Powered By Blogger

Friday, September 6, 2019

উপলব্ধিঃ কাল কুঠুরি!

একটা নতুন চালাকির আশ্রয় নিয়েছে ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধীরা! যদিও এসব বহু পুরোনো চালাকি। এরা দু'ভাগে বিভক্ত হ'য়ে নেবে পড়েছে ময়দানে ঠাকুর ও সৎসঙ্গকে কলঙ্কিত করার জন্য। আর বেছে নিয়েছে ফেসবুকের মত স্ট্রং মিডিয়াকে। ফেসবুক আজ এদের জন্য তার গৌরব হারাতে বসেছে। সময়মত যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সচেতন ও সাবধান না হয়, প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে যদি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহ'লে হয়তো একদিন ফেসবুক তার গুরুত্ব হারিয়ে একেবারে বিলীন হ'য়ে যাবে, অন্য কেউ এসে তার জায়গা দখল ক'রে নেবে।

যাই হ'ক যেটা বলছিলাম সেই কথায় আসি।

এই দলের সদস্যরা প্রথমে দু'ভাগে বিভক্ত হ'য়ে যায়। একভাগ শিং ভেঙে বাছুরের দলে ভিড়ে যাবার মত সৎসঙ্গী সেজে সৎসঙ্গের পতাকার তলায় চলে আসে। তারপর ভক্ত সেজে, সৎসঙ্গীর রূপ ধ'রে অপেক্ষা করে অন্য আর একটা দলের ঠাকুর ও সৎসঙ্গ সম্পর্কিত বিরোধী কমেন্টের জন্যে। আর এগুলি হয় প্ল্যান মাফিক পূর্ব নির্ধারিত ছকে। যখনই এই দলের দ্বিতীয় গ্রূপের সদস্যরা প্ল্যান মাফিক ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধী কথা ব'লে, বিতর্কিত মন্তব্য পোষ্ট করে তখনই ঐ সৎসঙ্গী সেজে অপেক্ষা করে থাকা প্রথম গ্রূপের সদস্যরা বিরাট উগ্র ঠাকুর ভক্ত সেজে হৈ হৈ ক'রে হা রে রে রে ক'রে তেড়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে নোংরা গালাগালির অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে, খুলে বসে নিত্যনতুন গালাগালির অভিধান! এরা বিভিন্ন সৎসঙ্গ কেন্দ্র, মন্দিরে আশ্রয় নেয় কায়েমী স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে। আর তখনই ঐ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করার জন্য গালাগালি, কুৎসা, নিন্দা, ঘৃণ্য সমালোচনার অস্ত্রশস্ত্রে শান দিতে থাকা দ্বিতীয় গ্রূপের সদস্যরা ঠাকুরের উপর ও সৎসঙ্গের উপর ভয়ঙ্কর ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রত্যাশীতভাবেই। এদের প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় দলের মুখের বা কলমের ভাষা দেখবেন একই রকম!!!! কখনও কোনোদিনই কোনও 'সৎসঙ্গী' এরকম হবে না! আর এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ে কিছু একেবারে ভাঙাচোরা সাধারণ সৎসঙ্গী যারা শুধুমাত্র দীক্ষা নিয়েছে না ক'রে কিছু পাবার আশায় তারা জড়িয়ে পড়ে নিজেদের অজান্তে! অবশ্য এর মধ্যে আরও একদল আছে যারা ঠাকুর পরিবার বিরোধী সৎসঙ্গী ব'লে বিখ্যাত বা কুখ্যাত। যাদের জন্য আজ ঠাকুর ও সৎসঙ্গ বিরোধীদের এত সাহস, এত ঔদ্ধত্ব! যদিও এদের শেষের সেদিন ভয়ংকর!!!!! আর এই নোংরা খেলার কারিগর যারা আশ্চর্যের ও দুঃখের বিষয় তারা সব বাঙালি!!!!!! এদের উদ্দেশ্য কোনোদিনই সফল হবে না বরং এদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে সগর রাজার বংশধরদের মতো! সগর রাজার বংশে ভগীরতের আবির্ভাব হ'লেও এদের বংশে কোনোদিনই ভগীরত আসবে না আর এরা বংশপরম্পরায় কোনোদিনই উদ্ধার পাবে না! শয়তান কিলবিসের কাল কুঠুরিতে এদের হবে আশ্রয়!!!!!
তাই সৎসঙ্গী ভাইয়েরা আমার সত্যানুসরণ গ্রন্থে বলা ঠাকুরের কথাটা স্মরণ করিয়ে দিই একবার যাতে আমরা সাবধান হ'য়ে যায়।

ঠাকুর বললেন, "স্কুলে গেলেই তাকে ছাত্র বলে না, আর মন্ত্র নিলেই তাকে শিষ্য বলে না, হৃদয়টি শিক্ষক বা গুরুর আদেশ পালনের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখতে হয়। অন্তরে স্থির বিশ্বাস চাই, তিনি যা'ই ব'লে দেবেন তাই করতে হবে বিনা আপত্তিতে, বিনা ওজরে বরং পরম আনন্দে।"

আসুন আমরা ঠাকুর যেমন চেয়েছিলেন তেমন প্রকৃত সৎসঙ্গী হ'য়ে উঠি।

জয়গুরু।

No comments:

Post a Comment