শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (২) লেখায় আমি একজনের ঠাকুরকে গালাগালি করা একটা নমুনা তুলে ধরেছিলাম। যিনি ঠাকুরকে ব্লাউজ পড়িয়ে ঠাকুর নারীবিরোধী ব'লে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যে কুৎসা করে ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি একজন নারী আবার যিনি শেয়ার করেছিলেন ঠাকুরকে মাল আখ্যা দিয়ে তিনিও একজন নারী আবার যারা সেই পোষ্টে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় ঠাকুরকে নিয়ে না জেনে খিল্লি ক'রে অশ্লীল গালাগালি করেছিলেন তারা প্রায় সবাই ছিলেন নারী! আর তাদের মধ্যে কোনও কোনও বীরপুরুষ ছিলেন যারা ঐ শেয়ার করা পোস্টে লিখেছিলেন, আমি কাউকে অশ্রদ্ধা করি না, তবুও এরকম নারী বিদ্বেষী কোনও ধর্মগুরু থাকতে পারে তা ভেবে আমি অবাক হ'য়ে যাচ্ছি! তা হ'লে মা দুর্গা ও মা কালীও তো নারী আর তাদের পূজা করা হ'লে তিনি সেই মায়েদেরও বিরোধী! উনার অনেক নাম শুনেছি কKকিন্তু তিনি যে নারী বিদ্বেষী তা জানতাম না! আজ জানলাম! আমি প্রকাশ বিশ্বাস দা'র কাছে জানতে চাই এই নারী বিদ্বেষী মানুষটা সম্পর্কে তাঁর কি বক্তব্য।
এই মন্তব্য আমাদের কি শেখায়? একটু লক্ষ্য করলেই দেখুন মন্তব্য প্রমাণ করে যে কতটা চালাকি লুকিয়ে রয়েছে এই মন্তব্যে! পুরুষ মন্তব্যকারী ( আমি আগেই বলেছিলাম নাম উল্লেখ করবো না তাই নারী পুরুষ মন্তব্যকারীদের নাম উহ্য রাখি ) বলছেন উনি কাউকে অশ্রদ্ধা করেন না শুধু উনার জানার ইচ্ছে আমার কাছে। উনি ঠাকুরের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য, অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ, গায়ে ব্লাউজ পড়ানো ইত্যাদির কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন না, তিনি সবাইকে শ্রদ্ধা করেন কিন্তু অশ্লীল গালাগালি, কুৎসা রটনা ও অশ্রদ্ধাকারীর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেন না! উল্টে তার সঙ্গে রসিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প জমাতে পারেন আর ঠাকুর সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলতে পারেন, আমাকে সত্য মিথ্যা জবাব দিতে বলেন! অথচ ঠাকুরের অনেক নাম শোনা সত্ত্বেও তাঁর সম্পর্কে স্টাডি করার কোনও ইচ্ছে নেই! কিন্তু মন্তব্য করতে বালখিল্য ঋষির মত একপায়ে খাঁড়া!
যাই হ'ক এবার আসি ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর একজনের কটু মন্তব্য সম্পর্কে। তিনি একজন ব্যাংকের কর্মচারী এবং ঠাকুরের সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন আর সৎসঙ্গীদের সম্পর্কে বলেছেন কিছু হিন্দুদের এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাদের থেকে রেভিনিউ আদায় করা হয়!!!! পরে জানা গেল তিনি চাকরীর জায়গায় সহকর্মীদের মাঝে চাকরী সংক্রান্ত লেনদেনের দড়ি টানাটানির মাঝে সুবিধে করতে পারেননি তাই সৎসঙ্গের ওপর তার অবদমিত ইচ্ছার দুর্গন্ধযুক্ত হাই তুলেছেন, তুলেছেন টক ঢেঁকুর! কারণ সেখানে তার প্রতিপক্ষকে যিনি সাহায্য করেছেন তিনি একজন প্রভাবশালী ও সৎসঙ্গী! তাই যত দোষ নন্দ ঘোষের মত যত রাগ ঠাকুর ও ঠাকুরের প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন! আর ফেসবুকে সেই রাগের বমন উদ্গীরণ ক'রে চলেছেন নিত্য নূতন কায়দায় ঠাকুর আর সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার তাগিদে! তার সেই বমনের উত্তরে তাকে যা লিখেছিলাম তাই তুলে ধরলাম।
মিঃ -----------, যেহেতু আপনি দুঃখের সঙ্গে বলেছেন আপনার কথা সৎসঙ্গের বিরূদ্ধে তাই আমিও দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি 'বারো হাত কাঁকুরের তেরো হাত বীচি'-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, 'গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত' হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে এও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বালখিল্য ঋষির মত আর অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি সবজান্তা হরিদাস পালের মত সবজান্তা হরিদাস হ'য়ে সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার মত অমাবস্যার চাঁদেরা, ডুমুরের ফুলেরা সৎসঙ্গকে বলা ব্রোকারেজ হাউজের স্বনামধন্য দালাল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, গুলজারিলালনন্দ, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক, বিজ্ঞানী কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্য, বিজ্ঞানী শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, জাদুকর পি, সি, সরকার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কবি হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি এরা সব ছিল আপনার কথামত 'সৎসঙ্গ' নামক ব্রোকারেজ হাউজের দালাল! আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত হার্পার এন্ড ব্রাদার্স পাবলিশিং কোম্পানির তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৬১) ইউজিন এক্সম্যান, দার্শনিক এডমান্ড স্পেনসার, রে আর্চার হাউজারম্যান, অভিনেতা ও সমাজসেবী মিস মিকি, প্রফেসর রবার্ট (বব) কামিং, চেকোশ্লোভাকিয়ার অধিবাসী ডাক্তার ও ইউএনও-এর মেডিকেল সদস্য ক্যারেল পডলিশক, আসামের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ, বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিনোদানন্দ ঝা, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার শৈলকুমার মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, নরেন্দ্র দেব, উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখার্জী আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সংগীতশিল্পী নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য্য ইত্যাদি ইত্যাদি কত নাম বলবো? ব"লে শেষ হবে না; শ'য়ে শ'য়ে ভারতের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ছুটে ছুটে আসা এই ভারতরত্নরা ব্রোকারেজ হাউজের সব চার অক্ষর দালাল ছিল, তাই না সর্বজ্ঞ হরিদাস পাল দাদা!?!? আপনি সৎ জ্ঞানী ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ আগেগোড়া সব জানেন আর প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া সব চার অক্ষর নারীপুরুষ কিছুই জানে না, একেবারেই চার অক্ষর ও অন্ধ--------!!! তাই না!?
আর আপনি লিখেছেন কিছু হিন্দুকে জড়ো করা হয়েছে যারা রেভিনিউ আদায়ের উপকরণ! প্রথম কথা, বালখিল্য ঋষির মত কথা বলেন কেন!? আপনি তো রেভিনিউ দেন না, যারা দেয় তাদের তো -------ফাটছে না, আপনার কেন ফাটছে!? যারা দিচ্ছে তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে তাতে আপনার কি!? আপনার কেন গায়ে জ্বালা ধরছে একটু বুঝিয়ে দেবেন!? আপনি ------- এক পয়সাও দিচ্ছেন না ও দেন না তাহ'লে আপনার অন্ডকোষে এত ব্যাথা কেন!?
আর শেষ কথা বলি, ভালো ক'রে পড়ার অভ্যাসও নেই! না পড়ে মন্তব্য করেন কেন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত!? ভালো ক'রে পড়ে দেখুন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ-এর কথার জবাবে আপনার বাচাল কথামত ব্রোকারেজ হাউজের মালিক শ্রীশ্রীঠাকুর কি উত্তর দিয়েছিল তারপর মন্তব্য করবেন। সৎসঙ্গ শুধু হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল নাকি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের একছাতার তলায় দাঁড়ানো সম্মিলিত সংঘবদ্ধ সংগঠন সেটা একবার ভালো ক'রে পড়ুন আর জানুন, জানুন, জানুন কে এই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর মানুষ আর কি ও কেমন এই সংগঠন!!!!! না পড়ে, না জেনে, না বুঝে, না দেখে আবালের মত মতামত দিয়ে নিজেকে জনসমক্ষে ছোটো এবং নিজের ও অপরের ক্ষতি করবেন না! ভালো থাকুন।
এরপর তিনি আমায় আমার কেন এত ফাটছে সে সম্পর্কে অনেক গালাগালি দিয়ে বললেন আমায় জ্ঞান না দিতে। তা জ্ঞান দেওয়ার বদভ্যাস আমার নেই, অনধিকারচর্চাজনিত অসভ্য বদভ্যাসের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার অভ্যাস ও অধিকার আমার আছে। যেহেতু বিষয় আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই তাকে তার বদভ্যাসের বিরুদ্ধে যা লিখেছিলাম তা তুলে ধরলাম আমার সৎসঙ্গী পাঠকদের জন্যে।
আমার কিছু ফাটেনি আর আপনার লেখায় কোনও ফাটার মত মালমশালা নেই যে ফাটবে। আপনার ফাটাবার মত কোনও এলেম নেই। আপনার বক্তব্য মাকাল ফল সর্বস্ব। মাকাল ফল দেখেছেন? না দেখলে চেষ্টা ক'রে দেখুন বাজারে কোথাও দেখতে পান কিনা। তাহ'লে বুঝবেন কেন বললাম। লম্বা ভাষণ দিইনি উল্টে টেনে আপনার জন্ডিস চোখকে লম্বা করতে চেয়েছি। যাতে লম্বা ভাষণের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেন। ক্ষমতা থাকলে আমার লেখার উত্তর দিন। আপনি যদি ঢিল মারতে পারেন তাহ'লে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ঢিল মারতে হয়। কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল মারবেন আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন? যখন উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নেই তো বালখিল্য ঋষি সাজার শখ কেন? সৎসঙ্গ আপনার কি ক্ষতি করেছে? শ্রীশ্রীঠাকুর আপনার কি ক্ষতি করেছিল? বাচাল কথা বলবেন আর ভেবেছেন সবাই আপনার বাচাল কথা শুনে চুপ ক'রে বসে থাকবে? ক্ষমতা থাকলে গালাগালি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন ভদ্রলোকের মত। আলোচনার টেবিলে বসে যুক্তি দিয়ে তথ্যের সাহায্যে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে জোরালো সওয়াল করুন আর প্রমাণ করুন আপনার বক্তব্য সঠিক। আপনি শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানকে অপমান করেননি, করেছেন আমার মন্তব্যে উল্লেখিত ভারত তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় স্বনামধন্য প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের, সঙ্গে তাঁর কোটি কোটি অনুগামীদের যাদের পায়ের নখের যোগ্য আপনি নন। তাই বলি হুঁশ-এ আসুন। অকারণ কাউকে না জেনে কোনও অপমানজনক মন্তব্য ক'রে নিজেকে ছোটো ও অপমানিত করবেন না। ভালো থাকুন।
ক্রমশঃ।
এই মন্তব্য আমাদের কি শেখায়? একটু লক্ষ্য করলেই দেখুন মন্তব্য প্রমাণ করে যে কতটা চালাকি লুকিয়ে রয়েছে এই মন্তব্যে! পুরুষ মন্তব্যকারী ( আমি আগেই বলেছিলাম নাম উল্লেখ করবো না তাই নারী পুরুষ মন্তব্যকারীদের নাম উহ্য রাখি ) বলছেন উনি কাউকে অশ্রদ্ধা করেন না শুধু উনার জানার ইচ্ছে আমার কাছে। উনি ঠাকুরের বিরুদ্ধে নোংরা মন্তব্য, অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ, গায়ে ব্লাউজ পড়ানো ইত্যাদির কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন না, তিনি সবাইকে শ্রদ্ধা করেন কিন্তু অশ্লীল গালাগালি, কুৎসা রটনা ও অশ্রদ্ধাকারীর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেন না! উল্টে তার সঙ্গে রসিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প জমাতে পারেন আর ঠাকুর সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলতে পারেন, আমাকে সত্য মিথ্যা জবাব দিতে বলেন! অথচ ঠাকুরের অনেক নাম শোনা সত্ত্বেও তাঁর সম্পর্কে স্টাডি করার কোনও ইচ্ছে নেই! কিন্তু মন্তব্য করতে বালখিল্য ঋষির মত একপায়ে খাঁড়া!
যাই হ'ক এবার আসি ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর একজনের কটু মন্তব্য সম্পর্কে। তিনি একজন ব্যাংকের কর্মচারী এবং ঠাকুরের সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন আর সৎসঙ্গীদের সম্পর্কে বলেছেন কিছু হিন্দুদের এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাদের থেকে রেভিনিউ আদায় করা হয়!!!! পরে জানা গেল তিনি চাকরীর জায়গায় সহকর্মীদের মাঝে চাকরী সংক্রান্ত লেনদেনের দড়ি টানাটানির মাঝে সুবিধে করতে পারেননি তাই সৎসঙ্গের ওপর তার অবদমিত ইচ্ছার দুর্গন্ধযুক্ত হাই তুলেছেন, তুলেছেন টক ঢেঁকুর! কারণ সেখানে তার প্রতিপক্ষকে যিনি সাহায্য করেছেন তিনি একজন প্রভাবশালী ও সৎসঙ্গী! তাই যত দোষ নন্দ ঘোষের মত যত রাগ ঠাকুর ও ঠাকুরের প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন! আর ফেসবুকে সেই রাগের বমন উদ্গীরণ ক'রে চলেছেন নিত্য নূতন কায়দায় ঠাকুর আর সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার তাগিদে! তার সেই বমনের উত্তরে তাকে যা লিখেছিলাম তাই তুলে ধরলাম।
মিঃ -----------, যেহেতু আপনি দুঃখের সঙ্গে বলেছেন আপনার কথা সৎসঙ্গের বিরূদ্ধে তাই আমিও দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি 'বারো হাত কাঁকুরের তেরো হাত বীচি'-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, 'গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত' হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে এও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বালখিল্য ঋষির মত আর অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী-র মত হ'য়ে গেল আপনার কথা! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি সবজান্তা হরিদাস পালের মত সবজান্তা হরিদাস হ'য়ে সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ হাউসের সঙ্গে তুলনা করেছেন! দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার মত অমাবস্যার চাঁদেরা, ডুমুরের ফুলেরা সৎসঙ্গকে বলা ব্রোকারেজ হাউজের স্বনামধন্য দালাল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, গুলজারিলালনন্দ, অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক, বিজ্ঞানী কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য্য, বিজ্ঞানী শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, জাদুকর পি, সি, সরকার, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কবি হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইত্যাদি এরা সব ছিল আপনার কথামত 'সৎসঙ্গ' নামক ব্রোকারেজ হাউজের দালাল! আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত হার্পার এন্ড ব্রাদার্স পাবলিশিং কোম্পানির তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট (১৯৬১) ইউজিন এক্সম্যান, দার্শনিক এডমান্ড স্পেনসার, রে আর্চার হাউজারম্যান, অভিনেতা ও সমাজসেবী মিস মিকি, প্রফেসর রবার্ট (বব) কামিং, চেকোশ্লোভাকিয়ার অধিবাসী ডাক্তার ও ইউএনও-এর মেডিকেল সদস্য ক্যারেল পডলিশক, আসামের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ, বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিনোদানন্দ ঝা, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার শৈলকুমার মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, নরেন্দ্র দেব, উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখার্জী আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সংগীতশিল্পী নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য্য ইত্যাদি ইত্যাদি কত নাম বলবো? ব"লে শেষ হবে না; শ'য়ে শ'য়ে ভারতের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ছুটে ছুটে আসা এই ভারতরত্নরা ব্রোকারেজ হাউজের সব চার অক্ষর দালাল ছিল, তাই না সর্বজ্ঞ হরিদাস পাল দাদা!?!? আপনি সৎ জ্ঞানী ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ আগেগোড়া সব জানেন আর প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া সব চার অক্ষর নারীপুরুষ কিছুই জানে না, একেবারেই চার অক্ষর ও অন্ধ--------!!! তাই না!?
আর আপনি লিখেছেন কিছু হিন্দুকে জড়ো করা হয়েছে যারা রেভিনিউ আদায়ের উপকরণ! প্রথম কথা, বালখিল্য ঋষির মত কথা বলেন কেন!? আপনি তো রেভিনিউ দেন না, যারা দেয় তাদের তো -------ফাটছে না, আপনার কেন ফাটছে!? যারা দিচ্ছে তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে তাতে আপনার কি!? আপনার কেন গায়ে জ্বালা ধরছে একটু বুঝিয়ে দেবেন!? আপনি ------- এক পয়সাও দিচ্ছেন না ও দেন না তাহ'লে আপনার অন্ডকোষে এত ব্যাথা কেন!?
আর শেষ কথা বলি, ভালো ক'রে পড়ার অভ্যাসও নেই! না পড়ে মন্তব্য করেন কেন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত!? ভালো ক'রে পড়ে দেখুন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ-এর কথার জবাবে আপনার বাচাল কথামত ব্রোকারেজ হাউজের মালিক শ্রীশ্রীঠাকুর কি উত্তর দিয়েছিল তারপর মন্তব্য করবেন। সৎসঙ্গ শুধু হিন্দুদের সংঘবদ্ধ করেছিল নাকি হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্ত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের একছাতার তলায় দাঁড়ানো সম্মিলিত সংঘবদ্ধ সংগঠন সেটা একবার ভালো ক'রে পড়ুন আর জানুন, জানুন, জানুন কে এই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর মানুষ আর কি ও কেমন এই সংগঠন!!!!! না পড়ে, না জেনে, না বুঝে, না দেখে আবালের মত মতামত দিয়ে নিজেকে জনসমক্ষে ছোটো এবং নিজের ও অপরের ক্ষতি করবেন না! ভালো থাকুন।
এরপর তিনি আমায় আমার কেন এত ফাটছে সে সম্পর্কে অনেক গালাগালি দিয়ে বললেন আমায় জ্ঞান না দিতে। তা জ্ঞান দেওয়ার বদভ্যাস আমার নেই, অনধিকারচর্চাজনিত অসভ্য বদভ্যাসের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার অভ্যাস ও অধিকার আমার আছে। যেহেতু বিষয় আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই তাকে তার বদভ্যাসের বিরুদ্ধে যা লিখেছিলাম তা তুলে ধরলাম আমার সৎসঙ্গী পাঠকদের জন্যে।
আমার কিছু ফাটেনি আর আপনার লেখায় কোনও ফাটার মত মালমশালা নেই যে ফাটবে। আপনার ফাটাবার মত কোনও এলেম নেই। আপনার বক্তব্য মাকাল ফল সর্বস্ব। মাকাল ফল দেখেছেন? না দেখলে চেষ্টা ক'রে দেখুন বাজারে কোথাও দেখতে পান কিনা। তাহ'লে বুঝবেন কেন বললাম। লম্বা ভাষণ দিইনি উল্টে টেনে আপনার জন্ডিস চোখকে লম্বা করতে চেয়েছি। যাতে লম্বা ভাষণের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেন। ক্ষমতা থাকলে আমার লেখার উত্তর দিন। আপনি যদি ঢিল মারতে পারেন তাহ'লে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ঢিল মারতে হয়। কাঁচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল মারবেন আর আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমোবেন? যখন উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা নেই তো বালখিল্য ঋষি সাজার শখ কেন? সৎসঙ্গ আপনার কি ক্ষতি করেছে? শ্রীশ্রীঠাকুর আপনার কি ক্ষতি করেছিল? বাচাল কথা বলবেন আর ভেবেছেন সবাই আপনার বাচাল কথা শুনে চুপ ক'রে বসে থাকবে? ক্ষমতা থাকলে গালাগালি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন ভদ্রলোকের মত। আলোচনার টেবিলে বসে যুক্তি দিয়ে তথ্যের সাহায্যে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে জোরালো সওয়াল করুন আর প্রমাণ করুন আপনার বক্তব্য সঠিক। আপনি শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানকে অপমান করেননি, করেছেন আমার মন্তব্যে উল্লেখিত ভারত তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় স্বনামধন্য প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের, সঙ্গে তাঁর কোটি কোটি অনুগামীদের যাদের পায়ের নখের যোগ্য আপনি নন। তাই বলি হুঁশ-এ আসুন। অকারণ কাউকে না জেনে কোনও অপমানজনক মন্তব্য ক'রে নিজেকে ছোটো ও অপমানিত করবেন না। ভালো থাকুন।
ক্রমশঃ।
No comments:
Post a Comment