৪) সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজের নিজের ধর্মীয় গুরুকে পুরুষোত্তম পরমপিতা সৃষ্টিকর্তার আসনে বসিয়ে পুজো করতে শুরু করে আর মান্যতা দেয় আকাশের ভগবান বা ঈশ্বর, মাটির বা পাথরের মূর্তি বা দেবতা, পাথরের নারায়ণ ইত্যাদি অমূর্ত ভগবান ( Unseen God)-এর। আর জীবন্ত ঈশ্বর, জীবন্ত নারায়ণ, জীবন্ত জগন্নাথ পড়ে থাকে পিছনে অবহেলায় একাকী। হিন্দুরা নিজেরাই জীবন্ত ঈশ্বরের উপস্থিতি ও তাঁদের বারবার আগমন মানে না, বিশ্বাস করে না। তারা জানেই না ও জানলেও মানে না বৃত্তি স্বার্থের পরিপূরণে।
"স্রষ্টা এক অদ্বিতীয়
অনন্ত সৃজন,
দেব-দেবী প্রকট বীর্য্য
তাঁ'রই বিলক্ষণ।"
"জীবননাথকে হেলায় ফেলে
জগন্নাথকে দেখতে গেলি,
জীবননাথই যে জগন্নাথ
অহংকারে দেখতে না পেলি।"
৫) আর বিশ্বাস করলেও নিজের মৌরসী পাট্টা বজায় রাখার, নিজেদের আধিপত্য, একচেটিয়া ক্ষমতা কুক্ষিগত ক'রে রাখার ঘৃণ্য লড়াইয়ে সরলমতি ধর্মপ্রাণ সাধারণ ঈশ্বরবিশ্বাসী দূর্বল, ভীরু, মূর্খ, অজ্ঞানী, কুসংস্কারাছন্ন ভক্তদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
৬) সনাতন হিন্দুরা মূর্তি, দেবদেবী ইত্যাদিতে বিশ্বাসী ও পুজোপাঠে মগ্ন। ঈশ্বর যে মানুষের মাঝে মানুষ রূপে মানুষ মায়ের গর্ভে বেশি বার এসেছেন এবং বিশেষ ক'রে এই ভারতের বুকে হিন্দু মায়ের গর্ভে সেই সনাতনী হিন্দুরায় নেমকহারামি, বেইমানি করেছে জীবন্ত ঈশ্বরের সাথে। এই স্বঘোষিত সনাতনীরাই জীবন্ত ঈশ্বরের পূজারী হিন্দুদের বিরুদ্ধে কুৎসা, নিন্দা, সমালোচনা ও ঘৃণ্য লড়াই করেছে ও করে চলেছে। ধান্দাবাজ ভন্ড ঈশ্বরবিশ্বাসী হিন্দুরা শাস্ত্রকে সামনে রেখে তাঁর ভুল ব্যাখ্যা ক'রে আড়াল থেকে লড়াই চালিয়েছে আর সামনে শিখণ্ডী হিসেবে এগিয়ে দিয়েছে আম অজ্ঞানী, মূর্খ, কুসংস্কারাছন্ন দূর্বল, ভীরু ভক্তদের ধর্মের ময়দানে নিজেদের মধ্যে লড়াই মারামারি করার জন্য। আর তার সুযোগ নিয়েছে অন্য ধর্মের অধার্মিকরা।
৭) আজ ইসকন যে হিন্দুদের ধর্মজ্ঞান ও ঈশ্বর উপদেশ দিচ্ছে এর জন্য কে দায়ী? আজ এই ভারতের মাটিতে, ঈশ্বরের বারবার নেবে আসার পূণ্যভূমিতে ঈশ্বর পুরুষোত্তম পরমপিতা শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীশ্রীবিবেকানন্দকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি ক'রে নীচা দেখিয়ে কুৎসা করার সাহস যে দেখাচ্ছে প্রভুপাদ ও অমোঘ লীলা দাসেরা এবং প্রকাশ্যে ভিডিওর মাধ্যমে সনাতনী হিন্দুদের তথাকথিত এক কৃষ্ণপ্রেমী ভক্ত শাসাচ্ছে যে তাদের যদি ইসকন কর্তৃপক্ষ ময়দানে ছেড়ে দেয় তাহ'লে তারা দেখিয়ে দেবে তাদের ক্ষমতা তা' সেই সাহস পেল কোত্থেকে? এর জন্যে কে দায়ী? ইসকন? নাকি তথাকথিত হিন্দুদের, সনাতনীদের সবজান্তা মনোভাব ও গোষ্ঠিদ্বন্ধ ও জীবন্ত ঈশ্বরের উপস্থিতিকে মান্যতা না দেওয়া? কোনটা?
৮) কেন মা-বোনেরা ইজ্জত হারায়? কেন হিন্দু ধর্মান্তরিত হয়? কেন একযোগে সম্মিলিত আন্দোলন হয় না? এর পিছনে মূল কারণ কি এখনও কি সেই সময় আসেনি ভেবে দেখার? আপনি নিজে কখনও ভেবে দেখেছেন? নাকি শুধু হতাশা আর অবসাদে কখন কে এগিয়ে এসে লড়াই করবে সেই কথা শুধু ভেবেছেন?
"কর্ম্মহীন চিন্তা সৎ
পাথর-বাধা নরক-পথ।"
"কর্ম্ম যদি বাস্তবতায়
মূর্ত ক'রেই তুললি না,
প্রাপ্তি যে তোর বন্ধ্যা হ'ল
পাওয়ার পথে চললি না।"-----শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।
আর সনাতন ধর্মটা কি যে তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসবো? কি সেটা? কোনও বস্তু? কোনও মতবাদ? কোনও দর্শন? কি সেটা?
শেষ।
( লেখা ১৯শে জুলাই, ২০২৩ )
No comments:
Post a Comment