Powered By Blogger

Wednesday, July 5, 2017

হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্র ও নব আনন্দে পথ চলা-১

"হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রের নব আনন্দে পথ চলা

ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা"???-----------( ১ )

সমস্ত গুরুভাইবোনেদের জানাই জয়গুরু। সুব্রত সরকারদার ১৫-০৫-২০১৭ তারিখের পোষ্ট চোখে পড়েছিল। পোষ্টের সেই বিষয় পড়েছিলাম ও বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। তারপর সুব্রতদাকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম উনার পোষ্ট করা বিষয়ে পোষ্টের কমেন্ট বক্সে। সেখানে তিনি একটাও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নানা অপমানকর মন্ত্যব্যের খোঁচা মেরে মেরে আমাকে ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার যাজন করলেন এবং আমি যখন সেগুলিরও উত্তর দিলাম তখন তিনি রাগে উনার এবং আমার সব কথোপকথন ডিলিট ক'রে দিলেন। এইভাবে পাঁচ পাঁচবার তিনি আমাকে অপমানজনক মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃপ্তি পেয়ে অবশেষে বললেন, "এইসব প্রশ্ন যাকে বা যাদের বলার তাকে বা তাদের বলুন, আমাকে ব'লে কোনও লাভ হবে না।" এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লেখা লিখলেন ও পোষ্ট করলেন যিনি তাকে না ব'লে কাকে বা কাদের বলবো বা কাদের কাছে জানতে চাইবো? যাই হ'ক সুব্রত সরকারদার ঐ পোষ্ট পড়ে কিছু কথা, কিছু প্রশ্ন আর কিছু স্মৃতি মনের মাঝে ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার প্রশ্নে জেগে উঠলো আর তাই একজন গুরুভাই হিসাবে এই "হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রের নব আনন্দে পথ চলা ও ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা???" নামে লেখার মাধ্যমে সমস্ত গুরুভাইবোনের কাছে প্রশ্নগুলির উত্তর ও সমাধান জানার আগ্রহে সুব্রতদার লেখা অনুযায়ী এই লেখা পোষ্ট করলাম।
সুব্রতদা লিখেছেন, “১৪-০৫-২০১৭ থেকে শুরু হ’লো পূজনীয় বাবাইদাদার অনুপ্রেরণায় হিন্দমোটর সৎসঙ্গ মন্দিরের পরিচালনায় ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠার্থে নব আনন্দে পথ চলা”। সুব্রতদাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে হিন্দমোটর মন্দিরের বয়স কত বছর হ’লো এবং হিন্দমোটর মন্দিরের ইতিহাস জানেন কিনা। কারা তাঁরা যারা রুখোশুখো মাটিতে কোদাল চালিয়ে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন? কারা তাঁরা যারা তিল তিল ক’রে গড়ে তুলেছিলেন হিন্দমোটর সৎসঙ্গের জমি বড় বড় সৎসঙ্গ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে? তাঁদের একজনকেও সুব্রতদা চেনেন? ১৪-০৫-২০১৭ রবিবার থেকে কেন শুরু হ’লো নব আনন্দে পথ চলা? এতদিন এতবছর তাহ’লে কি নিরানন্দে পথ চলেছিল হিন্দমোটরের পূর্বসূরিরা? অর্ধ শতাব্দীরও বেশী শেষে আজকের যে ফসল তিন তলা মন্দির তা’ কোন আনন্দে বা কোন হতাশার মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছিল? কেন আজ এত নব আনন্দ? নব আনন্দের ভিত্তিটা কি? যদি বলেন বাবাইদাদার অনুপ্রেরণা তাহ’লে কি প্রশ্ন উঠবে না প্রধান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবড়দা, বর্তমান আচার্যদেব র্শ্রীশ্রীঅশোকদাদার অনুপ্রেরণা কি সেদিন ছিল না? না-কি অনুপ্রেরণার জোর কম ছিল? সুব্রতদা কি জানেন সেদিনের হিন্দমোটর মন্দিরের ভক্তদের হ্যারিকেন হাতে নিয়ে রাতে গুরুভাইদের বাড়ি বাড়ি যাবার ইতিহাস? তিনি কি জানেন সেদিন তাঁদের মানুষেরা কি বলতো? জানা অবশ্য সম্ভব না কারণ তিনি তখনও জন্মান নি এবং উত্তরপাড়াতে এসেছেন বছর দশেক হবে আর মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ২০১২ তে সম্ভবত। যাই হ'ক হ্যারিকেন হাতে নিয়ে যারা বেরোতেন তাদের সম্পর্কে মানুষ বলতো, 'ব্যাঙ ধরা পার্টি'। তখনকার দিনে সন্ধ্যের আলো ঘনিয়ে আসার সাথে কিছু মানুষ বেরিয়ে পড়তো হ্যারিকেন হাতে ব্যাঙ ধরতে। কারণ রাস্তায় তখন এত আলো ছিল না। ব্যাঙ ধরা ছিল সেই সময়ের গরীব মানুষের জীবিকা। অনেক ঘটনার মধ্যে একটা ঘটনার আভাস দিলাম মাত্র। কারণ আমাকে যেতে হবে অন্য বিষয়ে।
যাই হ’ক তা’ সেদিন তাঁরা কিসের আনন্দে হ্যারিকেন হাতে রাতের আঁধারে ব্যাঙ (মানুষ) ধরতে বেরোতেন? সুব্রতদা ক’বছর হয়েছে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন? যেদিন থেকে যুক্ত হয়েছেন মন্দিরে (সম্ভবত ২০১২) সেদিন থেকে কিম্বা মন্দিরের জন্ম সময় থেকে গত রবিবারের (১৪-০৫-২০১৭) আগের দিন পর্যন্ত সুব্রতদারা বা পূর্বসূরিরা কি আনন্দে পথ চলেননি? না-কি হিন্দমোটর মন্দিরের কেউ চলেননি? আর আনন্দে পথ চললেও সেই আনন্দ পুরোনো হ’য়ে গেল কেন হঠাৎ? ঐ পুরোনো আনন্দ একঘেয়ে হ’য়ে গেছে? কেন একঘেয়ে হ’লো? প্রশ্নগুলো করলাম এইজন্য যে সুব্রতদা আমার গুরুভাই আর ফেসবুকে আমাকে ১৪-০৫-১৭ অনুষ্ঠানের দু’দিন আগে বন্ধু হবার জন্য ‘Friend Request’ পাঠিয়েছিলেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছিলেন। পাঠিয়েছিলেন কি এই জন্যই যে, ১৪-০৫-২০১৭ রবিবারের অনুষ্ঠানের বিবরণ আর তার ছবি ফেসবুকে পোষ্ট ক’রে সেই পোষ্ট আমাকে Tag করবেন আর আমি সেই পোষ্ট দেখবো আর আমার অবস্থা হবে “দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবি”। এইজন্যই বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন সুব্রতদা? পক্ষান্তরে কি ঘটলো? সুব্রতদার পোষ্ট করা বিষয়ে আমি যখন তাকে তার পোষ্ট করা বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম তখন তিনি উলটে রাগে উত্তেজনায় লুচির মত ফুলতে ফুলতে গরম তেলের মতো প্রশ্নের গরমে জ্বলতে লাগলেন আর আমাকে অপমানজনক মন্তব্য করতে লাগলেন অবশেষে উনার আমার সব কমেন্টই ডিলিট ক'রে দিলেন। কেন? কেন তিনি ডিলিট ক'রে দিলেন? কেন তিনি সৎসঙ্গী তথা পাঠক সমাজকে পড়তে দিতে চান না, জানতে দিতে চান না আমাদের কথোপকথনের বিষয়? জানুক না মানুষ, পড়ুক না উভয়ের কমেন্ট। চিনে নিক, জেনে নিক, বুঝে নিক মানুষ কমেন্ট পড়ার মধ্যে দিয়ে উভয়ের চরিত্র আর সত্য প্রকাশিত হ'ক। সুব্রতদা কি জানেন বন্ধুর মানে? ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে কপট চাতুরী করলেন তিনি? বন্ধুর মানে অনেক গভীর আর "ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা" কথাটার অন্তর্নিহিত অর্থও ব্যাপক ও দিগন্ত বিস্তৃত!
যাক এইসব কথা। তাহ’লে ১৪-০৫-২০১৭ রবিবার থেকে হঠাৎ নব আনন্দে পথ চলার রহস্যটা কোথায় !? আমরা যখন গুরুভাই আসুন ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার স্বার্থেই একটু খোলামেলা আলোচনা করি আর দেখা যাক লেখা চলতে চলতে সুব্রতদাদের হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রের হঠাৎ নব আনন্দে পথ চলার রহস্যটা ক্রমশঃ প্রকাশ পায় কিনা!
ক্রমশঃ


No comments:

Post a Comment