এইসমস্ত হিন্দু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেরা তো হিন্দু ধর্ম মানে না এবং হিন্দু ধর্মের মানুষ হিসেবে প্রেরিত পুরুষ পুরুষোত্তমদের গ্রহণ করা তো দূরের কথা স্বীকার পর্যন্ত করে না, উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা করেন এমন সব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কপট মানুষ ইসলাম ধর্মের পক্ষে সাফাই গায়, রায় দেয়। এইবেলায় তাদের লজ্জা লাগে না, ইজ্জতে লাগে না। যত লজ্জা, আপত্তি, বিরোধিতা, প্রতিবাদ তাদের হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু ধর্মের প্রেরিত পুরুষদের বিরুদ্ধে। আর তা বালখিল্য গাঁজাখুরি পান্ডিত্যের ওপর দাঁড়িয়ে। এখানেই প্রমাণ হয় তাদের বায়োলজিক্যাল ডিফেক্টের।
যাই হ'ক, একটু খোলসা ক'রে বলি না বুঝতে পারা বন্ধুদের জন্যে। সবাই হয়তো এই জটিল ও কঠিন বিষয় বুঝে উঠতে পারে না। না পারা কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তাই এইধরণের ধর্ম ও ঈশ্বর না মানা বুদ্ধিজীবীদের ধর্ম ও ঈশ্বর সম্পর্কে বালখিল্য পান্ডিত্যের ব্যাপারে একটু ডিটেলসে আলোচনায় এলাম। তারা যা মানে না, অস্বীকার করে সেই সম্পর্কে তারা ধর্ম ও ঈশ্বরবিশ্বাসীদের জ্ঞান দেবে।
এমনই একটা লেখা চোখে পড়লো ফেসবুকে বাংলাদেশের এক হিন্দু বুদ্ধিজীবীর কলমে। আসলে সমস্যা হচ্ছে ঘোমটার তলায় খেমটা নাচ। উদারতার ভঙ্গীতে মুসলমানদের খুশী করার অভিনব চাটুকারিতা। এই আলোচনায় আমার বক্তব্যের মধ্যে তথাকথিত চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বক্তব্য বুঝতে পারবেন পাঠক মহল।
প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধর্ম শান্তির ধর্ম না? কোন ধর্মে অশান্তির কথা বলা আছে? ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক প্রভু মহম্মদ কি তাঁর প্রচারিত ধর্মকে বা স্পেশিফিক কোনও ধর্মকে শুধু শান্তির ধর্ম ব'লে গেছেন? প্রশ্ন হচ্ছে, প্রভু হজরত মহম্মদের কথা মানবো না কি শুধু তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা ও শুধু কথার স্রোতে ভাসা পোঙা পন্ডিতদের কথা মানবো? তাদের কাছে প্রশ্নঃ আপনারা হিন্দু হ'য়ে, হিন্দুধর্মের বুদ্ধিজীবী হ'য়ে হিন্দু ধর্মের প্রকৃত সারবত্তা সম্পর্কে জেনে বুঝে সারা পৃথিবী হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলে মন্দ কি এমন কথা তো ফেসবুকে লেখেন না? প্রচার করেন না? কেন? ইসলাম ধর্মের পক্ষে আপনাদের ওকালতি করা বক্তব্যের মতো সারা পৃথিবী যদি হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জেনে হিন্দু ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি ধর্ম গ্রহণ ক'রে ফেলে তাতেই বা ক্ষতি কি বা লাভ কি? তেমনিভাবে আমি হিন্দু; তো হিন্দু ধর্মের স্বপক্ষে পক্ষপাতিত্ব স্বরূপ আমি বলতেই পারি হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য জেনে পৃথিবীর সব মানুষ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করলেই বা মন্দ কি আর ভালোই বা কি? শুধু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আপনাদের পক্ষপাতিত্য কেন? আর কেনই বা শুধু হিন্দু ধর্মের অমানবিক, অবাস্তব, অসভ্য, কুসংস্কারাছন্ন, বিকৃত কর্মকান্ড তুলে ধরেন, প্রচার করেন কিন্তু ইসলাম ধর্মের নামে যে অমানবিক, বিকৃত, অবাস্তব, অসভ্য, কুসংস্কার, পরিকল্পিত মিথ্যে প্রচার ও কর্মকান্ড ঘটে চলেছে বিশ্বজুড়ে তখন কেন তা তুলে ধরেন না? তখন কোথায় থাকে আপনাদের নিরপেক্ষতা, পাণ্ডিত্য, সততা, মানবিকতা, মনুষ্যত্ব বোধ!?
অবাস্তব অবৈজ্ঞানিক কথা ব'লে বিকৃতির জন্ম দেওয়া যায় ঈশ্বর অবিশ্বাসী হিসেবে কোনও সম্প্রদায়কে খুশী করার মতলবে ব্যক্তি হীনস্বার্থে। কিন্তু সত্য কখনও মিথ্যা হ'য়ে যায় না, আবার মিথ্যা কখনও সত্য হ'য়ে যায় না। অবাস্তব, অবৈজ্ঞানিক কথা বা তত্ত্বকথা কখনো কথার মারপ্যাঁচে বা শব্দের জাগলারিতে বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক হ'য়ে যায় না। ধর্মান্তর প্রথা বিকৃত মানসিকতার ফসল। ধর্মান্তর শিক্ষা বা আলোচনা বা প্রচার ব্যভিচারী শিক্ষা, ব্যভিচারী সংস্কৃতি, ব্যভিচারী শিক্ষা ও ব্যভিচারী আলোচনা। ধর্মান্তর কোনও পুরুষোত্তমই সমর্থন করেননি কোনও যুগেও। যারা আমরা ধর্ম ও প্রফেট মানি না কিম্বা সম্প্রদায়কে ধর্ম ব'লে জানি ও মানি এবং প্রফেটের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি ক'রে ঈশ্বরবিশ্বাসীদের মধ্যে বিচ্ছেদ আনি আমরা তারাই ম্লেচ্ছ।
তাই, যে যার ধর্মকে ও সেই মতের প্রবর্তককে বা প্রেরিত পুরুষ পুরুষোত্তমকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জেনে ও মেনে শ্রদ্ধার সঙ্গে অন্য ধর্ম ও অন্য মতের প্রবর্তক বা প্রেরিত পুরুষ পুরুষোত্তমকে জেনে ও মেনে সাম্প্রতিক পুরুষোত্তমে আত্মসমপর্ণ করে সেই প্রকৃত ঈশ্বরপ্রেমী হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি। এর জন্য নিজের ধর্ম ত্যাগ ক'রে অন্যের ধর্ম হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্ম গ্রহণ করতে হয় না। আর এমন ব্যভিচারী, ম্লেচ্ছ, অবৈজ্ঞানিক, বিকৃত, ধ্বংসাত্মক, সভ্যতা নষ্টকারী, ভারসাম্য ধ্বংসকারী কথা কখনোই কোনও জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তম সেই রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও শ্রশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেননি, তাঁরা বলেন না। ধর্মান্তর প্রকৃতির ভারসাম্যকে ভেঙ্গে চুরমার ক'রে ধ্বংসের রাস্তা তৈরী করার এক সর্বনাশা ব্যভিচারী পন্থা। এসবের প্রচারক যারা generous pose নিয়ে সব একাকার করার বুদ্ধি নিয়ে চলে তারা মানব সভ্যতার শত্রু। তা জেনেই হ'ক আর না জেনেই হ'ক। তাদের কোনও অধিকার নেই ধর্ম ও প্রফেটদের সম্পর্কে কোনও কথা বলার। নির্লজ্জ বেহায়ারা অনধিকার চর্চা করে।
জয়গুরু।
প্রবি।
উত্তরপাড়া, ভদ্রকালী,
হুগলী।
No comments:
Post a Comment