বিশ্বজিৎবাবু আপনি লিখেছেন আপনি একজন মূর্খ মানুষ। মূর্খ মানে জানেন তো? মূর্খ মানে শুধু বোকা বা অজ্ঞ নয়। এর সঙ্গে আরও অনেক আছে। মূর্খ মানে বুদ্ধিহীন, অনভিজ্ঞ, নির্বোধ, অশিক্ষিতও! এটা মনে রাখবেন। যদি সত্যি সত্যিই আপনি মূর্খ হন তাহ’লে হাজার হাজার সমুদ্রের সম্মিলিত গভীরতা যে জীবনের গভীরতার কাছে ম্লান হ’য়ে যায়, তুচ্ছ হ’য়ে যায়; লক্ষ কোটি রবীন্দ্রনাথের সম্মিলিত জ্ঞান যে জীবনের গভীরতায় হাবুডুবু খায়, যেখানে তাঁর নিজের আগের রূপ তাঁর বর্তমান রুপের দিকে মুগ্ধ বিস্ময়ে নির্বাক চেয়ে থাকে সেখানে বিশ্বজিৎবাবু ঠাকুরের মত বি------শা-------ল জীবনের মহাসমুদ্রে সাঁতার কাটতে না আসাই ভালো! কথায় কথায় তাঁর হাজার হাজার বাণী, লক্ষ লক্ষ কথার কয়েকটা তুলে ধ’রে তর্ক ক’রে নিজেকে ছোটো না করাই ভালো। ঠাকুরের সম্পর্কে কি বলা হয় জানেন তো? ঠাকুর হলেন, “The Greatest Phenomenon Of The World”. বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়! সেই সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় সম্পর্কে কথা বলতে যাবার আগে আমাদের সকলের হাজারবার, লক্ষবার কোটিবার ভাবা উচিত। ভাবা উচিত নির্জনে নিভৃতে বুকে হাত চাপা দিয়ে বিস্ফারিত নেত্রে স্তম্ভিত বক্ষে ঠাকুরের ফটোর দিকে তাকিয়ে ঠাকুর কেষ্টদার মত মানুষকে কেন বলেছিলেন, “কেষ্টদা আপনার মত একজন ভাঙাচোরা মানুষ নিয়ে এত কান্ড করলেম আর যদি একটা গোটা মানুষ পেতাম তাহ’লে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতাম...।“ তাহ’লে বিশ্বজিৎবাবু কেষ্টদা সম্পর্কে নিশ্চয় জানেন তো? সেই কেষ্টদার মত বিজ্ঞানী সর্বশাস্ত্রে মহাপন্ডিত কেষ্টদা যদি ঠাকুরের কাছে ভাঙাচোরা মানুষ হয় তাহ’লে আপনি আমি কি? তাওতো ঠাকুর কেষ্টদাকে ভাঙাচোরা মানুষ বলেছেন অর্থাৎ একটা ছোট্ট টুকরো হলেও টুকরো আর তাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে হ’লে অন্তত ঘূর্ণি হাওয়ার দরকার আর আপনি আমি তো তাও না, পুরোটাই পাওডার; বসন্তের সামান্য ফুরফুরে হাওয়াতেই কোথায় উড়ে যাবো তার ঠিক নেই!!!!!! একথা মনে রাখবেন বিশ্বজিৎবাবু মৃত্যুর দিন পর্যন্ত। আর যদি বলেন আপনার নিজেকে এই মূর্খ ভাবা আর কিছুই নয় তা’ হ’লো বিনয়ের পরাকাষ্ঠা তাহ’লে বলবো এই বিনয় ঠাকুর শুধু ঠাকুরকেই মানায় আর আপনার আমার মত কোনও সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বিশ্বের কোনও অসাধারণ এমনকি কোনও বিস্ময়কেই মানায় না।
আমি আপনাকে বলেছিলাম প্রফুল্লদার সঙ্গে ঠাকুরের কথোপকথনের বিষয়টার বাস্তবের উপযোগী বিশ্লেষণ দিতে। তাহ’লে আপনার লেখার স্বপক্ষে যুক্তি স্ট্রং হয়, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। আপনি যে ভালো করে লেখা পড়েননি বা পড়েন না তার প্রমাণ ভুরি ভুরি আপনার উত্তরে পাওয়া যায়। এটা হয় মানসিক অস্থিরতার জন্য। আমি আপনাকে লেখা আমার চিঠিতে আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম ঠাকুরের পরিবার ও ঠাকুরের সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র ক’রে ঘটে চলা নানা ঘটনা সম্পর্কিত আপনার মানসিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে। আর আপনি আমার করা একটা প্রশ্নেরও উত্তর তো দিলেন না, বলা ভালো দিতে পারলেন না এবং পারবেনও না কোনওদিন আর বলছেন কিনা ‘আমি এড়িয়ে যাবার মত লোক নই দাদা’!!!!! উল্টে আমাকে বলছেন কোনও পক্ষ না নিয়ে রিচিপ্রসাদদের প্রশ্নগুলি করতে। পক্ষ বিপক্ষ কথা কেন আসছে বুঝলাম না। আমি তাদের কেন প্রশ্ন করবো আর কেনই বা তাদের জিজ্ঞেস করতে যাবো বুঝলাম না। যে প্রশ্নগুলি আপনাকে করেছিলাম সেগুলি আপনার কর্মধারার সঙ্গে সম্পর্কিত। যখনই কাউকে দেখবো আপনার বা আপনাদের মত কেউ ঠাকুরের একান্ত পরমপ্রিয় আত্মজদের নিয়ে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্রদ্ধা করছে, অসম্মান করছে, অপমান, নিন্দা ও কুৎসা করছে, মূল কেন্দ্র থেকে বিযুক্ত হ’য়ে ইষ্টকাজের ভন্ডামি করছে, মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন হ’য়ে যত্রতত্র শাখা প্রশাখা সৃষ্টি ক’রে ইষ্টপ্রাণতার ভাঁড়ামো ক’রে সহজ সরল সাধারণ মানুষের সঙ্গে ধোঁকাবাজি ক’রে ইষ্টকে আয়ের উপকরণ ক’রে তুলেছে ও তুলছে ও জীবিকা নির্বাহ করছে তখনই স্বাভাবিকভাবেই যতদিন এ দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন আপনাকে করা প্রশ্নগুলো তাদেরও ক’রবো।
এবার আসি আপনার লেখা চিঠিতে দেখলাম আপনি রিচিপ্রসাদকে ‘স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু’ বানিয়ে দিয়েছেন আবার লিখেছেন তার শিষ্যও আছে। এই ব্যাপারটা কেমন জানি বালখিল্য হ’য়ে গেল নাকি? আর এর ফলে সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন, সবাইকে সুযোগ ক’রে দিলেন বলবার যে, মস্তিষ্কে কিসের উপস্থিতি? গোবর না নরবর!? আর লিখেছেন আপনি বা আপনারা তাদের দেখানো রাস্তায় চলেন। অর্থাৎ তারা আপনাকে বা আপনাদের বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শত্রু, নরকের কীট ব'লে প্রচার করেন; আর তাই আপনারাও তাদের দেখানো পথেই চলে তাদের বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শতরু, নরকের কীট বলে প্রচার করেন। ভালো কথা তাই-ই যদি হয়, তাদের দেখানো পথেই যদি চলেন তাহ’লে কেন তাদের মত মূল স্রোতে যুক্ত থেকে মূল কেন্দ্রের অনুসারী হ’য়ে চলেন না? তাদের বিষ গ্রহণ করতে আপনি বা আপনারা পটু, সিদ্ধহস্ত কিন্তু তাদের মত অমৃত গ্রহণে পটু সিদ্ধহস্ত ও সুভাগা হ’য়ে উঠছেন না কেন? তাদের গু গায়ে মেখে ‘গুয়েদা’ হ’য়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের মত চন্দন সর্বাঙ্গে মেখে কেন নির্মল আনন্দে গেয়ে উঠছেন না, “প্রভুজি তুমি চন্দন আমি বারি.................” ? আর রিচিপ্রসাদ সম্পর্কে এত উল্টোপাল্টা ভেবে সময় নষ্ট না ক’রে একবার নিজের সম্পর্কে ভেবে দেখুন না আপনার আর ঠাকুরের মাঝে কতটা গ্যাপ থাকলে আজ আপনি এতটা মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন? আপনি আমায় পরমভক্ত ব’লে ব্যঙ্গ করেছেন তা’ আমার কথা ছেড়ে দিন আপনি যদি সত্যি সত্যিই মনে করেন আপনি ঠিক পথে আছেন, আপনি মূল স্রোতে আছেন, আপনি ঠাকুরের পরমভক্ত আর আপনি পরম পূজনীয় শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চেয়েও অনেক অনেক বেশী যোগ্যতাসম্পন্ন দক্ষ, শক্তিমান, ইষ্টপ্রাণ মহাপুরুষ, যোগীপুরুষ, সিদ্ধপুরুষ, ধ্যানীপুরুষ, গোঁসাইগোবিন্দদের সান্নিধ্যে আছেন তাহ’লে কে আপনাকে বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শত্রু, নরকের কীট বললো তা’তে আপনার কি আসে যায়? আপনি তো সৎ কর্মী। আপনি জানেন না, ঠাকুরের বলা আছে, “সৎ কর্ম্মীর কখনো অকল্যান হয় না।“ আপনি এত দুর্বল চিত্তের কেন? ঠাকুরের কথা ভুলে গেছেন না-কি পড়েননি, “ সর্বপ্রথম আমাদের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে...............।“ কথায় কথায় ঠাকুরের বাণী পোষ্ট করেন আর এইবাণীগুলি জানেন না? আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আপনি বা আপনারা ঠাকুরের বাণীগুলি কোথা থেকে পান বলবেন? মিশনারিদের কাছে বা মূল কেন্দ্র বিরোধীদের কাছে তো ঠাকুরের বাণী থাকার কথা নয়! তাহ’লে বাণীগুলি পেলেন কোথা থেকে? আপনারা কি মূল কেন্দ্র ‘সৎসঙ্গ দেওঘর’ থেকে প্রকাশিত ঠাকুরের গ্রন্থগুলি পড়েন? যদি পড়েন তাহ’লে যে মূল কেন্দ্রকে মানেন না, চরম বিরোধিতা করেন, কেন্দ্র পরিচালককে অসম্মান করেন, অমান্য করেন, অপমান করেন সেই কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বই পড়েন কেন? এটা কি দ্বিচারিতা নয়? কি বলেন বিশ্বজিৎবাবু? আর যদি নাই পড়েন তাহ’লে বাণীগুলি কোথা থেকে পেলেন? পান্ডূলিপি পেলেন কোথায়? রহস্য দানা বাঁধছে। একথা মনে রাখবেন, গবেষকদের কাছে মূল কেন্দ্র বহির্ভূত ঠাকুরের বাণী প্রকাশনার কোনও অথেন্টিসিটি নেই।
ক্রমশঃ
( লেখা ১০ইমে'২০১৭)
আমি আপনাকে বলেছিলাম প্রফুল্লদার সঙ্গে ঠাকুরের কথোপকথনের বিষয়টার বাস্তবের উপযোগী বিশ্লেষণ দিতে। তাহ’লে আপনার লেখার স্বপক্ষে যুক্তি স্ট্রং হয়, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। আপনি যে ভালো করে লেখা পড়েননি বা পড়েন না তার প্রমাণ ভুরি ভুরি আপনার উত্তরে পাওয়া যায়। এটা হয় মানসিক অস্থিরতার জন্য। আমি আপনাকে লেখা আমার চিঠিতে আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম ঠাকুরের পরিবার ও ঠাকুরের সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র ক’রে ঘটে চলা নানা ঘটনা সম্পর্কিত আপনার মানসিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে। আর আপনি আমার করা একটা প্রশ্নেরও উত্তর তো দিলেন না, বলা ভালো দিতে পারলেন না এবং পারবেনও না কোনওদিন আর বলছেন কিনা ‘আমি এড়িয়ে যাবার মত লোক নই দাদা’!!!!! উল্টে আমাকে বলছেন কোনও পক্ষ না নিয়ে রিচিপ্রসাদদের প্রশ্নগুলি করতে। পক্ষ বিপক্ষ কথা কেন আসছে বুঝলাম না। আমি তাদের কেন প্রশ্ন করবো আর কেনই বা তাদের জিজ্ঞেস করতে যাবো বুঝলাম না। যে প্রশ্নগুলি আপনাকে করেছিলাম সেগুলি আপনার কর্মধারার সঙ্গে সম্পর্কিত। যখনই কাউকে দেখবো আপনার বা আপনাদের মত কেউ ঠাকুরের একান্ত পরমপ্রিয় আত্মজদের নিয়ে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্রদ্ধা করছে, অসম্মান করছে, অপমান, নিন্দা ও কুৎসা করছে, মূল কেন্দ্র থেকে বিযুক্ত হ’য়ে ইষ্টকাজের ভন্ডামি করছে, মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন হ’য়ে যত্রতত্র শাখা প্রশাখা সৃষ্টি ক’রে ইষ্টপ্রাণতার ভাঁড়ামো ক’রে সহজ সরল সাধারণ মানুষের সঙ্গে ধোঁকাবাজি ক’রে ইষ্টকে আয়ের উপকরণ ক’রে তুলেছে ও তুলছে ও জীবিকা নির্বাহ করছে তখনই স্বাভাবিকভাবেই যতদিন এ দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন আপনাকে করা প্রশ্নগুলো তাদেরও ক’রবো।
এবার আসি আপনার লেখা চিঠিতে দেখলাম আপনি রিচিপ্রসাদকে ‘স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু’ বানিয়ে দিয়েছেন আবার লিখেছেন তার শিষ্যও আছে। এই ব্যাপারটা কেমন জানি বালখিল্য হ’য়ে গেল নাকি? আর এর ফলে সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন, সবাইকে সুযোগ ক’রে দিলেন বলবার যে, মস্তিষ্কে কিসের উপস্থিতি? গোবর না নরবর!? আর লিখেছেন আপনি বা আপনারা তাদের দেখানো রাস্তায় চলেন। অর্থাৎ তারা আপনাকে বা আপনাদের বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শত্রু, নরকের কীট ব'লে প্রচার করেন; আর তাই আপনারাও তাদের দেখানো পথেই চলে তাদের বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শতরু, নরকের কীট বলে প্রচার করেন। ভালো কথা তাই-ই যদি হয়, তাদের দেখানো পথেই যদি চলেন তাহ’লে কেন তাদের মত মূল স্রোতে যুক্ত থেকে মূল কেন্দ্রের অনুসারী হ’য়ে চলেন না? তাদের বিষ গ্রহণ করতে আপনি বা আপনারা পটু, সিদ্ধহস্ত কিন্তু তাদের মত অমৃত গ্রহণে পটু সিদ্ধহস্ত ও সুভাগা হ’য়ে উঠছেন না কেন? তাদের গু গায়ে মেখে ‘গুয়েদা’ হ’য়ে যাচ্ছেন কিন্তু তাদের মত চন্দন সর্বাঙ্গে মেখে কেন নির্মল আনন্দে গেয়ে উঠছেন না, “প্রভুজি তুমি চন্দন আমি বারি.................” ? আর রিচিপ্রসাদ সম্পর্কে এত উল্টোপাল্টা ভেবে সময় নষ্ট না ক’রে একবার নিজের সম্পর্কে ভেবে দেখুন না আপনার আর ঠাকুরের মাঝে কতটা গ্যাপ থাকলে আজ আপনি এতটা মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন? আপনি আমায় পরমভক্ত ব’লে ব্যঙ্গ করেছেন তা’ আমার কথা ছেড়ে দিন আপনি যদি সত্যি সত্যিই মনে করেন আপনি ঠিক পথে আছেন, আপনি মূল স্রোতে আছেন, আপনি ঠাকুরের পরমভক্ত আর আপনি পরম পূজনীয় শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চেয়েও অনেক অনেক বেশী যোগ্যতাসম্পন্ন দক্ষ, শক্তিমান, ইষ্টপ্রাণ মহাপুরুষ, যোগীপুরুষ, সিদ্ধপুরুষ, ধ্যানীপুরুষ, গোঁসাইগোবিন্দদের সান্নিধ্যে আছেন তাহ’লে কে আপনাকে বিকেন্দ্রিক, সৎসঙ্গের শত্রু, নরকের কীট বললো তা’তে আপনার কি আসে যায়? আপনি তো সৎ কর্মী। আপনি জানেন না, ঠাকুরের বলা আছে, “সৎ কর্ম্মীর কখনো অকল্যান হয় না।“ আপনি এত দুর্বল চিত্তের কেন? ঠাকুরের কথা ভুলে গেছেন না-কি পড়েননি, “ সর্বপ্রথম আমাদের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে...............।“ কথায় কথায় ঠাকুরের বাণী পোষ্ট করেন আর এইবাণীগুলি জানেন না? আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি, আপনি বা আপনারা ঠাকুরের বাণীগুলি কোথা থেকে পান বলবেন? মিশনারিদের কাছে বা মূল কেন্দ্র বিরোধীদের কাছে তো ঠাকুরের বাণী থাকার কথা নয়! তাহ’লে বাণীগুলি পেলেন কোথা থেকে? আপনারা কি মূল কেন্দ্র ‘সৎসঙ্গ দেওঘর’ থেকে প্রকাশিত ঠাকুরের গ্রন্থগুলি পড়েন? যদি পড়েন তাহ’লে যে মূল কেন্দ্রকে মানেন না, চরম বিরোধিতা করেন, কেন্দ্র পরিচালককে অসম্মান করেন, অমান্য করেন, অপমান করেন সেই কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বই পড়েন কেন? এটা কি দ্বিচারিতা নয়? কি বলেন বিশ্বজিৎবাবু? আর যদি নাই পড়েন তাহ’লে বাণীগুলি কোথা থেকে পেলেন? পান্ডূলিপি পেলেন কোথায়? রহস্য দানা বাঁধছে। একথা মনে রাখবেন, গবেষকদের কাছে মূল কেন্দ্র বহির্ভূত ঠাকুরের বাণী প্রকাশনার কোনও অথেন্টিসিটি নেই।
ক্রমশঃ
( লেখা ১০ইমে'২০১৭)
No comments:
Post a Comment