Powered By Blogger

Wednesday, December 29, 2021

সাবধান! হে ভারত সাবধান!!

কয়েকজন দুষ্কৃতীকারী আর তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা তথাকথিত ধার্মিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, মানবতাবাদী ব্যক্তি সংগঠনের ঘৃণ্য কাজ তাঁদের বালখিল্য বক্তব্যের জন্য সেই সেই ধর্মমতকে সামগ্রিকভাবে দায়ী 'রো না। দুষ্কৃতীকারীর চেয়েও তথাকথিত ধার্মিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, মানবতাবাদী তাঁদের সংগঠন সেই সেই ধর্মমতের ধ্বংসের নির্মম নীরব ঘাতক!!!

সাবধান! হে ভারত! সাবধান!!

তৃষ্ণা!


আমার বড় তৃষ্ণা। গলাটা শুকিয়ে কাঠ 'য়ে যাচ্ছে। চারপাশে আমার জল আর জল। তবুও তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছে কেন!? কেন আমি তৃষ্ণার্ত?

ঠিক এইরকম যখন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তখন একটা পোষ্ট চোখে পড়লো। মুখের কারণে নাকি কিছু মানুষের জীবনে উত্থান আটকে যায়।

তাই কি? চারদিকে কি তাই দেখছি? সকাল থেকে রাত অব্দি কি তাই দেখছি? সূর্য ওঠা থেকে শুরু 'রে অস্ত গিয়ে আবার পরদিন ওঠা পর্যন্ত আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী শুধু তো গালবাজ আর গলাবাজদের উত্থান!!!! তাই নয় কি?

আচ্ছা বাড়ির পাশে পেঁচো অন্ধকার গলি থেকে শুরু 'রে উন্মুক্ত আলোর রাজপথে, বস্তির জঞ্জাল থেকে আকাশ ঢাকা ইটের জঙ্গলের দমবন্ধ করা ভিড়ে, টিভির চ্যানেল থেকে চ্যানেল শুরু 'রে রেডিও স্টেশনে, স্থলে-জলে-অন্তরিক্ষে সব জায়গায় আমরা কি দেখি? কি শুনি? সবজায়গায় তো মুখে মারিতং জগতের কারবার চলছে! তাই না? ঘরেবাইরে, পাড়ায়পাড়ায়, স্কুলেকলেজে, অফিস-কাছারিতে, কলেকারখানায়, হাটেবাজারে, পথেঘাটে, মাঠেময়দানে, সাহিত্য, নাটক, চলচিত্র, শিল্প, ধর্ম্ম, রাজনীতি ইত্যাদি সমস্ত অঙ্গনে সকাল থেকে রাত শুধু গালবাজি আর গলাবাজি আর মুখের কারণে উপরে ওঠার লাজ লজ্জাহীন তীব্র প্রতিযোগীতা আর প্রতিযোগীতা চলছে! তাই নয় কি? ভুল বললাম? বাজে বকলাম?

হ্যাঁ! এটা সত্যি কথা যে, মুখ আর মুখের ভাষায় আকাশপাতাল তফাৎ থাকে। কারও মুখ এত সুন্দর কিন্তু মুখ খুললেই সাপ ব্যাঙ ছুঁচো বেরিয়ে পড়ে! আবার দেখতে সুন্দর না 'লে কি হবে মুখের কথা এত মিষ্টি যে শয়নে স্বপনে জাগরণে তা মনে লেগে থাকে! কানে বাজতে থাকে!! কিন্তু সময় কি বলে? সাপ, ব্যাঙ, ছুঁচো উগলাতে উগলাতে ছুটে চলেছে শুধু সুন্দর মুখের দল উন্নতির শিখরে, উত্থানের পথে! ভবিষ্যৎ কি হবে, শেষের সেদিন ভয়ংকর হবে না সুন্দর হবে তা দেখার প্রয়োজন নেই, ধারও ধারে না। তাৎক্ষণিক ফল লাভ 'লেই 'লো আর হয়ও তাই। আর অসুন্দর মুখের অধিকারী মিষ্টি ভাষার মানুষ পড়ে থাকে নীচে, খুদকুঁড়ো পাওয়ার আশায় বাঁচে! ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় নেই। ত্রুটি নিয়েই বাঁচে-মরে। মিষ্টি ভাষার মানুষের উত্থান না হওয়ার পিছনে কিছু কমি বা ছোটো বড় ত্রুটি থাকেই।

যাই ', বলছিলাম তৃষ্ণা নিয়ে আর তাই ফিরে আসি সেই তৃষ্ণায়। এই লেখাটা যখন লিখছি তখন লিখতে লিখতে মনে পড়লো পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি, সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে ভালোবাসাময় প্রেমময় আলোময়, রূপময়, রসময় মানুষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র-এর বাণী "Behavior is the beverage of life." যার অর্থ দাঁড়ায়, ব্যবহারই জীবনের পানীয়। এই মিষ্টি প্রাণকাড়া ব্যবহারের কথা তিনি যতবার এসেছিলেন সেই রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ রূপে ততবারই বারেবারে নানাভাবে, নানা ঢঙ্গে 'লে গেছেন আমাদের সবার জন্য, পৃথিবী জুড়ে তাঁর সমস্ত সন্তানদের জন্য। সেখানে কোনও হিন্দু ছিল না, মুসলমান ছিল না, ছিল না কোনও খৃষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন কোনও সম্প্রদায়ের কেউ। সবাই, সব সম্প্রদায়ের বিশ্ব জুড়ে ৮০০ কোটি মানুষের জন্য 'লে গেছিলেন এই মিষ্টি পানীয় রূপী ব্যবহারের কথা। যাঁদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেই এই ভয়ংকর অন্ধকার সময়ে জীবনের সব তৃষ্ণা মিটে যায়! জুড়িয়ে যায় সব জ্বালা, যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট!! দূর 'য়ে যায়, কেটে যায় সব অভাব, অনটন, রোগ, শোক, গ্রহদোষ, বুদ্ধি বিপর্যয়, দারিদ্রতা!!! বুকের মধ্যে জ্বলে ওঠে অপার আনন্দের আলো! আলোর ফুলঝুড়ি!!

আর, তৃষ্ণা মেটার জন্য আমরা কি করেছি? কি করছি?? কি করবো???

 

 

কবিতাঃ ক্ষমা করো আমারে!!!

হে হিন্দু! হে মুসলিম! হে খৃষ্টান! বৌদ্ধ! শিখ, জৈন! পারসিক!
হে যত বিশ্বের যত ধর্মমত অনুসারী ধার্মিক!
তোমরা কি জানো না সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর স্বয়ং বারবার
তোমাদের মাঝে এসেছেন নেবে!?
এসেছেন রক্তমাংসের জীবন্ত ঈশ্বর হ'য়ে
মানুষের মাঝে মানুষ মায়ের কোলে কতবার!?
সত্যিই কি তুমি জানো না!?
নাকি জানতে, বুঝতে চাও না!?
না-জানার ভান ক'রে থাকো?
কিম্বা জেনে বুঝেও কুসংস্কারের হ'য়ে বশবর্তী
কিম্বা রিপুতাড়িত অস্থির বৃত্তি-প্রবৃত্তির শয়তানী টানে
হ'য়ে বেসামাল চোখ বন্ধ ক'রে কাটাও ইচ্ছের দিনরাত!?
কে শেখায় তোমাদের তিনি আসেন শুধু
তোমাদের বিশেষ সম্প্রদায়ের তরে!?
কে শেখায় তোমাদের বন্ধু,
তোমাদের ঈশ্বর তিনি শুধু হিন্দুদের জন্য আসেন!?
আসেন শুধু তিনি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য!?
কে শেখায় এই পাপ শিক্ষা আল্লা আসেন
শুধু মুসলমানের তরে শান্তি বিলাতে!?
হে আমার ধার্ম্মিক বন্ধু!
কে শিখিয়েছে এই কুশিক্ষা যে গড তিনি
হ'য়ে ঈশ্বর পুত্র এসেছিলেন হ'য়ে মিত্র
শুধু খৃষ্টানদের জন্যে!?
এমনিভাবেই যারা ঈশ্বর নন তারাও
হ'য়ে ঈশ্বর ব'সে আছেন ঈশ্বরের সিংহাসনে
আবেগে ভেসে যাওয়া শক্ত ভক্তদের দৌলতে!
কেন!? কেন বন্ধু, কেন!?
কেন তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর ইচ্ছের ভিতরে
চালাও তোমার ইচ্ছের কোদাল!?
কেন তুমি দাও তাঁর বুকে ব্যথা!?
কেন শোনো না তাঁর বাঁচা বাড়ার কথা!?
কেন তাঁকে তাঁর জীবন্ত উপস্থিতিকে
করো বারবার অস্বীকার!?
কেন তাঁরে দাও কষ্ট, করো অপমান অশ্রদ্ধা
ভক্তির ছুটিয়ে ফোয়ারা যত অমূর্ত ভগবানে
ক'রে পুজা আর সাজা সাধু হ'য়ে ব'সে
কখনো বা সেজে ব'সে গুরু
বানাও বোকা সবারে তাঁর মূর্খ সন্তানেরে!?
তোমায় হে ধার্মিক!
তোমার এই পাগলাটে মনোভাবকে জানাই ধিক্কার।
কে দেবে ধর্মের ব্যাখ্যা?
কে দেবে গীতা, বাইবেল, কোরান, ত্রিপিটক
ইত্যাদি যত তাঁর ব'লে যাওয়া বাণীর ব্যাখ্যা?
কে ব'লে দেবে তাঁর বারবার পূর্ব পূর্বরূপের
ব'লে যাওয়া বাণীর অন্তর্নিহিত শব্দের অর্থ?
তাঁর সৃষ্ট সন্তান নাকি তিনি নিজে?
কে এতবড় পন্ডিত যে তাঁর বাণীর দেবে ব্যাখ্যা?
কে এতবড় জ্ঞানী যে ঈশ্বরের মুখনিঃসৃত
গীতা, বাইবেল, কোরান, ত্রিপিটক-এর
মূল ভাষ্যের তুলে ধরবে নিখুঁত নির্ভুল অন্তর্নিহিত অর্থ!?
তিনি ছাড়া আর কে আছেন
এমন শক্তিমান এই দিন দুনিয়ায়!?
তাই-ই তাঁকেই নেবে আসতে হয় বারবার
আর এসেওছিলেন আট আটবার!!!!!
কিন্তু তুমি ধার্মিক! তা মানোনি,
করোনি বিশ্বাস, শোনোনি তাঁর কথা!
কে নাস্তিক?
তুমি যে ঈশ্বর বিশ্বাস করো না সে
নাকি যে ঈশ্বরের নামে ভক্তির ফোয়ারা
ছুটিয়ে করে ন্যাকামি, সে ? কে?
কে নাস্তিক?
যে ঈশ্বরের উপস্থিতিকে দেয় না স্বীকৃতি, সে?
যে সরল মনে নেই গরল
করে তাঁর নাম গান মুর্তি পুজায় অবিরল, সে?
নাকি যে কুসংস্কারের হ'য়ে বশবর্তী কিম্বা
ঈশ্বরকে আয়ের আর ক্ষমতা লাভের
বানিয়ে উপকরণ করে মুর্তি পুজা
আর দেখিয়ে ভগবানের ভয় ক'রে ভক্তের শক্তি ক্ষয়
বানায় নিজ ঐশ্বর্যের প্রাসাদ, সে?
কে নাস্তিক!
এখনও সময় আছে, জীবন অস্তাচলে
যাবার আগে দাঁড়াও ঘুরে একবার
অহংকার লজ্জার জাল ছিন্ন ক'রে
রাধারাধা ব'লে হরি হরি ব'লে
দু'হাত উর্ধ্বে তুলে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে
কপটতা আর চতুরতার ভেঙ্গে বেড়াজাল
আঁখি ভেজা জলে গেয়ে ওঠো তুমি
শৃন্যন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রা,
বলো অশ্রুসজল কন্ঠে,
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো মোরে
তোমার অধম সন্তানেরে মহাকাল!
হে মহাকাল! ক্ষমা করো আমারে।

কবিতাঃ যদি না থাকে-------

আগেও বলেছি, আবারও বলছি, বারবার বলছি

ধর্ম পালনের নামে আমরা মিথ্যে নিয়ে খেলছি,

খেলছি ধর্ম্ম নাশের সর্বনাশা খেলা!

খেলছি সৃষ্টিনাশের ভয়ংকর সৃষ্টিনাশা খেলা!

খেলছি ধর্মের অজুহাতে আল্লা, ভগবান, ঈশ্বর,

গডের নাম নিয়ে আর করছি একে অপরকে

বলাৎকার, হত্যা, লুটপাট ঈশ্বরের নামে

দিয়ে ভয়ংকর হুঙ্কার এবেলা ওবেলা!

বন্ধ ' এই খেলা, বন্ধ ' ঈশ্বরের অপমান।

হে ভন্ড ধার্মিক! হে তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা ধার্মিক!

হে ভীরু, দুর্বল, মূর্খ, ভাঙ্গাচোরা ধর্মভীরু কুসংস্কারাছন্ন ধার্মিক!

ঈশ্বরকে আয়ের উপকরণ 'রে নেওয়া হে ধান্দাবাজ ধার্মিক!

হে ইষ্টহীন যমের দালাল রাজনীতিবিদ!

হে আমার লেখাপড়াজানা অশিক্ষিত মানুষ!

হে আমার তত্ত্ব কথার চিউংগাম চেবানো মানবতাবাদী!

তা সে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ যে বা যাই- হও না কেন

এমনকি হে আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন

যদি বাঁচতে চাও, বাঁচাতে চাও তোমার প্রিয় পরবর্তী প্রজন্মকে

আসন্ন আগুন পৃথিবীর ঝলসানো গহীন অন্ধকার রাত থেকে,

যদি মনে করো তোমার বিন্দুমাত্র নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে

তোমার ধর্ম্ম, তোমার সম্প্রদায়, তোমার দেশ, তোমার ঈশ্বর

জীবন্ত ঈশ্বর রামের প্রতি, শ্যামের প্রতি, বুদ্ধ, যীশু

কিম্বা তোমার মহম্মদের প্রতি, তুমি দায়বদ্ধ তোমার

জীবন্ত ঈশ্বর তোমার গুরু মহাপ্রভু বা রামকৃষ্ণ

কিম্বা তাঁর বর্তমান শেষ জীবন্ত রূপ বিশ্বের বিস্ময়

সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রতি

তবে বন্ধ ' মূর্তি বা জীবন্ত ঈশ্বরের চরণপূজা,

বন্ধ ' তাঁকে নিয়ে হিংসার রাজনীতির তর্জা।

বন্ধ ' ধর্ম্ম নিয়ে ক্ষমতা দখলের ঘৃণ্য খেলা;

বন্ধ ' নিজের সঙ্গে নিজের পান্ডিত্যের লুকোচুরি

আর ধর্ম্মের নামে বীভৎসতার হুড়োহুড়ি গুঁতোগুঁতির মেলা!

বন্ধ ' মানবতাবাদী তোমার কপট মানবতার ধ্বজা ওড়ানো

আর মানবতার স্প্রে ছড়িয়ে পক্ষপাতিত্বের গান শোনানো।

শব্দের জাগলার বন্ধ করো তোমার শব্দ নিয়ে জাগলারি

কবিতায় গানে ছড়ায় ভাষণে বন্ধ ' শব্দের ফুলঝুরি!

ঈশ্বরের আরাধনায় ফুল বেলপাতা ধুপ চন্দন শংখ উলুধ্বনি

দিয়ে যতই পুজোর আয়োজন করো না কেন,

যতই অঙ্গভঙ্গিতে শরীর নাচিয়ে হাত কাঁপিয়ে মাথা দুলিয়ে

করো না ইশ্বরের পুজা সে পূজা সিদ্ধ হবার নয়; কথা জেনো।

যতই তাবিজ মাদুলি জলপড়া তেলপড়া তুকতাক ঝাড়ফুঁক

আংটি লালসুতো কালোসুতোয় নিজেকে বাঁধো না কেন বন্ধু

শান্তিসুখের লেশমাত্র সন্ধান তুমি পাবে না কিন্তু!

শুধু বলে যাই বেলা

'রো না জীবন্ত ঈশ্বরে অবহেলা।

শেষের সেদিন কিন্তু জেনো ভয়ংকর!

যদি না থাকে তোমার হৃদয়ে মনের গভীরে

প্রেম ভালোবাসার মূর্ত রুপ জীবন্ত ঈশ্বর।

আর না থাকে তাঁরে পালন পোষণ রক্ষণ

জেনো কষ্ট যন্ত্রণা জ্বালা পল অনুক্ষণ সর্ব্বক্ষণ।