এইসমস্ত ছদ্মবেশী সনাতনী বা স্বঘোষিত সনাতনী কলঙ্ক না জেনে, না বুঝে, না পড়ে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী হ'য়ে সমাজ কো বদল ডালো মেজাজে হাজার বছরের জীবন বিজ্ঞান যা সমাজ, সভ্যতা ও জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল বিষয় সেই বিষয়ে আলটপকা মন্তব্য ক'রে----- তাও প্রকাশ্যে নেট দুনিয়ায়----- সমাজ, সভ্যতাকে বিষাক্ত ক'রে চলেছেন। এর পিছনের রহস্য অনালোকিত।
তাদের কাছে অনুরোধ, এই কাজ থেকে বিরত থাকুন। গভীর জটিল জন্মবিজ্ঞান সম্পর্কে মন্তব্য করুন কিন্তু আগে বিবাহ বিজ্ঞান, জন্মবিজ্ঞান ইত্যাদির উপরে গভীর পড়াশুনা করুন, রিসার্চ করুন, উপলব্ধি করুন, অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, যারা এই বিষয়ে পণ্ডিত বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন।যুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে মতের আদানপ্রদান করুন। তারপর না হয় আসুন আপনার গভীর জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিকে সমাজের বুকে চারিয়ে দিতে। পড়াশুনা ক'রে দেখুন সত্যিই হাজার বছরের প্রাচীন বিবাহ সম্পর্কিত এই সনাতনী ধারার গভীরে কোনো বিজ্ঞান আছে কিনা। যদি কোনও বিজ্ঞান না থাকে তবে বলুন, সোচ্চার হ'ন ঘরে বাইরে প্রকাশ্যে নেট দুনিয়ায়। আর যদি তা না পারেন তাহ'লে ভাসাভাসা অল্প বিদ্যায় ভয়ঙ্করী হ'য়ে তথাকথিত সনাতনী সেজে সমস্ত খিচুড়ি ক'রে দেবার লক্ষ্যে বিপ্লবী সাজবেন না। সনাতনী সেজে সনাতনের মূলকে আঘাত করতে তারাই পারে যারা প্রকৃত সনাতনী নয়। তাই সাধু সাবধান! গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান বিষয়ক ও সমাজ বিষয়ক বিষয়ে টাট্টি কা মাফিক বাত ব'লে সমাজকে কলুষিত করবেন না। মুখ বন্ধ রাখুন। কারণ এই শিক্ষায় শিক্ষিত হ'য়ে আপনার প্রিয়জনেরও ক্ষতি হ'য়ে যাবে। নিজের ক্ষতি করবেন না ও অন্যেরও ক্ষতি করবেন না। নিজের মানসিক চিন্তাভাবনা ও শিক্ষার যত্ন নিন।
আবার বলি বিবাহ বিজ্ঞান, জন্ম বিজ্ঞানের ওপর রিসার্চিক মেন্টালিটি নিয়ে পড়াশোনা করুন। দেখুন কিছু পান কিনা। কথাগুলো বললাম এইজন্য যে আমিও একজন আপনার মত সমাজে অবস্থানকারী মানুষ আর তাই সমাজকে সুস্থ রাখার দায় আমারও আছে। ভালো থাকুন।
( লেখা ২১শে জুলাই/ ২০২২ )
No comments:
Post a Comment