শ্রীশ্রী ঠাকুর কল্কি অবতার কিনা এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন।
প্রশ্ন, কি ক'রে বুঝবো শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কল্কি অবতার??
এর উত্তরে আমি বলি কি, শ্রীশ্রীঠাকুর কল্কি অবতার কিনা তা বোঝার দরকার নেই। বুঝে লাভও নেই। কি হবে বুঝে? শ্রীশ্রীঠাকুর কল্কি অবতার হলেই বা কি আর না-হলেই বা কি? মানুষের কি আসে যায় তা'তে? এসব বালখিল্য জ্ঞানের কথা দিয়ে কি মানুষের পেট ভরবে নাকি মানুষ বাঁচবে, পরিবার বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচবে ও সৃষ্টি রক্ষা পাবে? আসুন আগে নিজে বাঁচার পথ খুঁজি ও বাঁচি ও অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করি তারপর না হয় শাস্ত্রের কচকচানি শোনা যাবে। আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর রেখে লাভ আছে কি? যদি সত্যি সত্যিই জানতে চান তাহ'লে শ্রীশ্রীঠাকুরকে স্টাডি করুন, গভীর স্টাডি করুন, সব জানতে পারবেন তিনি কে ও কল্কি অবতারই বা কি ও কে? গোড়া কেটে আগায় জল দিয়ে লাভ নেই। এসব তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকার মত বিলাসিতায় ভরা কথা। যেমন বলা হয়, যখন রোম জ্বলছে তখন রোম সম্রাট বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আমাদের সামনে সেইরকম ভয়ংকর ভয়াবহ অবস্থা। শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছিলেন, "তোদের সামনে এমন এক ভয়ংকর দিন আসছে সেদিন এক্মুঠো সোনার বদলে এক্মুঠো চাল পাবি না। দুনিয়ার সামনে এমন একটা সর্ব্বনাশ আসছে যার তুলনায় এই মহাযুদ্ধ, লোকক্ষয়, সম্পদের ক্ষয় কিছুই না। গতিক দেখে মনে হয় মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ লোপ পেয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছুই নয়। তাই দীক্ষা, শিক্ষা ও বিবাহ এই তিনটে জিনিস ঠিক ক'রে দেন আপনারা।" দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতিকে সামনে রেখে ঠাকুর এই কথা বলেছিলেন। তাই এসব কল্কি অবতার টবতার ভেবে লাভ নেই। ভবিষ্যৎ যে ভয়ংকর সর্ব্বনাশের কথা বলেছেন ঠাকুর তার প্রধান যে মারাত্মক কথা বলেছেন, তা হ'লো মনুষ্যত্বের মূল বুনিয়াদ লোপ পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা ঠাকুর বলেছেন। তাই, তত্ত্বকথা আর তাত্ত্বিক জ্ঞান লাভের মধ্যে দিয়ে তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকার চেয়ে আসুন শ্রীশ্রীঠাকুরের চরণে আত্মসমর্পণ করি আর পূর্ণচন্দ্রের মতো আবির্ভূত তাঁর প্রতীক গুরু বংশধর বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও প্রতি পদের বা দ্বিতীয়ার চাঁদের মত সৎসঙ্গের আকাশ আলোকিত ক'রে থাকা শ্রীশ্রীঅবিনদাদা সম্পর্কে
তাই চরম ও পরম জ্ঞান লাভ।
যাই হ'ক তবুও বলি, আমি যতটুকু জানি ততটুকুই বলি, কল্কি নামটা এসেছে কাল থেকে তাই কল্কি নামের অর্থ সময়। আবার কল্কি নামের আভিধানিক অর্থ নোংরা, পাপী। অর্থাৎ এককথায় বলা যেতে পারে পৃথিবী ক্রমশ ভয়ংকর নোংরা ও বীভৎস পাপে পরিপুর্ণ হ'য়ে উঠছে রিপু তাড়িত উচশৃঙ্খল বিশৃঙ্খল মানুষের কারণে। ফলে সৃষ্টির ধ্বংস অনিবার্য। এই ঘোর নোংরা ও পাপের অন্ধকার ধ্বংসের সময়ে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করতে অবতরণ করেন তাই তাঁকে কল্কি অবতার বলা হয়। সেই ঘোর নোংরা পাপের সময়ের শুরু হয়ে গেছে বহু আগেই বুদ্ধদেবের সময় থেকেই। আর তার continuation পরপর যীশু, মহম্মদ, মহাপ্রভু ও রামকৃষ্ণ পর্যন্ত। তারা সবাই নেমে এসেছিলেন এই নোংরা, পাপের সময়ে তাই তাঁরা সবাই কল্কি অবতার। আর্য্য সভ্যতা যদি টিকে থাকতো ধ্বংস না হ'তো তাহ'লে বুদ্ধ পরবর্তী যারা এসেছিলেন তাঁরা দশম, একাদশ, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ অবতার হিসেবে গণ্য হ'তো।আর রামকৃষ্ণের পর ঈশ্বরকে কল্কি অবতার রূপে নেমে আসতে হয়েছে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল রূপে সময়ের অনেক অনেক আগেই সৃষ্টিকে রক্ষা করার জমি তৈরী করতে। এই জমি রক্ষা করার মূল উপাদান জন্ম বিজ্ঞান। কল্কি অবতার শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাই Biologically perfect zygote তৈরীর blue print দিয়ে গেলেন এত আগে এসে। কারণ সৃষ্টিকে রক্ষা বা ধ্বংস মানুষই করবে। নোতুন ক'রে নানাভাবে মিশ্রিত রক্তের মধ্যে থেকে আবার নিখুঁত খাঁটি আর্য রক্তের মধ্যে দিয়ে আবির্ভূত হবে বায়োলজিক্যালি নিখুঁত মনুষ্য জাইগোট। ধ্বংসের পর আবার নূতন ক'রে হবে সৃষ্টি, আসবে সত্যযুগ।
যাই হ'ক আমরা কিছুদিন আগেও করোনার সময় দেখতে পেয়েছি মানুষের কি বাঁচার আগ্রহ, কী তীব্র ক্ষিধে তৃষ্ণা। কে বাঁচতে চায় না? আমরা প্রত্যেকেই বাঁচতে চাই, কিন্তু অন্যকে মেরে নিজে বাঁচতে চাই, অন্যকে ছোটো ক'রে, দাবিয়ে রেখে নিজে বড় হ'তে চাই। আবার নিজের ওপর যে অন্যায়, যে কষ্ট, যে যন্ত্রণা আমি চাই না, যে অবিচার, অত্যাচার তা' শারীরিক বা মানসিক যাই-ই আমার ওপর হ'ক না কেন, যা আমি চাই না তা অন্যের বেলায় আমি চাই। অন্যের কষ্ট, যন্ত্রণা, অভাব আমি বুঝি না বা বুঝতে চাই না; এতটাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
আবার করোনার সময়ে দেখেছি এই করোনার সময়েও মানুষ কিভাবে এই করোনাকে ব্যবসার অনুকূলে কাজে লাগিয়েছে, আবার মানুষ এই করোনার সময়ে অন্যের পাশে দাঁড়াবার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা অন্তর থেকেই হ'ক আর লোক দেখানোর জন্যই হ'ক। গোটা বিশ্ব এই সামান্য এক অজানা ছোঁয়াচে রোগের কারণে যাকে Advanced influenza বলা যেতে পারে সেই করোনার কারণে কতটা অসহায় হ'য়ে পড়েছিল। ভারত বিশেষ ভুমিকা পালন করেছিল এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইঞ্জেকশান তৈরী ক'রে বিশ্বের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। গোটা বিশ্ব একজোট হ'য়ে বাঁচতে চেয়েছিল। মানুষ যখন বিপদে প'ড়ে অসহায় হ'য়ে পড়ে তখন তার কাছে বাঁচার আকুতি ছাড়া আর অন্য কিছু ধনদৌলত, মান, যশ ইত্যাদি মূল্যহীন হ'য়ে পড়ে। কিন্তু আবার বিপদ কেটে গেলেই মানুষ আবার ফিরে আসে নিজের সেই ঘৃণ্য রিপু তাড়িত পূর্বের চরিত্রে। আবার পুনরায় সেই হিংসা, ঘৃণা, নিন্দা, কুৎসা, লোভ, লালসা, কাম, ক্রোধের লাগামহীন উন্মত্ত আস্ফালন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ মানুষের ওপরে। এমনই মানুষের চরিত্র। আমরা তা চাক্ষুস করেছি সম্প্রতি আফগানিস্তানে, দেখেছি রাশিয়া ও ইউক্রেণের যুদ্ধের সময়, ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধের সময়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এমনভাবে শেষ হ'য়ে যাচ্ছে। অতীত বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে ভাবেনি, বর্তমান প্রজন্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে ভাবছে না। আজকের যারা শিশু তাদের নিয়ে ভাবছে না, ভাবার অবকাশ নেই বিশুদের। পিতামাতারা উদাসীন সন্তানদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। ছোট্ট শিশুর জন্য ভয়ংকর এক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তাকে গ্রাস করবে বলে সেদিকে কোনও হুঁশ নেই, নেই কোনও বিন্দুমাত্র আগাম ধ্যান ধারণা দেশ বা রাষ্ট্রনেতাদের। নিজেদের বিশৃঙ্খল উচ্ছৃঙ্খল অতীতের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও পিতামাতারা সচেতন নন তাদের শিশুদের সম্পর্কে সেখানে দেশ বা রাষ্ট্রনেতাদের দায় পড়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তা করার। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সবাই ব্যস্ত গোড়া কেটে আগায় জল দেবার মতো জনগণের বৃত্তি- প্রবৃত্তিকে সস্তা তাৎক্ষণিক সুড়সুড়ি দিয়ে 'ওঁ গণেশায় নমঃ' ব'লে যেমন আম পাতা দিয়ে মাথায় শান্তির জল ছেটানো হয় সেরকম জল ছেটাবার মতো ৫০০-১০০০টাকার বান্ডিল ক্ষুধার্ত কুকুরের মুখে খাবার ছুঁড়ে দেবার মত মানুষকে ছুঁড়ে দিয়ে। আমার গায়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা মানসিকতায়। ব্যাস মানবসেবা খতম। সবাই এই সস্তা মানবসেবা ক'রে এসেছে ও ক'রে চলেছে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত। বর্তমান প্রজন্ম ও পরবর্তী প্রজন্মের শিশুদের জন্য কোনও কান্না নেই কারও। কবি সুকান্ত মাত্র ২১বছর বয়সে মারা গিয়েছিল দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে মারা যান। সেই অসুস্থ শরীরে শুয়ে শুয়ে কবি স্বপ্ন দেখতেন ছোট্ট শিশুদের নিয়ে, তাদের ভবিষ্যত নিয়ে। তাই তিনি লিখেছিলেন,
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান:
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে
চ’লে যেতে হবে আমাদের।
চ’লে যাব—তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবাে জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযােগ্য করে যাবাে আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
ক’রে যাবাে আশীর্বাদ,
তারপর হব ইতিহাস॥
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে
চ’লে যেতে হবে আমাদের।
চ’লে যাব—তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবাে জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযােগ্য করে যাবাে আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
ক’রে যাবাে আশীর্বাদ,
তারপর হব ইতিহাস॥
এই কবিতা তাঁর লেখা হয় ১৯৪৩-১৯৪৭ সালের মধ্যে। অর্থাৎ ১৭বছর বয়স থেকে ২১শের মধ্যে। তাঁর লেখা "অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি!" কবিতার মতই অবাক করার ব্যাপার। ঐ অত অল্প বয়সে তাঁর কি কান্না ছোট্ট শিশুদের জন্য।
কিন্তু তিনি দেখে যেতে পারেননি তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কি হয়নি। মাত্র ২১ বছর বয়সে তাঁকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর ৩০বছর ১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর স্বপ্নের কম্যুনিষ্ট পার্টির সরকার গঠন হয়েছিল। তাঁর স্বপ্নের শিশুদের উদ্দেশ্যে বলা,
"এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযােগ্য করে যাবাে আমি" পূরণ হয়েছে কিনা তা আজ ইতিহাস সাক্ষী।
ঠিক তেমনি এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল শ্রীশ্রীঅবিনদাদার কথা, সালটা সম্ভবত ২০১৭। ১৭ বছরের যুবক তখন অবিনদাদা। তখন তিনি কোনও দর্শন দিতেন না। দেওঘরে যখনই যেতাম শ্রীশ্রীবাবাইদাদার কাছে আমার ও ছেলেমেয়ের নানারকম সমস্যা নিবেদনের উদ্দেশ্যে তখন ঠাকুরবাড়ির ভিতরে যখনই যেখানে দেখা হ'তো প্রণাম ক'রে কথা বলতাম। তখন একদম ফাঁকায় ফাঁকায় কথা বলতাম। আজকের মতো এত ভিড়, এত ব্যস্ততা তখন ছিল না। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ভিড় ও ব্যস্ততার আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে। আজও মনে পড়ে সেই অল্পবয়সী অবিনদাদার সঙ্গে কথাবলার মুহুর্তগুলির কথা। পরবর্তী ভিডিওতে তুলে ধরবো শ্রীশ্রীঅবিনদাদার ঐশ্বরিক লীলার কথা যা আজও মনে পড়লে মনে পড়ে যায় শেক্সপিয়ারের সেই হ্যামলেট নাটকের ডায়লগের কথা যা শ্রীশ্রীঠাকুরের খুবই প্রিয় কোটেশান, যা তিনি প্রায় সময়ই বলতেন,
"There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy." যার অর্থ, স্বর্গ ও পৃথিবীর মাঝখানে আরও বহু জিনিস আছে, হোরাশিও, যা তোমার দর্শনের পাল্লার বাইরে ও স্বপ্নের অতীত।"
২১ বছরের একটা যুবক সুকান্ত স্বপ্ন দেখেছিল পৃথিবীকে বাসযোগ্য ক'রে যাবে ভবিষ্যৎ শিশুদের জন্য আজ থেকে ৭৭বছর আগে।
আর, আজ আমরা দেখলাম, শুনলাম একজন ২০বছরের আশ্চর্য যুবক শ্রীশ্রীঅবিনদাদার মুখে, "কতটুকু করবো, কি করবো জানি না, তবে যাবার আগে আর্ধেক পৃথিবী নাড়িয়ে দিয়ে যাবো।" যেন শ্রীশ্রীঠাকুরের একই কথার প্রতিধ্বনি, "কেষ্টদার মতো একটা ভাঙাচোরা মানুষ নিয়ে আমি এত কান্ড করলেম আর যদি একটা গোটা মানুষ পেতাম তাহ'লে গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিয়ে যেতাম!" এই বয়সেই অবিনদাদার মানুষের জন্য গভীর চিন্তা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তাঁর ভাবনা আমাকে অবাক করে। তিনি বলেন, "আমরা যারা যে - বিষয়েই পড়াশোনা করি না কেন, প্রত্যেকেরই কিন্তু একটা সাধারণ উদ্দেশ্য আছে | সেটা কী? না, আমরা যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরো উন্নততর একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত রেখে যেতে পারি | আমরা চেষ্টা করব, ঠাকুরের বলাগুলি নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন জ'মে আছে, আমরা যেন আমাদের জীবদ্দশায় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যেন সেইসব প্রশ্নের যতগুলি সম্ভব উত্তর দিয়ে যেতে পারি|"
পূজনীয় অবিনদাদা একদিন বলছিলেন, " প্রথম — প্রথম যখন আমি মানুষের সাথে মেলামেশা শুরু করি, তখন তাদের দুঃখ - যন্ত্রনা আমাকে খুব বেদনা দিত । আমি একদিন গিয়ে বাবাকে বললাম — বাবা আমার মনে হয়, মানুষের জন্য আমাদের কিছু কন্সালটেন্সি খুলতে হবে । আমাদের অনেক গুরভাইদের বড় - বড় ফ্যাক্টরি আছে । দুঃস্থদের আমরা সেখানে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারি, তাদের কর্মসংস্থান হবে I
শ্রীশ্রীঅবিনদাদা পরে বলেন, " বাবা এই কথা ব'লে আমার মনের কতবড় একটা ভার যে লাঘব করলেন, ভাষায় সে কথা আমি ব্যক্ত করতে পারব না।"
তাই অবিন দাদার উদ্দেশ্যে বলি,
অবাক অবিন দাদা! অবাক করলে তুমি
আবির্ভাবেই চমক দিলে যে তুমি!অবাক অবিন দাদা! আমরা যে ভাগ্যবান
অবাক! এসেই আর্ধেক পৃথিবীকে নাড়িয়ে
দেবার দিলে আহ্বান!
অবাক অবিন দাদা! অবাক করলে আরো---
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরো উন্নততর
একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করার পরিকল্পনা তুমি করো!
অবাক অবিন দাদা! অবাক যে বারবার
দেখি আস্তিনে লুকানো আছে তোমার
শুধু জীবনের কারবার!
হিসাবের খাতা যখনি নিয়েছি হাতে
দেখেছি লিখিত----'নব পরিকল্পনা' তাতে;
'সৎসঙ্গ'-এ এসে 'অভূতপূর্ব ' এমন সব পেলাম,
অবাক অবিন দাদা! সেলাম, তোমাকে সেলাম!
হিসাবের খাতা যখনি নিয়েছি হাতে
দেখেছি লিখিত----'নব পরিকল্পনা' তাতে;
'সৎসঙ্গ'-এ এসে 'অভূতপূর্ব ' এমন সব পেলাম,
অবাক অবিন দাদা! সেলাম, তোমাকে সেলাম!
No comments:
Post a Comment