মানুষের পৃথিবীতে শেষ কথা বলবে মানুষ! মানুষ মানে বহু মানুষ নয়, একজন মানুষ। যিনি পারিপার্শ্বিকসহ প্রতিটি ব্যক্তি মানুষের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাঁচা-বাড়ার সঠিক ও নিখুঁত পথ জানেন ও প্রতি প্রত্যেককে তা বাতলে দেবেন! আর তাঁর কথা শুনতে হবে পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষকে। আর তাহ'লে পৃথিবীতে নেবে আসবে স্বর্গরাজ্য! প্রতিষ্ঠা হবে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের এই পৃথিবীর প্রতি সমান অধিকারের দাবি! আর এই দাবী পূরণ হবে সামঞ্জস্যবাদের ভিত্তিতে তৈরি রূপরেখার উপর!
কে সেই মানুষ!?
সেই একজন মানুষের সংস্পর্শে আসার পর পৃথিবীর সমস্ত বাদের মূল বাদ যে জীবনবাদ বা অস্তিত্ববাদ তা তখন বোধগম্য হবে, বোধগম্য হবে যে জীবনবাদ বা অস্তিত্ববাদকে বাদ দিয়ে দেশে দেশে যত বাদের অস্তিত্ব আছে তা সব গোড়া কেটে আগায় জল দেওয়ার মত অসম্পূর্ণ ভুল মতবাদ! এই জীবনবাদ-ই যে এক ও অদ্বিতীয় মতবাদ, এর উপরে যে আর কোনও বাদ নেই, এই বাদ-ই যে একমেবাদীতীয়ম-এর মুখনিঃসৃত বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠার মতবাদ সেই সহজ সত্য কথা গরিবের মসিহা অহংকারী ক্ষমতালোভী কায়েমী স্বার্থরক্ষাকারী সমাজ কো বদল ডালোর রূপকাররা মানতে চায়নি! আর নিজেরা মানতে চায়নি যেমন ঠিক কথা তার থেকেও আরও বড় ঠিক ও সত্য কথা হ'লো কেউ যাতে না মানে তারও রাস্তা তৈরি ক'রে রাখা! আর এই মজবুত রাস্তা তৈরি করেছে রাজনীতি ও ধর্মনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা একসঙ্গে মিলে! যুগ যুগ ধ'রে উচ্শৃঙ্খল-বিশৃঙ্খল বৃত্তি-প্রবৃত্তি দ্বারা পরিচালিত অদূরদর্শী যুব শক্তিকে হাতিয়ার ক'রে যুব শক্তির সরলতা, বিশ্বাস, উদ্দামতা, উচ্ছাসকে সিঁড়ি বানিয়ে গরিবী ও মানবতার দোহাই দিয়ে উদ্দাম যৌবনকে ক্ষেপিয়েজীবনে অসফল বিগত যৌবন-যৌবনা নরনারী যুবশক্তির আহুতির বিনিময়ে নিজেদের অস্তমিত জীবন সূর্যের উদয় ঘটাতে চেয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্মের সঙ্গে চলেছে ঈশ্বরের থেকে দূরে সরিয়ে রাখার এই লুকোচুরির খেলা!
ঈশ্বরের সঙ্গে বেইমানি করেছে কারা? এককথায় এর উত্তর, অস্তিক্যবাদী বা ধার্মিকরা! নাস্তিক বা ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাসী মানুষেরা আস্তিক বা ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষদের চেয়ে সৎ! তারা আর যাই-ই করুক আস্তিকদের মত বা ঈশ্বর ও ধর্ম বিশ্বাসী এবং ঈশ্বর পূজারীদের মত ভন্ড ও কপট হ'য়ে সাধারণ ঈশ্বর ও ধর্মবিশ্বাসীদের সঙ্গে ভণ্ডামি ও কপটতা করেনি। তারা মানবতার দোহাই দিয়ে সরাসরি ঈশ্বরের উপস্থিতির বিরোধিতা করেছে।
আস্তিকরা বা ঈশ্বর পূজারী ও ধর্ম বিশ্বাসী মানুষেরা কি করেছে!?
ঈশ্বর যে তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে সৃষ্টি করার পর তাকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের মেইন লাইনে চলার জন্য, সঠিক ও নির্ভুল পথে চালিত করার জন্য স্বয়ং মানুষের রূপ ধ'রে মানুষের মাঝে নেবে এসেছিলেন এবং বারবার এসেছেন সেই কথাটায় সাধারণ মানুষের কাছে অস্তিক্যবাদী ঈশ্বর বিশ্বাসীরা লুকিয়ে গেছেন। ঈশ্বরকে আকাশেবাতাসে, মূর্তির মধ্যে খুঁজতে বলেছেন আর নিজেরা ধর্মগুরু সেজে সরল, সাধাসিধে, বোকাহাবা, মূর্খ, লেখাপড়া না-জানা, গরীব, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, মাদুলি ইত্যাদি নির্ভর দুর্বল জীবনের অধিকারী ক'রে রেখেছে যাতে তাদের গরিব মানুষের মসিহা সাজার মৌরসি পাট্টা বজায় থাকে।
এখান থেকে মুক্তির একটাই পথ তা হ'লো জীবন্ত ঈশ্বরের অনুগামীদের জীবন্ত ঈশ্বর যেমন চেয়েছিলেন তেমন হ'য়ে ওঠা।
জীবন্ত ঈশ্বর হ'লেন রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু, মোহাম্মদ, মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ ও সর্বশেষ শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র! ঈশ্বর, আল্লা বা গড যুগে যুগে তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য বারবার নতুন রূপে এসেছেন মানুষের মাঝে মানুষ রূপে। সেই মানুষকেই চিনে নিতে হবে আর তাঁর কথা মেনে চলতে পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষকে। তবেই তাঁর সৃষ্ট পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা হবে শান্তি! প্রতিষ্ঠা হবে স্বর্গরাজ্য!! ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ডের তিনিই মুখ! তিনিই নেতা!!
আর যদি না মানতে চায় অহংকারী মানুষ, করে গোয়ার্তুমি, ফাটায় তাদের বালখিল্য জ্ঞানের অহংকার তাহ'লে প্রকৃতির আগামী ভয়ঙ্কর ধ্বংসের তাণ্ডবলীলার জন্য রেখে যেতে হবে তাদের বংশধরদের, আগামী প্রজন্মকে! আগামী ধ্বংস! ধ্বংস!! সমূলে ধ্বংসের আগুন পৃথিবীতে!!!-----প্রবি।
No comments:
Post a Comment