হে মানব! তুমি বাঁচবে না।
তা তুমি যে প্রেমিক-ই হও।
ঈশ্বর প্রেমিক হও আর শয়তান প্রেমিক হও,
মানবতাবাদী হও আর যে মতবাদীই হও
তুমি বাঁচবে না। আজ দেখাচ্ছ যে হেকমতি
ঈশ্বর প্রেমিক বা মানব প্রেমিক হ'য়ে কিম্বা
শয়তানের কোলে বসে, দেখাচ্ছো দেখাও।
যেদিন আসবে সময় সেদিন দেখবে তুমি
কি ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে সম্মুখে তোমার
যেমন ছিল তোমার ভন্ডামিতে ভরা মতিগতি।
আজ লাগবে না ভালো এসব তোমার,
অ্যালার্জি ধরা আর ল্যাজে পা পড়া কথা আমার
কারণ বৃত্তি-প্রবৃত্তির জোয়ারের তীব্র
স্রোতের উল্টোদিকে চলা লোক আমি;
আমার বিশ্বাসে আমি অটুট চলবো আমি
পাশে কেউ থাকুক আর না থাকুক
চলবো আমি একাকি। নিজের বিবেকের
কথা শোনো তুমি, সত্যিই কি তুমি ঈশ্বরকে
ভালোবাসো? শয়তানের আলো প্রবেশ করে না
সেথায়? এতটাই নিশ্চিন্ত তুমি হেসে খেলে বাঁচো?
চোখে আঙুল দিয়ে দেখালে ক্ষত তা চাও তুমি লুকোতে
প্রতিদানে দাও আঘাত ভগবান সেজে লুকিয়ে মুখ শয়তানেতে।
তা তুমি যতই মুখ লুকাও, যতই সাজো ঈশ্বর বা মানবপ্রেমী
তুমি বাঁঁচবে না বন্ধু, পারবে না নিজেকে লুকোতে
যতই করো না ঈশ্বর বা মানবতাকে নিয়ে ভন্ডামি।
তুমি ঈশ্বরকে ভালোবাসো? ঈশ্বর প্রেমিক তুমি?
মানবতার গাও গান অহর্নিশ! মানবিক তুমি?
তবে তোমার ঘরে কেন নেই প্রেম, নেই প্রীতি,
নেই প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা, সম্পর্ক খাসা?
তুমি কি শুধু প্রেম ভালোবাসা আর মানবতার ধ্বজা
ওড়ানো প্রেমী? মুখে মারিতং জগতের স্বামী?
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীশাম, আল্লা হো আকবর, জয়গুরু
ইত্যাদি শুধু মুখে বলা নয় কি ভন্ডামি? ঈশ্বরকে তো
নিয়েছো বেঁটে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে পৈতৃক সম্পত্তির
মানদন্ডে আর ধর্ম হয়েছে আলাদা আলাদা
সম্প্রদায় নিরিখে! সদাচারকে দেখিয়ে বুড়ো আঙুল
ঈশ্বর হয়েছে ভাগ জাতপাত আর ছুৎমার্গের হিড়িকে!
ভক্তির তুফান ছুটিয়ে বলছো হেঁকে আমার ঈশ্বর সেরা;
বুদ্ধ ঈশায় বিভেদ ঘটিয়ে আর রাম রসুলে ঝগড়া বাঁধিয়ে
ভক্তিতে গদগদ তুমি শালা ভন্ডামিতে ভরা।
সনাতনি ঢাক পিটিয়ে চন্দনে সিঁদুরে লেপ্টে শরীর
একচেটিয়া তুমি হয়েছো ঈশ্বরের রাখোয়ালা;
অনুকূলে দিয়ে গালি, চেঁচিয়ে সনাতনী সনাতনী খালি
ধর্ম ঈশ্বর তুমিই বুঝেছো চার অক্ষর একেলা।
আর, সব মতবাদ-ই জীবনবাদের কথা বলে,
কিন্তু নয় জীবনবাদী! মতবাদে মতবাদে সংঘাত
নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে সাজানো যত নামবাদীর।
তুমি বাঁচবে না তা তুমি যতই নানা মতবাদের
স্বপ্নলোকের স্বপ্ন দেখাও আর বিশ্বজুড়ে যে বাদীই হও,
সাথে বাজাও যত প্রেমের মধুর বাঁশি;
কারণ তুমি সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি অনাসৃষ্টি।
( লেখা ২৯শে এপ্রিল'২০২৩ )
No comments:
Post a Comment