তাই আমার ভালো লাগে না এসব নাটকীয় ভক্তি। নাটকীয় বললাম ব'লে হয়তো অনেক ভক্তপ্রাণে ব্যথা লাগতে পারে। তাদের কাছে বিনয়ের সংগে শুধু বলবো, সত্য বড় অপ্রিয় ও কঠোর। ঠাকুর রামকৃষ্ণ-এর পূজার মধ্যে প্রাণ ছিল, ছিল পূজা শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থের ঝংকার! একটু আধটু পড়ে যা বুঝেছি ঠাকুর রামকৃষ্ণ পূজার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টির মূল মরকোচ নিজেকেই আবাহন করতেন, স্বাগতম জানাতেন! আর অনেক দেখেছি এসব পূজোপাঠ বিভিন্ন মন্দিরে, পুজো পার্ব্বনে। নিজেও নাটকের ছাত্র ছিলাম। দেখেছি এরকম মন্ত্রোচ্চারণ করা অনেক মানুষের শেষের দিনগুলি। জীবননাথকে অস্বীকার ক'রে জগন্নাথ-এর পুজো আমার ভালো লাগেনি কোনদিনও। অশ্রদ্ধা নেই আমার জীবনে কারও প্রতি। কিন্তু রামকৃষ্ণ-কে আমার ভালো লাগে বেশী; অনেক অনেক বেশী ভালোলাগে রামকৃষ্ণ-এর অমূর্ত রুপ মাটি দিয়ে গড়া মা কালীর চেয়ে জীবন্ত ঈশ্বর রক্তমাংস দিয়ে গড়া মা কালীর জীবন্ত রুপ বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকে!!! এইসব সংস্কৃত শ্লোকের ভাইব্রেশন আছে কিন্তু এই ভাইব্রেশন এখন আর রক্তে ঢেউ তোলে না, আলোড়ন জাগায় না। কারণ বাস্তবকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি ও দেখছি এই বয়স পর্যন্ত। বয়স তো কম হ'লো না। এইসব হাজার হাজার বছর ধ'রে চলে আসা পুজো তো কম দেখলাম না সেই ছোট্ট বয়স থেকে বাবা-মায়ের হাত ধ'রে থেকে শুরু ক'রে এই বয়স পর্যন্ত! এই সংস্কৃত শ্লোকের ভাইব্রেশন দেখতে চাই ঠাকুরের সামনে ঠাকুরের মানুষের মধ্যে! তেমন মানুষ কই!? সাধে কি ঠাকুর বলেছেন, এই বাংলা থেকে আমার সৎসঙ্গ আন্দোলনের ঢেউ উঠবে না।---প্রবি।
( লেখাটা একটা মা কালীর পুজোকে কেন্দ্র করে। সেখানে সংস্কৃত মন্ত্র পাঠের সঙ্গে হচ্ছে মায়ের আরতি। আরতি ও মন্ত্রোচ্চারণ খুব সুন্দর) ( লেখা ২৩শে মে'২০২১)
No comments:
Post a Comment