Powered By Blogger

Tuesday, May 30, 2023

প্রবন্ধঃ শ্রীশ্রীঠাকুরের সর্বশ্রেষ্ঠ লীলা: শ্রীশ্রীবড়দা ও পিতা পুত্রের লীলা!

শ্রীশ্রীঠাকুরের জেনারেশন কি করেছেন আর করেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক বাঙালি তথাকথিত বালখিল্য ভক্ত! সেটা জন্ডিস চোখ, খোল ভর্তি কান, মল ভর্তি মন আর হৃদয় দিয়ে দেখতে, শুনতে, জানতে আর বুঝতে এ জীবনে আর পারা সম্ভব নয় যারা তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাদের। শ্রীশ্রীঠাকুর সব কিছু দিতে পারেন বলে একশ্রেণীর তথাকথিত শক্ত ভক্তের দল শুয়োরের মত ঘোঁৎ ঘোঁৎ ক'রে ছুটে এসে জিরাফের মত গলা উঁচিয়ে আর ষাঁড়ের মত চেঁচিয়ে ফেসবুকের আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে দিচ্ছে আর প্রশ্ন তুলছে শ্রীশ্রীঠাকুরের জেনারেশনের ভূমিকা নিয়ে যে তাঁদের প্রচারের কি আছে!? তা' শ্রীশ্রীঠাকুর কি দিয়েছেন যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাদের তখন জাদু সম্রাটের ম্যাজিকের মত "গিলি গিলি ওকাস ফোকাস! ভ্যানিশ" অবস্থা প্রাপ্ত হয়!!!!!!!! শ্রীশ্রীঠাকুর আমার জন্য, আমাদের জন্য কি দিয়েছেন সেটা বোঝা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়, বোধ বুদ্ধির গন্ডির বাইরে! শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর জীবদ্দশায় মানবজাতির বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা সর্বোপরি সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য যা দিয়ে গেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয়: শ্রীশ্রীবড়দা!!!! জীবন ও সৃষ্টিকে রক্ষা করা ও এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য শ্রীশ্রীঠাকুর 25হাজার বাণী ও বিভিন্ন বিষয়ে সীমাহীন কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে সমস্ত সমস্যা সমাধানের তুক দিয়ে গেছেন। এইসমস্ত দিয়ে যাওয়া কৃষ্টি সংস্কৃতির মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দিয়ে যাওয়া হ'লো তাঁর একইসঙ্গে ঔরসজাত ও কৃষ্টিজাত পরম আদরের সন্তান বড়খোকা; সৎসঙ্গ জগতের চোখের মণি এ যুগের হনুমান, অর্জুন, নিত্যানন্দ, বিবেকানন্দ রূপে বিশ্ববাসীর সর্বজনশ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীবড়দা!!!!!!! আর এবারের এই শেষ কলিযুগে শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রেষ্ঠ লীলা পিতাপুত্রের লীলা!!!!! পিতাপুত্রের লীলার মধ্যে সেই তাঁর বারবার ব'লে যাওয়া "আজও লীলা করে গৌরচাঁদ রাই, কোনও কোনও ভাগ্যবান দেখিবারে পায়" এই চিরন্তন সত্য প্রমাণিত হ'য়ে চলেছে!!!!! বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান ও সর্বশ্রেষ্ঠ লীলা: শ্রীশ্রীবড়দা ও পিতা পুত্রের লীলা!!!!!! ভাগ্যবান ভক্তেরাই সেই লীলা দেখতে পায়! বাকিরা 3 নম্বর ছাগল ছানার দশা পায়!!
আচ্ছা ঠাকুর নিজেই কি প্রচার চাইতেন? তাহ'লে তাঁর জেনারেশন কেন চাইবেন তাঁরা কি করছেন বা কি করেছেন তার প্রচার হোক!? এইবোধটুকুই যাদের নেই তারা শ্রীশ্রীঠাকুরের জেনারেশনের বিরুদ্ধাচরণ করতে নেবে পড়েছেন বালখিল্য বীর সৈনিকের মত! আর এর সিংহ ভাগে জ্বলজ্বল ক'রে বিরাজ করছে চিরকালের পরনিন্দা পরচর্চায় পটু কাঁকড়ার জাত বাঙালী!!!!!!! শ্রীশ্রীঠাকুর যখন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়, যখন গোটা ভারত তথা বিশ্ব তাঁকে নিয়ে মাতাল তখন গোটা বিশ্বের বিস্ময়কর কাঁকড়ার জাত বাঙালি সেই সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর ব্যক্তিত্বকে নিয়ে, তাঁর পরবর্তী জেনারেশনকে নিয়ে কুৎসা, নিন্দা, অপমান, অশ্রদ্ধা, গালাগালি ক'রে চলেছে ক্রমাগত!!!!! ঈশ্বর স্বয়ং যখন মানুষ রূপে আবির্ভুত হন আর সেই রূপ ধারণ করেন বাংলার বুকে বাঙালি হ'য়ে তখন বাঙালী জাতি হিসাবে রক্তের শুদ্ধতা ও শ্রেষ্ঠত্বের দাবি থেকে সরে এসে বিশ্বের কাছে নিজেদের শ্রেষ্ঠ কুলাঙ্গার হিসাবে প্রমাণ করতে ব্যস্ত বাংলা তথা তথাকথিত বাঙালি!!!! এই ট্র্যাডিশন চলে আসছে সেই স্বাধীনতার সময় থেকে! পূর্ববাংলা বর্তমানে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ অর্থাৎ ওপার বাংলার মাটিতে ঠাকুরের ঠাঁই যেমন হয়নি, ওপার বাংলার বাঙালি যেমন ঠাকুরকে ধরে রাখতে বা পরবর্তী সময়ে ঠাকুরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি ও পারেনি ঠিক তেমনি এই বাংলার বুকেও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশভাগের সময় এই বাংলা ও বাঙালিও আশ্রয় দেয়নি The greatest phenomenon of the world SriSriThaur Anukulchandra-কে! তাঁকে চলে যেতে হয়েছে ওপার বাংলা, এপার বাংলা থেকে দূরে বিহার বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের পাহাড়ি রুখসুখো লাল মাটিতে! এর পরেও বাংলা ও বাঙালি বড় বড় কথা ব'লে নিজেকে বিশ্বের দরবারে বড় করে তুলে ধরতে চায়!
এই যে ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবার নিয়ে অদীক্ষিত ও দীক্ষিত বাঙালি কুলাঙ্গারদের টক অম্ল ঢেঁকুর সহ বমনের প্রক্রিয়া চালু রয়েছে তাতে কি হয়েছে? তাতে কি শ্রীশ্রীঠাকুরের রথ কুলাঙ্গার বাঙালিরা থামাতে পেরেছে না পারছে? যারা শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে, শ্রীশ্রীঠাকুরের পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে অশ্লীল বাক্যবাণ- এ তাঁদের ক্ষতবিক্ষত ক'রে চলেছেন তারা শ্রীশ্রীঠাকুর ও তাঁর পরবর্তী জেনারেশনকে চোখে দেখেছেন সামনাসামনি? সঙ্গ করেছেন কোনোদিন? কোনও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে!? চিল কান নিয়ে গেছে শুনে কানে হাত দিয়ে কান আছে কি নেই তা দেখে না নিয়ে বকনা বাছুরের মত পেছন তুলে তুলে লাফাতে লাফাতে তো চিলের পিছনে দৌড়োচ্ছেন সেই বালখিল্য সমালোচকদের দল!!!!! করবেন আর কি? পরের মুখে ঝাল খেয়ে খেয়ে চিরকাল চালিয়ে আসা বা১৯ঙালির জীবনের শেষ সময় তো ঘনিয়ে এলো! শ্রীশ্রীঠাকুর নিয়ে প্রেম ভালোবাসার বন্যা ছোটাচ্ছেন আর একদল; অথচ Direct observation ব'লে একটা কথার ওপর ঠাকুর যে জোর দিয়েছেন সেটা জানেন না!!!!!! জানলেও ফলো করেন না। এই তো ঠাকুর প্রেম!!!!!!! লক্ষ লক্ষ লোক প্রতিদিন শ্রীশ্রীঠাকুরের পরবর্তী জেনারেশনের কাছে ছুটে যাচ্ছেন; ছুটে যাচ্ছেন রোগ, শোক, ব্যাধি থেকে মুক্ত হ'তে, সমস্যা জর্জরিত জীবনে চলার পথে দিশা পেতে, পড়াশুনা-চাকরি- ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে পরামর্শ নিতে, মৃত্যুভয় থেকে উদ্ধার পেতে, পারিবারিক সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে, জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে তুক পেতে, সন্তান বিপথগামী, স্বামীস্ত্রীর ঝগড়া, বিচ্ছেদ, ভাড়াটিয়ার বাড়ি-ঘর দখল, পাড়ার মাস্তানদের মস্তানী, জমিবাড়ি ভাগাভাগি সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে পীড়িত হ'য়ে ছুটে আসে ঘোর অন্ধকারে আলোর সন্ধান পেতে তারা সবাই চার অক্ষর আর এইসমস্ত নিন্দুক নিকৃষ্ট কুলাঙ্গার বাঙালি একমাত্র চালাক.......!!!!!!!
এইজন্যই বোধহয় অন্তর্যামী ও সর্বজ্ঞ শ্রীশ্রীঠাকুর দুঃখ ক'রে বলেছিলেন, "আমার সৎসঙ্গের আন্দোলন বাংলার বাইরে থেকে হবে, বাংলা থেকে হবে না!"
একি অভিশাপ নাকি পরোক্ষ আশীর্বাদ!!!!!!!! তাঁর মুখের কথা ফলবেই তবুও সান্তনা বাঙালি হিসাবে যে তিনি একথা ঠিক যে 'বাংলা' বলেছেন কিন্তু বাঙালি বলেননি!!!!!!!
যাক সময় থাকতে নিজেদেরকে শুধরে নিন এটুকুই বলতে পারি নতুবা শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর!!!!!
কথায় আছে, কখনো না হওয়ার চেয়ে দেরীতে হওয়াও ভালো। বাংলা ও বাঙালি এই প্রবাদের উদাহরণ হ'য়ে উঠুক।
(লেখা ৩০শে মে ২০১৯)

No comments:

Post a Comment