Powered By Blogger

Tuesday, April 16, 2024

খোলা চিঠিঃ Jyotisharnob Anusankha Bharati কে।

বাংলা শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার পাঠানো লিংক খুলে দেখেছি। এর আগেও এরকম চোখে পড়েছে। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগতো এখন আর লাগে না। ঠাকুর জীবিত থাকতেই ঠাকুরকে অনেক অপমান, লাঞ্ছনা, অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে আপনার পাঠানো লিংকে ঠাকুরকে নিয়ে যারা নারকীয় কুৎসা করেছে এইরকম বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে। ঠাকুরের জীবনী ও সৎসঙ্গের ইতিহাস পড়লেই তা জানতে পারবেন। জানতে পারবেন ঠাকুরের আশ্রমের ওপর কত আক্রমণ হয়েছে দুষ্টবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের শয়তানি বুদ্ধিতে। জানতে পারবেন ঠাকুর ও শ্রীশ্রীবড়দাকে কত আইনি অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। জানতে পারবেন ঠাকুরের কত শিষ্যকে এই সৎসঙ্গ আন্দোলনের জন্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে, প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। আর ঠাকুরের দেহ রাখার পর থেকে এই নোংরামি শুরু হয়ে গ্যাছে ঘরেবাইরে। নোংরামির নিদর্শন ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন।
আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেখানে ঠাকুরকে নিয়ে যারা কানের মধ্যে গরম তরল সীসা ঢেলে দেওয়ার মতো গালাগালির অভিধান খুলে বসেছে এবং নিত্য নূতন গালাগালির শব্দ ভান্ডার সৃষ্টি করছে, ঠাকুর ও ঠাকুর পরিবার নিয়ে, ঠাকুরের বাণী নিয়ে পন্ডিত গবেষকরা যে বালখিল্য বিকৃত বিশ্লেষণের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা কেউ ঠাকুরের শিষ্য, অনুগামী বা সৎসঙ্গী নয়। তারা সব সমাজ, ঘর, পরিবার উপেক্ষিত স্বঘোষিত সমাজ উদ্ধারক, সমাজসেবী!!!!! যাদের বালখিল্য কাজকর্ম দেখে বালকেরা হাসে, ঘনিষ্ঠজন ঘৃণা করে, করুণার চোখে দেখে। এরকম বহু মানুষকে আমি দেখেছি, জানি যাদের তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতামাতারাই ঘৃণা করেন তাদের ঠাকুর সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করার জন্যে। এরা ঠাকুরের মানুষ তৈরি কারখানা গড়ার শুরু থেকেই ঠাকুরের মাথা ও গলায় প্রভু যীশুকে যেমন লোহার কাঁটার মুকুট পড়িয়ে অত্যাচার করেছিল সেই সময়ের পাপিষ্ঠরা ঠিক তেমনি তারা যুগে যুগে তাঁর নতুন রূপের ওপর বারেবারে কাঁটার মত ঝুলে পড়েছিল আর এবারও অকথ্য কুকথ্য গালিগালাজ, অপমান-অত্যাচারের ভয়ঙ্কর কাঁটা হ'য়ে, কাঁটার মুকুট নিয়ে তাঁর ওপর ঝুলে পড়েছিল, পড়েছে এবং আগামীতেও এই ট্র্যাডিশন সমানে চলবে। It is understood. এটা হ'লো অন্ধকার দিক। আর উল্টো দিক আলোর দিক। আলোর বন্যায় ভেসে যাওয়া দিক যে দিকে আপনি ও আপনার মতো কোটি কোটি আলোর বার্তাবাহীরা আছেন। এটাই বিজ্ঞান আর এটা মেনে নিন। এটা গেল যারা দীক্ষিত, অনুগামী বা সৎসঙ্গী নয় তাদের কথা।
আর, এবার বলি ঘরের কথা। যারা নিজেদের ঠাকুরের দীক্ষিত ব'লে জাহির করে।
আপনি যে লিংকের রেফারেন্স দিয়েছেন সেখানকার কথা, ভাষা, মনের ভাব কতটা নিম্নরুচিসম্পন্ন মানুষের কথা, ভাষা ও মনের ভাব হ'তে পারে তার নমুনা পেয়েছেন। আর, এবার যে ঘরের কথা বলছি অর্থাৎ যারা নিজেদের ঠাকুরের দীক্ষিত, অনুগামী ব'লে প্রচার করে, জাহির করে, ঠাকুর প্রেমের বন্যা বইয়ে দেয়, ইষ্টপ্রতিষ্ঠা ও ইষ্টস্বার্থ প্রতিষ্ঠার দামামা বাজিয়ে চলেছে ঠাকুরবাড়ির বিরুদ্ধে, ঠাকুরের পরমপ্রিয় আত্মজ আদরের বড়খোকা সৎসঙ্গ জগতের চোখের মণি ঠাকুরের পরম ভক্ত এ যুগের হনুমান, বিবেকানন্দ, নিত্যানন্দরূপী শ্রীশ্রীবড়দার বিরুদ্ধে, ঠাকুর আত্মজদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কুৎসা, নিন্দা, গালাগালি, অশ্লীল বাক্য বাণের ফোয়ারা ছিটিয়ে সেইসমস্ত ভক্তরূপী লন্ডভন্ডকারী ধান্দাবাজদের থেকে যারা দীক্ষিত নয়, যারা ঠাকুরের অনুগামী নয়, যারা ঠাকুরের বিরুদ্ধে চরম শত্রুতার জন্য গালাগালির জঘন্য নরক সদৃশ হাতিয়ার তুলে নিয়েছে তারা তো কিছুই নয়, কোনো তুলনায় চলে না উপরে উল্লেখিত ঠাকুর অনুগামী বিকৃত চরিত্রের দীক্ষিতদের সঙ্গে ঠাকুরের অদীক্ষিত নিম্নরুচি ও মানসিকতাসম্পন্ন ঘৃণ্য সমালোচকদের চরিত্রের সঙ্গে!!!!! কারণ তারা সরাসরি ঠাকুর বিরোধিতার জন্য গালাগালির নানারকম ঝলমলে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে আর একদল নিজেদের প্রকৃত ঠাকুর প্রেমিক, অনুগামী প্রমাণ করার জন্য ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে গালাগালির নির্মম ভয়ঙ্কর ঘৃণ্য তোপ দেগে চলেছে। যে গালাগালি, অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অপমানের নমুনা ফেসবুকের বিভিন্ন 'সৎসঙ্গ' পেজে নিশ্চয়ই দেখেছেন। আপনি যে পেজে আমাকে লিংক পাঠিয়ে অনুরোধ করেছেন কিছু বলার জন্য সেই পেজে দেখেছেন ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে, শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীঅশোকদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদার বিরুদ্ধে কি ব্যঙ্গ বিদ্রুপ আর অশ্লীল কথাবার্তা! অথচ এরা যাকে মানে বা মেনে চলে তাদের দিক থেকে কোনও প্রতিবাদ বা বাধা আসে না। এখানে এই ফেসবুকে এরা গালাগালি ও ব্যাঙ্গের সীমা ছাড়িয়ে যায় আবার পরমুহূর্তেই ডিলিট ক'রে আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে চুলকানি রোগের জ্বালায়।
এবার ভেবে দেখুন কি ভাবে আপনি এদের উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করবেন আর কি করা উচিত। আসুন আলোচনা করা যাক।
বাংলা শুভ নববর্ষের শুভ দিনে অশুভ দিকের আলোকপাত করতে মন চায় না তবুও আপনার আন্তরিক আবেদনের মধ্যে একটা শুভ দিকের ইঙ্গিত ছিল আর সেই আবেদন অনুযায়ী সেই লিংকে কোনও মন্তব্য করতে মন চায়নি। কারণ সেই লিংকগুলির লেখার বিষয়বস্তু ও মন্তব্যগুলির মধ্যে থেকে একটা পচা ভাগাড়ের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল, আর সেই মন্তব্যগুলির ওপর ভ্যান ভ্যান করছিল গুয়ে মাছি!!!! মনে হচ্ছিল কোথায় এসে পড়লাম!? চারপাশে কাঁচা খাটা পায়খানা আর সেই পায়খানায় উন্মুক্ত গুয়ের ডাব্বা থেকে ফেসবুকের আকাশে বাতাসে ছড়াচ্ছে গুয়ের দুর্গন্ধ! দেখলাম গোটা লিংকের চারপাশটা যেন খাটাল হ'য়ে আছে! মোষরূপী মানুষগুলি চারপাশের গোবরের স্তুপ আর জল কাদার মধ্যে গুঁতোগুঁতি করছে পরস্পরের মধ্যে আর উৎকট গন্ধ বেরুচ্ছে তাদের সেই মন্তব্যের খাটাল থেকে!!!!
এবার আপনিই বলুন সেই নরক সদৃশ পরিবেশের মধ্যে থেকে কি কোনও মন্তব্য করা যায় না করা উচিত!?
তাই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ভাবলাম উলু বনে মুক্ত ছড়ানোর বদলে এখানেই এই ফেসবুকেই নাহয় আলোচনা পর্যালোচনা করা যেতে পারে। তাই আপনাকে খোলা চিঠির মাধ্যমে এখানে আপনার অনুরোধে কলম ধরলাম ও খড়দা সৎসঙ্গ কেন্দ্র পেজের যেখানে ওই তথাকথিত বিকেন্দ্রিক ঠাকুর প্রেমীরা কুৎসার ডাস্টবিন খুলে বসেছে সেইখানে আপনার মন্তব্যে অনুরোধের উত্তরে এই লেখা পোস্ট করলাম।
আপনার পাঠানো ঐ সমস্ত লিংকগুলির মধ্যে যারা ঠাকুরকে কুৎসিত খিস্তি খেউর করছে তাদের মুখের ভাষা প্রমাণ করে তাদের বায়োলজিক্যাল মেক-আপ এ গন্ডগোল আছে। রক্তের দোষ না থাকলে কোনও ভদ্র, শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান ও রুচিশীল নারী বা পুরুষ ওই রকম নোংরা ভাষার পায়খানার ডাব্বা খুলে বসতে পারতো না। এদের সঙ্গে আপনি কি আলোচনা করবেন!? মেথরের সঙ্গে যদি ঝগড়া করেন, মারামারি করেন তা'হলে কি হবে? মেথর 'ক্যায়া করতা হ্যায় বাবু, ক্যা করতা হ্যায়' বলতে বলতে আপনার মাথার ওপর গুয়ের ডাব্বাটা সম্পূর্ণ ঢেলে দেবে আর আপনার সর্বাঙ্গে গু মাখামাখি হ'য়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে অবশেষে আপনি নিজেই হ'য়ে যাবেন গুয়েদা বা গুয়েদি! সারাজীবন আপনাকে ওই দুর্গন্ধযুক্ত গুয়েদা বা গুয়েদি নাম নিয়ে বাঁচতে হবে আর মরলেও আপনার হবে না রেহাই! মারা গেলে পরে লোকে জিজ্ঞেস করবে, কে মারা গ্যাছে রে-এ-এ? লোকে বলবে, ওই গুয়েদা বা গুয়েদি মারা গ্যাছে। অবশ্য এইভাবেও আপনি বিখ্যাত হ'তে পারেন! এমনিতে তো আজকাল আর কেউ কাউকে চেনে না।
তা এভাবে বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছে কি আপনার আছে? আমি জানি, নিশ্চিত নেই। কিন্তু ওই গুয়ে মাছিদের কোনোদিনই মৌমাছি হওয়ার ইচ্ছে নেই, উপায়ও নেই। ইচ্ছে বা উপায় নেই কারণ ওরা বায়োলজিক্যালি গুয়ে মাছি। গুয়ে মাছিদের আপনি ধরে গুড়ের ওপর বসিয়ে দিন দেখবেন কিছুক্ষন পরেই উড়ে গিয়ে ওরা ফেনাওলা পাতলা আমাশা পায়খানার উপর বসে নিশ্চিন্তে গু খাচ্ছে। তা এদের সঙ্গে আপনি কি যুদ্ধ করবেন নাকি এদের থেকে নিরাপদ সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন? সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। যদি মনে করেন আপনি এদের মাঝে গিয়ে এদের ঠিক করবেন তাহ'লে দেখবেন কবে কবে আপনি আপনার অজান্তে এদের মত হ'য়ে গ্যাছেন আর আপনার মুখ দিয়ে অনবরত সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, ছুঁচো বেরুচ্ছে!
ইতিহাস কি বলে?
আমার প্রশ্ন ছিল ইতিহাস কি বলে? ইতিহাস বলে রাবণের কথা। বলে, কুম্ভকর্ণের কথা, বালীর কথা। বলে, বিভীষণ, সুগ্রীবের কথা। আবার মহাভারতের যুগের ভীষ্ম, কর্ণ, দ্রোণের কথাও ইতিহাস বলে। বলে, দুর্যোধন, দুঃশাসন, শিশুপালের কথা। এরকম বহু উদাহরণ আছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
রাবণের কথা ভাবুন! অতবড় শিবসাধক তার অন্তিম পরিণতি কি! কুম্ভকর্ণ! বেচারা! ঘুমাচ্ছিল বেশ নাক ডাকিয়ে! কি দরকার ছিল তার ঘুম থেকে উঠে যুদ্ধে আসার! তোমাকে তো শয়তান আলাদা হ'য়ে থাকতে দেবে না! তোমাকে তার কাজে সে টেনে আনবেই! তুমি ঘুমোবার নাম করে দূরে সরে থাকবে, নাকি ঘুম ভেঙে ঘুমের ঘোরে নিজের বোধবুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে ড্যাং ড্যাং ক'রে যুদ্ধ করতে যাবে সেটা তোমার একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। বালীর ব্যাপারটা দেখুন! অতবড় বীর পরাক্রমী অথচ পরিণতি কি তা সবাই জানে! বালী আর সুগ্রীবের রামের কাছে আত্মসমর্পণের ব্যাপারটাই দুজনের মধ্যে ফারাক গড়ে দিলো! এবার দেখুন ভীষ্ম, দ্রোণ ও কর্ণের ব্যাপারটা। সেই সময়ের এলিট সমাজের মাথা ছিলেন এরা! এঁরা সবাই পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসতেন, ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন অথচ চোখের সামনে সমস্ত অন্যায় জেনেও এরা নানা যুক্তির অজুহাতে অন্যায়ের পক্ষ সমর্থন করেছিলেন! পরিণতি খুবই দুঃখজনক! দুর্যোধন শ্রীকৃষ্ণ অর্থাৎ নারায়ণকে ছেড়ে নারায়ণী সেনা অর্থাৎ তাঁর সংশপ্তক সেনাতেই মজে রইলেন, ডুবে রইলেন। অথচ শ্রীকৃষ্ণকে মানতেন দুর্যোধন কিন্ত তাঁর কথা মানতেন না!
ঠাকুরের বলা কথা মনে পড়ে গেল,
"আমার বলা ও কথাগুলি যদি তোমার শুধু চিন্তারই খোরাক হয়, করার বা আচরণের ভিতর তা ফুটে না ওঠে তাহ'লে পাওয়া যে তোমার তমসাচ্ছন্ন একথা জেনো নিশ্চয়ই।" দুর্যোধনের ক্ষেত্রে তাই-ই হলো। শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রেম শ্রদ্ধা অটুট কিন্তু তাঁর কথা মেনে চলায় ছিল অনীহা, আপত্তি। পরিণতি সকলের জানা। দুঃশাসন ছিল লম্পট, শয়তান; ওইসব হিত-অহিত, গুরুজন, ভগবান ফগবানের ধার ধারতো না। শিশুপালের ক্ষেত্রেও তাই। তবে শিশুপালকে সুযোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ নিজেকে শুধরে নেবার, চরিত্র পরিবর্তনের! একশোটা অপরাধ শিশুপালের ক্ষমা করেছিলেন কৃষ্ণ কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহানি! আর, বিভীষণ ও সুগ্রীবের ইতিহাসও ইতিহাস। পুরুষোত্তমের শ্রীচরণে আত্মসমর্পণ তাঁদের বানিয়েছিল রাজা; হয়েছিল ধর্মরাজ্য স্থাপন! এরকম অনেক অনেক উদাহরণ আছে।
আর, অপমান, চূড়ান্ত অপমান পুরুষোত্তম যতবার এসেছেন ততবারই হয়েছেন। হয়েছেন তাঁদের বিরোধীদের হাতে, হয়েছেন তাঁর তথাকথিত ভক্তমন্ডলীর হাতে। তাই আজকের যুগের পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বিভিন্ন ফেসবুকের মধ্যে দিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত ব্যর্থতা, জীবনে অসফলতার জ্বালা মেটাতে বুকের তীব্র বিষ উগড়ে দিচ্ছে আর তথাকথিত ঠাকুর ভক্তরা কি করছে ঠাকুরের ভাবমূর্তি নিয়ে ঠাকুর প্রেমের নামে, ঠাকুর প্রতিষ্ঠার নামে তার উদাহরণ বিকেন্দ্রিক ঠাকুর প্রেমীদের ফেসবুকের মধ্যে যত্রতত্র তীব্র অম্ল ঢেঁকুর সহ দুর্গন্ধময় ভাষা, কথাবার্তার বমির মধ্যে দেখতে পাবেন। আর এই বমি উদ্গীরণের জন্য এদের অভিভাবকরা এদের বাধা দেন না, নিষেধ করেন না,করেন না কোনও আপত্তি। এই তথাকথিত গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল রূপী ঠাকুর ভক্তরা মাঝেমাঝে ফেসবুকে হানা দেয় হিংস্র আক্রমণ হানার জন্যে ঠাকুর বাড়ির বিরুদ্ধে। এরা জ্বলে পুড়ে খাক হ'যে যাচ্ছে আর তাই সবাইকে খাক করতে চাইছে! এদের সমাজে কোথাও ঠাঁয় নেই, তাই ফেসবুকই একমাত্র আশ্রয়।
সবশেষে বলি, এই সমস্ত বিরোধী ও তথাকথিত বিকেন্দ্রিক ভক্তদের পরিণতিও ইতিহাসের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই হবে। তার জন্যে কোথাও কোনও বিতর্কে জড়াবার প্রয়োজন নেই, বিচারের ভার হাতে তুলে নেবার দরকার নেই। তিনি সব দেখছেন। শুধু এটুকুই ঠাকুরের বাণী স্মরণ করতে পারি।
"জেনে রেখো ---
বিচারের দিন যখনই আসুক না কেন,
অন্যের প্রতি তোমার প্রত্যেকটি
অসাবধান বাক্যের
জবাবদিহি ক'রতে হবে,
তোমার বাক্যই তোমাকে
বিমোচিত বা বিমর্দ্দিত ক'রবে।"
শ্রী শ্রী ঠাকুর
সদ্ বিধায়না/ ২য় খন্ড /৩৮। ( ১৬ই এপ্রিল, ২০১০ )

No comments:

Post a Comment