"পড়শীরা তোর নিপাত যাবে তুই বেঁচে সুখ খাবি বুঝি,
যা ছুটে যা তাদের বাঁচা তারাই যে তোর বাঁচার পুজি"--শ্রীশ্রীঠাকুর।
আর চারপাশের সেই যে একটু বিচার বোধ বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যা দেখলাম শুনলাম পড়লাম বুঝলাম দেশের স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত তাতে দেশ চালনার অভিভাবকদের দেখে যা বুঝেছিলাম তা ঠাকুরের একটা বাণীর মধ্যে ফুটে উঠেছেঃ
"ইষ্ট নাই নেতা যেই,
যমের দালাল কিন্তু সেই।" শ্রীশ্রীঠাকুর।
দেশ ও দশের এই পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী?
ঠাকুরের উপরে উক্ত বাণী পর্যালোচনা করলে আমরা যেটা দেখতে পাই সেটা হিটলারের কথার মধ্যে দিয়ে বাণীর অন্তর্নিহিত অর্থ জ্বলন্ত হ'য়ে জ্বলছে যুগ যুগ ধ'রে আমাদের সামনে। হিটলার বললেন,
"মানুষকে এতটাই বিপদের মধ্যে রাখো শুধু নিজের বেঁচে থাকাটাই তার উন্নতি মনে হবে।"-----হিটলার।
হিটলারের এই কথাটাই আজ দিনের আলোর মত ঝলমল করছে সারা পৃথিবী জুড়ে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনীতির অঙ্গনে। কথাটা কি আজ বাস্তব নয়?
কিন্তু The greatest phenomenon of the world শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বিশ্বজুড়ে এই কঠিন করুণ ভয়াবহ মারণ পরিস্থিতিতে সৎসঙ্গীদের উপর ভীষণভাবে নির্ভর করেছিলেন তাঁর 'নিজে বাঁচো ও অন্যকে বাঁচাও' মিশনে সফল হওয়ার জন্য। আর এই মিশনকে সফল করার জন্য তিনি নির্ভর করেছিলেন মানুষের উপর; তাই তিনি সবসময় "আমায় মানুষ ভিক্ষা দাও, মানুষ ভিক্ষা দাও, আর কে আছো ধী ধুরন্দর! আমায় মানুষ ভিক্ষা দিতে পারো" ব'লে কাঁদতেন। আর সেই মানুষকে চালিত করতে চেয়েছিলেন "অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে ধর্ম ব'লে জানিস তাকে" আর বাঁচতে নরের যা যা লাগে তাই নিয়ে ধর্ম্ম জাগে" ফিলসপির উপর দাঁড়িয়ে।
আর আমরা সৎসঙ্গীরা (?) কি করলাম, কি করছি!? (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে)। ঠাকুরের বাণীর উল্টোটাই আজ আমাদের জীবন দর্শন!!!
তা হ'লো,
পড়শীরা তোর নিপাত যাক
তুই বেঁচে থাক তুই সুখে থাক
যা ছুটে যা নিজেকে বাঁচা
তারা যেথা ইচ্ছা সেথায় যাক।
( লেখা ৩রা মে'২০২১)
No comments:
Post a Comment