Powered By Blogger

Tuesday, April 16, 2024

চিঠিঃ সৎসঙ্গী গুরুভাইবোন সাবধান!

সৎসঙ্গ বিরোধী এবং আচার্য প্রথা বিরোধী মানুষের মত পাপী মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য কিন্তু ইদানিং একটা জিনিস খুব সুচতুরভাবে প্রচার করা হচ্ছে তা হ'লো মূল কেন্দ্র অনুসারী কিছু ভক্ত যারা নিজেদের শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা অনুগামী ও আচার্য পরম্পরা অনুসারী ব'লে দামামা বাজায় আর তলে তলে ছেদ ক'রে চলেছে সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিয়ত। আর এই ছেদের কাজ ক'রে চলেছে প্রতিনিয়ত পেজ ক্রিয়েট করার মধ্যে দিয়ে। কিছু তথাকথিত সৎসঙ্গী নিজেদের সৎসঙ্গী সাজিয়ে আগে শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা ও আচার্য প্রথার বিরোধী ছিলেন আর বিবেকদাদা কিম্বা কাজলদাদার অনুগামী ছিলেন কিন্তু এরা এখন শ্রদ্ধেয় পূজ্যপাদ বিবেকদাদা ও শ্রদ্ধেয় পুজ্যপাদ কাজলদাদারও বিরোধী হ'য়ে উঠেছেন। মূল কেন্দ্র বহুনৈষ্টিক ও আত্মপ্রতিষ্ঠায় মগ্ন এবং বিবেকদাদা, কাজলাদাদা একনৈষ্টিক ও তারাও আত্মপ্রতিষ্ঠায় মগ্ন; এরা কেউই ঠাকুরের কাজ কিছুই করছে না ব'লে জোর সমালোচনা ও ঘৃণ্য প্রচার ক'রে চলেছেন এই দুই নৈষ্টিকের বিরুদ্ধে একক মহান ঠাকুর প্রেমিক সেজে!!!! আর প্রচার ক'রে চলেছেন এইসমস্ত মূল কেন্দ্র অনুসারী পেজের মধ্যে ঢুকে! শুধু তাই নয় আশ্চর্য এই এইসমস্ত মূল কেন্দ্র অনুসারী দ্বারা সৃষ্ট পেজের মধ্যে এরা, এইসমস্ত গিরগিটির মত রঙ বদলকারীরা গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত আবার মডারেটর হ'য়ে বসে আছেন!!!!!!
কি ক'রে এটা সম্ভব!? এর উত্তর আছে কারও কাছে? অথচ এইসমস্ত পেজের হাজার হাজার মেম্বার কারও কোনও মন্তব্য নেই! নেই কোনও হেলদোল!! নেই কোনও প্রতিবাদ!!! সবাই শুধু করে লাইক আর জানায় জয়গুরু আর জয়গুরু!
প্রত্যেকের মনোভাবঃ
আমার গাঁয়ে আঁচ না লাগে ফুরিয়ে যাবে মামলা!!!!!!!
এই জন্যই কি ঠাকুরের আক্ষেপ ছিল,
'আমি একটাও মানুষ পেলাম না'!?

আমাদের অবস্থা হয়েছে ভুত দেখে চমকে ওঠার মত। আরে মশাই , আমাদের গুরুভাইবোনেদের একটু তো লজ্জা শরম থাকা উচিত নাকি! আমরা যারা আচার্য প্রথা অনুসরণকারী তারা নাকি সব জালি, সব জালের মধ্যে আছি! আর এইকথা সব সময় কোমর কষে প্রচার ক'রে চলেছেন এইসমস্ত নতুন রুপে আবির্ভূত নিজের ঢাক নিজে পেটানো না ঘরকা, না ঘাটকা মহান ভক্ত প্রেমীরা! এরা এখন পূজ্যপাদ শ্রদ্ধেয় বিবেকদাদা আর পূজ্যপাদ শ্রদ্ধেয় কাজলদাদাকেও পাত্তা দেয় না। অথচ এই নয়কে ছয় দেখানো আর ছয়কে নয় দেখানো একটা কুমিরছানাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো ধূর্ত শেয়ালের দল আমাদের মত যারা আচার্য পরম্পরার অনুসারী যাদের এরা জালি বলে এবং এই জালিদের দ্বারা তৈরি মূল কেন্দ্র অনুসারী দ্বারা তৈরি পেজে কেন মডারেটর হয়েছেন? এইসমস্ত পেজ তো শ্রীশ্রীবড়দা আর তাঁর পরিবারবর্গ এবং আচার্যপ্রথা অনুসরণকারীদের পেজ তা শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবার বিদ্বেষী এবং আচার্য প্রথা বিরোধী বিকেন্দ্রিক নরাধমরা এই সমস্ত পেজে ঘাই মারছেন কেন?? উত্তর দেবেন কি ঐ সমস্ত পেজের এডমিনরা?

শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রধান ভক্ত বিবেকানন্দের নবরূপ এ যুগের বিবেকানন্দ শ্রীশ্রীবড়দাকে এরা সীমাহীন অসম্মান অশ্রদ্ধা কুৎসা নিন্দা করেন, তাঁর কর্মযজ্ঞ নিয়ে প্রশ্ন তোলার, সমালোচনা করার আস্পর্ধা করেন আবার এখানে এই সমস্ত পেজেই বিবেকানন্দের স্তুতি করতে বসেছেন!? এদের চেয়ে বহুরূপী নরকের কীট আর কে আছে এই বিশ্ব দুনিয়ায়!?!? এইধরণের কপট ভন্ড ধান্দাবাজ আদর্শ বিরোধী অস্তিত্ব ধ্বংসকারী মুখোশধারী মানুষরূপী শয়তানদের এই সমস্ত মূল কেন্দ্র অনুসারী পেজে মডারেটর বানালো কে!? এই পেজের এডমিনরা!? আর এরাই বা কি ক'রে নির্লজ্জভাবে এই আচার্যপ্রথা সমর্থনকারী দলের মধ্যে ঢুকে পড়লেন!? এরা তো শ্রীশ্রীবড়দা, শ্রীশ্রীদাদা, শ্রীশ্রীবাবাইদাদা ও শ্রীশ্রীঅবিনদাদা বিরোধী, আচার্য প্রথার বিরোধী, ঠাকুর পরবর্তী সৎসঙ্গ ধারার বিরোধী তাহ'লে এরা এই সমস্ত মূল কেন্দ্র অনুসারী পেজে ঢুকে মূল ধারার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘৃণ্য প্রচার চালান কিভাবে!? মূল কেন্দ্র, মূল ধারার অনুসারী এইসমস্ত পেজের এডমিনরা কি সন্দেহের তালিকায় পড়েন না!? এদের নিয়ে যদি সন্দেহজনক প্রশ্ন ওঠে তাহ'লে কি তা অস্বাভাবিক!?
এর জবাব গুরুভাইবোন চাইবেন না!?

এদের কথামত আমার নাহয় ভক্তি নেই, এইসমস্ত মানুষদের (?) তো শ্রদ্ধাভক্তি আছে। তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে সত্য দেখিয়ে দিলে বাপের বেটার মত বুকের পাটা দেখিয়ে মেনে নিতে অসুবিধে হয় কেন এদের? শ্রদ্ধাভক্তিতে টান পড়ে? এরা এতবড় এক একজন ভক্ত যে এই পেজগুলিতে এদের কারো কারো প্রচারে বিবেকানন্দ শ্রীশ্রীঠাকুরের চেয়ে বড় হ'য়ে গেল! এমন বড় হ'য়ে গেল যে বিবেকানন্দের ফটো আগে আর স্বয়ং জীবন্ত নারায়ণ পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ফটো বিবেকানন্দের ফটোর পড়ে!! এর পরেও এরা গলা উঁচিয়ে কথা বলেন!? গালাগালি করে! লজ্জা নেই!? গায়ের চামড়া মোটা হ'য়ে গেছে!?

আজ ১২ই জানুয়ারী'২১ মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিশেষ ক'রে বাংলার চতুর্দিকে বিবেকানন্দকে নিয়ে সরকারীভাবে, রাজনৈতিক দলের ব্যবস্থাপনায়, ইয়ংদের মাঝে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দজী কি আজ ক্ষমতা দখলের আর আয়ের উপকরণ হ'য়ে দাঁড়িয়েছে!? কই বিবেকানন্দের গুরু, বিবেকানন্দের পথ প্রদর্শক জীবন্ত ঈশ্বর শ্রীশ্রীঠাকুর রামকৃষ্ণকে নিয়ে তো এমন মাতামাতি হয় না, সরকার পক্ষ, রাজনৈতিক দল ও ইয়ং জেনারেশন তো করে না !!!!!!! কেন!?

সৎসঙ্গের শ্রীশ্রীবড়দা বিরোধী বিকেন্দ্রিক তথাকথিত সৎসঙ্গীদের মধ্যে এরকম ভন্ড মাতামাতি দেখা যায়। তারা অর্থাৎ এইধরণের ধান্দাবাজ ভন্ড সৎসঙ্গীরা শ্রীশ্রীবড়দাকে গালি দেয়, তীব্র সমালোচনা, নিন্দা, কুৎসা করে আবার মূল কেন্দ্রের অনুসারী ভক্তদের দ্বারা পরিচালিত পেজে, নিজেদের প্রোফাইলে শ্রীশ্রীবড়দার পূর্ব রূপ বিবেকানন্দকে নিয়ে জন্মদিনের নামে ভন্ডামিতে পরিপূর্ণ নাটক করে! আর আমাকে নির্দেশ দেয় এদের প্রকাশিত লেখাগুলি ভালো ক'রে পড়ার! তাই এদের উদ্দেশ্যে বলি, আমাকে গালি দেওয়ার ও আপনাদের মৃত লেখা পড়ার নির্দেশ দেওয়ার আগে এইসমস্ত তাত্ত্বিক আমেজে ডুবে থাকা ভন্ড তথাকথিত ঠাকুর ভক্তরা আগে উত্তর দিনঃ

১) কে ঈশ্বর? শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্র নাকি বিবেকানন্দ? কার
ফটো আগে থাকা উচিত?
২) শ্রীশ্রীবড়দার কুৎসা করেন যারা তারা আবার বিবেকানন্দের পুজারী?
৩) পেজ অর্থাৎ মূল কেন্দ্র অনুসারী দীক্ষিতদের দ্বারা তৈরি পেজে এরা আছেন কি করে যেখানে বহুনৈষ্ঠিকের (এদের ঘৃণ্য মতে) পূজা হয়?
৪) এইসমস্ত নয়কে ছয় আর ছয়কে নয় দেখানো মানুষেরা(?) কি নিজেকে চালাক মনে করেন আর বাকী সব কোটি কোটি দীক্ষিত চার অক্ষর?
৫)মূল কেন্দ্র অনুসারীদের পেজে ঢুকবেন এরা আবার মূল কেন্দ্রের ফুটো করবেন?
৬) যে থালায় খান সেই থালায় হাগেন এরা? এত নোংরা মনের!? এদের লজ্জাশরম নেই? এদের গায়ের চামড়া এত মোটা!?
এবার অন্য প্রসঙ্গে। এইসমস্ত পেজের যে পেজগুলিতে এই ধরণের বদমাইশি হ'য়ে চলেছে সেইসব পেজের কর্মকর্তাদের বলতে চাই,
আপনারা আমার লেখার, আমার বক্তব্যের বিরোধিতা করুন, যদি কোনও ভুল ব'লে থাকি, কোনও অবান্তর কিছু লিখে থাকি। আর, আপনাদের কাছে জিজ্ঞাস্য এইসমস্ত ঠাকুরবাড়ি বিরোধী মানুষজন যখন সৎসঙ্গী সেজে শ্রীশ্রীবড়দা আর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কদর্য ভাষায় প্রচারের ডঙ্কা বাজান তখন আপনারা চুপ ক'রে থাকেন কেন!? চুপ ক'রে থেকে এদের সুযোগ ক'রে দেন কেন আপনাদের পেজে এমন বিভ্রান্তিমূলক শয়তানি লেখা প্রকাশ করার!? আপনাদের ভাগ্য ভালো এখনও কোটি কোটি দীক্ষিত মূল কেন্দ্র অনুসারী আপনাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেনি। কলম ধরেনি কারণ আপনাদের তারা সুস্থতা ও প্রকৃতিস্থতার প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে চায়, তাই। আমার বিশ্বাস আপনারা নিশ্চয়ই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেবেন এদের লেখা পেজ থেকে ডিলিট ক'রে ও পেজের মডারেটরের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।

এইসমস্ত সুযোগসন্ধানী রঙ বদলকারী গিরগিটির দল আচার্য প্রথাবিরোধী নানা ভিত্তিহীন বালখিল্য প্রশ্নের উপস্থাপনা ক'রে চলেছেন কলুর বলদের ঘানি টানার মত সেই ঠাকুরের দেহ রাখার সময় থেকেই; আর এর মধ্যে আবার নতুন কিছু উঠকো বিরোধী এবং কুৎসাকারী পূর্বসূরিদের কিছু উত্তরসূরি বর্তমানে শ্রদ্ধেয় পূজ্যপাদ বিবেককদাদা ও শ্রদ্ধেয় পূজ্যপাদ কাজলদাদাকে ছেড়ে শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের কুৎসা করার সঙ্গে সঙ্গে পূজ্যপাদ বিবেকদাদা ও পূজ্যপাদ কাজলদাদার কুৎসা ক'রে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার হাস্যকর প্রয়াস ক'রে চলেছে!

সেইসমস্ত মস্তিষ্ক বিকৃত প্রচারকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাইঃ
আপনাদের বাচাল বালখিল্য প্রশ্ন ও পাগলের প্রলাপের উত্তর দিতে যাবো কেন? আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা আপনাদের সঙ্গে কেউ কথায় তো বলে না। আর কোথাও জায়গা না পেয়ে সেই মূল কেন্দ্র অনুসারী শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারপ্রেমী, আচার্য কেন্দ্রিক সৎসঙ্গ প্রতিষ্ঠানের প্রচারকারী পেজের শরণাপন্ন হলেন!?!? সত্যি কথা বললে গায়ে ফোস্কা পড়ছে? কাপড় তুলে কাপড়ের তলায় লুকোনো ঘা দেখিয়ে দিচ্ছি ব'লে আজ আমি বাচাল? সত্য বরারবরই অপ্রিয় হয় তাই আমার সত্য কথা আপনার/আপনাদের সহ্য হচ্ছে না; গা জ্বালা করছে? আরও করবে। যতদিন আপনি/আপনারা ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে সাধারন সাদাসিধে ভাঙাচোরা গুরুভাইবোনেদের শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে, আচার্য প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াবেন, গুরুভাইবোনেদের বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়িয়ে কলুষিত করবেন ততদিন দয়ালের ভয়াল রূপের হাত থেকে আপনার/আপনাদের নিস্তার নেই; এটা ভালো ক'রে মাথায় ঢুকিয়ে রাখবেন।

আর, যদি এইসমস্ত পেজের কর্তারা ক্রমাগত ঠাকুর পরিবারের বিরুদ্ধে নরাধমদের বিষোদ্গার করা এই নরক তুল্য ঘৃণ্য ভয়ংকর পাপ কাজকে বুঝতে পেরেও উদারতার ভঙ্গী নিয়ে প্রশ্রয় দেয় তাহ'লে তার বিচারও তোলা থাকবে দয়ালের দরবারে। বিচারের ভার কাউকে নিতে হবে না; পরমপিতা শ্রীশ্রীঠাকুর সব দেখছেন; দেখছেন নরাধমদের, দেখছেন আমাকে, দেখছেন এই পেজের এডমিন কর্মকর্তাদের। সময় ব'লে দেবে কে ঠিক আর কে ভুল।

আর সবশেষে গুরুভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা এত উদাসীন যে আপনারা শ্রীশ্রীবড়দা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে, আচার্য প্রথার বিরুদ্ধে এদের বিভ্রান্তিমূলক বিদ্বেষপূর্ণ লেখা না পড়েই লাইক করেন, জয়গুরু ব'লে সম্বোধন করেন তাতে নিজের অজান্তে নিজেকেই ছোটো ক'রে ফেলছেন, নিজেকে ঠকাচ্ছেন আর ঠাকুরের কাজকে কঠিন ক'রে তুলে তাঁর মিশনের বিরুদ্ধে বাধার পাঁচিল তুলে সৎসঙ্গের সর্বনাশ ক'রে চলেছেন।

তাই বলি, গুরুভাইবোন সাবধান!

No comments:

Post a Comment