Powered By Blogger

Wednesday, May 3, 2023

প্রবন্ধঃ কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী পুজো ও সৎসঙ্গীদের প্রতি আবেদন,

কোন্নগড়ে শকুন্তলা কালী মায়ের পুজো ও সৎসঙ্গীবৃন্দ (১ থেকে ৮ পর্যন্ত) আর্টিকেল সিরিজ-এ প্রকাশিত বক্তব্য সম্পর্কে আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন যারা শকুন্তলা কালী মায়ের পুজোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন বা করেছেন বা অন্যান্য জায়গায় যেখানে মায়ের পুজোয় বলীর নামে নারকীয় নৃশংস হত্যালীলা চালানো হয় আর রক্ত মাংস হাড়-এর বীভৎসতাকে প্রসাদে পরিণত করা হয় যেমন তারাপীঠ-এ প্রসাদের মধ্যে আমিষ প্রসাদ মাছ ও নিরামিষ নানা উপকরণের মধ্যে সবার সেরা মায়ের প্রধান প্রসাদ কচি পাঠার ঝোল (বুড়ো পাঠা হ'লে চলবে না) প্রসাদ রূপে গ্রহণ করতে যান বা মায়ের কাছে প্রসাদ চড়াতে যান তাদের কাছে আমার বিনীত নিবেদনঃ

১) আপনারা মায়ের পুজো করুন আমার আপত্তি নেই কিন্তু ঠাকুর যতবার এসেছিলেন রক্তমাংসের জীবন্ত ঈশ্বর রূপে মানুষের পৃথিবীতে মানুষ মায়ের গর্ভে মানুষের জন্য সেই জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রী রামচন্দ্র, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ পূর্ণ অবতারী বিশ্বের সমস্ত বিস্ময়ের বিস্ময় সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তারা কি বলে গেছেন এই মূর্তি পূজা ও পূজা পদ্ধতি সম্পর্কে সেটা অন্তত তার দীক্ষিত সৎসঙ্গী হিসেবে জানুন বা জানার চেষ্টা করুন।

২) ঈশ্বরের সন্তানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে যে ঈশ্বরের আরাধনা করা হয় সেই স্থানে যাওয়ার আগে আপনার আরাধ্য দেবতা গুরু সৃষ্টিকর্তা জীবন্ত ঈশ্বর পুরুষোত্তম পরমপিতা দয়ালের মুখটা একবার ভাবুন, ভাবুন তার বা তার পূর্ব পূর্ব রূপের এ বিষয়ে কি অবস্থান ছিল সেই কথা।

৩) ভাবুন একবার অন্তত একবার কেন তাকে দয়াল ঠাকুর, প্রেমের ঠাকুর, পরম প্রেমময় ব'লে ডাকা হয়।

৪) দয়ালের একান্ত আপনার জন তার সোনার সৎসঙ্গীরা নৃশংস নারকীয় হত্যালীলার সমর্থনকারী ও ভক্ত পূজারী? এ কথা বা এ দৃশ্য দয়ালের কাছে কতটা বেদনাদায়ক তা একবার তার মুখের দিকে তাকিয়ে ভেবে দেখুন।

৫) সর্বশক্তিমান ঈশ্বর যতবার এসেছেন ধরাধামে ততবারই তিনি বলে গেছেন সর্বধর্ম্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ। এই কথা যদি নিজের জীবনে ফুটিয়ে তুলতে না পারি অন্তত যেন ঈশ্বর পূজার নামে বীভৎস নারকীয় হত্যালীলা সংঘটিত হয় যে যে স্থানে সেই সেই নরক সদৃশ পূজানুষ্ঠানে যোগদান করা তো দূরের কথা সেই স্থানের মুখ দর্শন যেন না করি।

৬) হে আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন আমরা তো জীবনবাদের পূজারী ও প্রচারক তাহ'লে জীবনবাদের যিনি স্রষ্টা তার সন্তান আমরা কি করে ঈশ্বর পূজার নামে মরণবাদের আরাধনা ও পৃষ্টপোষকতা করি?

৭) সৎসঙ্গী দাদারা ও মায়েরা আপনারা তো জানেন শ্রীশ্রী ঠাকুরের অমৃত আহবান "ম'রো না, মেরো না, পারো তো মৃত্যুকে অবলুপ্ত করো।" তাহ'লে আমরা জীবনবাদের বাদী সৎসঙ্গীরা কি ক'রে মৃত্য যে পূজার মূল মন্ত্র, মৃত্যু দিয়ে যে মাকে, যে ঈশ্বরকে আবাহন করা হয় সেই পূজার আরাধনা করি, উপস্থিত থাকি?

৮) হে আমার ঠাকুরের শিষ্যগণ আপনার ঠাকুর যে প্রেমিক পুরুষ, প্রেমময় ভালোবাসাময় এক মহা সমুদ্র সেই ভালোবাসার সমুদ্রে ডুব দিয়ে রক্ত মাংস হাড়ের নৃশংস বীভৎস জীবের মাথার খুলি তুলে আনতে আপনার মায়ের পূজার নামে, ঈশ্বর আরাধনার নামে মৃত্যুপুরীতে যাওয়া থেকে নিজেদের নিবৃত্ত করুন ও দয়ালকে প্রকৃত মানুষ ভিক্ষা দিন।

৯) একবার ভেবে দেখো ঈশ্বর পূজারী ধার্মিক যে দয়াল সারাজীবন " কে কোথায় আছো আমায় মানুষ ভিক্ষা দাও" ব'লে কেদেছেন সেই দয়াল কি আপনার আমার মতন নিষ্ঠুর অমানবিক হিংস্র মানুষ ভিক্ষা চেয়েছিলেন?

১০) দয়াল কি ব'লে যাননি, হিংসাকে হিংসা করো। হিংসাকে পরিহার করো আর প্রেমকে প্রার্থনা করো? ঈশ্বর পূজারী ধার্মিক তুমি তোমরা ভুলে গেলে কি ক'রে এই কথা!? তিনি কি ব'লে যাননি, "বীর হও, কিন্তু হিংস্রক হ'য়ে বাঘ-ভালুক সেজে ব'স না।"

১১) ধর্ম পালন কি হিংসাকে পালন করে?
১২) ঈশ্বর আরাধনার লক্ষ্য কি মৃত্যুকে আলিঙ্গন? জীবনকে খতম ক'রে বীভৎস নারকীয় মৃত্যুকে আবাহন?

আমার সৎসঙ্গী গুরুভাইবোনেদের প্রতি আমার অধিকার বোধে আবেদন করলাম। জয়গুরু।

(লেখা ৩রা মে' ২০২২)

No comments:

Post a Comment