Powered By Blogger

Wednesday, May 10, 2023

খোলা চিঠিঃ বিশ্বজিৎবাবুকে (৭)

বিশ্বজিৎ এর বিশ্বরূপ দর্শন ও বিশ্বজয়!!

বিশ্বজিৎবাবু আপনি রিচিপ্রসাদকে কি সতর্ক করলেন না করলেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তা' আমাকে না জানালেও পারতেন। বিবাদ নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। তাই সতর্ক করা না করা আমার কাছে গৌণ। তবে হ্যাঁ আমি দয়ালের ভয়াল রুপের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে থাকি যেমন আপনাকে ও আপনার মত মূল কেন্দ্র 'সৎসঙ্গ' দেওঘর বিরোধীদের এই দীর্ঘ লেখার মধ্যে দিয়ে বোঝাবার ও সতর্ক করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর তা করেছি স্পষ্ট ভাষায় কোনও রাখঢাক না রেখেই। অনেকেই উদারতার ভঙ্গি নিয়ে দুপক্ষকেই খুশী করার চেষ্টা করে তা ভয়ংকর কপটতা। আর তা ঠাকুর পছন্দ করতেন না। আমি যেটা বলতে চেয়েছি তা'তে কারও চোখ খুললে ভালো আর না খুলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই বলি আপনি রিচিপ্রসাদকে সতর্ক করেছেন সৎসঙ্গ নিয়ে যদি কোনও বিবাদ হয় তার জন্য তারা দায়ী থাকবে। কিসের বিবাদ? কার সঙ্গে কার বিবাদ? আপনাদের মধ্যে অর্থাৎ “শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ’-এর ভিতরে বিবাদ হ’তে পারে, হচ্ছেও এবং আরও ভয়ংকরভাবে হবে। দয়ালের দয়ার কথা শুনেছেন কিন্তু দয়ালের ভয়াল রূপ দেখেননি, রুপের কথাও শোনেননি। ঠাকুরের ‘সৎসঙ্গ’-এ কোনও বিবাদ কখনও হয়নি, হয় না এবং ভবিষ্যতে কখনও হবেও না। কেন? এর কারণ কি? কারণ ঠাকুর স্বয়ং এখানে বিরাজ করেন আর লীলা করেন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তাঁর বংশধরের ভিতর দিয়ে। আর এই লীলা চলবে দশ হাজার বছর; কিছু বুঝলেন বিশ্বজিৎবাবু? না বুঝলে ধিক এই জন্ম, এই জীবন। আমি আপনাকে কেষ্ট দাসের পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে সাবধান ক’রে দিতে চেয়েছিলাম মাত্র। যাই হ’ক আপনি লিখেছেন যাদের ভগবান সাজার সাধ হয়েছে তাদের কেষ্ট দাসের কথা যেন স্মরণ করিয়ে দিই। তা আপনাকে আমার জিজ্ঞাস্য আপনার কি সাজার সাধ হয়েছে? আপনি লিখেছেন ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা যেমন সকলের দায়িত্ব তার চেয়ে বেশী দায়িত্ব ইষ্টস্বার্থরক্ষা। তা' ঠাকুরকে জীবিত অবস্থায় ত্যাগ ক'রে, ঠাকুরের প্রিয় আত্মজদের অপমান, লাঞ্ছনা, বদনাম ক'রে আপনি ইষ্টস্বার্থরক্ষা করবেন? তা কেষ্টদাসের ভগবান সাজার মত আপনার ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার দারোয়ান সাজার সাধ হয়েছে? তবে জেনে রাখুন দারোয়ানেরও বিশ্বাসযোগ্যতা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রয়োজন যেটা আপনার মধ্যে আছে কিনা একবার নিজের ভেতরে উঁকি মেরে দেখে নেবেন।
আপনি লিখেছেন কারও সম্পর্কে কিছু লিখতে হ’লে তার সাথে আলোচনা ক’রে জানতে হয়। আপনার সম্পর্কে আমি যা লিখেছি আপনি কি তা অস্বীকার করতে পারেন? আপনার কাছে আমি আমার আপনাকে লেখা চিঠিতে কয়েকটা প্রশ্ন রেখেছিলাম একটারও উত্তর দিয়েছেন? কেন দেননি? প্রত্যেকটা প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন? কেন এড়িয়ে গেছেন? আর যখনই অন্য কেউ এসে আপনার হ’য়ে কলমের খোঁচায় আমাকে প্রসঙ্গ বহির্ভূত ভিত্তিহীন উল্টোপাল্টা অপমানের খোঁচা মেরে গায়ের ঝাল মিটিয়ে গেছে আর আমি সেই অপমানের উত্তর দিয়েছি তখনই আপনি তার হ’য়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আমার বিরুদ্ধে খোঁচা দিয়ে কলম করেছেন ভোঁতা। কিন্তু আমার প্রশ্নের একটারও উত্তর দেওয়ার সৎসাহস দেখাননি। এইখানেও অনেক প্রশ্ন রেখেছি আপনার কাছে যদি পারেন উত্তর দেবার চেষ্টা করবেন। যদিও পারবেন না তা আমি জানি। যাই হ’ক আপনি রিচিপ্রসাদকে আপনার ইষ্টকে নিয়ে ব্যবসা সংক্রান্ত প্রশ্নের হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেবেন কি দেবেন না সেটা আপনার ব্যাপার; এতে আমার বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট নেই। তবে হিমাইতপুর নিয়ে আপনার তীব্র সেন্টিমেন্ট দেখে অবাক হ’তে হয়, সন্দেহ জাগে আর তাই আপনাকে শেষ প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে যে আচ্ছা বিশ্বজিৎবাবু আমরা তো ঠাকুরের দেহ রাখার পর তাঁর মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ইষ্টস্বার্থপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থরক্ষার প্রশ্নে শ্রীশ্রীবড়দার নেতৃত্বে এবং বর্তমানে শ্রীশ্রীদাদার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছি এবং ভবিষ্যতে শ্রীশ্রীবাবাইদাদার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো আর তারও পরে অপেক্ষা করছে অবিনবাবু। আর আপনারা ঠাকুরের জীবদ্দশায় এবং ঠাকুরের দেহ রাখার পর কে সেই ব্যক্তি ছিল যার নেতৃত্ব আপনাদের কতিপয় পূর্বসূরিরা মেনে নিয়েছিল যিনি শ্রীশ্রীবড়দার চেয়েও মহাশক্তিমান ছিল এবং বর্তমানেও কে সেই মহান ব্যক্তিত্ব ও সিদ্ধপুরুষ যিনি শ্রীশ্রীদাদার চেয়েও অনেক বেশী উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বা উচ্চমার্গের পুরুষ যার নেতৃত্বে প্রতিবাদ ক’রে যাবেন ব’লে ভীষ্মের মত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ? আর আগামীতেই বা কে? নামগুলি বলবেন? আর মনে রাখবেন ভীষ্মের অন্তিমদশা।
যাই হ’ক আপনি লিখেছেন আপনি দুর্বল চিত্তের মানুষ নন তা’ আপনার লেখা পড়ে যে কেউ বুঝতে পারবে আপনি কতটা দুর্বল আর কতটা সবল। তার থেকেও যেটা বেশী বোঝা গেছে বা বুঝতে পারবে এই লেখা পড়ে এবং অনধিকার চর্চার মত অন্যের হ’য়ে আপনার বিভিন্ন জনকে করা বিভিন্ন হালকা, বালখিল্য, কটু ও চটুল মন্তব্য পড়ে তা’ হ’ল আপনার বিশ্বরূপ দর্শন হ’য়ে গেছে আর তাই আপনি বিশ্বজয় করতে বেরিয়ে পড়েছেন। তাই এককথায় বলতে পারি বিশ্বজিৎএর বিশ্বরূপ দর্শন ও বিশ্বজয়। এখানেই শেষ করলাম। গ্রহণ বা বর্জন আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
শেষ।

All re

No comments:

Post a Comment