সমালোচকের সমালোচনার উত্তরে জানতে ইচ্ছা করে সরকারী আর বেসরকারিকরণে তফাৎ কি?
সরকারী কোনো প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারী কোনো প্রতিষ্ঠান যখন খুব ভালো run
করে বা ডুবে যায় তখন তার পিছনের আসল রহস্য কি? সরকারীকরণ হলেই ভালো আর
বেসরকারিকরণ হলে সব খারাপ আজও এই মানসিকতার
মধ্যে ভুলটা কোথায় ধরা পড়ল না? সরকারী ব্যবস্থায় নিরাপদ আর বেসরকারী ব্যবস্থায় বিপদ এই মান্ধাতার আমলের অমূলক ধারণা এমনই গেঁথে
বসেছে সরল, সাধাসিধে, গৃহকাতর, দুর্বল, অজ্ঞ
মানুষের মনে যার সুযোগ নিয়ে গেছে সমাজতন্ত্রবাদের ধ্বজাধারী কায়েমী স্বার্থান্বেষী ধুরন্ধর মানুষ
চিরকাল!
তিয়াসা, যতদিন পর্যন্ত না বৃত্তি-প্রবৃত্তির ঊর্ধ্বে অবস্থানকারী উন্নত চরিত্রের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ সরকারী-বেসরকারী শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিংহাসনে না বসবে ততদিন পর্যন্ত এই সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কথার ঝিকিমিকিতে, তাত্ত্বিক আমেজে চূড়ান্ত ভাঙাচোরা সাধারণ মানুষগুলিকে রসগোল্লার রসের মত ডুবিয়ে রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেই হোক আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই হোক গুটিকয়েক কায়েমী স্বার্থান্বেষী মানুষ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে!
সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনার মধ্যে উদ্দেশ্য হয়তো নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু বাস্তবকে, সত্যকে অস্বীকার করে নয়। প্রকৃতির বুকে নিয়ত যে সত্য অবস্থান ক’রে আছে তাকে কুঠারাঘাত ক’রে নয়।
তিয়াসা, যতদিন পর্যন্ত না বৃত্তি-প্রবৃত্তির ঊর্ধ্বে অবস্থানকারী উন্নত চরিত্রের যোগ্য ও দক্ষ মানুষ সরকারী-বেসরকারী শাসন ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সিংহাসনে না বসবে ততদিন পর্যন্ত এই সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কথার ঝিকিমিকিতে, তাত্ত্বিক আমেজে চূড়ান্ত ভাঙাচোরা সাধারণ মানুষগুলিকে রসগোল্লার রসের মত ডুবিয়ে রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেই হোক আর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই হোক গুটিকয়েক কায়েমী স্বার্থান্বেষী মানুষ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ও স্বাধীনতা ভোগ করবে!
সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ভাবনার মধ্যে উদ্দেশ্য হয়তো নিশ্চয়ই ভালো। কিন্তু বাস্তবকে, সত্যকে অস্বীকার করে নয়। প্রকৃতির বুকে নিয়ত যে সত্য অবস্থান ক’রে আছে তাকে কুঠারাঘাত ক’রে নয়।
এ-প্রসঙ্গে আবার মনে পড়ে গেল Present living Supreme Being Sri Sri Thakur Anukul Chandra-এর কথা। তিনি বললেন, “মানুষের বিবর্ধন জিনিসটা শুধু বাইরের ঐশ্বর্যের উপর নির্ভরশীল নয়। অন্তরের ঐশ্বর্যও একটা বড় কথা। ভিতর ও বাইরের এই বিবর্ধনের কোন ইতি নেই। তাই বলে চিরন্তন বিবর্ধনের কথা। ব্রাহ্মণত্ব অর্জনই সবার লক্ষ্য। ব্রাহ্মণ হ’ল সেই, যে প্রতিটি সত্তাকে নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মত মনে ক’রে সবারই উন্নতি ও আনন্দের জন্য বদ্ধ পরিকর হয়। আর্য-বর্ণাশ্রম প্রত্যেককে তার বৈশিষ্ঠ্য অনুযায়ী আদর্শ সেবার মাধ্যমে এই ব্রাহ্মণত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অন্তরৈশ্বর্যবিহীন বাহ্যিক ঐশ্বর্যকে সে যেমন মূল্য দেয় না, আবার বাহ্যিক ঐশ্বর্যবিহীন অন্তরৈশ্বর্যকেও সে সম্পুর্ণ বলে মনে করে না। ভিতর বাইরের co-ordination (সংগতি) না হ’লে বুঝতে হবে motor expression (কর্মপ্রবোধী অভিব্যক্তি)-এর খাঁকতি আছে”।
নরেন্দ্র মোদী আমার সমালোচকের কথামত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। যদি বিচক্ষণই হবেন তবে তাঁর প্রতি তিয়াসা তোমার ভরসা বা বিশ্বাস নেই কেন? তাঁর প্রতি এত বিরুপ কেন? বিরূপতা বা অকারণ বিরুপতা দিয়ে কি সমস্যার সমাধান হয়? না-কি কারো আস্থাভাজন হওয়া যায় বা মন জয় করা যায়? ৩৪বছর যারা পশ্চিমবঙ্গে শাসন করলেন তাঁরা বিচক্ষণ ছিলেন না? কিম্বা কেন্দ্রে কংগ্রেসি সরকার স্বাধীনতার পর থেকে বেশীরভাগ সময়টাই দেশটাকে শাসন ক’রে এলেন সেই কংগ্রেসি নেতৃবৃন্দ বিচক্ষণ ছিলেন না? একা নরেন্দ্র মোদীই বিচক্ষণ! সমালোচকের কথা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল যদি ক্ষুরধার বুদ্ধি দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে দেশের সমস্ত স্তরের মানুষের মন জয় করতে পারেন তাহ’লে বাকিরা কেন পারলেন না? দেশের বাকি নেতারা নরেন্দ্র মোদীর থেকে কোনও অংশে কম যান না-কি? নরেন্দ্র মোদীকে আটকাবার জন্য গোটা দেশের সমস্ত প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলো তো ময়দানে নতুন নতুন জনমোহিনী (চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক) স্লোগান নিয়ে নেবে পড়েছিল, তাহলে তারা কেন জনগনের মন জয় করতে পারলো না। জনগণের মন জয় করাতে কোনও বাধা বা নিষেধ ছিল নাকি? আমি যদি না পারি আর পরাজিত হ’ই তাহ’লে নিজের কোন ত্রুটির জন্য আমার এই হাল হ’ল তা’ অনুসন্ধান না ক’রে অন্যের উপর দোষ দেওয়াটা কি সচেতন, বুদ্ধিমান মানুষের বা যোগ্য ও দক্ষ নেতার কাজ? এই প্রসঙ্গে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের একটা
সাবধান বাণী
মনে পড়ে
গেল,
“নিজের
ত্রুটির ধার
না ধেরে
অন্যের ঘাড়ে
দোষ চাপায়,
অহং মত্ত এমন বেকুব ক্রমে ক্রমে নষ্ট পায়”
অহং মত্ত এমন বেকুব ক্রমে ক্রমে নষ্ট পায়”
আমার সমালোচক এও বললেন নরেন্দ্র মোদী
চা-ওয়ালাদের নিয়ে গরীব দরদীর নাটক করলেন। কিন্তু
একবার ভেবে দেখুনতো দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষনার পর কে বা কারা তাকে ‘চা-ওয়ালা
হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী’ বলে প্রথম কটাক্ষ করেছিল? কাউকে অপমান করা,
ছোট করা, গালি
দেওয়া, কুৎসা রটানো, বদনাম করাটা আজ ভারতীয় কৃষ্টি ও
সংস্কৃতির প্রধান স্তম্ভ! কোনো গণ্যমান্য
কেউ তাঁকে ‘চা-ওয়ালা’ ব’লে অপমান করতে পারেন সেই বেলায় কোনও
দোষ নেই আর অপমানিত ব্যক্তি প্রকাশ্যে
নিজের একসময়ের ‘চা-ওয়ালা’-র জীবনকে স্বীকার
ক’রে নিয়ে সেই জীবনকে স্মরণ ক’রে ‘চা-ওয়ালা’দের নিয়ে যদি মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য, নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলবার জন্য
চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন সেই বেলায় তা’ হ’য়ে গেল দোষের? বাঃ কি অপূর্ব সুস্থ মানসিকতা!
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment