কত রকম চুরির কথা যে শুনি তার ইয়ত্তা নেই। ঘরে বাইরে ছোটোখাটো চুরি তো হামেশাই লেগে আছে আর সংগে আছে পুকুর চুরি। পুকুর চুরি যে ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হ’তো বর্তমানে সত্যি সত্যিই সেই ব্যাপক অর্থ ছাড়িয়ে বাস্তবে বাস্তবিকই পুকুরও চুরি হ’য়ে যাচ্ছে নীরবে, নির্বিবাদে সরকারী বেসরকারি কারও কোনও বাধা ছাড়াই। আর একদিন সেই জায়গায় দেখা যাচ্ছে আকাশ ঢেকে ফেলা বহুতল অট্টালিকা! একদিন যেখানে দেখা যেত আকাশ থেকে আসা সূর্যের সোনালি আলোর ঝিকিমিকি হঠাৎ সেখানে দেখা যায় আকাশ নিরুদ্দেশ! দিনের আলোতেও সেখানে খেলা করে অন্ধকার; আবছা আলো আঁধারে বুক ভরে আর নেওয়া হয় না অক্সিজেন। চতুর্দিকে কার্বণডাই অক্সাইড বিতরণের কারবার তা সে যে দলই সরকারে আসুক না কেন। আর যদি কেউ বাধা দেয়ও তারও পিছনে থাকে লেনদেনের হিসাব নিকাশ। তবে বর্তমানে খুল্লমখুল্লা প্রশাসন ও সরকারী নাকের ডগায় যে অনন্ত অসীম চুরি হচ্ছে সেই চুরিকে পুকুর চুরি বললে অপমান করা হবে সেই চুরিকে সমুদ্র চুরি বললেও কম বলা হবে। সম্ভবত প্রবাদ্গুলির জন্মের পিছনে বিরাট কাহানী আছে নতুবা সেই কবে কোনকালে যে “মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার” প্রবাদের জন্ম হ’য়েছিল যার সন, তারিখ বা স্রষ্টার নামও কেউ জানে না অথচ সেই প্রবাদের এরকম জীবন্ত রূপ দেখা যায় এখন অহরহ জলভাতের মতো। সত্যি যারা এই সমুদ্র চুরির জনক তারা সত্যিই প্রাতঃস্মরণীয়! কেননা চুরির সমাজে তারা জাতে কুলীন ব্রাহ্মণ! তারা “মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার” প্রবাদের মূর্ত রূপ! তারা চোরের জাতের কৌলিন্য রক্ষায় সচেতন ও বদ্ধপরিকর। পারদর্শী জাত শিকারি যেমন ছোটোখাটো নিরীহ বা বড় কোনও হিংস্র অথচ সহজ বধ্য কোনও পশু বধ করে না ঠিক তেমনি ছোটোখাটো চুরি ক’রে হাত গন্ধ করে না তারা অর্থাৎ এই কুলীন চোরেরা । যেমন জাত শিকারি বধ করে এমন পশু যে পশু ভয়ংকর হিংস্র আর যার গায়ের চামড়া গুলিতে ভেদ করতে পারে না বা অস্ত্রের আঘাতে বধ করতে সুবিধা হয় না এমনই কঠিন আর মোটা চামড়া দিয়ে মোড়া অর্থাৎ গন্ডার বধ করে তারা। ঠিক তেমনি তারা অর্থাৎ এই কুলীন চোরেরা জাত শিকারির গন্ডার শিকারের মত লুট করে টাকার ভান্ডার বা ব্যাংক। তা সে এ কে ৪৭ দেখিয়েই হ’ক আর লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক লোন নিয়েই হ’ক! সেই গন্ডারকে বধ করতে হ’লে নিখুঁত নিশানায় তাকে নাসিকার উপরে খড়্গ বরাবর দু’চোখের মাঝামাঝি কপালে গুলি ক’রে মারতে হয় নতুবা তাকে মারা কঠিন ও অসম্ভব। এই চুরির কৌলীন্য রক্ষায় পারদর্শী কুলীন চোরেরা ঐরকম পারদর্শী শিকারির মতন টাকার ভান্ডার লুট ক’রে নেয় প্রশাসন বা সরকার সবার নাকের ডগা ও চোখের সামনে দিয়েই। এখন প্রবাদ আর বাস্তব মুখোমুখি একাকার।
যাই হ’ক চুরির কথা বলতে গিয়ে যে কথা বলতে চেয়েছিলাম এই রকম অজাত, কুজাত, উঁচু জাত আর নিচু জাতের চুরির কথা শুনতে শুনতে ঘরে বাইরে চটি চুরির কথাও হামেশাই শুনতে পাই। শুনেছি ও দেখেছি ঘরের বাইরে বারান্দায় চটি বা জুতো রেখে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ ক’রে শুয়ে পড়ার পর ভোরে উঠে দেখেছি বারান্দায় চটি বা জুতো নেই। প্রথমে মনে হয়েছিল চোরে চুরি ক’রে নিয়ে গেছে পরে দেখা গেল বাড়ীর বাইরে রাস্তার ধারে নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চা কুকুরটার কান্ড। দাঁত শিরশিরানির কারণে চটি নিয়ে যেত প্রায়ই রাতে। বাইরে চটি রাখা রীতিমতো মাথারযন্ত্রণার কারণ হ’য়ে দাঁড়িয়েছিল। যাই হ’ক এই চটি চুরিও হয়েছে রাতে বারান্দা থেকে। চোর চুরি করতে এসে কখনো কিছু চুরি করতে না পেরে খালি হাতে ফিরে যাবে না ব’লে আবার কখনো বা চুরির অন্যান্য জিনিসের সংগে ভালো নতুন মজবুত চটিও সংগে নিয়ে চলে গেছে। এছাড়া চটি চুরি হ’তে দেখেছি মন্দিরে মন্দিরেও। এখন যেকথা বলবো সেটা বলতে ইচ্ছে না করলেও বলতে হচ্ছে এই কারণে তা নাহ’লে উপলব্ধি বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে প্রায় সময়ই শুনতে পায় চটি না পাওয়ার কথা। সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষে দেখা যায় চটি পাওয়া যাচ্ছে না। হয় ভুল ক’রে প্রায় একইরকম দেখতে হওয়ায় পাল্টাপাল্টি হ’য়ে গেছে আর না হয় কেউ নিজেরটা রেখে ইচ্ছাকৃত ভাবেই হ’ক আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যমনস্ক হ’য়ে হ’ক অন্যের চটি পড়ে চলে গেছে। কখনো দেখা গেছে যে চটি নিয়ে গেছে সে অন্যেরটা যেমন নিয়ে গেছে সংগে হয় নিজেরটাও নিয়ে গেছে কিম্বা খালি পায়ে এসে অন্যের চটি পড়ে চলে গেছে। একজনকে দেখেছিলাম সৎসঙ্গে নিজের নতুন চটি না পাওয়ায় অন্যের নতুন চটি পড়ে চলে গেছিল। পরে জানতে পেরে যার যার চটি তাকে আনিয়ে দিয়েছিলাম। এই চটি চুরি একটা সমস্যা বটে যা হয়তো বা মানসিক অসুস্থতা। আমারও একবার হ’য়েছিল দেওঘরে প্রসাদ গ্রহণ কেন্দ্র আনন্দবাজারের সামনে থেকে। নতুন চটি সিড়ির নীচে রেখে গিয়েছিলাম প্রসাদ নিতে, ফিরে এসে আর পাইনি। তখন ওখান থেকে খালি পায়ে হেঁটে ফিরে যেতে হ’য়েছিল সেন্টিনারি বিল্ডিং পর্যন্ত যেখানে উঠেছিলাম। তখন পরিবারের সবাই মিলে ফিরে যেতে যেতে পথে একজনের সাথে চটি চুরি নিয়ে আলোচনাকালে যে কথা হয়েছিল সেই কথা মনে পড়ে গেল যখন গত ১৩ই মে ’১৮ রবিবার ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাতৃ সম্মেলনে অনুষ্ঠান শেষে এক মা যখন তার চটি খুঁজে পেলেন না তখন। সবাই চলে গেলে অনুষ্ঠান স্থল যখন ফাঁকা হ’য়ে গেল তখন দেখা গেল একটিমাত্র চটি পড়ে আছে যেটা ঐ মায়ের নয়। চটিটা পুরোনো কিন্তু মোটামুটি অবস্থায় আছে। ঐ চটিটা সৎসঙ্গ যেখানে হয়েছিল সেখানে একটা জায়গায় রেখে দিলাম যদি পড়ে সন্ধান পাওয়া যায় এই ভেবে। তখন দেওঘরে চটি চুরি সংক্রান্ত যে কথা আলোচনা হয়েছিল সেই কথা মনে পড়ে এবং সেই কথা ঐ মাকে বলেছিলাম। সেই কথা শুনে মা হাসি মুখে বাড়ি চলে গেল। মাকে কি বলেছিলাম যে কথায় ঐ মাটি হাসি মুখে বাড়ি চলে গেছিল?
ঐ মাকে বলেছিলাম, এই যে চটি চুরি হ’য়ে যায় এই চটি চুরির একটা মঙ্গল দিক আছে। তা হ’ল আপনার চটি যদি চুরি হ’য়ে থাকে বা যে আপনার চটি চুরি ক’রে নিয়ে গেছে সে আপনার চটি নিয়ে যাবার সংগে সংগে আপনার আজ পর্যন্ত সমস্ত পাপ তাপ দুঃখ ব্যাথা বেদনা সব চুরি ক’রে সংগে নিয়ে গেছে। সে আপনার জীবনে মঙ্গল হ’য়ে এসে দাঁড়িয়েছিল; আপনি তার মঙ্গলের জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করুন। চটি চুরি মানে আমার শুদ্ধ ও পবিত্র জীবনের শুরুয়াৎ। চটি চুরি আর্থিক লোকসান বটে নিশ্চয়ই তারও চেয়ে বড় কথা যেটা, তা হ’লো খালি পায়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি ফিরে যাওয়া যা খুবই কষ্ট সাপেক্ষ। তবে নতুন ক’রে জন্ম লাভের সময় তো একটু কষ্ট ভোগ করতেই হবে নতুবা জন্ম হবে কেমন করে? পুরাতন গ্লানি সব মুছে ফেলে যদি এমনভাবে তাঁর দয়ায় নতুন জন্ম লাভ হয় তাহ’লে যাক সামান্য চটির মায়া মোহ! চুরিও যে মঙ্গল ব’য়ে আনে তাতো জানা ছিল না। কত কিছুই তো জানি না তা’তে কি? নাহয় এই চটি চুরির পিছনের মঙ্গল কাহানীও জানা ছিল না, চটি চুরির কারণে তা’ জানা হ’য়ে গেল।
এতসব গল্প শেষে যখন মাটি হাসি মুখে চলে গেল তখন মনে হ’লো সত্যিই কি মাটি খুশী হ’লো! আর যারা পাশে দাঁড়িয়ে শুনলো এই আলোচনা তারা কি ভাবে নিল কথাগুলি? উল্টা বুঝলি রাম হ’য়ে গেলো নাতো? আচ্ছা যারা পাপের আকর হ’য়ে বসে আছে তারা ভাবতেই পারে তাদের চটি, জুতো যদি চুরি হয় তারাও কি তাহ’লে এই পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে? এই মুক্তির কামনায় তারা আবার পাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিজের চটি নিজেই চুরি করাবে নাতো? উন্নতি আর দুর্নীতি যেমন হাত ধরাধরি ক’রে চলছে বর্তমান ভারতের রাজনীতির আকাশে ঠিক তেমনি সীমাহীন ও অন্তহীন পাপ কাজ আর পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় স্বরূপ এই চটি চুরির নতুন ফর্মুলা আবার নতুন ধর্মাচরণ হ’য়ে দাঁড়াবে নাতো পাপীতাপী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে।
সত্য বন্ধু! কি বিচিত্র এই দেশ আর এই দেশের মানুষ!!!!!!!
( লেখা ৩০শে মে'২০১৮)
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে প্রায় সময়ই শুনতে পায় চটি না পাওয়ার কথা। সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষে দেখা যায় চটি পাওয়া যাচ্ছে না। হয় ভুল ক’রে প্রায় একইরকম দেখতে হওয়ায় পাল্টাপাল্টি হ’য়ে গেছে আর না হয় কেউ নিজেরটা রেখে ইচ্ছাকৃত ভাবেই হ’ক আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যমনস্ক হ’য়ে হ’ক অন্যের চটি পড়ে চলে গেছে। কখনো দেখা গেছে যে চটি নিয়ে গেছে সে অন্যেরটা যেমন নিয়ে গেছে সংগে হয় নিজেরটাও নিয়ে গেছে কিম্বা খালি পায়ে এসে অন্যের চটি পড়ে চলে গেছে। একজনকে দেখেছিলাম সৎসঙ্গে নিজের নতুন চটি না পাওয়ায় অন্যের নতুন চটি পড়ে চলে গেছিল। পরে জানতে পেরে যার যার চটি তাকে আনিয়ে দিয়েছিলাম। এই চটি চুরি একটা সমস্যা বটে যা হয়তো বা মানসিক অসুস্থতা। আমারও একবার হ’য়েছিল দেওঘরে প্রসাদ গ্রহণ কেন্দ্র আনন্দবাজারের সামনে থেকে। নতুন চটি সিড়ির নীচে রেখে গিয়েছিলাম প্রসাদ নিতে, ফিরে এসে আর পাইনি। তখন ওখান থেকে খালি পায়ে হেঁটে ফিরে যেতে হ’য়েছিল সেন্টিনারি বিল্ডিং পর্যন্ত যেখানে উঠেছিলাম। তখন পরিবারের সবাই মিলে ফিরে যেতে যেতে পথে একজনের সাথে চটি চুরি নিয়ে আলোচনাকালে যে কথা হয়েছিল সেই কথা মনে পড়ে গেল যখন গত ১৩ই মে ’১৮ রবিবার ভদ্রকালী সৎসঙ্গ কেন্দ্রের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাতৃ সম্মেলনে অনুষ্ঠান শেষে এক মা যখন তার চটি খুঁজে পেলেন না তখন। সবাই চলে গেলে অনুষ্ঠান স্থল যখন ফাঁকা হ’য়ে গেল তখন দেখা গেল একটিমাত্র চটি পড়ে আছে যেটা ঐ মায়ের নয়। চটিটা পুরোনো কিন্তু মোটামুটি অবস্থায় আছে। ঐ চটিটা সৎসঙ্গ যেখানে হয়েছিল সেখানে একটা জায়গায় রেখে দিলাম যদি পড়ে সন্ধান পাওয়া যায় এই ভেবে। তখন দেওঘরে চটি চুরি সংক্রান্ত যে কথা আলোচনা হয়েছিল সেই কথা মনে পড়ে এবং সেই কথা ঐ মাকে বলেছিলাম। সেই কথা শুনে মা হাসি মুখে বাড়ি চলে গেল। মাকে কি বলেছিলাম যে কথায় ঐ মাটি হাসি মুখে বাড়ি চলে গেছিল?
ঐ মাকে বলেছিলাম, এই যে চটি চুরি হ’য়ে যায় এই চটি চুরির একটা মঙ্গল দিক আছে। তা হ’ল আপনার চটি যদি চুরি হ’য়ে থাকে বা যে আপনার চটি চুরি ক’রে নিয়ে গেছে সে আপনার চটি নিয়ে যাবার সংগে সংগে আপনার আজ পর্যন্ত সমস্ত পাপ তাপ দুঃখ ব্যাথা বেদনা সব চুরি ক’রে সংগে নিয়ে গেছে। সে আপনার জীবনে মঙ্গল হ’য়ে এসে দাঁড়িয়েছিল; আপনি তার মঙ্গলের জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করুন। চটি চুরি মানে আমার শুদ্ধ ও পবিত্র জীবনের শুরুয়াৎ। চটি চুরি আর্থিক লোকসান বটে নিশ্চয়ই তারও চেয়ে বড় কথা যেটা, তা হ’লো খালি পায়ে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি ফিরে যাওয়া যা খুবই কষ্ট সাপেক্ষ। তবে নতুন ক’রে জন্ম লাভের সময় তো একটু কষ্ট ভোগ করতেই হবে নতুবা জন্ম হবে কেমন করে? পুরাতন গ্লানি সব মুছে ফেলে যদি এমনভাবে তাঁর দয়ায় নতুন জন্ম লাভ হয় তাহ’লে যাক সামান্য চটির মায়া মোহ! চুরিও যে মঙ্গল ব’য়ে আনে তাতো জানা ছিল না। কত কিছুই তো জানি না তা’তে কি? নাহয় এই চটি চুরির পিছনের মঙ্গল কাহানীও জানা ছিল না, চটি চুরির কারণে তা’ জানা হ’য়ে গেল।
এতসব গল্প শেষে যখন মাটি হাসি মুখে চলে গেল তখন মনে হ’লো সত্যিই কি মাটি খুশী হ’লো! আর যারা পাশে দাঁড়িয়ে শুনলো এই আলোচনা তারা কি ভাবে নিল কথাগুলি? উল্টা বুঝলি রাম হ’য়ে গেলো নাতো? আচ্ছা যারা পাপের আকর হ’য়ে বসে আছে তারা ভাবতেই পারে তাদের চটি, জুতো যদি চুরি হয় তারাও কি তাহ’লে এই পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে? এই মুক্তির কামনায় তারা আবার পাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিজের চটি নিজেই চুরি করাবে নাতো? উন্নতি আর দুর্নীতি যেমন হাত ধরাধরি ক’রে চলছে বর্তমান ভারতের রাজনীতির আকাশে ঠিক তেমনি সীমাহীন ও অন্তহীন পাপ কাজ আর পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় স্বরূপ এই চটি চুরির নতুন ফর্মুলা আবার নতুন ধর্মাচরণ হ’য়ে দাঁড়াবে নাতো পাপীতাপী ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে।
সত্য বন্ধু! কি বিচিত্র এই দেশ আর এই দেশের মানুষ!!!!!!!
( লেখা ৩০শে মে'২০১৮)
No comments:
Post a Comment