"হিন্দমোটর সৎসঙ্গ
কেন্দ্রের নব আনন্দে পথ চলা
ও
ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা"???-----------( ২ )
ও
ইষ্টপ্রাণতা, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষা"???-----------( ২ )
সুব্রত সরকারদার ১৫।০৫।২০১৭
পোষ্টের লেখা অনুযায়ী মন্দিরের তিন তলার নির্মাণ কাজ শেষে আনন্দের রেশকে continue রাখতে
বাবাইদাদা নাকি বলেছিলেন মন্দিরের দূরবর্তী অঞ্চলে গিয়ে যাজন কাজে লিপ্ত থেকে সবাইকে
মন্দিরমুখী ক’রে তুলতে। তাই সুব্রতদারা বাবাইদাদার নির্দেশকে শিরোধার্য ক’রে মন্দিরের
দূরবর্তী অঞ্চল ভদ্রকালী মহিলা ক্যাম্প থেকে শুরু করলেন তাদের যাত্রা যে অঞ্চলে বাবাইদাদার
আশীর্বাদে গত ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে জন্ম হয়েছে ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের। আমার
প্রশ্ন হিন্দমোটরের গুরুভাইবোনেদের কাছে, বাবাইদাদা কি হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্রকে
বলেছিলেন আপনারা ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্র অঞ্চলে গিয়ে নব আনন্দে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার কোদাল
চালান? ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রকে ভ্রূণ অবস্থায় ধ্বংস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাবাইদাদা?
ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের সংহতিতে ভাঙন ধরানোর কথা বলেছিলেন বাবাইদাদা? আচ্ছা মন্দিরের
দূরবর্তী অঞ্চলের গুরুভাই, গুরুবোন ও সাধারণ মানুষদের মন্দিরমুখী ক’রে তুলবার জন্য
সুব্রতদাদের এই চিন্তা তিন তলার মন্দির উদ্বোধনের আগে ছিল না? না-কি মাথায় আসেনি? আগে
কেন আসেনি? সুব্রতদা ও সুব্রতদার নব আনন্দে পথ চলার যে কয়েকজন নতুন সাথী যারা মন্দিরের
সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে তারা সবাই তো যেখান থেকে শুরু করেছে নব আনন্দের যাত্রা সেই
ভদ্রকালীর লোক তা’ এতদিন ১৯মাস ধ'রে বাবাইদাদার আশীর্বাদে ভদ্রকালী অঞ্চলে ভদ্রকালী
সৎসঙ্গ কেন্দ্র দ্বারা ভদ্রকালীর বিশাল অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পাবলিক প্লেসে বিভিন্ন ক্লাব,
প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং-এ বিল্ডিং-এ যে বড় বড় সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৯মাস ধ'রে যা
প্রতিমাসে মিনি উৎসবে পরিণত হয়েছিল এমন আর কোথাও কখনো পাবলিক প্লেসে হয়েছে? এমন নজির
আছে কোথাও? এই ১৯ মাসের আগে কোথায় ছিলেন সুব্রতবাবু আর তার দলবল অর্থাৎ এককথায় ঋত্বিক
রতন সরকারদার নেতৃত্বে হিন্দমোটর সৎসঙ্গ কেন্দ্র? এমনকি ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধ’রে কেন
সুব্রতাদের বা হিন্দমোটর মন্দিরের কর্তা ব্যক্তিদের মাথায় আসেনি যে মন্দির দূরবর্তী
অঞ্চলের মানুষকে অর্থাৎ ভদ্রকালীর গুরুভাইবোনেদের মন্দির মুখী ক’রে তুলতে হবে? আর দুরবর্তী
অঞ্চল বলতে কি বাবাইদাদা ভদ্রকালীর নাম মুখে এনেছিলেন? তিনি বলেছিলেন যে, ভদ্রকালীতে
সৎসঙ্গ কেন্দ্র থাকা সত্বেও ভদ্রকালী থেকেই শুরু হ'ক নব আনন্দের যাত্রা? যদি না ব'লে
থাকেন তাহ’লে বাবাইদাদার নামে কেন এই মিথ্যা প্রচার সুব্রতবাবুর? ভদ্রকালীতে সৎসঙ্গ
কেন্দ্র হওয়া সত্বেও ভদ্রকালী কেন্দ্র থেকে কেন অন্য আর একটা কেন্দ্রের নব আনন্দে জয়যাত্রা?
কেন এই সংহতি ভাঙার পদক্ষেপ? কেন এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র? একটা কেন্দ্র আর একটা কেন্দ্রে
গিয়ে ইষ্টপ্রতিষ্ঠার নামে দাদাগিরি ক'রে নাকি? হুগলী জেলার কোথাও কিম্বা ভারতবর্ষ তথা
পৃথিবীর সৎসঙ্গ জগতের কোথাও একটা কেন্দ্র আর একটা কেন্দ্রের জমিতে যাজনের নামে গাজনের
কোদাল চালিয়েছে বা চালাচ্ছে? এবং তাও বিনা আলোচনা, বিনা অনুমতিতে? রহস্যটা কি এবং কোথায়?
হঠাৎ অন্য কেন্দ্রের প্ল্যান-পোগ্রাম বা পরিকল্পনাকে নকল করা বা চুরি করা কেন? ভালো
জিনিস নেওয়া যেতেই পারে কিন্তু স্বীকার করতে লজ্জা কোথায়? এ তো চৌর্য মনোবৃত্তি!! যার
বা যাদের দেখানো পথে চলবো তার বা তাদের বুকেই লাথি মারবো !? এ তো অকৃতজ্ঞ আর বেইমানদের
কাজ। ঠাকুর এদের সম্পর্কে কি বলেছেন? ঠাকুর বলেছেন, "অকৃতজ্ঞ আর বেইমানকে, ঝেটিয়ে
তাড়াও এক ধমকে"।
আচ্ছা সুব্রতদাদের
সবাইকে জিজ্ঞেস করছি মন্দির নিকটবর্তী সব গুরুভাই-গুরুবোনেরা সবাই কি মন্দিরমুখী? কেন
মন্দিরমুখী নয়? কেন হিন্দমোটরের ঋত্বিক রতন সরকারদা কে দুঃখ ক’রে বলতে হয় এতবড় মন্দিরে
সকালে ও বিকালে প্রার্থনায় তিন চার জনের বেশী আসে না? কেন বলতে হয় পুরানো সৎসঙ্গীরা
কেউ আজ আর মন্দিরে আসে না? কেন বলতে হয় সাপ্তাহিক মন্দিরের সৎসঙ্গে লোক হয় না? কেন
পুরোনো সৎসঙ্গীরা আজ আর আসে না? বাবাইদাদা কি জানেন সে সব কথা? বাবাইদাদা কি জানেন
মন্দিরের আভ্যন্তরীণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা? সুব্রতবাবুরা কি বলেন? মন্দিরের নিকটবর্তী
গুরুভাই-বোনেরা যেখানে আসে না মন্দিরে সেখানে দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষকে আনার কথা বাবাইদাদা
আপনাদের বললেন? ঘরকে রক্ষা না ক’রে, ঘরকে সবদিক দিয়ে সুরক্ষিত না রেখে, ঘরকে আদর্শ
হিসাবে মানুষের কাছে তুলে না ধ’রে বাবাইদাদা বলেছিলেন বিশ্ববিজয়ে বেরিয়ে পড়তে? বাবাইদাদা
বলেছিলেন মানুষকে ইষ্টমুখী না ক’রে মন্দিরমুখী ক’রে তুলতে? হিন্দমোটর এলাকায় ইষ্টপ্রতিষ্ঠা
হ’য়ে গেছে? হিন্দমোটরের প্রতিটি ঘরে ঘরে ঠাকুর, ঠাকুরের কথা পৌছে গেছে? মন্দির নির্মাণের
কাজ শেষ হ’য়ে গেছে মানেই ইষ্টপ্রতিষ্ঠার কাজ হিন্দমোটরের বুকে শেষ হ’য়ে গেছে , এই কথা
বাবাইদাদা বলেছেন? যেহেতু মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হ'য়ে গেছে তাই বাবাইদাদা বলেছেন
এবার বেরিয়ে পড়ুন মন্দির দূরবর্তী স্থানে আনন্দের রেশকে continue রাখতে? বিশাল হিন্দমোটর
অঞ্চলে আনন্দের রেশকে আর continue রাখা যাচ্ছে না? কেনও রাখা যাচ্ছে না? তাহ’লে এটা
তো হিন্দমোটর অঞ্চলের গুরুভাইবোনেদের পক্ষে দুর্ভাগ্য!!!!!!! দুর্ভাগ্য হিন্দমোটর অঞ্চলের
তামাম অধিবাসীদের পক্ষে!!!!! তাহ’লে কি সত্যি সত্যিই অন্যান্য অনেক মন্দিরের মত হিন্দমোটরের
মন্দিরেও দুর্দিন ঘনিয়ে এলো? কেন এলো? কার জন্য এলো? কে এর জন্য দায়ী? তাহ’লে এটা প্রমাণ
হ’তে চলেছে যে “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে“?
এ্টাই কি ইষ্টপ্রাণতা,
ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার নমুনা!?
No comments:
Post a Comment