ও ঠাকুরের সৎসঙ্গ সম্পর্কে কটূক্তি, গালাগালি করার জন্য কথা বলেছিলাম সেইসমস্ত নারীপুরুষদের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বলা কথাগুলি পরবর্তী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (২) লেখায় তুলে ধরবো। তাই তুলে ধরছি প্রথম যে সাহসী ও আধুনিকা মহিয়সী নারীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছিল সেই কথাগুলি। একটু মন দিয়ে ভালো ক'রে পড়লেই আমার লেখার মধ্যে দিয়েই বুঝতে পারবেন মহিলার ঠাকুর সম্পর্কে কটূক্তির ধরণ আর সেই অনুযায়ীই উত্তর।

ঠাকুরের সেই এডিট করা ছবি যে ছবিতে এক নারী ঠাকুরকে ব্লাউজ পড়িয়ে ঠাকুর নারী বিরোধী লিখে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল সেই ব্লাউজ পড়া ঠাকুরের ছবিকে যে নারী নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করেছিল ঠাকুরকে 'মাল, সহ্য হয় না, পিরিত মারাচ্ছে' ইত্যাদি কথা লিখে তাকে লিখেছিলাম,

আপনার মুখের ভাষা আপনার জীবনের, চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ! আপনার মুখ দিয়ে ঠাকুর সম্পর্কে ভাষা বেরোচ্ছে "এই মালটা----" আপনার এই মালটাকে সহ্য হচ্ছে না লিখেছেন। আপনি লিখেছেন "কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে"!

প্রথম কথা,
'কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে' এই কথাটা আপনার মত উজ্জ্বল কন্যা রত্ন জন্ম দেবার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন না! কারণ আপনার বাবা-মা তো 'এই মাল'-টার দীক্ষিত! তা তারা বোধহয় ভালোই বলতে পারবেন কিসের পিরিতে তারা 'এই মাল'-টার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন!

দ্বিতীয় কথা:
আপনার বাবা-মা আপনার কথামত যে 'মাল'-টার কাছে দীক্ষা নিয়েছেন সেই তিনি আপনার বাবামার গুরু যদি আপনার চোখে 'মাল' হন তাহ'লে আপনি কি মনে করেন না আপনার বাবা-মা 'এই মাল'-টার থেকেও আরও বড় 'মাল', বামাল !? 'রতনে রতন চেনে আর শুয়োরে চেনে কচু' যদি হয় তাহ'লে সেই একই অর্থে একটা মাল আরেকটা মালকে চেনে, তাই নয় কি!

তৃতীয় কথা:
আপনি নিজেই লিখেছেন "সবার এত কিসের পিরিত এই মালটার ওপর কে জানে!" তা  আপনি জানেন কি 'সবার' বলতে 'এই অসহ্য মাল'-টার শিষ্য সংখ্যা কত? আর 'এত পিরিত' বলতে আপনি জানেন পিরিতের মাত্রা? সংখ্যা!?

চতুর্থ কথা:
আপনি লিখেছেন "কিসের এত পিরিত এই মালটার জন্য কে জানে? তার মানে মালটার প্রতি পিরিতের কারণ আপনার জানা নেই! তা যে বিষয় জানেন না সেই বিষয়ে আলটপকা বালখিল্য মন্তব্য করা কি আপনার স্মার্টনেসের মধ্যে পড়ে? আপনার আধুনিক নারী শিক্ষার মধ্যে পড়ে? এই আলটপকা বেসামাল অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস ভুলে যাবেন না আপনার ছোট্ট একটা ছেলে আছে তার মধ্যে সঞ্চারিত হচ্ছে ধীরে ধীরে যেমন আপনার মধ্যে শিশু বয়স থেকে হ'য়েছিল!!!!!!

পঞ্চম কথা: আপনি কি মনে করেন 'এই মাল'-টার বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া শিষ্যরা (আপনার কথামত "সবার----------" কথার উত্তরে 'সবার' বলতে প্রায় ১০কোটি) সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা------ আর আপনি একমাত্র পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক--------!? প্রায় ১০কোটি সবার এই মালটার প্রতি এত পিরিত তাই তারা সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা-------- আর আপনি পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক------ আর তাই আপনার এত রাগ? এত ঘৃণা!?

ষষ্ঠ কথা:
যে মহিয়সী মহিলার এই পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন সেই মহিলার করা পোস্টে লেখা বক্তব্যে আপনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেই বক্তব্য আপনি কি চোখে শুনে আর কানে দেখে তারপর অশ্লীল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন? আপনার এত অহংকার? এত ঔদ্ধত্ব? কতকগুলি আবাল কথা নিজের মনের আশ মিটিয়ে লিখে কেউ পোস্ট ক'রে দিল আর আপনি ময়দানে নেবে পড়লেন নারীবাদীদের ফেরিওয়ালা হ'য়ে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়ের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র না জেনে, না পড়ে তা শেয়ার ক'রে বমন উদ্গীরণ করতে!? নেবে পড়লেন বাপের বাপের চেয়েও বড় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে 'মাল' সম্বোধন করতে? ছোটবেলা থেকে কি এরকম বিকৃত অসভ্য অশ্রাব্য অশ্লীল সম্বোধন শুনে শুনে বড় হয়েছেন? আপনার পরিবারে কে কাকে এই 'মাল' সম্বোধনে ডাকতো!? আজ আপনি একজন মা হ'য়ে যাকে 'মাল' সম্বোধনে ডাকলেন একদিন আপনার ছেলে আপনার দেওয়া এই শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল' ব'লে ডাকবে না তো? নাকি যে শিক্ষা আজ আপনি ঐ ছোট্ট শিশুর মাথায় অহংকারে ঔদ্ধত্বের সঙ্গে স্থাপন  করলেন আপনার ছেলে সেদিন বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল'-এর 'ম' এর জায়গায় 'ব' যুক্ত ক'রে আপনাকেই বা------ ডাকবে না তো!? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর!!! আজ অশিক্ষা-কুশিক্ষার উপর দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন অহংকারের উপর ভিত্তি ক'রে শুধু মনে রাখবেন চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়! সূর্য ঢোলছে, দিন যাচ্ছে, রাত আসছে, সময় দৌড়চ্ছে আর আপনার ঐ আজকের ছোট্ট শিশু ক্রমে ক্রমে বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে আপনার শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে!
আর প্রতিদিন আপনার মা আপনার জন্য আপনার নোংরা অপবিত্র মুখ দিয়ে বলা প্রায় ১০কোটি লোকের আরাধ্য দেবতা সম্পর্কে 'মাল' সম্বোধন করা মানুষটার কাছে যে মঙ্গল প্রার্থনা করেন তা কি আপনি জানেন? আপনি কি জানেন আপনার ছোট্ট সন্তানের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য যাঁর পায়ে ফুল চড়ায়, ইষ্টার্ঘ্য পাঠায় আপনার বাবামায়ের সেই ইষ্টদেবতা তাঁকে আপনি বকের মত গলা উঁচু ক'রে, চোরের মায়ের বড় গলা ক'রে অশ্লীল 'মাল' সম্বোধন করেন, তাঁকে আপনার সহ্য হয় না! অসহ্য লাগে!! গা জ্বলে যায়!!!

একবার নিজেকে বিবেকের আয়নায় দাঁড় করান আর বিবেককে প্রশ্ন ক'রে দেখুন এই মানুষটা যাকে সহ্য হয় না, মাল ব'লে সম্বোধন করছেন সে আপনার বাঁচা-বাড়ার ক্ষেত্রে কি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল? আপনার বাপের বাপের চেয়ে বড় সবদিকে বড় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় এই মানুষটার শরীরে ঐ ----?----- নামে নারী জাতি ও মা নামের কলঙ্ক মহিয়সী মহিলাটি ব্লাউজ পরিয়ে দিয়েছেন আর আনন্দে আপনি তা উপভোগ করেছেন আর সকলের সঙ্গে ব্লাউজ পড়ানো শরীরের উপরিভাগ নিয়ে হাসি মস্করা করেছেন আদিম উল্লাসে মাতাল হ'য়ে দলবদ্ধভাবে পরস্পর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আদানপ্রদান-এর মধ্যে দিয়ে। তা আপনি আপনার বাবার ও বাবার বাবার কিংবা আপনার স্বামীর কিংবা আগামীদিনে আপনার সন্তান যখন বড় হবে তখন তাদের শরীরে ব্লাউজ পড়াবেন তো? পড়িয়ে আদিম মজাকে মেতে উঠবেন তো? বাবাকে নিয়ে, স্বামীকে নিয়ে, ছেলেকে নিয়ে খিল্লি উড়াবেন তো? কাকে জাঙ্গিয়া পড়াবেন!? কাকে ব্লাউজের সাথে জাঙ্গিয়া পড়ালে ভালো হতো!? এতটা নীচে নাবতে পারেন!? আপনারা মায়ের জাত!? আপনার সন্তান আগামীদিনে আপনাকে 'মা' ব'লে ডাকবে তো? যে শিক্ষায় শিক্ষিত ক'রে তুলছেন ছেলেকে আগামীদিনে যেদিন আপনার যৌবন সূর্য ঢলে যাবে বার্ধ্যকের আকাশে সেদিন আপনার যৌবন মত্ত ছেলে আপনার যৌবনবতী বৌমা আপনাকে জাঙ্গিয়া পড়াবে নাতো!? কিম্বা হাগিস!? আপনি নিজেকে অনেক বড় বিদুষী মহিলা ভাবেন। আপনি কি চাকরি করেন? আপনি বা আপনারা যারা চাকরি করেন না, করেননি কোনোদিন তা আপনি বা আপনারা জানবেন কি ক'রে কি ধরণের নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নারীদের কর্মস্থলে পুরুষকর্মীদের কাছে! ঘরে বসে স্বামীর রোজগারে খেয়ে আর হিল্লি দিল্লি ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তিতে উড়ে উড়ে নারীবাদী হওয়া যায় না। আপনি কি জানেন লক্ষ লক্ষ বিদুষী মহিলা, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মহিলা, চাকরি করা ও বিশ্বের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি বড় বড় পোস্টে চাকরি করা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, প্রফেসর, শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা যাদের আপনি পায়ের নখের যোগ্য নন, যাঁকে আপনি সহ্য করতে পারেন না, মাল ব'লে সম্বোধন করেছেন সেই 'মাল' মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পায়ের কাছে বসে থাকেন!? ইচ্ছে করলেই ঐ সমস্ত শিক্ষায় দীক্ষায়, বংশমর্যাদায়, রুচিতে অতি উচ্চ মার্গে অবস্থানরত আদর্শ নারীরা, আদর্শ মায়ের জাতেরা আপনাদের কথার জবাব দিতে পারেন কিন্তু দেন না কারণ তারা "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই ব'লে কি কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়" তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাঁদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ প্রবল। আপনি বা আপনারা যারা ঠাকুরকে, ঠাকুর সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে, না দেখে, না পড়ে ঠাকুরের ওপর নারী বিদ্ধেষীর তকমা লাগিয়ে দিয়ে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন তারা শেষের দিনে যেদিন সত্য জানবেন (জানার যদি ভাগ্য থাকে বাকী জীবনে) সেদিন প্রায়শ্চিত্ত করবার সুযোগ পাবেন তো এই জন্মে? নারী ও মা জাতির কলঙ্ক যে মহিয়সী মহিলা ঠাকুরকে সবুজ রং দিয়ে খালি গায়ে এই ব্লাউজ এঁকে দিয়েছেন ও ফেসবুকে ব্লাউজ পড়ানো ঠাকুরের বিকৃত ছবি পোস্ট করেছেন এবং ঠাকুর সম্পর্কে ঐ পোষ্টে যে মনগড়া মিথ্যে কথা লিখেছেন তা আপনি বাস্তবে তলিয়ে দেখে নিয়েছেন তো ছবি শেয়ার করার আগে, ঠাকুরকে নিয়ে খিল্লি করার আগে? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর! আপনি আরো আরো গালাগালি করুন আপনার বাবামায়ের আরাধ্য দেবতা ঐ মালটাকে! কেমন!!!!!!

আর, আপনার মুখের ভাষা জবরদস্ত! আপনার মতোই ভয়ঙ্কর সুন্দর ও মিষ্টি! যখন আমি আপনাকে প্রশ্নগুলি করলাম তখন আপনার গায়ে ছ্যাকা লেগে গেল আর আমায় বলছেন নিজের চরকায় তেল দেওয়ার কথা!? শুনুন, আমি আপনার চরকায় তেল দিতে আসিনি। আপনি শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকে পড়ার মত, উপযাচক হ'য়ে অনধিকারচর্চা ক'রে নাক গলিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রিয় মানুষটাকে অপমান, আঘাত করতে। আপনাকে ঠাকুরকে বিশ্বাস করবার জন্য কেউ বলেছিল? আগ বাড়িয়ে কথা বলার বদভ্যাস ভালোই রপ্ত করেছেন! আপনি আপনার পাঁঠা লেজে কাটুন, মাথায় কাটুন, আপনার বাগানে ঘেঁটু ফুল চাষ করুন, আর শ্যাওড়া গাছ লাগান কেউ দেখতে যাবে না; অন্যের বাগান নষ্ট করতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বাগানের মালির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে বাগানকে রক্ষা করার। আর আপনার সঙ্গে মনে হয়না কোনও ভদ্রলোকের কথা বলা পোষাবে!!!!! আমার কি জিনিস নিয়ে থাকার কথা বলছেন? আমার জিনিস আপনার বাবা-মার জিনিস অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর তো এক যেখানে আপনি মূত্রপাত করেছেন!!!! সাহস থাকলে ক্ষমতা থাকলে বাবা-মাকে পাশে বসিয়ে যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে আপনার মুখ দিয়ে সাপ ব্যং ইঁদুর ছুঁচো বের করুন! মুখ দিয়ে তো টাট্টি কা মাফিক বাত বের হয়; আবার বড় মুখে কথা বলছেন? আপনার জন্মদাতা জন্মদাত্রী আপনার দুর্গন্ধযুক্ত কথা সহ্য করেন তো!? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? আগে দেখুন, তারপর কথা বলুন।

এরপরই দেখলাম লড়াইয়ের ময়দান থেকে উধাও, হঠাৎ উধাও হ'য়ে গেলেন এতক্ষণ লড়াই করা আজকের আধুনিকা মহিয়সী মহিলা! সমস্ত কথোপকথন ডিলিট হ'য়ে গেল মুহূর্তে!!!!!!!!! আমাকে ব্লক ক'রে দিয়ে একেবারে পাত্তা কেটে হ'য়ে গেলেন নিরুদ্দেশ!!!

ক্রমশঃ।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (১)।

ফেসবুকে কত কিছুই দেখি। দেখি নানা মানুষের মুখ। বাচ্চাবুড়ো, যুবকযুবতী নানা নারীপুরুষের মুখ! দেখি প্রকৃতির নানা সুন্দর, কুৎসিত, আনন্দ, দুঃখ ভরা, অবাক করা, মজার মজার দৃশ্য! পড়ি কত শত অশ্লীল, সুশ্লীল, দুর্বোধ্য, সহজবোধ্য কবিতা, প্রবন্ধ, ছোট ও অনু গল্প। পড়ি ছোটো ছোটো ইংরেজী বাংলা কোটেশান। পড়ি অনেক কিছুই। ভালো লাগে, আনন্দ পাই। সময় কেটে যায় কোন ফাঁকে, বুঝে ওঠার আগেই দেখি নতুন দিনের শুরু, সূর্য হাসছে পূব আকাশে! আবার কখনো কখনো এমন কিছু পড়ি, এমন কিছু চোখে পড়ে তখন মন ভারাক্রান্ত হ'য়ে পড়ে। কালো মেঘের ফাঁকে আটকে যায় সূর্য! দিন ফুরোবার আগেই নেবে আসে অন্ধকার!

চোখ বন্ধ ক'রে বসে থাকি। চোখের সামনে ভাসতে থাকে মন ভারাক্রান্ত হওয়ার, মন ঝুলে পড়ার, অবসাদে শরীর ভারী হ'য়ে ওঠার লেখাগুলি। লেখাগুলি কখনো অসম্পূর্ণ ও শূন্যতায় ভরপুর, কখনো হতাশাগ্রস্ত দিকশূন্যপুরের নিশানা বহনকারী, কখনো অশ্লীল ও অপমান অশ্রদ্ধাপূর্ণ কুৎসিত ভাষাযুক্ত! দেখি সমাজের ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, ক্রীড়া ইত্যাদি বিভিন্ন সম্মানীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে, প্রাতঃস্মরণীয় মহামানবদের সম্পর্কে, তথা হইতে আগত মহান পুরুষ ইষ্টপ্রতীকে আবির্ভুত পুরুষোত্তমদের সম্পর্কে কটু মন্তব্য ও তাঁদের এডিট করা অশ্লীল ছবি! কখনো কখনো দেবদেবীদের নিয়েও চলে অন্য ধর্মের মানুষের কটূক্তি ও অশ্লীল চিত্র প্রদর্শন।

একটা নিখুঁত ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে! পৃথিবী যে নিখুঁত লক্ষ্যে অভ্রান্ত নিশানায় এগিয়ে চলেছে ধীর অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে ধ্বংসের দিকে, আগামী মানব প্রজাতির বিলুপ্তির দিকে তার স্বচ্ছ ছবি ভেসে ওঠে মন ক্যামেরায়! কষ্ট হয়, একটা যন্ত্রণাময় ঘোর লাগা অবস্থার শিকার হ'ই! আর তখনি মনে ঝড় ওঠে, আর আছড়ে পড়ে মনের তটে! ভিতর থেকে কে যেন ভয়ংকর শব্দে সিংহ গর্জনে হামলে পড়তে চায়! আবার পরমুহূর্তেই মন বলে, ফিরে চলো মন নিজ নিকেতনে!

তাই ফিরে এলাম নিজের নিকেতন অর্থাৎ ঘরে! ফিরবো ঘরে কোথায় এমন ঘর!? নিকেতন অর্থাৎ ঘর সেথায় যেথায় থাকেন স্বয়ং জীবন্ত ঈশ্বর! ঘরে ফিরে বসি শান্ত মনে আর ভাবি মানুষ কেন এমন হয়!? কেন মানুষ মানুষের প্রতি এমন অসভ্যের মত, অমানুষের মত আচরণ করে!? কেন করে!? কোনও কারণ ছাড়া কি ক'রে একজন আরেকজনকে অপমান, অশ্রদ্ধা, অশ্লীল গালাগালি, নিন্দা, কুৎসা করে!? কি ক'রে একজন আরেকজনের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র না জেনে, না দেখে, না বুঝে, না শুনে আবার কানে দেখা আর চোখে শোনা মানসিকতায় কটু মন্তব্য করে!? তাহলে কি জন্মগত দোষ নাকি পরিবেশের দোষ!? আরও অবাক হ'য়ে যায় যখন দেখি ঠাকুরের শিষ্য, ঠাকুরের জন্য বুক ফাটছে, ঠাকুর ঠাকুর ক'রে এলাকায় লাফিয়ে বেড়াচ্ছে, জগৎ মাতিয়ে তুলছে আবার পরমুহূর্তেই ঠাকুর পছন্দ করেন না, ঠাকুর দর্শন বিরোধী এমন কথা, ছবি, লেখা ইত্যাদি জিনিসে লাইক দিচ্ছেন, মন্তব্য করছেন, শেয়ার করেছেন, কোমর বেঁধে নেবে পড়ছেন প্রচারের উদ্দেশ্যে!!!!! এর থেকে প্রমাণ হয় ঠাকুর কি পছন্দ করতেন আর করতেন না সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধ্যান বা ধারণা নেই!!!!!!! কিংবা জানা থাকলেও চরিত্রে তার প্রতিফলন নেই!!!!!!!

যাই হ'ক এরকম ঘৃণ্য, নিচ, দুর্গন্ধযুক্ত মানসিকতা নিয়ে বিশ্বের সর্বকালের বিস্ময়ের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে নিয়ে অশ্লীল পোস্ট চোখে পড়ল! প্রায় সময় ঠাকুর বিরোধী ঘৃণ্য মন্তব্য চোখে পড়ে। আর সেই সমস্ত মন্তব্যের সবাই বাঙালি। দুঃখের বিষয় ঐ সমস্ত অশ্লীল অশ্রাব্য কটু ঘৃণ্য মন্তব্যের মধ্যে নারীরাও ভয়ঙ্কর ভূমিকা পালন ক'রে চলেছেন! এই একটা বিষয়ে নারী আর পুরুষ সমান সমান শুধু নয় অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদেরও ছাড়িয়ে গেছে!!!!!!

আসুন একবার দেখে নিই পুরুষ, বিশেষত নারীজাতি ঠাকুরকে নিয়ে কি ধরণের অশ্লীল, অশ্রাব্য মন্তব্য করে, তার ছবিতে কি ধরণের অশ্লীল এডিট করে আর তার উত্তরে উত্তরটাই বা কি!?

আমি যাদের যাদের সঙ্গে ঠাকুর ও তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে করা কটূক্তি ও এডিট করা ছবি পোস্ট করা সম্পর্কে আলোচনা করেছি সে সম্পর্কে যতটুকু মনে আছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। শুধু তাদের নামগুলো তুলে ধরলাম না তাদের সামাজিক অবস্থান নষ্ট না হওয়ার কারণে। যদিও এইসমস্ত মানুষগুলোর মনে হয়না আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ আছে।

ঠাকুরকে নিয়ে একটা ছবি পোস্ট হয়েছে দেখতে পেলাম। সেই ছবিটার শেয়ারের সংখ্যা ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং সেই ছবি ও ছবিতে যে বক্তব্য লেখা হয়েছে সেই ছবি ও বক্তব্যের সমর্থনে লাইক, ইমোজি ও জবরদস্ত ঘৃণ্য কটু মন্তব্য হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর সেই লাইক ও মন্তব্যের প্রায় সবাই নারী। আর মন্তব্যের প্রায় সব মন্তব্যই ঠাকুর ও ঠাকুরের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র না জেনেই। ছবির বক্তব্য বিষয় ঠাকুর নাকি নারী বিদ্বেষী, নারী বিরোধী! বক্তব্য প্রাণখুলে মনগড়া সাজানো কথায় ভরা! কখনো বা ঠাকুরের বাণী বা বক্তব্যের অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝেই, অনুধাবন না করেই উপরি ভাসাভাসা খুশিমত, নিজের বৃত্তিপ্রবৃত্তিকে খুশি করার তাগিদে ইচ্ছেমত বালখিল্য শব্দ দিয়ে ভরা!!!! আরও আশ্চর্যের বিষয় এরা নারীপুরুষ প্রায় সবাই বাঙালী!!!! এদের মধ্যে অনেক নারী আছে যাদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে অস্বীকার করে, অনেক আছে বক্তব্যের সত্যতা যাচাই না ক'রেই বক্তব্যের স্বপক্ষে ঠাকুরের বিরুদ্ধে কটু মন্তব্য করার জন্য প্রশ্ন করাতে যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে না পেরে রেগে গিয়ে আমাকেই কটু কথা শোনাতে দ্বিধা করে না। এর মধ্যে পুরুষরা আবার এই নারীদের সমর্থনে বীরপুঙ্গব সেজে ঢাল হ'য়ে দাঁড়ায় হাসির খোরাক হ'য়ে!!!!

যাই হ'ক ছবিটা ঠাকুরের। আর ঠাকুরকে সবুজ রং দিয়ে পড়ানো হয়েছে ব্লাউজ! আর বক্তব্য ছিল, ঠাকুর নারী বিরোধী! এছাড়া আরো কিছু আপত্তিকর বক্তব্য ছিল ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান 'সৎসঙ্গ'-এর বিরুদ্ধে।

সেই ছবি ও বক্তব্য বিষয়ে আমার তাদের কারো কারো সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিষয় তুলে ধরলাম। আমার তুলে ধরা উত্তরের মধ্যেই তাদের মন্তব্য কি ছিল তা একটু মন দিয়ে পড়লেই সহজেই পাঠকপাঠিকা বুঝতে পারবে।

এখন আসি তাদের যার যার সঙ্গে আমার ফেসবুকে যে যে আলোচনা হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে। একে একে পরবর্তী "শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙ্গালী (২)" লেখায় তুলে ধরছি সেই কথোপকথন।

ক্রমশঃ।

কবিতাঃ সাবধান! সাবধান ভন্ডকুল!!

রাষ্ট্র নির্মাণ ও জাতি রক্ষার দায়িত্ব পালনে
মসিহারা এসে গেছে সব ভন্ডকুল স্খলনে!
আর এসে গ্যাছে সব বাংলার বুকে হ'য়ে বাঙালি!
তাই বলি,
হে বাঙালি ও অন্যান্য জাতি!
হে ভারত! হে বিশ্ববাসী!
সর্বোপরি হে মানবজাতি!
আর ভয় নেই!
নেই নেই ভয় হবেই হবে জয়!
এসে গেছে দায়িত্ব পালনে বাঙালি!
এসে গেছে বাঙালি ও অন্যান্য জাতি,
ভারত তথা বিশ্বের মুক্তির সময়!
আমাদের বাঁচাবে ব'লে
এসে গ্যাছে দলে দলে
ওঠো! জাগো! দ্যাখো চেয়ে!
থেকো না আর তোমরা ঘুমায়ে।
এসে গ্যাছে দলেদলে
নারীপুরুষ নির্বিশেষে
পেয়েছে নিঃশেষ অধিকার
করিতে ভন্ডকুল সাবার!
তাই থেকো না গো মুখ ফিরায়ে।
শোনো শোনো কান পেতে শোনো
শোনো ঐ খিস্তি খেউর আর
গালাগালিতে ভরা বাঙালির তীক্ষ্ণ হুঙ্কার
দিয়ে আসছে বাঙালি ধেয়ে
সনাতন ধর্মের গান গেয়ে
প্রতিকূল স্কোয়ার্ড সাথে
করিতে অনুকূল সংহার!
শোনো সোজা! শোনো ব্যাকা!
শোনো যত আছো যেথায় খ্যাপা
শোনো ঐ অশ্লীল শব্দের ঝংকার!

হে বাঙালি! হ'য়ে কাঙালী আর
থেকো না গো মুখ ফিরায়ে!
এসো সবে! এসো ছুটে ছুটে
ভন্ডকুল সব খাচ্ছে লুটেপুটে
দেখাতে মজা তাই এসেছে খোজা
হ'য়ে মসিহা এসেছে ঘটে ঘটে!
নেই ভয়, নেই আর সংশয়!
এসে গেছে মুক্তির পতাকা হাতে
জ্ঞানের নিশানা তাতে, এসে গ্যাছে ঐ বরাভয়!
হে মহান পথ প্রদর্শক! হে মুক্তিদাতা বাঙালি!!
আপনারে করি সাদর আমন্ত্রণ, করি আশ্রয়
ভন্ডকুল যত সবারে করিতে নিরাশ্রয়!

The greatest phenomenon of the world! WHO!!!!!

The greatest phenomenon of the world! WHO!!!!!

ঈশ্বর যতবার মানুষের রূপ নিয়ে এসেছে ততবারই মানুষ নিজের দুঃখ দুর্দশা, রোগ শোক, জ্বালা যন্ত্রণা ইত্যাদি হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্যে তাঁর কাছে এসেছে, এসেছে নিজের ধান্ধা পূরণের জন্য ও আয়ের উপকরণ বানিয়ে তাঁকে পুজো করতে! তাই পঞ্চ ভুতের ফাঁদে পড়ে যেমন  ব্রহ্মা কাঁদে ঠিক তেমনি সরল বোকা এবং ভন্ড ধান্দাবাজ ভক্তকুল মাঝে জীবন্ত ঈশ্বর কাঁদে! কেউই জীবন্ত ঈশ্বর কেন এসেছে! তিনি কে! তা জানতে কেউ তাঁর কাছে আসে না!!! আর তাই হিন্দু ধর্ম, মুসলমান ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্ম ইত্যাদি সমস্ত ধর্ম (যদিও এগুলি সব শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মতে মত)-কে যারা নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ব'লে মনে ক'রে হুলিয়া জারী করে ধর্মভীরু মানুষের ওপর; গালিগালাজ, খিস্তিখেউর, অশ্লীল কুশ্লীল অশ্রাব্য কুশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ ক'রে ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করে তখন জীবন্ত ঈশ্বরের পক্ষে তাঁর স্বর্গরাজ্য সৃষ্টির পথে বাধা হ'য়ে দাঁড়ায় এইসমস্ত মানুষ! আর তার ফলভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে তখন জীবন্ত সৃষ্টিকর্তার কিছু করার থাকে না! ধ্বংস অনিবার্য হ'য়ে ওঠে! তাই বাঁচতে হ'লে সাধারণ সরল সাধাসিধে বোকা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মভীরু মানুষকেই  ঘুম ভেঙে জেগে উঠতে হবে, চোখ খুলতে হবে, জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে। জীবন্ত ঈশ্বরকে গ্রহণ ক'রে তাঁর চরণ পূজার পথ ছেড়ে চলন পূজার পথে শুরু করতে হবে ধর্মপথে যাত্রা! তবেই ধর্মব্যবসায়ীদের, জীবন্ত ঈশ্বরের বিরোধিতাকারীদের, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে নিয়ে যাবার চক্রান্তকারীদের চক্রান্তের প্রাসাদ, সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে! তাই কথায় বলে,  জ্ঞান! জ্ঞান!! জ্ঞান!!! Knowledge rules the world! শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই জ্ঞানের অধীশ্বর! The greatest phenomenon of the world! বিশ্বের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়!!!!! আসুন স্বর্গরাজ্য সৃষ্টির পথে তাঁকে জানি, চিনি, বুঝি, গ্রহণ করি এবং তাঁর নির্দেশিত পথে চ'লে নিজেকে, দশকে, দেশকে সর্বোপরি বিশ্বকে বাঁচায় আগামী ভয়ঙ্কর ভয়াবহ করুণ দুঃখজনক পরিণতির হাত থেকে!!!! জয়গুরু।
পৃথিবীতে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তাদের সকলের জন্যই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার জন্য সব ব্যবস্থায় রেখে দিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত বৃত্তি-প্রবৃত্তির কারণে মানুষ যখন তা থেকে বঞ্চিত হয় তখন তিনি স্বয়ং মানুষের রূপ ধ'রে নেবে আসেন মানুষের জন্য তিনি যা রেখে দিয়েছেন সেই ঈপ্সিত বস্তু লাভের পথ দেখিয়ে দিতে! কিন্তু মানুষ যখন তাতেও কর্ণপাত করে না তখন তিনি অসহায় হ'য়ে পড়েন! তখনই ধ্বংস অনিবার্য!!----প্রবি।