মহাসিন্ধুর ওপার থেকে ভেসে আসছে দয়ালের হাঁক!
তফাৎ যাও! তফাৎ যাও! যাও তফাৎ!
ভন্ড আর কপট যত আমার ভক্তকুল
হ'য়ে যাও, যাও হ'য়ে সাবধান!
নয়তো যাক নিপাত! নিপাত যাক!
আমাকে নিয়ে, আমাকে ভাঙিয়ে
চিরদিন পার পাবে ভেবেছো?
যতই মনে করো না কেন তুমি
দানধ্যান হোমযজ্ঞ পুজোপাঠে
করবে তুমি নিজেকে শুদ্ধ, পবিত্র
কর্মফল ভুগতে হবেই তোমায়!
শেষের সেদিন করবে তোমায় জব্দ।
যদি মনে করো যা তুমি করছো আর ক'রে রেখেছো
তা থেকে পাবে তুমি মুক্তি,
যাকে দিয়েছো কষ্ট যন্ত্রণা অবিরাম
তার দীর্ঘশ্বাস থেকে পাবে তুমি পরিত্রাণ!?
মনে রেখো সে গুড়ে বালি।
আর 'ওং গণেশায় নমঃ, নমঃ শিবায় নমঃ,
ব্রহ্মন্যদেবায় নমঃ ইত্যাদি মন্ত্রোচ্চারণে
উড়িয়ে খই চড়ে মই পাবে তুমি বিন্দাস আরাম!?
বৃথা সে স্বপ্ন! বৃথা হবে তা! হবে হারাম!
সাধারণ দুর্বল ভাঙাচোরা ভক্তকুল
হারিয়েছে বিশ্বাস, হয়েছে হতাশ তোমাদেরই
ভন্ডামি কপটতার প্রকোপে!
তাদের ভেঙেছে আশা ভরসার কুল,
হয়েছে মন প্রতিকুল
তোমাদেরই চোরুয়া ভক্তির তাপে!
আর আজ 'জয়গুরু' হিক্কারে বিন্দাস মুক্তি পাবে!?
জপতপ পুজোর নামে অনুষ্ঠানের মহরায় সুখ খুঁজে খাবে?
মহাভারত কি তাই বলে?
এখনো সময় আছে স্বভাব পাল্টাও, চরিত্র পাল্টাও
বিবেকের আয়নায় দেখো তব মুখের কদর্যরূপ!
অনুশোচনার আগুনে জ্বলেপুড়ে খাক হও,
জীবন্ত ঈশ্বরের চরণতলে দাও, দাও, নিজেকে সঁপে দাও।
ভেঙে চূড়মার ক'রে দাও যত বৃত্তি-প্রবৃত্তির আগল
আর নেয়ে ওঠো তাঁর চলনামৃতের বারিধায়ায়
শুদ্ধ হও, পবিত্র হও, হও নব জীবনের আধার
জীবনের যত পাপতাপ, ভুলভ্রান্তি ধুয়ে যাক, মুছে যাক
জমে থাকা মনের ঘরের যত ময়লা তাঁর স্পর্শে হ'ক সাবাড়।
No comments:
Post a Comment