প্রকাশ দা শ্রী শ্রী ঠাকুরের একটি দিব্য বাণী আছে যা আপনি কখনও চোখ বোলাননি মনে হয়। আপনি দাড়ি রেখে বেশ ভদ্র গোছের হ য়ে গেছেন ম নে হ য়। কিন্তু ভাষা আপনার খুব সুন্দর; পুরুষ্কার পাওয়ার যোগ্য আপনি। পাশে যদি আমি বা আমরা থাকতাম তাহ লে সম্মানি মালা পড়িয়ে দিতাম। ঠাকুরের বাণীটি হল "কাউকে যদি বলিস কিছু সংশোধনের তরে গোপনে তা বুঝিয়ে বলিস সমবেদনা ভরে।" আপনারা যারা বড়দা,অশোকদা,বাবাইদা ও অবিনদা শিষ্য তারা আবার ঠাকুরের বাণীর দিকে খেয়াল ক রে না তাই বল্লাম ভালো থাকবেন। জয়গুরু।----রাজু শিলক রাজু।
রাজু শিলক রাজু ,
আমার সঞ্জয় কান্তিদের উদ্দেশ্যে লেখা আমার আগের পোষ্টে আপনার কমেন্ট পড়লাম আর সেই কমেন্ট এখানে উপরে তুলে দিলাম সকলের অবগতির জন্য; সঙ্গে আপনাকে আমার খোলা চিঠি পাঠালাম।
আপনি ঠিকই বলেছেন কথাটা, তবে একটু বেঠিক আছে তা' হ'ল ঠাকুরের একটা নয় হাজার হাজার বাণী আছে যা আমার চোখে পড়েনি এবং আরও পরিস্কার ক'রে বললে যেটা বলতে হয় তা হ'ল আপনারও চোখে পড়েনি আর যদি তাঁর বাণীর মধ্যে কোনও কোনও বাণী আপনার চোখে পড়েও থাকে সেই বাণী আপনার মর্মে পৌছোয়নি। চোখে পড়লে কিম্বা মর্মে পৌছোলে তার বহির্প্রকাশ হ'তো আপনার জীবনে; যা আপনার এই কমেন্টের কোথাও সেই মর্মে পৌঁছনোর সামান্যটুকু আলো ফেলেনি। আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমার ঐ সঞ্জয় কান্তিদেদাকে লেখা চিঠিটা পোষ্ট করেছিলাম সেই উদ্দেশ্যটা আমি আমার করা পোষ্টের উত্তরে গগনদা যে কমেন্ট করেছিলেন সেই কমেন্টের উত্তরে লিখেছিলাম। আমার সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। আপনি সঞ্জয় কান্তিদার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক আলোচনার টেবিলে এসেছেন। আর আলোচনার টেবিলে এসেই প্রমাণ ক'রে দিয়েছেন আপনি কতটা অকপট ঠাকুর প্রেমিক!!!!!!!!!!
রাজু শিলক রাজু, আপনি আলোচনার টেবিলে এসে কি প্রমাণ করলেন? আপনি ঠাকুরের বাণী তুলে বললেন যদি কাউকে সংশোধন করতে হয় তাহ'লে ঠাকুর বলেছেন তা' গোপনে বুঝিয়ে বলতে আর সমবেদনা ভরে বলতে। আপনি নিজে কি করলেন? কথায় আছে, 'আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শেখায়।' আপনি নিজেই প্রমাণ করলেন আপনার নিজের চরিত্র বা জীবন কতটা আচরণশীল আর কতটাই বা 'মুখে মারিতং জগত'!!!!!!!!! আপনি লিখেছেন, ঠাকুরের একটা দিব্য বাণী আছে, যে বাণীটাতে আমি চোখ বোলাইনি; কিন্তু বাণীটা উল্লেখ ক'রে আপনি প্রমাণ করলেন আপনি বাণীটার উপরে বেশ ভালোমতই চোখ বুলিয়েছেন!!!!!! চোখ বুলানোর নমুনাটা কিরকম? তা' রাজু শিলকদাদা 'দিব্য বাণী'র দিব্য বলতে কি বুঝায়? নিশ্চয় জানেন? নাকি লেখার হয় লেখেন? কমেন্ট পড়েতো তা মনে হয়না মানে বুঝে লেখেন। কারণ সহজ কথায় দিব্য মানে যদি সুন্দর, স্বর্গীয় বোঝায় তাহ'লে আপনার কমেন্টের মধ্যে তো তা' ফুটে উঠলো না!!!!!!! ঠাকুরের বাণী যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন সেই বাণীটা সত্যিই সুন্দর, মনোহর, স্বর্গীয় কিন্তু আপনার হাতে পড়ে সেই বাণীটার বলাৎকার হ'য়ে তার মর্যাদা হারালো না-কি? কিরকম মর্যাদা হারালো? পরবর্তীতে দেখুন হারানোর রকমটা।
রাজু শিলক রাজু, আপনি মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ্যে ঠাকুরের বাণীটাতে বলা 'গোপনীয়তা ও সমবেদনা ভরে বুঝিয়ে বলা' এই নির্দেশগুলি কি সুন্দর ভাবে Maintain করলেন; তাই না? বাহবাঃ কি সুন্দর আপনার গোপনীয়তা ও কি সুন্দর আপনার সমবেদনা নিয়ে বুঝিয়ে বলা!!!!! হ্যাটস অফ আপনাকে। আপনি কি বললেন প্রকাশ্যে? প্রকাশ্যে আমার দাড়ি রাখা চেহারা নিয়ে, ভদ্র হওয়া নিয়ে কি সুন্দর টিপ্পনী কাটলেন!!!!! কি সুন্দর আপনার জীবনে, আপনার কথায় ঠাকুরের জীবনের প্রতিফলন!!!! তাই না? আমিও কিন্তু আপনার চেহারা নিয়ে, আপনার মুখশ্রী নিয়ে 'ক্যাপশান' ফিরিয়ে দিতে পারতাম আর সে ক্ষমতা আমার আছে কিন্তু ঠাকুরের শিক্ষা আমাকে তা' করতে বাধা দিয়েছে। আপনি লিখেছেন আমার লেখার ভাষা আপনার কাছে এত সুন্দর পুরস্কার যোগ্য মনে হয়েছে যে আপনি বা আপনারা পাশে থাকলে সম্মানী মালা পড়িয়ে দিতেন। কে কাকে সম্মানী মালা পড়ায় রাজু শিলকদাদা? আপনি কার হ'য়ে কলম ধরেছেন? সঞ্জয় কান্তি দে-র হ'য়ে? সঞ্জয় কান্তিদার যে লেখার উপর আমি আমার পোষ্ট করা লেখাটা লিখেছিলাম সঞ্জয়দার সেই লেখাটা পড়েছিলেন? জানি না পড়েছিলেন কিনা। কিন্তু আপনার এই মন্তব্য পড়ে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আপনিও সঞ্জয়দার গোত্রের। তাই সঞ্জয় কান্তিদে দাদার ঠাকুর পরিবার বিরোধী জঘন্য, ঘৃণ্য লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে আর আমার লেখাটায় আপনার গাত্রদাহ হয়েছে এবং হচ্ছে। কারণ আপনিও ঠাকুর পরিবার বিরোধী শয়তানের সহচর। আর তাই আমার চেহারা নিয়ে কটুক্তি করতে আপনার রুচিতে বাধে না, আমাকে শয়তানি কাঁটার মালা পরাতে পারলে আনন্দে লম্ফ দিয়ে ঝম্প মারতেন। কিন্তু ঝম্প মেরে কোথায় গিয়ে পড়তেন তা' কিন্তু আপনি বা আপনারা জানেন না। ঠাকুরের কথা ভাঙিয়ে মুখে মারিতং জগত দর্শনে জীবন চালানোর জন্য মানুষকে ঠকানোর পেশাটা ভালোই রপ্ত করেছেন। ঠাকুর ভালোবাসি কিন্তু ঠাকুরের আত্মজদের ভালোবাসি না, ঠাকুর মানি আর ঠাকুরের আত্মজদের মানি না, ঠাকুরের কথা মানি কিন্তু ঠাকুরের কথা অনুসরণ ক'রে চলাকে মানি না; ঠাকুরকে শ্রদ্ধা করি, ভক্তি করি কিন্তু তাঁর প্রিয়পরম আত্মজদের শ্রদ্ধা করি না, ভক্তি করি না সেই মানুষের মুখে আবার ঠাকুরের কথা!!!??? এতটাই নিজেদের চালাক, বুদ্ধিমান ভাবেন যে আপনারা ছাড়া বাকী সব কোটি কোটি মূল কেন্দ্রের অনুগামী চারঅক্ষর, তারা গান করে (Do)? ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে, ঠাকুরের প্রথম সন্তান পরমপ্রিয় শ্রীশ্রী বড়দা এবং ঠাকুর পরিবারের বাকী সদস্যদের সম্পর্কে যে বা যারা কটূক্তি, নোংরা ভাষা প্রয়োগ করে এবং করতে যাদের বিবেকে বাধে না, জিভ কাঁপে না তারা ঠাকুরের শিষ্য!!!!!???? তারা ঠাকুরের কৃষ্টিজাত সন্তান!!!!???? তারা ঠাকুরের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে!!!??? তারা ঠাকুরের স্বপ্ন পূরণের কারিগর!!!??? মনে পড়ে গেল বাংলাদেশের বিখ্যাত কুট্টিদের একটা চুটকি, "........আস্তে কন দাদা, ঘোড়ায় শুনলে হাসবো।" বাংলাদেশের মানুষ মাত্রই জানে কুট্টিদের কথা, এই কথা। তাই আপনাদের অর্থাৎ আপনাদের মত ঠাকুর পরিবার বিরোধী ঠাকুরের কপট ভন্ড শয়তানের শয়তানি রক্ত বহনকারী শক্ত ভক্তদের কথায় মানুষ আর হাসেও না, কাঁদেও না, ঘৃণাও করে না। আপনাদের নিয়ে ঠাকুরের কোটি কোটি শিষ্য আলোচনা তো দূরের কথা ফিরেও তাকায় না আপনাদের দিকে; তা' আপনারা যতই কাঁসর ঘন্টা ঢাক ঢোল পিটান না কেন। তাঁর কাজ তিনি নিজে 'সৎসঙ্গ দেওঘর' মূল কেন্দ্রে অবস্থিত তাঁর পরমপ্রিয় আত্মজদের মধ্যে দিয়ে দুর্দমনীয় বেগে দুর্জ্ঞেয় শক্তিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বিশ্বব্যাপী। আচার্যদেব শ্রীশ্রীঅশোকদাদা বললেন, "ছুটে চলেছে তাঁর রথ, যে উঠে পড়ার পড়ুক, নইলে পড়ে থাকবে পিছনে।" তাই রাজু শিলকদাদা, আপনাদের কাজে, কথায় আর মানুষ হাসে না এইজন্যই আপনাদের ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা আর ইষ্টস্বার্থরক্ষার শয়তানি ও ভন্ডামিপূর্ণ কাজ দেখে আর কথা শুনে কুট্টি আপনাদের মান-সম্মান রক্ষার্থেই বলেছেন, " আস্তে কন কর্তা, আপনাদের কথা শুনলে ঘোড়ায় হাসবো।' আর ঘোড়াদের হাসি শুনেছেন? চলে যান কুট্টিদের আস্তানায়; তারা আপনাকে, আপনাদের নিয়ে যাবে ঘোড়াদের ঘোড়াশালে আর শুনিয়ে দেবে ঘোড়াদের হিহিহি হাসি।
রাজুদাদা, আপনি আপনার কমেন্টের শেষের দিকে কি লিখেছেন? আপনি লিখেছেন, "আপনারা যারা বড়দা, অশোকদা, বাবাইদা ও অবিনদা শিষ্য তারা আবার ঠাকুরের বাণীর দিকে খেয়াল ক'রে না"। এই হচ্ছে আপনার জ্ঞান, এই আপনার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা!!!!!!!! আপনার ঠাকুরের প্রতি এত প্রখর শ্রদ্ধা যে আপনি পূজনীয়দের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ব্যর্থ ও অক্ষম। কি অশ্রদ্ধা ভরে আপনি লিখে দিতে পারলেন 'বড়দা, অশোকদা........ইত্যাদি."!!!!!!! আমরা কি লিখি? আমরা নামের আগে লিখি 'শ্রীশ্রী'। আবার আপনার ঠাকুর সম্পর্কে পান্ডিত্য কি রকম দেখুন। আপনি লিখলেন আমরা সবাই নাকি বড়দা,অশোকদা,বাবাইদা ও অবিনদার শিষ্য!!!!!!!!!! কি লিখলেন এটা? কে বললো এ কথা আপনাকে যে আমরা ঠাকুরের আত্মজদের শিষ্য? ঠাকুরের আত্মজদের ভালোবাসলে, শ্রদ্ধা ও সম্মান করলে তাদের শিষ্য হ'য়ে যায় এ নোংরা শিক্ষা আপনার কোন হিতাকাঙ্ক্ষী আপনাকে দিল? আপনি যদি আপনার ছেলের বাপ হ'য়ে থাকেন আর আপনার ছেলে যদি তার কাকা জ্যাঠাদের অর্থাৎ আপনার ভাই দাদাদের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসে তাহ'লে আপনার ভাই দাদা কি আপনার ছেলের বাপ হ'য়ে যায় নাকি আপনার ছেলে আপনার ভাই দাদার ছেলে হ'য়ে যায়? কোনটা? বাপ বাপই থাকে আর কাকা জ্যাঠা তাঁদের নিজ নিজ অবস্থানেই সসম্মানে বিরাজ করেন; এটা মনে রাখবেন। এতটা নীচে নিজেকে নাবিয়ে নিয়েছেন যে কথাবার্তার কোনও ব্যালান্স নেই? ব্যালান্স থাকে না কারণ অহরহ বৃত্তি-প্রবৃত্তির কামড়ে অস্থির আপনি বা আপনারা। মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল, এমন অবস্থা আপনাদের। রিপুর তাড়নায় দিক্বিদিক জ্ঞানশূন্য হ'য়ে এইসব অসম্মানজনক কমেন্ট করবেন আবার ঠাকুরের মূল কেন্দ্রের অনুগামীদের কাছে ভালোবাসা ও সম্মান পেতে চাইবেন? আপনার ঠাকুরের বাণীর দিকে এত খেয়াল যে নিজেই বেখেয়াল হ'য়ে পড়েছেন!!!!! সঞ্জয় কান্তিদের লেখাটা আবার ভালো ক'রে পড়ুন আর সঞ্জয়দার লেখার উত্তরে সঞ্জয়দাকে লেখা আমি যে খোলা চিঠিটা লিখেছিলাম সেটা আবার পড়ুন ভালো করে। তারপর বিবেকের দ্বারস্থ হ'য়ে কলম ধরুন।
রাজু শিলকদাদা, আপনি লিখেছেন আপনি ও আপনারা আমায় সম্মানী মালা দিতেন। প্রথম কথা আপনি বা আপনারা আমায় মালা দেবেন কি করে? মালা দিতে হ'লে তো আমাদের মাঝে আসতে হবে; তা নাহ'লে দেবেন কি করে? তো আপনি বা আপনারা আসবেন কি করে? আপনাদের তো ধর্মরাজ্যে ঢোকবার অধিকারই জন্মায়নি। কে দেবে অনুমতি? ধর্মরাজ্যের মাঝে অধর্মরাজ্যের লোকেদের তো প্রবেশাধিকারই নেই। তা' আপনার বা আপনাদের আমাকে মালা দেবার স্বপ্ন পূরণ তো এ জন্মে হবে না। স্বপ্ন পূরণ করতে হ'লে কঠিন প্রায়শ্চিত্ত ক'রে শুদ্ধ হ'য়ে নতুন ভাবে দ্বিজত্ব লাভ ক'রে তারপর আমাদের মাঝে এসে আমাকে সম্মানী মালা পরাতে হবে। আপনাদের তো নরকেও ঠাই হবে না!!!!!!! ঠাকুরের কথা অনুযায়ী 'কাল ও কর্মের জালে তো ভুগতে হচ্ছে ও হবে আপনাদের দাদা'!!!!!! এ তো আমার কথা নয়। স্বয়ং ঠাকুরের কথা। আচ্ছা বলুন তো, আপনাকে তো চিনলাম তা' আপনারা কারা? কেন আপনাদের নরকেও ঠাই হবে না? কেন কাল ও কর্মের জালে ভুগতে হবে? ইষ্টস্বার্থধ্বংসকারী সেই কেষ্ট দাসের বংশধর বা অনুগামী বা সেই ঠাকুর জীবিত থাকতে ঠাকুরকে ত্যাগ ক'রে ঠাকুরের ফটো মাথায় ক'রে 'বন্দে পুরুষোত্তমম' ধ্বনি তুলে বেরিয়ে গিয়ে ঠাকুর প্রেমী সেজেছিল যারা আপনারা তাদের, সেই ট্রাডিশানের ধারক ও বাহক? আপনি, আপনারা সেই তাদের বংশধর, অনুগামী যারা ঠাকুরের আত্মজ, প্রথম সন্তান, ঠাকুরের প্রাণ, ঠাকুরের পরম প্রিয় ভক্ত, ঠাকুরের কুকুর, ঠাকুরের স্বপ্ন, ঠাকুরের বাণীর জীবন্ত রূপ, ঠাকুরের মিশনকে, ঠাকুরের আগামী পৃথিবী রচনার Blue Print- বাস্তবায়নের ভিত্তি রচনার এক ও একমাত্র রূপকারকে, এ যুগের ঠাকুরের হনূমানকে, শ্রীশ্রীবড়দাকে তাঁর জীবদ্দশায় পদে পদে চরম অপমান, নিন্দা, কুৎসা করেছিল? যারা দিয়েছিল সীমাহীন লাঞ্চনা, যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা-বেদনা আপনারা তাদের প্রবক্তা? আপনারা সেই তাদের, যারা প্রতিদিন মায়ের কাছে গান গাইতো, মন্ত্র জপতো "দে মা লণ্ডভণ্ড করে, লুটে পুটে খায়" তাদের, সেই ভন্ড কপট আত্মস্বার্থপ্রতিষ্ঠার প্রথমসারির কান্ডারিদের উত্তরসূরি? যারা সেই মাথায় ফটো নিয়ে 'বন্দে পুরুষোত্তমম' ধ্বনি তুলছেন আজও; যারা ঠাকুরের আত্মজদের অপমান, লাঞ্ছনা, কুৎসা, নিন্দা ক'রে মাথায় ফটো নিয়ে মিছিল ক'রে আজও প্রমাণ করতে মরীয়া যে তারা ঠাকুরের পরম ভক্ত!!?? আপনি বা আপনারা তারা? যদি তাই হয় তাহ'লে অপেক্ষা করুন সেই দিনের, "তোর খেয়াতে মাঝিই যে নেই, শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর"!!!!!
রাজু শিলকদাদা আপনি আমাকে ভালো থাকার কথা লিখেছেন এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ঠাকুরের দয়ায় ও শ্রীশ্রীবড়দা, আচার্যদেব শ্রীশ্রীঅশোকদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদার আশীর্বাদে ভালো আছি, খুব ভালো আছি, আনন্দে আছি। কিন্তু দাদা ঠাকুরের কথা যে খোঁচা দেয় এই ভালো থাকার মাঝে। ঠাকুর বললেন, "পড়শীরা তোর নিপাত যাবে তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি, যা ছুটে যা তাদের বাঁচা তারাই যে তোর বাঁচার পুঁজি"। আপনার বা আপনাদের নির্মম ভবিষ্যৎ দেখে তো নিজে আর একা ভালো থাকতে পারি না দাদা। তাহ'লে তো ঠাকুরের কথা অমান্য করা হয়। অন্তত অন্যকে ভালো থাকার বা ভালো রাখার চেষ্টা তো করতে পারি। এবার আমার সেই চেষ্টা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্যও হ'তে পারে কিম্বা বর্জনযোগ্যও হ'তে পারে। সেটা তার বা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বা ব্যাপার। আসুন নরকের পথ ত্যাগ ক’রে স্বর্গের পথে যাত্রা করি আর শ্মশানে যাবার যে রথে চড়ে বসেছেন সেই রথ থেকে নেবে আসুন আর উঠে পড়ুন অমর ধামে যাবার রথে। পরিবার পরিজন নিয়ে সত্যিকারের ভালো থাকবেন; আসুন এখনও সময় আছে--------
“দ্রোহ-লোভের বাঁধন ছিঁড়ে ইষ্টতপে ঝাঁপিয়ে পড়
নইলে গতি কুম্ভীপাকেঃ শেষের সেদিন ভয়ংকর।“
আমি এই ভালো থাকার কথাটা বললাম এইজন্য যে, আপনি আমাকে লিখলেন, "আপনারা যারা বড়দা, অশোকদা, বাবাইদা ও অবিনদা শিষ্য তারা আবার ঠাকুরের বাণীর দিকে খেয়াল ক রে না তাই বল্লাম ভালো থাকবেন।" আপনার এই লেখার মধ্যে পরিস্কারভাবে ভেসে উঠেছে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীঅশোকদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদার প্রতি তীব্র বিদ্বেষ, রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা.........ইত্যাদি। আপনি আপনার লেখার মধ্যে বলতে চেয়েছেন বা বোঝাতে চেয়েছেন যে আমরা ঠাকুরের বাণীর দিকে খেয়াল রাখি না, আমরা খেয়াল রাখি ঠাকুরের আত্মজদের প্রতি। এই কথায় প্রমাণ করে আপনি ঠাকুরের আত্মজদের মুখে ঘুরিয়ে জুতো মারলেন, থুথু ছেটালেন। ঠাকুরের একান্ত প্রিয় পরম ভক্ত শ্রীশ্রীবড়দার বুকে সরাসরি লাথি মারলেন আর ড্যাম কেয়ার মনোভাব নিয়ে করলেন তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা, অবহেলা, অশ্রদ্ধা ও অপমান ঠাকুরের পরিকল্পিতভাবে রেখে যাওয়া আর দশ হাজার বছর না আসার কান্ডারিদের প্রতি!!!!!! ধিক! আপনার, আপনাদের এই মানব জনম আর ধিক্কার আপনাদের এই জন্মে ঠাকুরকে পাওয়ার ভাগ্যকে! আপনি বা আপনারা এতই ঠাকুরের প্রতি খেয়াল রেখে রেখে এতবড় বিদ্বান পণ্ডিত হয়ে গেছেন, এতবড় ঠাকুর প্রেমী, ঠাকুর ভক্ত, যোগী, ধ্যানী, গোঁসাই-গোবিন্দ, ঋষি, মহর্ষি, সাধু, মহাপুরুষ হ'য়ে গেছেন, এতবড় দিব্যদৃষ্টি, দূরদৃষ্টির অধিকারী হ'য়ে গেছেন যে আপনারা ঠাকুরের আত্মজ, ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধাচরণ করতে, কুৎসা করতে, অপমান, নিন্দা, কটূক্তি করতে আপনাদের এতটুকু বুক কাঁপে না, মনে অনুশোচনা হয় না এত বড়ো বীরপুরুষ আপনি বা আপনারা!!!!!!!!!!!!!!!!! যে জিভ দিয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের কুৎসা করেন আপনাদের সেই জিভে কামড় পড়ে না ঠাকুরের বুকে ব্যথা দেওয়ার সময়!!!!!!! ঠাকুরকে এতই ভালোবাসেন আপনি ও আপনারা যে কিসে ঠাকুরের সোয়াস্তি, কিসে আনন্দ, কিসে দুঃখ, কিসে ব্যথা তা বোঝেন না!? এতটাই বৃত্তি-প্রবৃত্তির অধীন আপনারা? বন্ধু আমার, দাদা আমার একবার ঝাঁক মেরে দেখুন ভিতরটা দেখবেন শ্মশানের নীরবতা নিয়ে খাঁ খাঁ করছে বুকের ভিতরটা। আর সেই শ্মশানে হু হু ক’রে বয়ে যাচ্ছে হতাশা, ব্যর্থতা আর পরাজয়ের উষ্ণ বাতাস!!!!!!!
একটা প্রবাদ বাক্য মনে করিয়ে দিয়ে লেখা শেষ করলাম, "কখনো না হওয়ার চেয়ে দেরীতে হওয়াও ভালো।" দেরী হলেও আসুন মূল স্রোতে এবং সৎ ও সত্য পথে আর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে তাঁর নির্দেশিত পথে চালিত ক'রে ক'রে তুলুন ধন্য আর প্রকৃত উপভোগ করুন জীবনকে আচার্য্য সান্নিধ্যে এসে। এসে দেখুন কি অপূর্ব সুন্দর মিষ্টি মানুষ উনারা!!! সঙ্গ করুন, চাক্ষুস করুন, উপলব্ধি করুন ঠাকুর তাঁর রেত শরীর নিয়ে কি অপূর্ব লীলা করে চলেছেন তাঁর উত্তরসূরিদের মধ্যে দিয়ে!!!!! এ দৃশ্য যে না দেখেছে তাকে বোঝানো সম্ভব নয়। এ বোঝে সেই, প্রাণ বোঝে যার। জয়গুরু।
( লেখা ১১ই জুলাই ২০১৭)