Powered By Blogger

Friday, May 12, 2023

প্রবি সমাচার ১০

সময় চলে যাচ্ছে বন্ধু! জীবন সূর্য পাটে যেতে বসেছে। কে জানে কখন কে যম দেবতার আতিথেয়তা গ্রহণ করবে। ঐ যে কি একটা গান আছে "কে জানে ক ঘন্টা পাবিরে জীবনটা........." তাই এই বেলা কিছু ক'রে যাও বন্ধু। কে বলতে পারে কাল তুমি আর আসবে কিনা এই ফেসবুকে! ঐ যে কথায় আছে না কে যেন ব'লে গেছে চোখ খুললে সকাল আর না খুললে পরকাল! গ্যারান্টি দিয়ে কি বলতে পারো কেউ কাল তোমার জন্য কি অপেক্ষা করছে? সকাল না পরকাল? নিশ্চয়তা কই? দুঃখের বিষয় ঠাকুর ধরেও জীবনের কোনও গ্যারান্টি নেই! নেই কোনও নিশ্চয়তা যে জোর গলায় বলবে, না আমি কাল থাকবো। ঠাকুর ধরেছে কিন্তু তেমন ভাবে কেউ নামধ্যান করেই না। ঠিক ঠিক নাম ধ্যান করলে রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। দীর্ঘায়ু হয়-ই হয়। ঠাকুর ধরলাম কিন্তু ঠাকুরকে ভালবাসতে পারলাম না। ঠাকুরের বুকের ব্যথা অনুধাবন করতে পারলাম না। আর তাই ঠাকুরকে ধরাও হ'লো না। ঠাকুর বললেন, ওরে ধর, ধর, ধর। আমি বললাম, ধরেছি তো! তোমায় ধরেছি তো! পাঁচ বছর বয়সে নাম পেয়েছি আর ১২ বছর বয়সে দীক্ষা নিয়েছি। তাহ'লে আবার কেন বলছো, ওরে ধর! ধর!! ধর!!! তাহ'লে কি ধরা হয়নি!? মনের ভিতর থেকে কে যেন ব'লে উঠলো, যদি ধরবেই তো এত দুঃখ, কষ্ট কেন? এত ব্যর্থতা কেন? কেন এত স্বল্পায়ু!? কেন এত রোগ শোক!? কেন এত গ্রহের দোষে ভুগছো!? ঠাকুর ধরলে আবার কারো বুদ্ধি বিপর্যয় হয় নাকি!? সারা জীবনে কেন এত বুদ্ধি বিপর্যয় হচ্ছে? আর তার কারণে সমস্যার মধ্যে ডুবে যাচ্ছো সবাই। যদি সত্যি সত্যিই ঠাকুর ধ'রে থাকো তাহ'লে শুধু অর্থ দারিদ্রতা নয় সবরকম দারিদ্রতা যেমন জ্ঞানের দারিদ্রতা, বুদ্ধির দারিদ্রতা, চরিত্রের দারিদ্রতা, প্রেম-ভালোবাসার দারিদ্রতা ইত্যাদি জীবনের সব দিকের দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাবে।
তাই সবাই এসো! বুক ফাটো ফাটো ক'রে এসো!! সরল মনে এসো। মনের যত নোংরা, কালিমা সব ত্যাগ ক'রে নির্মল হ'য়ে এসো। ঘোমন্ড ব'লে কিছু রেখো না। কপটতা ত্যাগ ক'রে নির্মল উদার মনে বলি, রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে! বলি, দাও হে দয়াল! শক্তি দাও! এমন শক্তি দাও যাবার আগে একটা দাগ রেখে যায়।
(লেখা ১২ই মে'২০২১)
All reaction

No comments:

Post a Comment