শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (১) লেখায় আমি লিখেছিলাম, যাদের যাদের সঙ্গে ঠাকুরকে ও ঠাকুরের সৎসঙ্গ সম্পর্কে কটূক্তি, গালাগালি করার জন্য কথা বলেছিলাম সেইসমস্ত নারীপুরুষদের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বলা কথাগুলি পরবর্তী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ও ফেসবুকে বাঙালি (২) লেখায় তুলে ধরবো। তাই তুলে ধরছি প্রথম যে সাহসী ও আধুনিকা মহিয়সী নারীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছিল সেই কথাগুলি। একটু মন দিয়ে ভালো ক'রে পড়লেই আমার লেখার মধ্যে দিয়েই বুঝতে পারবেন মহিলার ঠাকুর সম্পর্কে কটূক্তির ধরণ আর সেই অনুযায়ীই উত্তর।
ঠাকুরের সেই এডিট করা ছবি যে ছবিতে এক নারী ঠাকুরকে ব্লাউজ পড়িয়ে ঠাকুর নারী বিরোধী লিখে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল সেই ব্লাউজ পড়া ঠাকুরের ছবিকে যে নারী নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করেছিল ঠাকুরকে 'মাল, সহ্য হয় না, পিরিত মারাচ্ছে' ইত্যাদি কথা লিখে তাকে লিখেছিলাম,
আপনার মুখের ভাষা আপনার জীবনের, চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ! আপনার মুখ দিয়ে ঠাকুর সম্পর্কে ভাষা বেরোচ্ছে "এই মালটা----" আপনার এই মালটাকে সহ্য হচ্ছে না লিখেছেন। আপনি লিখেছেন "কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে"!
প্রথম কথা,
'কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে' এই কথাটা আপনার মত উজ্জ্বল কন্যা রত্ন জন্ম দেবার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন না! কারণ আপনার বাবা-মা তো 'এই মাল'-টার দীক্ষিত! তা তারা বোধহয় ভালোই বলতে পারবেন কিসের পিরিতে তারা 'এই মাল'-টার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন!
দ্বিতীয় কথা:
আপনার বাবা-মা আপনার কথামত যে 'মাল'-টার কাছে দীক্ষা নিয়েছেন সেই তিনি আপনার বাবামার গুরু যদি আপনার চোখে 'মাল' হন তাহ'লে আপনি কি মনে করেন না আপনার বাবা-মা 'এই মাল'-টার থেকেও আরও বড় 'মাল', বামাল !? 'রতনে রতন চেনে আর শুয়োরে চেনে কচু' যদি হয় তাহ'লে সেই একই অর্থে একটা মাল আরেকটা মালকে চেনে, তাই নয় কি!
তৃতীয় কথা:
আপনি নিজেই লিখেছেন "সবার এত কিসের পিরিত এই মালটার ওপর কে জানে!" তা আপনি জানেন কি 'সবার' বলতে 'এই অসহ্য মাল'-টার শিষ্য সংখ্যা কত? আর 'এত পিরিত' বলতে আপনি জানেন পিরিতের মাত্রা? সংখ্যা!?
চতুর্থ কথা:
আপনি লিখেছেন "কিসের এত পিরিত এই মালটার জন্য কে জানে? তার মানে মালটার প্রতি পিরিতের কারণ আপনার জানা নেই! তা যে বিষয় জানেন না সেই বিষয়ে আলটপকা বালখিল্য মন্তব্য করা কি আপনার স্মার্টনেসের মধ্যে পড়ে? আপনার আধুনিক নারী শিক্ষার মধ্যে পড়ে? এই আলটপকা বেসামাল অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস ভুলে যাবেন না আপনার ছোট্ট একটা ছেলে আছে তার মধ্যে সঞ্চারিত হচ্ছে ধীরে ধীরে যেমন আপনার মধ্যে শিশু বয়স থেকে হ'য়েছিল!!!!!!
পঞ্চম কথা: আপনি কি মনে করেন 'এই মাল'-টার বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া শিষ্যরা (আপনার কথামত "সবার----------" কথার উত্তরে 'সবার' বলতে প্রায় ১০কোটি) সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা------ আর আপনি একমাত্র পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক--------!? প্রায় ১০কোটি সবার এই মালটার প্রতি এত পিরিত তাই তারা সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা-------- আর আপনি পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক------ আর তাই আপনার এত রাগ? এত ঘৃণা!?
ষষ্ঠ কথা:
যে মহিয়সী মহিলার এই পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন সেই মহিলার করা পোস্টে লেখা বক্তব্যে আপনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেই বক্তব্য আপনি কি চোখে শুনে আর কানে দেখে তারপর অশ্লীল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন? আপনার এত অহংকার? এত ঔদ্ধত্ব? কতকগুলি আবাল কথা নিজের মনের আশ মিটিয়ে লিখে কেউ পোস্ট ক'রে দিল আর আপনি ময়দানে নেবে পড়লেন নারীবাদীদের ফেরিওয়ালা হ'য়ে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়ের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র না জেনে, না পড়ে তা শেয়ার ক'রে বমন উদ্গীরণ করতে!? নেবে পড়লেন বাপের বাপের চেয়েও বড় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে 'মাল' সম্বোধন করতে? ছোটবেলা থেকে কি এরকম বিকৃত অসভ্য অশ্রাব্য অশ্লীল সম্বোধন শুনে শুনে বড় হয়েছেন? আপনার পরিবারে কে কাকে এই 'মাল' সম্বোধনে ডাকতো!? আজ আপনি একজন মা হ'য়ে যাকে 'মাল' সম্বোধনে ডাকলেন একদিন আপনার ছেলে আপনার দেওয়া এই শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল' ব'লে ডাকবে না তো? নাকি যে শিক্ষা আজ আপনি ঐ ছোট্ট শিশুর মাথায় অহংকারে ঔদ্ধত্বের সঙ্গে স্থাপন করলেন আপনার ছেলে সেদিন বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল'-এর 'ম' এর জায়গায় 'ব' যুক্ত ক'রে আপনাকেই বা------ ডাকবে না তো!? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর!!! আজ অশিক্ষা-কুশিক্ষার উপর দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন অহংকারের উপর ভিত্তি ক'রে শুধু মনে রাখবেন চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়! সূর্য ঢোলছে, দিন যাচ্ছে, রাত আসছে, সময় দৌড়চ্ছে আর আপনার ঐ আজকের ছোট্ট শিশু ক্রমে ক্রমে বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে আপনার শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে!
আর প্রতিদিন আপনার মা আপনার জন্য আপনার নোংরা অপবিত্র মুখ দিয়ে বলা প্রায় ১০কোটি লোকের আরাধ্য দেবতা সম্পর্কে 'মাল' সম্বোধন করা মানুষটার কাছে যে মঙ্গল প্রার্থনা করেন তা কি আপনি জানেন? আপনি কি জানেন আপনার ছোট্ট সন্তানের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য যাঁর পায়ে ফুল চড়ায়, ইষ্টার্ঘ্য পাঠায় আপনার বাবামায়ের সেই ইষ্টদেবতা তাঁকে আপনি বকের মত গলা উঁচু ক'রে, চোরের মায়ের বড় গলা ক'রে অশ্লীল 'মাল' সম্বোধন করেন, তাঁকে আপনার সহ্য হয় না! অসহ্য লাগে!! গা জ্বলে যায়!!!
একবার নিজেকে বিবেকের আয়নায় দাঁড় করান আর বিবেককে প্রশ্ন ক'রে দেখুন এই মানুষটা যাকে সহ্য হয় না, মাল ব'লে সম্বোধন করছেন সে আপনার বাঁচা-বাড়ার ক্ষেত্রে কি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল? আপনার বাপের বাপের চেয়ে বড় সবদিকে বড় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় এই মানুষটার শরীরে ঐ ----?----- নামে নারী জাতি ও মা নামের কলঙ্ক মহিয়সী মহিলাটি ব্লাউজ পরিয়ে দিয়েছেন আর আনন্দে আপনি তা উপভোগ করেছেন আর সকলের সঙ্গে ব্লাউজ পড়ানো শরীরের উপরিভাগ নিয়ে হাসি মস্করা করেছেন আদিম উল্লাসে মাতাল হ'য়ে দলবদ্ধভাবে পরস্পর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আদানপ্রদান-এর মধ্যে দিয়ে। তা আপনি আপনার বাবার ও বাবার বাবার কিংবা আপনার স্বামীর কিংবা আগামীদিনে আপনার সন্তান যখন বড় হবে তখন তাদের শরীরে ব্লাউজ পড়াবেন তো? পড়িয়ে আদিম মজাকে মেতে উঠবেন তো? বাবাকে নিয়ে, স্বামীকে নিয়ে, ছেলেকে নিয়ে খিল্লি উড়াবেন তো? কাকে জাঙ্গিয়া পড়াবেন!? কাকে ব্লাউজের সাথে জাঙ্গিয়া পড়ালে ভালো হতো!? এতটা নীচে নাবতে পারেন!? আপনারা মায়ের জাত!? আপনার সন্তান আগামীদিনে আপনাকে 'মা' ব'লে ডাকবে তো? যে শিক্ষায় শিক্ষিত ক'রে তুলছেন ছেলেকে আগামীদিনে যেদিন আপনার যৌবন সূর্য ঢলে যাবে বার্ধ্যকের আকাশে সেদিন আপনার যৌবন মত্ত ছেলে আপনার যৌবনবতী বৌমা আপনাকে জাঙ্গিয়া পড়াবে নাতো!? কিম্বা হাগিস!? আপনি নিজেকে অনেক বড় বিদুষী মহিলা ভাবেন। আপনি কি চাকরি করেন? আপনি বা আপনারা যারা চাকরি করেন না, করেননি কোনোদিন তা আপনি বা আপনারা জানবেন কি ক'রে কি ধরণের নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নারীদের কর্মস্থলে পুরুষকর্মীদের কাছে! ঘরে বসে স্বামীর রোজগারে খেয়ে আর হিল্লি দিল্লি ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তিতে উড়ে উড়ে নারীবাদী হওয়া যায় না। আপনি কি জানেন লক্ষ লক্ষ বিদুষী মহিলা, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মহিলা, চাকরি করা ও বিশ্বের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি বড় বড় পোস্টে চাকরি করা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, প্রফেসর, শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা যাদের আপনি পায়ের নখের যোগ্য নন, যাঁকে আপনি সহ্য করতে পারেন না, মাল ব'লে সম্বোধন করেছেন সেই 'মাল' মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পায়ের কাছে বসে থাকেন!? ইচ্ছে করলেই ঐ সমস্ত শিক্ষায় দীক্ষায়, বংশমর্যাদায়, রুচিতে অতি উচ্চ মার্গে অবস্থানরত আদর্শ নারীরা, আদর্শ মায়ের জাতেরা আপনাদের কথার জবাব দিতে পারেন কিন্তু দেন না কারণ তারা "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই ব'লে কি কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়" তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাঁদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ প্রবল। আপনি বা আপনারা যারা ঠাকুরকে, ঠাকুর সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে, না দেখে, না পড়ে ঠাকুরের ওপর নারী বিদ্ধেষীর তকমা লাগিয়ে দিয়ে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন তারা শেষের দিনে যেদিন সত্য জানবেন (জানার যদি ভাগ্য থাকে বাকী জীবনে) সেদিন প্রায়শ্চিত্ত করবার সুযোগ পাবেন তো এই জন্মে? নারী ও মা জাতির কলঙ্ক যে মহিয়সী মহিলা ঠাকুরকে সবুজ রং দিয়ে খালি গায়ে এই ব্লাউজ এঁকে দিয়েছেন ও ফেসবুকে ব্লাউজ পড়ানো ঠাকুরের বিকৃত ছবি পোস্ট করেছেন এবং ঠাকুর সম্পর্কে ঐ পোষ্টে যে মনগড়া মিথ্যে কথা লিখেছেন তা আপনি বাস্তবে তলিয়ে দেখে নিয়েছেন তো ছবি শেয়ার করার আগে, ঠাকুরকে নিয়ে খিল্লি করার আগে? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর! আপনি আরো আরো গালাগালি করুন আপনার বাবামায়ের আরাধ্য দেবতা ঐ মালটাকে! কেমন!!!!!!
আর, আপনার মুখের ভাষা জবরদস্ত! আপনার মতোই ভয়ঙ্কর সুন্দর ও মিষ্টি! যখন আমি আপনাকে প্রশ্নগুলি করলাম তখন আপনার গায়ে ছ্যাকা লেগে গেল আর আমায় বলছেন নিজের চরকায় তেল দেওয়ার কথা!? শুনুন, আমি আপনার চরকায় তেল দিতে আসিনি। আপনি শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকে পড়ার মত, উপযাচক হ'য়ে অনধিকারচর্চা ক'রে নাক গলিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রিয় মানুষটাকে অপমান, আঘাত করতে। আপনাকে ঠাকুরকে বিশ্বাস করবার জন্য কেউ বলেছিল? আগ বাড়িয়ে কথা বলার বদভ্যাস ভালোই রপ্ত করেছেন! আপনি আপনার পাঁঠা লেজে কাটুন, মাথায় কাটুন, আপনার বাগানে ঘেঁটু ফুল চাষ করুন, আর শ্যাওড়া গাছ লাগান কেউ দেখতে যাবে না; অন্যের বাগান নষ্ট করতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বাগানের মালির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে বাগানকে রক্ষা করার। আর আপনার সঙ্গে মনে হয়না কোনও ভদ্রলোকের কথা বলা পোষাবে!!!!! আমার কি জিনিস নিয়ে থাকার কথা বলছেন? আমার জিনিস আপনার বাবা-মার জিনিস অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর তো এক যেখানে আপনি মূত্রপাত করেছেন!!!! সাহস থাকলে ক্ষমতা থাকলে বাবা-মাকে পাশে বসিয়ে যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে আপনার মুখ দিয়ে সাপ ব্যং ইঁদুর ছুঁচো বের করুন! মুখ দিয়ে তো টাট্টি কা মাফিক বাত বের হয়; আবার বড় মুখে কথা বলছেন? আপনার জন্মদাতা জন্মদাত্রী আপনার দুর্গন্ধযুক্ত কথা সহ্য করেন তো!? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? আগে দেখুন, তারপর কথা বলুন।
এরপরই দেখলাম লড়াইয়ের ময়দান থেকে উধাও, হঠাৎ উধাও হ'য়ে গেলেন এতক্ষণ লড়াই করা আজকের আধুনিকা মহিয়সী মহিলা! সমস্ত কথোপকথন ডিলিট হ'য়ে গেল মুহূর্তে!!!!!!!!! আমাকে ব্লক ক'রে দিয়ে একেবারে পাত্তা কেটে হ'য়ে গেলেন নিরুদ্দেশ!!!
ক্রমশঃ।
ঠাকুরের সেই এডিট করা ছবি যে ছবিতে এক নারী ঠাকুরকে ব্লাউজ পড়িয়ে ঠাকুর নারী বিরোধী লিখে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল সেই ব্লাউজ পড়া ঠাকুরের ছবিকে যে নারী নিজের প্রোফাইলে শেয়ার করেছিল ঠাকুরকে 'মাল, সহ্য হয় না, পিরিত মারাচ্ছে' ইত্যাদি কথা লিখে তাকে লিখেছিলাম,
আপনার মুখের ভাষা আপনার জীবনের, চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ! আপনার মুখ দিয়ে ঠাকুর সম্পর্কে ভাষা বেরোচ্ছে "এই মালটা----" আপনার এই মালটাকে সহ্য হচ্ছে না লিখেছেন। আপনি লিখেছেন "কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে"!
প্রথম কথা,
'কিসের পিরিত সবার এত এই মালটার ওপর কে জানে' এই কথাটা আপনার মত উজ্জ্বল কন্যা রত্ন জন্ম দেবার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করুন না! কারণ আপনার বাবা-মা তো 'এই মাল'-টার দীক্ষিত! তা তারা বোধহয় ভালোই বলতে পারবেন কিসের পিরিতে তারা 'এই মাল'-টার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছেন!
দ্বিতীয় কথা:
আপনার বাবা-মা আপনার কথামত যে 'মাল'-টার কাছে দীক্ষা নিয়েছেন সেই তিনি আপনার বাবামার গুরু যদি আপনার চোখে 'মাল' হন তাহ'লে আপনি কি মনে করেন না আপনার বাবা-মা 'এই মাল'-টার থেকেও আরও বড় 'মাল', বামাল !? 'রতনে রতন চেনে আর শুয়োরে চেনে কচু' যদি হয় তাহ'লে সেই একই অর্থে একটা মাল আরেকটা মালকে চেনে, তাই নয় কি!
তৃতীয় কথা:
আপনি নিজেই লিখেছেন "সবার এত কিসের পিরিত এই মালটার ওপর কে জানে!" তা আপনি জানেন কি 'সবার' বলতে 'এই অসহ্য মাল'-টার শিষ্য সংখ্যা কত? আর 'এত পিরিত' বলতে আপনি জানেন পিরিতের মাত্রা? সংখ্যা!?
চতুর্থ কথা:
আপনি লিখেছেন "কিসের এত পিরিত এই মালটার জন্য কে জানে? তার মানে মালটার প্রতি পিরিতের কারণ আপনার জানা নেই! তা যে বিষয় জানেন না সেই বিষয়ে আলটপকা বালখিল্য মন্তব্য করা কি আপনার স্মার্টনেসের মধ্যে পড়ে? আপনার আধুনিক নারী শিক্ষার মধ্যে পড়ে? এই আলটপকা বেসামাল অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস ভুলে যাবেন না আপনার ছোট্ট একটা ছেলে আছে তার মধ্যে সঞ্চারিত হচ্ছে ধীরে ধীরে যেমন আপনার মধ্যে শিশু বয়স থেকে হ'য়েছিল!!!!!!
পঞ্চম কথা: আপনি কি মনে করেন 'এই মাল'-টার বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০কোটিতে পৌঁছে যাওয়া শিষ্যরা (আপনার কথামত "সবার----------" কথার উত্তরে 'সবার' বলতে প্রায় ১০কোটি) সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা------ আর আপনি একমাত্র পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক--------!? প্রায় ১০কোটি সবার এই মালটার প্রতি এত পিরিত তাই তারা সবাই চার অক্ষর অর্থাৎ বোকা-------- আর আপনি পাঁচ অক্ষর অর্থাৎ চালাক------ আর তাই আপনার এত রাগ? এত ঘৃণা!?
ষষ্ঠ কথা:
যে মহিয়সী মহিলার এই পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন সেই মহিলার করা পোস্টে লেখা বক্তব্যে আপনি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেই বক্তব্য আপনি কি চোখে শুনে আর কানে দেখে তারপর অশ্লীল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন? আপনার এত অহংকার? এত ঔদ্ধত্ব? কতকগুলি আবাল কথা নিজের মনের আশ মিটিয়ে লিখে কেউ পোস্ট ক'রে দিল আর আপনি ময়দানে নেবে পড়লেন নারীবাদীদের ফেরিওয়ালা হ'য়ে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়ের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র না জেনে, না পড়ে তা শেয়ার ক'রে বমন উদ্গীরণ করতে!? নেবে পড়লেন বাপের বাপের চেয়েও বড় একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে 'মাল' সম্বোধন করতে? ছোটবেলা থেকে কি এরকম বিকৃত অসভ্য অশ্রাব্য অশ্লীল সম্বোধন শুনে শুনে বড় হয়েছেন? আপনার পরিবারে কে কাকে এই 'মাল' সম্বোধনে ডাকতো!? আজ আপনি একজন মা হ'য়ে যাকে 'মাল' সম্বোধনে ডাকলেন একদিন আপনার ছেলে আপনার দেওয়া এই শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল' ব'লে ডাকবে না তো? নাকি যে শিক্ষা আজ আপনি ঐ ছোট্ট শিশুর মাথায় অহংকারে ঔদ্ধত্বের সঙ্গে স্থাপন করলেন আপনার ছেলে সেদিন বড় হ'য়ে আপনাকে 'মাল'-এর 'ম' এর জায়গায় 'ব' যুক্ত ক'রে আপনাকেই বা------ ডাকবে না তো!? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর!!! আজ অশিক্ষা-কুশিক্ষার উপর দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন অহংকারের উপর ভিত্তি ক'রে শুধু মনে রাখবেন চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়! সূর্য ঢোলছে, দিন যাচ্ছে, রাত আসছে, সময় দৌড়চ্ছে আর আপনার ঐ আজকের ছোট্ট শিশু ক্রমে ক্রমে বড় হচ্ছে, বড় হচ্ছে আপনার শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে!
আর প্রতিদিন আপনার মা আপনার জন্য আপনার নোংরা অপবিত্র মুখ দিয়ে বলা প্রায় ১০কোটি লোকের আরাধ্য দেবতা সম্পর্কে 'মাল' সম্বোধন করা মানুষটার কাছে যে মঙ্গল প্রার্থনা করেন তা কি আপনি জানেন? আপনি কি জানেন আপনার ছোট্ট সন্তানের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য যাঁর পায়ে ফুল চড়ায়, ইষ্টার্ঘ্য পাঠায় আপনার বাবামায়ের সেই ইষ্টদেবতা তাঁকে আপনি বকের মত গলা উঁচু ক'রে, চোরের মায়ের বড় গলা ক'রে অশ্লীল 'মাল' সম্বোধন করেন, তাঁকে আপনার সহ্য হয় না! অসহ্য লাগে!! গা জ্বলে যায়!!!
একবার নিজেকে বিবেকের আয়নায় দাঁড় করান আর বিবেককে প্রশ্ন ক'রে দেখুন এই মানুষটা যাকে সহ্য হয় না, মাল ব'লে সম্বোধন করছেন সে আপনার বাঁচা-বাড়ার ক্ষেত্রে কি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল? আপনার বাপের বাপের চেয়ে বড় সবদিকে বড় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় এই মানুষটার শরীরে ঐ ----?----- নামে নারী জাতি ও মা নামের কলঙ্ক মহিয়সী মহিলাটি ব্লাউজ পরিয়ে দিয়েছেন আর আনন্দে আপনি তা উপভোগ করেছেন আর সকলের সঙ্গে ব্লাউজ পড়ানো শরীরের উপরিভাগ নিয়ে হাসি মস্করা করেছেন আদিম উল্লাসে মাতাল হ'য়ে দলবদ্ধভাবে পরস্পর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আদানপ্রদান-এর মধ্যে দিয়ে। তা আপনি আপনার বাবার ও বাবার বাবার কিংবা আপনার স্বামীর কিংবা আগামীদিনে আপনার সন্তান যখন বড় হবে তখন তাদের শরীরে ব্লাউজ পড়াবেন তো? পড়িয়ে আদিম মজাকে মেতে উঠবেন তো? বাবাকে নিয়ে, স্বামীকে নিয়ে, ছেলেকে নিয়ে খিল্লি উড়াবেন তো? কাকে জাঙ্গিয়া পড়াবেন!? কাকে ব্লাউজের সাথে জাঙ্গিয়া পড়ালে ভালো হতো!? এতটা নীচে নাবতে পারেন!? আপনারা মায়ের জাত!? আপনার সন্তান আগামীদিনে আপনাকে 'মা' ব'লে ডাকবে তো? যে শিক্ষায় শিক্ষিত ক'রে তুলছেন ছেলেকে আগামীদিনে যেদিন আপনার যৌবন সূর্য ঢলে যাবে বার্ধ্যকের আকাশে সেদিন আপনার যৌবন মত্ত ছেলে আপনার যৌবনবতী বৌমা আপনাকে জাঙ্গিয়া পড়াবে নাতো!? কিম্বা হাগিস!? আপনি নিজেকে অনেক বড় বিদুষী মহিলা ভাবেন। আপনি কি চাকরি করেন? আপনি বা আপনারা যারা চাকরি করেন না, করেননি কোনোদিন তা আপনি বা আপনারা জানবেন কি ক'রে কি ধরণের নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নারীদের কর্মস্থলে পুরুষকর্মীদের কাছে! ঘরে বসে স্বামীর রোজগারে খেয়ে আর হিল্লি দিল্লি ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তিতে উড়ে উড়ে নারীবাদী হওয়া যায় না। আপনি কি জানেন লক্ষ লক্ষ বিদুষী মহিলা, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মহিলা, চাকরি করা ও বিশ্বের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি বড় বড় পোস্টে চাকরি করা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, প্রফেসর, শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা যাদের আপনি পায়ের নখের যোগ্য নন, যাঁকে আপনি সহ্য করতে পারেন না, মাল ব'লে সম্বোধন করেছেন সেই 'মাল' মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পায়ের কাছে বসে থাকেন!? ইচ্ছে করলেই ঐ সমস্ত শিক্ষায় দীক্ষায়, বংশমর্যাদায়, রুচিতে অতি উচ্চ মার্গে অবস্থানরত আদর্শ নারীরা, আদর্শ মায়ের জাতেরা আপনাদের কথার জবাব দিতে পারেন কিন্তু দেন না কারণ তারা "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই ব'লে কি কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়" তত্ত্বে বিশ্বাসী। তাঁদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ প্রবল। আপনি বা আপনারা যারা ঠাকুরকে, ঠাকুর সম্পর্কে না জেনে, না বুঝে, না দেখে, না পড়ে ঠাকুরের ওপর নারী বিদ্ধেষীর তকমা লাগিয়ে দিয়ে অকথ্য কুকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন তারা শেষের দিনে যেদিন সত্য জানবেন (জানার যদি ভাগ্য থাকে বাকী জীবনে) সেদিন প্রায়শ্চিত্ত করবার সুযোগ পাবেন তো এই জন্মে? নারী ও মা জাতির কলঙ্ক যে মহিয়সী মহিলা ঠাকুরকে সবুজ রং দিয়ে খালি গায়ে এই ব্লাউজ এঁকে দিয়েছেন ও ফেসবুকে ব্লাউজ পড়ানো ঠাকুরের বিকৃত ছবি পোস্ট করেছেন এবং ঠাকুর সম্পর্কে ঐ পোষ্টে যে মনগড়া মিথ্যে কথা লিখেছেন তা আপনি বাস্তবে তলিয়ে দেখে নিয়েছেন তো ছবি শেয়ার করার আগে, ঠাকুরকে নিয়ে খিল্লি করার আগে? শেষের সেদিন কিন্তু ভয়ঙ্কর! আপনি আরো আরো গালাগালি করুন আপনার বাবামায়ের আরাধ্য দেবতা ঐ মালটাকে! কেমন!!!!!!
আর, আপনার মুখের ভাষা জবরদস্ত! আপনার মতোই ভয়ঙ্কর সুন্দর ও মিষ্টি! যখন আমি আপনাকে প্রশ্নগুলি করলাম তখন আপনার গায়ে ছ্যাকা লেগে গেল আর আমায় বলছেন নিজের চরকায় তেল দেওয়ার কথা!? শুনুন, আমি আপনার চরকায় তেল দিতে আসিনি। আপনি শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকে পড়ার মত, উপযাচক হ'য়ে অনধিকারচর্চা ক'রে নাক গলিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রিয় মানুষটাকে অপমান, আঘাত করতে। আপনাকে ঠাকুরকে বিশ্বাস করবার জন্য কেউ বলেছিল? আগ বাড়িয়ে কথা বলার বদভ্যাস ভালোই রপ্ত করেছেন! আপনি আপনার পাঁঠা লেজে কাটুন, মাথায় কাটুন, আপনার বাগানে ঘেঁটু ফুল চাষ করুন, আর শ্যাওড়া গাছ লাগান কেউ দেখতে যাবে না; অন্যের বাগান নষ্ট করতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বাগানের মালির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে বাগানকে রক্ষা করার। আর আপনার সঙ্গে মনে হয়না কোনও ভদ্রলোকের কথা বলা পোষাবে!!!!! আমার কি জিনিস নিয়ে থাকার কথা বলছেন? আমার জিনিস আপনার বাবা-মার জিনিস অর্থাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর তো এক যেখানে আপনি মূত্রপাত করেছেন!!!! সাহস থাকলে ক্ষমতা থাকলে বাবা-মাকে পাশে বসিয়ে যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে আপনার মুখ দিয়ে সাপ ব্যং ইঁদুর ছুঁচো বের করুন! মুখ দিয়ে তো টাট্টি কা মাফিক বাত বের হয়; আবার বড় মুখে কথা বলছেন? আপনার জন্মদাতা জন্মদাত্রী আপনার দুর্গন্ধযুক্ত কথা সহ্য করেন তো!? খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? আগে দেখুন, তারপর কথা বলুন।
এরপরই দেখলাম লড়াইয়ের ময়দান থেকে উধাও, হঠাৎ উধাও হ'য়ে গেলেন এতক্ষণ লড়াই করা আজকের আধুনিকা মহিয়সী মহিলা! সমস্ত কথোপকথন ডিলিট হ'য়ে গেল মুহূর্তে!!!!!!!!! আমাকে ব্লক ক'রে দিয়ে একেবারে পাত্তা কেটে হ'য়ে গেলেন নিরুদ্দেশ!!!
ক্রমশঃ।
No comments:
Post a Comment