Powered By Blogger

Monday, May 22, 2023

প্রবি সমাচার ১৬

একজন গুরুভাই আমাকে এই ভিডিওটা পাঠিয়েছিল। পাঠিয়েছিল ভালোবেসে। দেখলাম, ভালো লাগলেও তবুও কোথায় জানি মনটা একটু ভারাক্রান্ত হ'য়ে রইলো! হয়তো মনের কোণে কোথাও না বলা অনেক কথা জমে আছে আর তা না বলতে পারার বেদনা আরও কষ্টের। আর যদিও বা বলি কাউকে আপনজন ভেবে সে উল্টা বুঝলি রাম হ'য়ে যায়। কথার মূল এসেন্স ধরতে পারে না ফলে অযথা ভুল বোঝাবুঝি হ'য়ে যায়। আমি শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের দীক্ষিত অনুগামী। আমি যে ঠাকুর দর্শনে বিশ্বাসী শুধু তা নয়; তার নিখুঁত বাস্তব জীবন দর্শন প্রচারে প্রয়াসী। হয়তো তেমন ক'রে পেরে উঠছি না তার জীবন দর্শন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নিজের খামতি কিম্বা সহযোগিতার অভাবে। তবুও প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে অকপট অমলিন থাকার চেষ্টা করি। আজ পর্যন্ত ঠাকুরকে জ্ঞানত আয়ের উপকরণ করিনি ও আত্মপ্রতিষ্ঠা ও আত্মস্বার্থ প্রতিষ্টার কাজে ঠাকুরকে ব্যবহার করিনি। ঠাকুরকে বোঝার চেষ্টা করেছি কেন তিনি বারবার আসেন, কেন তিনি যেতে না যেতেই এত তাড়াতাড়ি এলেন আর কেনই বা তিনি আবার এলেন!? সঙ্গে বোঝার চেষ্টা করি কে তিনি!? কেন আমি তাকে আমার জীবনে গ্রহণ করলাম!? কি উদ্দেশ্যে!?

তাই আমার ভালো লাগে না এসব নাটকীয় ভক্তি। নাটকীয় বললাম ব'লে হয়তো অনেক ভক্তপ্রাণে ব্যথা লাগতে পারে। তাদের কাছে বিনয়ের সংগে শুধু বলবো, সত্য বড় অপ্রিয় ও কঠোর। ঠাকুর রামকৃষ্ণ-এর পূজার মধ্যে প্রাণ ছিল, ছিল পূজা শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থের ঝংকার! একটু আধটু পড়ে যা বুঝেছি ঠাকুর রামকৃষ্ণ পূজার মধ্যে দিয়ে সৃষ্টির মূল মরকোচ নিজেকেই আবাহন করতেন, স্বাগতম জানাতেন! আর অনেক দেখেছি এসব পূজোপাঠ বিভিন্ন মন্দিরে, পুজো পার্ব্বনে। নিজেও নাটকের ছাত্র ছিলাম। দেখেছি এরকম মন্ত্রোচ্চারণ করা অনেক মানুষের শেষের দিনগুলি। জীবননাথকে অস্বীকার ক'রে জগন্নাথ-এর পুজো আমার ভালো লাগেনি কোনদিনও। অশ্রদ্ধা নেই আমার জীবনে কারও প্রতি। কিন্তু রামকৃষ্ণ-কে আমার ভালো লাগে বেশী; অনেক অনেক বেশী ভালোলাগে রামকৃষ্ণ-এর অমূর্ত রুপ মাটি দিয়ে গড়া মা কালীর চেয়ে জীবন্ত ঈশ্বর রক্তমাংস দিয়ে গড়া মা কালীর জীবন্ত রুপ বিশ্বব্রহ্মান্ডের মালিক পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকে!!! এইসব সংস্কৃত শ্লোকের ভাইব্রেশন আছে কিন্তু এই ভাইব্রেশন এখন আর রক্তে ঢেউ তোলে না, আলোড়ন জাগায় না। কারণ বাস্তবকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি ও দেখছি এই বয়স পর্যন্ত। বয়স তো কম হ'লো না। এইসব হাজার হাজার বছর ধ'রে চলে আসা পুজো তো কম দেখলাম না সেই ছোট্ট বয়স থেকে বাবা-মায়ের হাত ধ'রে থেকে শুরু ক'রে এই বয়স পর্যন্ত! এই সংস্কৃত শ্লোকের ভাইব্রেশন দেখতে চাই ঠাকুরের সামনে ঠাকুরের মানুষের মধ্যে! তেমন মানুষ কই!? সাধে কি ঠাকুর বলেছেন, এই বাংলা থেকে আমার সৎসঙ্গ আন্দোলনের ঢেউ উঠবে না।---প্রবি।
( লেখাটা একটা মা কালীর পুজোকে কেন্দ্র করে। সেখানে সংস্কৃত মন্ত্র পাঠের সঙ্গে হচ্ছে মায়ের আরতি। আরতি ও মন্ত্রোচ্চারণ খুব সুন্দর) ( লেখা ২৩শে মে'২০২১)

No comments:

Post a Comment