মানুষের বৃত্তি-প্রবৃত্তিতে সুড়সুড়ি দিয়ে দিয়ে তাদের মোহগ্রস্থ ক'রে তুলে সাময়িক ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, শেষ রক্ষা হয় না। মানুষকে রিপুর তাড়নায় তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বৃত্তি-প্রবৃত্তির বৃত্তের মধ্যে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাদের কথাকে ভগবানের কথা ব'লে তকমা দিয়ে সিংহাসন লাভ করা যায় কিন্তু শেষের সেদিন হয় ভয়ঙ্কর! শরীরে-মনে নিয়ন্ত্রণহীন মানুষকে তাদের উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খল জীবনকে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে আরো আরো নিয়ন্ত্রণহীন জীবনের অধিকারী ক'রে তুলে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া মানুষের দুর্দ্দশার সময়ে সহানুভূতি সমবেদনা প্রকাশের জন্য একজনও থাকবে না জীবনের শেষের দিনগুলিতে! শক্ত সমর্থ খেটে খাওয়া মানুষকে, সুস্থ ভরপুর যৌবন উদ্ভিন্ন যুবকযুবতীকে সাহায্যের নামে চটজলদি পাইয়ে দেওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত ক'রে তু'লে কিছু না ক'রে পাওয়ার, বসে বসে খাওয়ার মানসিকতায় জীবনকে সম্পূর্ণরুপে পঙ্গু ক'রে দেওয়ার প্রক্রিয়া আসলে নিজের ভবিষ্যতকে অসুরক্ষিত ও পঙ্গু ক'রে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
"মুসোলিনি কে একদিন যারা অত মানত তারাই তাকে খতম করে দিল । প্রবৃত্তি প্রলোভনের কথা মানুষের সত্তাকে হীন করে ক্ষীন করে । তা' তাদের সম্বদ্ধির্ত করে না, তাদের being (সত্তা) ওতে exalted (উন্নীত ) হ'য়ে ওঠে না।।" শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
একথা দেশের নেতানেত্রীরা কবে বুঝবে!? ভারত কবে সাবালক ও পরিণত হবে!? কবে দেশের অসহায় ভাঙাচোরা জনগণ দ্রষ্টাপুরুষকে দেশের অভিভাবক হিসেবে পাবে!? হয়তো একদিন পাবে কিম্বা হয়তো কোনদিনই পাবে না। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে আগামী পৃথিবী। আর এর জন্যে দায়ী থাকবে জনগণ নিজেই।
( লেখা ১১ই মে, ২০২১ )
No comments:
Post a Comment