নাহিদ ভাই, আসলে এটা দেখা গেছে ব্রিটিশ পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে যে কোন বিষয়ে বাঙ্গালীদের উত্থান অন্যদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঙ্গালীদের শৌর্য, বীর্য, মেধা, মননশক্তি, লড়াকু মনোভাব হজম করতে পারেনি ব্রিটিশ শাসিত ভারতে রাজশক্তি ও স্বাধীনতার লড়াই-এ যুক্ত চালিকাশক্তি।
ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। যেমন সুভাষচন্দ্র বাঙ্গালী হলেও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্ব্বিশেষে সবার নেতাজী হয়ে উঠেছিলেন। সেই উত্থান বিশ্বশক্তি মেনে নিতে পারেনি। আজও তার রেশ বয়ে চলেছে। পৃথিবীর মানচিত্রে 'বাংলাকে' রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করার রুপকার দেশপ্রেমিক মুজিবর রহমানকে দেশপ্রেমিক মাত্রই সবাই সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করে; কিন্তু এর চরম মূল্য দিতে হয়নি কি? রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি, পৃথিবীর সমস্ত ভাষাভাষির সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ তাঁকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে কিন্তু তাকেও বুর্জোয়া কবি আখ্যা পেতে হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের স্বাধীনতার লড়াই, ধর্ম্ম, ঈশ্বর সমস্ত বিষয়ে 'বাংলা ও বাঙ্গালী'র প্রতীক, পৃথিবীর মানব সভ্যতার বুকে উজ্জ্বল ধ্রুবতারা সেই মানবতার পূজারি, পরিপূর্ণরুপে আত্মসমর্পণকারী ঈশ্বর প্রেমিক নজরুলকেও যবন, কাফের আখ্যা পেতে হয়েছিল।
আসলে বাঙ্গালীর অফুরান জীবনী শক্তিকে ভয় পায় না এমন শয়তান জগতে নেই আর সেই জীবনী শক্তিকে সমীহ করে, শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, পুজা করে জগতের সমস্ত ভগবান। বাঙ্গালীকে বুঝতে হবে বাঙ্গালীর রক্তে বয়ে যাচ্ছে আজও পবিত্র আর্য্য রক্তধারা। বাঙ্গালী সহনশীল, বাঙ্গালী উদার; বাঙ্গালী প্রেমিক, বাঙ্গালী মজাদার। বাঙ্গালী দুরন্ত, বাঙ্গালী যোদ্ধা; বাঙ্গালী বীর, বাঙ্গালী বোদ্ধা। বাঙ্গালী পরাক্রমী, বাঙ্গালী শক্তিমান; বাঙ্গালী বরেণ্য, বাঙ্গালী রুচিবান। এই-ই তো বাংলা ও বাঙ্গালীর বৈশিষ্ট্য।
তাই বাংলা ও বাঙ্গালীর কুৎসা, নিন্দা, অপবাদ, সমালোচনার একটাই জবাব, আরো আরো দুরন্ত দুর্দমনীয় বেগে বাংলা ও বাঙ্গালীর বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে জগৎ সভায় ধর্ম্ম, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি সমস্ত দিক দিয়ে বাংলা ও বাঙ্গালীর উত্থান। আরো আরো জয়, জয়, জয়!!!!!!!!!!!
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10207101578123676&set=a.1898823876144.111069.1408056110&type=1&theater
No comments:
Post a Comment