আর বিবেকানন্দ, নেতাজী,
দেশবন্ধু কবে থেকে সমাজতন্ত্রীদের, সাম্যবাদীদের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত হ’ল
যে আর কেউ তাঁদের কথা বলতে পারবে না!? দেশবাসী কিন্তু
ভুলে যায়নি স্বাধীনতার দিনগুলিতে নেতাজী সম্পর্কে সাম্যবাদীদের, সমাজতন্ত্রীদের
উলঙ্গ মুল্যায়ন ও পক্ষপাতিত্ব! বিবেকানন্দ, নেতাজী,
দেশবন্ধুদের জন্য এই সব মানুষদের এত প্রেম দেখলে একটা কথায় মনে হয় ‘ডাল
মে কুছ কালা’!
দেশকে গড়ে তোলার জন্য, সমাজকে দিশা দেখাবার জন্য আমাদের বাইরের যোগীদের কাছে হাত পাততে হয়, দেশের যোগীদের কোন মুল্য সেখানে থাকে না এবং এটাই সত্য যে মুল্য থাকেওনি। এজন্যই বোধহয় প্রবাদগুলি এভাবেই তৈরী হয়, ‘গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না’। রবীন্দ্রনাথের ‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লভে’ এই দর্শন কিসের ওপর বা কোন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি ক’রে প্রতিষ্ঠিত? মার্ক্স, এঙ্গেলস, মাও সে তুং-দের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি ক’রে ভারত জগৎ সভায় ‘আবার’ শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে? রবীন্দ্রনাথের এই কথার মধ্যে একটা ‘আবার’ শব্দ আছে। তার মানে রবীন্দ্রনাথ সজ্ঞানে যে কথাটা বলতে চেয়েছেন সেটা হ’ল ভারত কোন এক সময় বিশ্বে সমস্ত দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসাবে বিবেচিত হ’ত। রবীন্দ্রনাথের কথা যদি সত্য হয় তাহ’লে এটা বুঝতে হবে কোনও একটা শ্রেষ্ঠ দর্শনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল সেই সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ ভারতবর্ষ! কিন্তু কি সেই দর্শন! রবীন্দ্রনাথ যে সময়ের কথা বলতে চেয়েছেন সেই সময় কোথায় ছিলেন এই সমস্ত মহান ব্যক্তিত্বরা বা এঁদের মহান দর্শন!? কোনো কারণে শ্রেষ্ঠ আসন থেকে ভারতের পদস্খলন হয়েছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ স্বপ্ন দেখতেন ভারত ‘আবার’ একদিন আগের মত তার হারানো গৌরব নিশ্চয়ই ফিরে পেয়ে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ট আসন লাভ করবে।
কিন্তু
কোন পথে? কোন পথে
আসবে মানব মুক্তি?
সেই পথ সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রবাদের মত অবাস্তব কাল্পনিক অসম্পুর্ণ মতবাদ বা অবৈজ্ঞানিক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে নয়। সেই পথ বা সেই দর্শন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক মতবাদ বা দর্শন আর্য কৃষ্টি, আর্য সংস্কৃতি, আর্য
সেই পথ সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রবাদের মত অবাস্তব কাল্পনিক অসম্পুর্ণ মতবাদ বা অবৈজ্ঞানিক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে নয়। সেই পথ বা সেই দর্শন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক মতবাদ বা দর্শন আর্য কৃষ্টি, আর্য সংস্কৃতি, আর্য
দর্শন বা আর্য
মতবাদ!
আর বর্তমান জীবন্ত
সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শে সমর্পিত প্রাণই তাঁর নির্দেশিত আর্য দর্শন, আর্যকৃষ্টি ও
সংস্কৃতির সমুদ্রে অবগাহন ক’রে শরীরে,
মনে, হৃদয়ে ও আত্মায় সম্পুর্ণ সিক্ত হ’য়ে
রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন ভারতবর্ষকে ‘আবার’ জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ
আসনে অধিষ্ঠিত করবে!
নেতাজী, দেশবন্ধু, বিবেকানন্দ ইত্যাদি মহান পুরুষরা সত্যিই কোন কিছু হওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করেননি আপনার একথা ঠিক। এঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ভারত মাতার মুক্তি। কিন্তু স্বাধীনতার সেই সময় যদি গোটা পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাস অন্য রকম খাতে বইত তাহ’লে স্বাধীন অখন্ড ভারতের নিশ্চিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন নেতাজী। যদিও অনেক আগেই সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন হয়েছিল এবং সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন তিনিই। নেতাজীর সমস্ত পদক্ষেপের মধ্যেই ছিল দেশপ্রেমের ছোঁয়া কিন্তু ছিল সুতীক্ষ্ণ জমাট রাজনীতি! আর দেশবন্ধু ছিলেন নেতাজীর মহাত্মা পরবর্তী রাজনৈতিক গুরু। বিবেকানন্দ ছিলেন তাদের প্রেরণা, শক্তি, আবেগ!
নেতাজী, দেশবন্ধু, বিবেকানন্দ ইত্যাদি মহান পুরুষরা সত্যিই কোন কিছু হওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে অংশ গ্রহণ করেননি আপনার একথা ঠিক। এঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ভারত মাতার মুক্তি। কিন্তু স্বাধীনতার সেই সময় যদি গোটা পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাস অন্য রকম খাতে বইত তাহ’লে স্বাধীন অখন্ড ভারতের নিশ্চিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন নেতাজী। যদিও অনেক আগেই সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকার গঠন হয়েছিল এবং সরকারের সর্বাধিনায়ক ছিলেন তিনিই। নেতাজীর সমস্ত পদক্ষেপের মধ্যেই ছিল দেশপ্রেমের ছোঁয়া কিন্তু ছিল সুতীক্ষ্ণ জমাট রাজনীতি! আর দেশবন্ধু ছিলেন নেতাজীর মহাত্মা পরবর্তী রাজনৈতিক গুরু। বিবেকানন্দ ছিলেন তাদের প্রেরণা, শক্তি, আবেগ!
নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কে এতই ঘৃণা যে একেবারে ভবিষ্যত বাণী করে দিলেন ‘সবকিছু অচিরেই শেষ হয়ে যাবে’? আর ইতিহাস জোর ক’রে লেখা যায় বুঝি!? ইতিহাস আপন গতিতে চলে সৃষ্টি হয়। সাময়িক তার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে, বন্ধ করে রাখা যেতে পারে কিন্তু বন্ধু সময় সবসে বড়া বলবান! কাউকে কিছু লিখতে হবে না। ইতিহাসের পাতায় কার পাশে কার নাম লেখা থাকবে আর কে ঝড়া পাতার মত ঝরে পড়ে যাবে তা’ সময় ঠিক ক’রে দেবে। কোন চিন্তা নেই, সময়ের ওপর দাদাগিরি করার ক্ষমতা স্বয়ং ঈশ্বরেরও নেই। ও অবশ্য আপনি তো সোশ্যালিস্ট; আপনি ঈশ্বর, ধর্ম মানেন না। তা মানুন আর না মানুন আপনার মানা না মানায় ‘সত্য’-র কিছু যায় আসে না। নরেন্দ্র মোদী যদি ইতিহাসের পাতায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য কিছু করার মধ্যে দিয়ে দাগ রেখে যেতে পারেন সেই দাগও যেমন কারও মোছার ক্ষমতা হবে না ঠিক তেমনি যদি মানুষ বিরোধী, দেশ বিরোধী কিছু করে যান সেই ক্ষেত্রেও নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় কুলাবে না নিজেকে দাগ মুক্ত ও কলঙ্ক মুক্ত করার। সময় বড় নির্মম বন্ধু, নির্মম ইতিহাস! আজ না-হয় কাল ফোঁড়া হ’য়ে বেরোবেই বেরোবে! ইতিহাসের পাতায় প্রত্যেকের ক্ষেত্রে তারই প্রমান আছে। শুধু উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা। একটা কথা আছে, ‘পাপ তার বাপকে ছাড়ে না” তো নরেন্দ্র মোদীকে কোন ছাড়?
ক্রমশঃ
No comments:
Post a Comment