প্রায় ১০-১১ মাস পর গত ৯/১২/১৫ (বুধবার)
সংসদের সেন্ট্রাল হলে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। শুধু সেন্ট্রাল হল নয়, এদিন রাতে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আয়োজন করা মমতার নৈশভোজেও আমন্ত্রণ
গিয়েছিল মুকুল রায়ের কাছে। দিদির
আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে যান মুকুল রায়। অতিথিরা চলে যাওয়ার পর ডেরেক ও অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মুকুলের সঙ্গে খোশ মেজাজে
গল্পও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপান
উতোর। দলের মধ্যে এই ঘটনাকে সাধারণ ও
স্বাভাবিক ঘটনা বলে মান্যতা দিলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও
মুকুল অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয়েছে অস্বস্তি। মুকুল অনুগামীরা চিন্তায় পড়ে
গেছেন তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, এই প্রশ্নে। আর মমতার
রাজনৈতিক মোক্ষম চাল নিয়ে আগামী ২০১৬
বিধানসভা নির্বাচনে রাজা মাত হওয়ার সম্ভাবনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক
দলের কপালে দেখা দিয়েছে ভয়ঙ্কর চিন্তার ভাঁজ। বিরোধীপক্ষের কেউ বুঝে
উঠতে পারেনি এতদিন আর পারছেও না এখনও 'ম' 'ম'-দের
রাজনীতির ইতিকথা! মমতার পরিকল্পনা নিয়ে
রাজনীতির আকাশে অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছে বিরোধী দলগুলি।
দলের মধ্যে, দলের বাইরে সবজায়গায় উঠেছে ‘হুদহুদ’ ঝড়।
এই ঝড়ে কে থাকবে আর কে থাকবে না
তাই নিয়ে ‘ম’ ‘ম’-দের
নিশ্বাসপ্রশ্বাসে ম ম করছে আকাশবাতাস। আর
রাজনীতির সমুদ্রে মমতার আচমকা তোলা কূটনীতির তরঙ্গে ভেসে চলেছে
বিপক্ষ শিবিরের সবাই মিলে একসঙ্গে এই বঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গের আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে একটাই শ্লোক,
'তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা.........'
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ।
‘ম’ ‘কু’ সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ॥
মদন কান্না, কুণাল ‘আর না’ দোলে ভালে
কাঁপে ধন্দে ভালোমন্দ তালে তালে,
নাচে মুকুল নাচে মিঠুন পাছে পাছে,
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ।
কী আনন্দ, নিরানন্দ, কীসের ধন্দ
দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ—
সে তরঙ্গে সবাই বঙ্গে ছোটে পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ॥
No comments:
Post a Comment