Powered By Blogger

Sunday, May 14, 2023

প্রবি সমাচার ১৪

আজ রাজ্য সরকারের তরফে দু'সপ্তাহের জন্য ফুল লকডাউন ঘোষণা করা হ'লো। আর ঘোষণা করা হ'লো ঠিক ঈদের ঠিক পরে পরেই।
এই নিয়ে শুরু হ'য়ে গেছে তোলপাড়। বিতর্কিত মন্তব্যে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। সকাল থেকে ফোন আর ওয়াট আপে রাজ্য সরকার আর সম্প্রদায়ের বাপ বাপান্ত। রাজ্য সরকারের ভুমিকা আজ পক্ষপাতিত্যের প্রশ্নে সমালোচিত। এই পর্যায়ের সমালোচনার পিছনে দীর্ঘদিনের ঠিক বেঠিক সত্য মিথ্যা অনেক কারণ আছে। ঘোলা জলের মত হ'য়ে গেছে পরিবেশ পরিস্থিতি। এই ঘোলা জলের পরিবেশ পরিস্থিতিতে ল্যাঠা মাচ ধরতে নেবে পড়েছে অতি উৎসাহীর দল আগু পিছু না ভেবেই। আর এই বিতর্কিত মন্তব্যে কিছু সৎসঙ্গী সামিল হ'য়ে গেছে অতি উৎসাহে। তাদের মন্তব্যে রাজনৈতিক খোঁচাও আছে।

এই সম্পর্কে সৎসঙ্গী ভাইবোনের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যঃ
সৎসঙ্গীদের ভেবে চিন্তে মতামত প্রকাশ করা উচিত। কারণ আমার সঙ্গে আমার ঠাকুর জড়িয়ে আছে। আমার ভুল অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন মতামত ঠাকুরের ভাবমূর্তিকে আঘাত করে। আমার জন্য, আমার ভুল বিশ্লেষণের জন্য সাধারণ ভাঙাচোরা দীক্ষিত অদীক্ষিত মানুষের মধ্যে ঠাকুর সম্পর্কে ভুল বার্তা যায়। ঈদ আমার দয়ালেরই অন্য রূপের উৎসব এটা যেন আমরা সৎসঙ্গীরা অন্তত ভুলে না যায়। যে কোনও সম্প্রদায়ের যে কোনও উৎসবের সময় পরিবেশ পরিস্থিতি যদি অনুকূল না থাকে তাহ'লে মানসিক, পারিবারিক ও পারিপার্শিক কি অবস্থা হয় যাদের হয় তারাই বোঝে। যেমন সাপের ছোবল যে খায়নি সে কি বুঝবে সাপের বিষের তীব্র অসহনীয় জ্বালা? একচক্ষু হরিণের মত যেন আমরা সৎসঙ্গীরা কাজ না করি, ভাবনা চিন্তা না করি। আমরা যেন কোয়ান্টিটির স্টেজ পার হ'য়ে কোয়ালিটিতে উত্তীর্ণ হ'ই। মাথায় রাখতে হবে ঠাকুর মানুষ চেয়েছিলেন, মানুষ মানুষ ক'রে কেঁদেছিলেন। আর আমরা মানুষ হওয়া তো দূরের কথা ঠাকুরের কলঙ্ক যেন না হ'ই। ঈদের সময়, ঈদের আগে আর ঈদের পরে লক ডাউন সংক্রান্ত প্রশ্নে কিছু বিতর্ক থাকতেই পারে, পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে কোনও প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক কিন্তু সেই প্রশ্ন, সেই বিতর্ক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন নষ্ট না করে আমাদের মত ঠাকুর সেজে বসা লোকেদের দ্বারা। কি হিন্দু, কি মুসলিম, কি খ্রিষ্টান তা যে যে সম্প্রদায়ের লোক হ'ক না কেন আমরা কেউ যেন অতি উৎসাহে অতি বিজ্ঞের মত কথা বলতে গিয়ে গোটা সম্প্রদায়কে আঘাত ক'রে না বসি।

It is nothing but co-incidence. Id & Corona have been merged in the time womb at a time. এর জন্য কোনও সম্প্রদায় জড়িয়ে যায় এমন কোনও বিতর্কিত ইংগিতপূর্ণ মন্তব্য করা সম্পর্কে যেন আমরা সৎসঙ্গীরা সতর্ক থাকি। ঠাকুরের অবস্থান সম্পর্কে আমরা সৎসঙ্গীরা যেন ওয়াকিবহাল থাকি। নইলে ঠাকুর থেকে সরে থাকা ভালো। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন মন্তব্য থেকে সৎসঙ্গীদের সাবধান থাকা উচিত। আমরা যেন ভুলে না যায় সৎসঙ্গীদের মধ্যে অনেক মুসলমান ভাইবোন আছে। রাজনৈতিক বাতাবরণের মধ্যে জড়িয়ে গিয়ে আমরা হিন্দু সৎসঙ্গীরা যেন মুসলমান সৎসঙ্গীদের মধ্যে বিরোধ বিভেদের বীজ বপন না ক'রে বসি। আমরা যেন ভুলে না যায় পরমপিতা পুরুষোত্তম সৃষ্টিকর্তা জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর অনূকূলচন্দ্র বাঙালি তথা হিন্দুদের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যেমন পরমপিতা হজরত মোহম্মদ, যিশুখ্রিস্ট, বুদ্ধ মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ঠিক তেমনি রাম, কৃষ্ণ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণের বেলায় একইভাবে একই কথা প্রযোজ্য। তাঁরাও কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমাদের ঠাকুর এরকম দেখতে চাননি। এরকম বিতর্কিত বিকেন্দ্রিক চলন শেখাননি। আমরা যেন ভুলে না যায় সৎসঙ্গ একটা স্কুল। এই স্কুলে ভর্তি হ'য়ে যেন আমরা ঠাকুর দর্শন সম্পর্কে অজ্ঞ না থাকি। আমরা যেন রাজনীতিকে রাজনীতির জায়গায় আর ঠাকুরকে ঠাকুরের জায়গায় রাখি; খিচুড়ি পাকিয়ে না দিই। আমার চলন চরিত্রই যেন ব'লে দেয় আমার ঠাকুরের চলন চরিত্র কেমন। আমার জীবনই যেন ব'লে দেয় আমার ঠাকুরের জীবন কেমন।
সাবধান! গুরুভাই গুরুবোন সাবধান!
( লেখা ১৫ই মে' ২০২১ )

No comments:

Post a Comment