মাঝে মাঝেই কিছু মানুষকে দেখি ফেসবুকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পরিবার নিয়ে অশ্লীল নোংরা কথা লিখে নিজেদেরকে ইষ্টপ্রাণ ঠাকুরপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরে! সেই মানুষদের মধ্যে যখন মায়েদের দেখি সমান তালে পাল্লা দিয়ে ঘোঁৎ ঘোঁৎ ক'রে ছুটে চলেছে, কে আগে কত নোংরা কথা বলতে পারে তার প্রতিযোগিতায় প্রাণপাত করছে তখন হতাশায় বুকটা ভরে যায়! এরা 'সুসন্তানে দেশ ভরে দাও মা! সুসন্তানে দেশ ভরে দাও!'-এর হবে কারিগর!? ঠাকুরের ফটো সামনে রেখে 'একমেবাদ্বিতীয়ম'-এর ধ্বজা তুলে এরা ইষ্টপ্রাণতার এমন ছড়ি ঘোরায়, ঠাকুর প্রেমের এমন বন্যা ছোটায়, ঠাকুর ভক্তির এমন ঢাকঢোল পেটায় যার আঘাতে আজ দেশ, সমাজ, মানুষ ক্ষতবিক্ষত, যার তোড়ে আজ সভ্যতা-ভব্যতা, শিক্ষা-শালীনতা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি সব ধ্বংস হ'য়ে চলেছে, যার তীব্রতায় শব্দদূষণের মাত্রা এমন ছাড়িয়েছে যে দীক্ষিত-অদিক্ষিতদের জীবন আজ ওষ্ঠাগত! এরা নাকি সৎসঙ্গী! এরা নাকি ঠাকুরের শিষ্য! এরা নাকি ইষ্টস্বার্থ রক্ষার চৌকিদার! ইষ্টস্বার্থ প্রতিষ্ঠার এরাই নাকি একমাত্র দক্ষ ও যোগ্য কারিগর! এদের দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় কি? এরা অপমান, অশ্রদ্ধা, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, নিন্দা, সমালোচনা, কুৎসা করার দক্ষ কারিগর ও কটু কথা বলার ও লেখার যোগ্য বাগ্মী ও লেখক! এরা যখন ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে কলম দিয়ে নীলমূত্র ত্যাগ করে তখন এদের কলমের নীল মূত্রপাতের তীব্র কটু দুর্গন্ধে ফেসবুকের হাওয়া তীব্র বিষাক্ত হ'য়ে ওঠে! এরা যখন ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে কথার কামান দাগে তখন মনে পড়ে যায় কারও মুখের নোংরা ভাষার উল্লেখ করতে গিয়ে বিহারী হিন্দুস্থানী ভাইদের মুখের ব্যবহৃত বহু পরিচিত একটা কথা, টাট্টি কা মাফিক বাত!!!!! মানে মুখ দিয়ে যে কথা বের হচ্ছে সেগুলি টাট্টি কা মাফিক অর্থাৎ গুয়ের মত দুর্গন্ধযুক্ত!!! মুখ দিয়ে যেন অনবরত আমাশা যুক্ত ফেনাওয়ালা কালো কালো টাট্টি বেরিয়ে আসছে! মুখ দিয়ে যেন এদের অনবরত সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো ইত্যাদি বেরোচ্ছে! এদের এমন করুণ ভয়াবহ অবস্থা কেন!? কেন এরা পরম প্রেমময়ের দরবারে এমন হায়েনার মত নিম্ন ঘৃণ্য চরিত্রের? কেন এদের জীবনে এত হিংসা, এত জ্বালা!? কেন এরা ঘুম থেকে উঠেই চুল্লুখোরদের মত ঘুম ঘেকে উঠেই ঠাকুর আত্মজদের নিয়ে গালাগালির অভিধান খুলে বসে!? এদের কেউ বারণ করে না এমনভাবে নিজেদের রাস্তার ঘেও কুকুরের মত নিচে না নাবাতে!? এদের পিতামাতা, স্বামীস্ত্রী, পুত্রকন্যা এদের এহেন ভাগার তুল্য আচরণের জন্য লজ্জা বোধ করে না!? এদের যারা পথপ্রদর্শক অর্থাৎ যাদের দেখানো পথ অনুসরণ ক'রে এরা এরকম বীভৎস নরকের কিটে পরিণত হয়েছে সেই পথপ্রদর্শকদের পরিণতি কি? তাঁরা কেমন আছে!? তাঁদের শারীরিক-মানসিক অবস্থা কি!? এরা খ্যাপা পাগলা কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ ক'রে বেড়াচ্ছে ফেসবুকের আঙিনায় আবার লাথি খেয়ে কেঁউ কেঁউ করতে করতে ঢুকে পড়ছে সাপের, ছুঁচোর গর্তে! এরা ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে ঠাকুর আত্মজদের সম্পর্কে বংশ পরম্পরায় এমনই বিষ ঢালতে থাকে যে এরা কোনোদিনই উদ্ধার পাবে না! সাগর রাজার বংশে ভগীরথ জন্ম নিয়েছিল, জন্ম নিয়েছিল অভিশপ্ত বংশে কিন্তু এদের বংশে কোনদিনই হয়তো ভগীরত জন্মাবে না! এদের পাপের ঘড়া এতটাই পূর্ণ হ'য়ে গেছে যে এরা শিশুপালের পাপকেও ছাড়িয়ে গেছে! এরা এমনই আর এতটাই দুর্ভাগা যে এরা কোনোদিনই ভেবে দেখে না এরা ঠাকুর পরিবারকে, ঠাকুরের আত্মজদের অপমান, লাঞ্ছনা করতে করতে, গালাগালি দিতে দিতে শারীরিক-মানসিক এমনকি আত্মিক ভাবে এতটাই গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছে যে এদের স্পার্ম-ওভাম নেগেটিভলি এফেক্টেড হ'য়ে গেছে, বায়োলজিক্যাল ডিফেক্ট হ'য়ে গেছে! নষ্ট বীজে নষ্ট চারাগাছ জন্মাবার মত এদের পরবর্তী প্রজন্মও নষ্ট হ'য়েই জন্মাবে! এই ব্যাপারে এদের, এদের অভিভাবকদের না আছে হুঁশ, না আছে চেতনা!
এরা কি সৎসঙ্গী!? কৈ এদের বিরুদ্ধে, এদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে 'সৎসঙ্গ' থেকে, সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ি থেকে তো কোনও উচ্চবাচ্য নেই!!!!!!!!! ঠাকুর পরিবারের কোনও সদস্য তো আজ পর্যন্ত কোনোদিনই কোনো প্রতিবাদ করেনি এদের বিরুদ্ধে! এদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেনি! বলেনি কোনোদিনই কোনও কটু কথা! আজ মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ' অনুসারী কোটি কোটি শিষ্য (কয়েক বছরে যা ১০কোটি ছাড়িয়ে যাবে আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদার ইচ্ছায়, নেতৃত্বে) কোনোদিনই শোনেনি ঠাকুর বাড়ির কারও মুখে এদের বিরুদ্ধে বা এদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কোনও অপ্রীতিকর কথা, মন্তব্য, আলোচনা! কেন!? কেন তাঁরা বলেনি, বলেনা!? অথচ এরা সংখ্যায় নগন্য হ'লেও হাতির বিরুদ্ধে ব্যাঙের লাফালাফির মত কিংবা হাতি চলে বাজারমে, কুত্তা ভোঁকে হাজার-এর মত গ্যাও গ্যাও আর ঘেউ ঘেউ ক'রে চলেছে!!!!!!! এরা কি সৎসঙ্গী!? ঠাকুর এমন অসভ্য, অভদ্র, কুৎসিত চরিত্রের অধিকারী সৎসঙ্গী চেয়েছিলেন নাকি!? তাই ঠাকুরের উপর বিচারের ভার ছেড়ে দিয়ে শুধু তাঁর বাণীটিই স্মরণ করতে পারি। ঠাকুর বললেন,
"জেনে রেখো ---
বিচারের দিন যখনই আসুক না কেন,
অন্যের প্রতি তোমার প্রত্যেকটি
অসাবধান বাক্যের
জবাবদিহি ক'রতে হবে,
তোমার বাক্যই তোমাকে
বিমোচিত বা বিমর্দ্দিত ক'রবে।"
শ্রী শ্রী ঠাকুর
সদ্ বিধায়না/ ২য় খন্ড /৩৮।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর-এর কথা চিন্তা ক'রে আচার্যদেবের নেতৃত্বে মহামিলনের ক্ষেত্র রচনা করি।
(লেখা ৭ই মে'২০১৯)
No comments:
Post a Comment