Powered By Blogger

Monday, July 31, 2017

হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রের নব আনন্দে পথ চলা ও ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা??? (৬)

হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রের ১৪-০৫-২০১৭ রবিবার ভদ্রকালী মহিলা ক্যাম্প থেকে নব আনন্দে (!?) পথ চলা শুরু হওয়ার মধ্যে দিয়ে এলাকায় যে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে দীক্ষিত-অদীক্ষিত মানুষের মনে সেই সম্পর্কে আমি এই লেখার মধ্যে দিয়ে জেলার সম্পাদক সহ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় ঋত্বিক শ্রী সাধন চক্রবর্তী ঋত্বিক শ্রী অনিল দাস মহাশয়কে জিজ্ঞেস করছি, আপনারা সেদিন কেন এসেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে? আপনারা কি কিছু না জেনে চলে এসেছিলেন? আপনাদের কি অন্ধকারে রেখেই ঋত্বিক রতন সরকারদা তার দলবল আপনাদের অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছিলেন? আপনারা তো ঋত্বিক তদুপরি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী তাআপনারা ওদের ইষ্টের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার নামে নব আনন্দে পথ চলার পিছনে কুৎসিত মানসিকতা না জেনে, না বুঝেই চলে এলেন? আপনারা হুগলী জেলা সৎসঙ্গ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মী য়ে এমন কাজে মদত দেবার জন্য ভদ্রকালীতে চলে এসে সরাসরি মঞ্চে উপস্থিত য়ে এই নব আনন্দে পথ চলার কথা ঘোষণা রে দিলেন? আপনারা ঋত্বিক য়ে, জেলার সম্পাদক সহ সম্পাদক য়ে শ্রীশ্রীবাবাইদাদার আশীর্বাদকে অমান্য করলেন? আপনারা বাবাইদাদার আশীর্বাদপূত কেন্দ্র ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র’-কে উপেক্ষা রে, অন্ধকারে রেখে ভদ্রকালীর সদ্য সদ্য উর্বর হওয়া মাটিতে বিষ বৃক্ষ রোপন রে গেলেন? আপনারা রাজনৈতিক দলের মত ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের মধ্যে একটা বিরুদ্ধ গোষ্টীর জন্ম দিয়ে গেলেন? গোষ্টীদ্বন্ধ সৃষ্টি রে আপনারা কিমজা পেলেন? কেন করলেন আপনারা এমন ঘৃণ্য কাজ? কি অপরাধ ছিল ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের? কেন আপনারা সরাসরি উপস্থিত থেকে ভদ্রকালীর মহিলা ক্যাম্প অঞ্চলে সাধারণ গুরুভাইদের মধ্যে বিভ্রান্তির জন্ম দিয়ে গেলেন? কেন আপনারা অদীক্ষিতদের মধ্যে সুযোগ রে দিয়ে গেলেন ঠাকুর ঠাকুরের সৎসঙ্গনিয়ে কুৎসা করার, টিপ্পনি কাটার? কেন ১৯ মাস রে কষ্ট রে, কঠোর পরিশ্রম রে তিল তিল রে গড়ে তোলা ভদ্রকালীর অঞ্চলের মানুষের মনে প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেলেন, বিতর্ক তৈরী রে দিলেন, সন্দেহের জন্ম দিয়ে গেলেন সৎসঙ্গ সৎসঙ্গী সম্পর্কে? কেন ঠাকুরের মিশনকে প্রতিষ্ঠা করার মহতী প্রচেষ্ঠায় জল ঢেলে দিয়ে গেলেন? কেন? কেন? আপনারা তো ঠাকুরের পাঞ্জাধারী ঋত্বিক দেবতা? আপনারা এমন কাজ করলেন কেন, কি জন্য, কি কারণে? কার ক্ষতি করলেন আপনারা? আপনাদের তো যথেষ্ট বয়স হয়েছে, অনেক অভিজ্ঞতা তাআপনারা নতুন কিছু গুরুভাইদের বাবাইদাদার আশীর্বাদপূত কেন্দ্রকে ড্যামেজ করার, ভদ্রকালীর বুকে ঠাকুরকে অদীক্ষিতদের মাঝে ন্যাকেড করার, ‘সৎসঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে কালিমা লিপ্ত করার গভীর চক্রান্তে সরাসরি সামিল য়ে গেলেন? দূরদৃষ্টি দিয়ে, এতদিনের সাধন ভজনের শান্ত-সমাহিত জীবনের জ্ঞান দিয়ে, মন দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, অভিজ্ঞতা দিয়ে ভেবে দেখলেন না সৎসঙ্গ জগতে একটা কেন্দ্র (হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্র) আর একটা কেন্দ্রে (ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র) গিয়ে কেন্দ্রের (ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র) অজ্ঞাতে ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার নামে প্রকাশ্যে সেই কেন্দ্রের (হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্র) নাম ঘোষণা রে সৎসঙ্গ করতে পারে কিনা? আপনারা জেলা কমিটির প্রধান পদাধিকারী আর আপনারাই সরাসরি একটা কেন্দ্রের য়ে আর একটা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত লেন? ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সংহতি ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ষড়যন্ত্রকারী কিছু গুরুভাই নামধারী ছেদককে মদত দিলেন? আপনারা তো জানেন ঠাকুর সংহতি ভাঙনকারীদের সম্পর্কে কি বলেছেন; জানেন না? তাহলে স্মরণ করিয়ে দিই। ঠাকুর বলেছেন, “সংহতিতে যে বা যারা ভাঙন ধরায় সে বা তারা ছেদক।“ 
যাই , আপনারা হুগলী জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবক য়ে আপনারা ভদ্রকালীতে বাবাইদাদার আশীর্বাদে নূতন একটা কেন্দ্র ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের জন্ম হয়েছে জানেন না? সবাই জানে আর আপনারা অভিভাবক আপনাদের কাছে কোনও খবর নেই যে আজ ১৯ মাস অতিক্রান্ত য়ে গেছে ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র ভদ্রকালীতে প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবার এবং বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ সৎসঙ্গআয়োজনের মাধ্যমে বাবাইদাদার আশীর্বাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে রক্ষা রে চলেছে? বাবাইদাদার নাম নিয়ে মিথ্যে প্রচারের মধ্যে দিয়ে যে গুরুভাইয়েরা বাবাইদাদার অবমাননা রে চলেছে আজ ১৯ মাস আপনারা প্রবীন ঋত্বিক গুরুত্বপূর্ণ জেলা কমিটির প্রধান সদস্য য়ে (সম্পাদক সহ সম্পাদক) সেই মিথ্যেকে প্রশ্রয় দিয়ে সরাসরি ১৪।০৫।১৭ রবিবার ভদ্রকালী মহিলা ক্যাম্পে গুরুভাইদের দ্বারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আয়োজিত সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের অন্যায্য আচরণ অনৈতিক পদক্ষেপকে অক্সিজেন যুগিয়ে সংহতিকে ভাঙার চক্রান্তে মদত দিলেন? আপনারা তাদের কিম্বা ঋত্বিক রতন সরকারদাকে জিজ্ঞেস করলেন না কেন, বাবাইদাদা কি তাদের বলেছিলেন (যে কথা তারা বাবাইদাদার নাম নিয়ে প্রচার রে চলেছে) বাবাইদাদার আশীর্বাদপূত কেন্দ্র ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রথেকে নব আনন্দে পথ চলা শুরু করতে? কেন আপনারা অভিভাবক হিসাবে তাদের বললেন না, বাবাইদাদা কি বলেছিলেন মন্দির দূরবর্তী অঞ্চল ভদ্রকালীতে গিয়ে ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার নামে কোদাল চালিয়ে ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সংহতিতে ভাঙ্গন ধরাতে? কেন বললেন না এতে ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার বদলে ইষ্টেরস্বার্থপ্রতিষ্ঠার পথে বিঘ্ন হয়? কেন বললেন না এতে ইষ্টের স্বার্থ রক্ষা হয় না? কেন বললেন না এইধরণের ঘৃণ্য মানসিকতাকে ইষ্টপ্রাণতা বলে না? কেন বললেন না এই প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রতিষ্ঠাই মুখ্য য়ে ওঠে এবং ইষ্টের মিশনকে ধ্বংস রে ultimate নিজেরই অস্তিত্বকে ধ্বংস করে?
যাই আপনারা জানেন কি সেদিন অনুষ্ঠান শেষে এলাকায় কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? আপনারা ঋত্বিক, অভিভাবক আপনারা বিভিন্ন জায়গায় যান যাজন কাজে আর সেখানে যাজন কাজ শেষে মানুষের প্রতিক্রিয়া কি সেটা জানার চেষ্টা করেন কি? ফিড ব্যাক নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন কি? পরবর্তী লেখায় আপনাদের অনুষ্ঠানের ফিড ব্যাক দেবো।
ক্রমশঃ