‘যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’।
কথাটা নয় দুর্বোধ্য, অতি সাধারণ।
দেশ থেকে দেশে কথা এলোমেলো বেশে
ঝরে পড়ে অঝোর ধারায় হয়ে ধারা শ্রাবণ!
যুগ থেকে যুগে চলে বয়ে অন্তহীন এই ধারা,
যে যত সৎ সে সত্তা তত এই পাপের বাড়া!
অযোগ্য আর অদক্ষ দোঁহে মিলি করে সুরাপান,
মূর্খ মুখ্য হয়ে বসে মাথায়, করে সালিশি
দেশের দশের; ওষ্ঠাগত সালিশির নামে
আম জনতার পরাণ। পান্ডিত্যের তকমা__
সে যে সুন্দরী পরমা, ___লাগিয়ে মাথায়
জগৎ মাতায় পোঙ্গা পন্ডিতের দল;
হাঁটু জ্ঞানে বাজিয়ে প্রাণপণে
প্রজ্ঞার ঢোলক ঝুলিয়ে নাকে নোলক বলে সবে,
এসো ত্বরা করি হাত ধরাধরি, দেখো,
বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির
কি বিচিত্র এই ফল!
বিচি দেখে খেয়ে ভির্মি, বলে প্রজা,
উঃ কি ভীষণ গর্মি; পরাণ যায় জ্বলিয়া রে!
পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে একসাথে;
নইলে ঘচাং ফু হবে।
আজ ভেবে কি হবে বল, যাবে যাক রসাতল;
কে রাখে তারে? হরিকে যে বা যারা মারে!
আজ ভুলে গেছো সবে? সিংহাসনে যবে
না বুঝে করেছিলে স্থাপনা কাহারে?
No comments:
Post a Comment