Powered By Blogger

Wednesday, May 3, 2023

প্রবন্ধঃ কোন্নগড়ে কালী পূজা ও আমরা সৎসঙ্গীরা।

কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী মায়ের পুজো ও সৎসঙ্গীবৃন্দ (১ - ৮) সিরিজে কেউ কেউ লাইক করেছেন, কেউ কেউ মন্তব্য (খুব কম) করেছেন আবার কেরু কেউ জয়গুরু ব'লে দায় সেরেছেন। তবে অনেকেই মেসেঞ্জারে এবং ওয়াটস আপে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
তাদের প্রত্যেকের পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্যে খুশী হলাম। আর যারা মায়েরা মন্তব্য করেছেন তাদের সংক্ষিপ্ত হ'লেও তারা যে মন্তব্য করেছেন এতেই আমি খুশি। আরও খুশী হতাম মায়েরা যারা কমেন্ট করেছেন সেই মায়েরা একজন মা হ'য়ে যদি এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত দূর্বল মায়েদের মঙ্গলের জন্য, তাদের পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের মঙ্গলের জন্য মায়েদের বিরুদ্ধে আরও বিশদ আলোচনায় আগ্রহী হ'তেন তাহ'লে খুশী হতাম। তবুও মন্দের ভালো, দইয়ের স্বাদ ঘোলে মেটাবার মতন হ'লেও আপনি আপনারা মায়েরা মন্তব্য করেছেন, মন্তব্য ক'রে ঠাকুরের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন আমার লেখাকে অক্সিজেন যুগিয়েছেন আর এই পুজার সঙ্গে জড়িত সকলকে একটা মেসেজ দিয়েছেন এইজন্য আমি পরমপিতার কাছে আপনাদের সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না ক'রে শুধু এটুকু বলতে পারি আসুন আমার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে শক্ত হাতে কলম ধরুন আর দূর্বল সৎসঙ্গী ভাইবোনেদের মনে হৃদয়ে সাহসীকতার মলম লাগান।

আর যারা বলেছেন "কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী মায়ের পুজো ও সৎসঙ্গীবৃন্দ (১ থেকে ৮)" সিরিজের লেখাগুলিতে 
আমি ঠিক কথা বলেছি; তাদের উদ্দেশ্যে বলি। ঠিক বলেই বা কি হবে? যদিও আমি নিশ্চিতভাবেই ফলাকাঙখা বর্জিত ফর্মূলা মেনে চলি তবুও আপনারা পাঠকমহল নিজেরাই দেখুন আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে সরাসরি এই বিতর্কিত অথচ যুক্তিযুক্ত সত্য তুলে ধরার পরেও কারও তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পেলাম না! আমার ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে চারভাগের সাড়ে তিনভাগ সৎসঙ্গী কিন্তু একজনও এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। ফেসবুক করে না যে তা নয়, কমেন্ট, লাইক করে না যে তা নয় করে এমনকি ঠাকুরের ছবি, ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের ছবি ও ঠাকুরবাড়ির ছবি, ঠাকুরের বাণী, কথা ইত্যাদি পোষ্টও করে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে, মতের আদান প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ ক'রে ঠাকুরের মনের মতো হ'য়ে উঠবার যজ্ঞে কাউকে উৎসাহী হ'তে দেখি না। একটা জিনিস পারে সবাই সেটা হ'লো দায়সারা গোছের 'জয়গুরু'। ঠাকুর এত আশা, এত স্বপ্ন বুকে নিয়ে 'সৎসঙ্গ' গঠন করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানের আমরা সৎসঙ্গীরা শুধু 'জয়গুরু- তে নিজেদের বন্দী ক'রে রেখেছি। আবার একশ্রেণীর সৎসঙ্গী আছি যারা আমরা লেখালেখি করি তারাও ইগোতে ভুগি। যারা ফেসবুকে ঠাকুর নিয়ে, ঠাকুর দর্শন, আচার্য পরম্পরার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করি তারা কমেন্ট পেতে লালায়িত কিন্তু কমেন্ট করতে কৃপণতা বোধ করি, নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়কে ফেসবুকের মধ্যে দিয়ে অদীক্ষিত এবং যারা আমরা দীক্ষিত অথচ অনেক কিছুই জানি না তাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী নই!!!!!! অনেক সৎসঙ্গী যারা লেখালেখি করেন তারা অন্য লেখকের কাছ থেকে প্রশংসাসূচক কমেন্ট পেতে চান, পেতে আগ্রহী কিন্তু প্রতিদানে তার লেখাতেও কিম্বা তার কমেন্টের উত্তরে যে প্রতিদানে কমেন্ট করা তো দূরের কথা অন্ততঃ ধন্যবাদটুকুও জানাবার প্রয়োজন হয় তাও মনে করে না। উদাসীন থেকে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ডুবে থাকে। হয়তো অজুহাত নামক মোক্ষম হাত 'সময়ের অভাব' সামনে এগিয়ে আসে।

যাই হ'ক, আর্টিকেল লিখতে সময়ের অভাব হয় না কিন্তু মন্তব্যের উত্তরে মন্তব্য ক'রে কৃতজ্ঞতা জানাতে সময়ের অভাব হয়। এটা আমি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত সৎসঙ্গীদের ক্ষেত্রে প্রকটভাবে দেখেছি। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে আর ব্যতিক্রম ব্যতিক্রম-ই। জয়গুরু।
(লেখা ৫ইমে'২০২২)

No comments:

Post a Comment