জীবন্ত আদর্শ/ইষ্টবিহীন জীবন যার তার চরিত্র দু'টাকার। টাকার বান্ডিলের ওপর নির্ভর করে ইষ্টবিহীন চরিত্র বিক্রি। যে-ই জীবনে টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে তার জীবন ইষ্টবিহীন। সবসে বড়া রুপাইয়া তা আমরা বহু আগে থেকেই জানি। কিন্তু আমি লিখি, আমি পড়ি, আমি বুঝি, আমি জানি, আমি দেখি কিন্তু যা লিখি, যা বলি তা কি নিজের ও নিজের সন্তানের জীবনে প্রতিষ্ঠা করি? করি না। শুধু কথার ঘাই মারি। তাহ'লে তাদের সঙ্গে আমার তফাৎ কোথায়? আমিই একদিন টাকার বান্ডিলের কাছে বিক্রি হ'য়ে যাবো। আজ নয়তো কাল। শুধু সময়ের অপেক্ষা। ধৈর্য্য ধ'রে শুধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কলম শানিয়ে যাও, গলা উঁচিয়ে চীৎকার ক'রে যাও আরও যা যা করার ক'রে যাও। সবুরে মেওয়া ফলবেই ফলবে। অপেক্ষার ফল মিঠা হয়। শুধু নিজেকে বেচার জন্য মহার্ঘ্য ক'রে তোলো। কারণ আমি বৃত্তি-প্রবৃত্তির অধীন। রিপুরা আমাকে গলায় বকলেশ পড়িয়ে কুত্তার মত হিড়হিড় ক'রে টেনে নিয়ে যায়। আর আমার পিছন পিছন এসে হাজির হ'য়ে যায় আর একজন আগুনে কলম নিয়ে আগামিতে বিক্রি হওয়ার জন্য। তাই থুথু উপরে ছেটালে নিজের মুখে এসেই পড়ে। লেখক ও সমর্থনকারী উভয়েই সাবধান। অন্যে কি করছে আর না করছে সেদিকে না তাকিয়ে নিজের জীবন আর নিজের সন্তানের জীবনের দিকে তাকাও। তোমার সন্তানকে বাঁচাও।-
( লেখা ৫ই জুলাই, ২০২৩ )
No comments:
Post a Comment